Announcement

Collapse
No announcement yet.

দরবারীদের বিভ্রান্তি মুনাফিকদের সাথে রাসুল যুদ্ধ করেননি আমাদের দেশের শাসকরা সর্বোõ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দরবারীদের বিভ্রান্তি মুনাফিকদের সাথে রাসুল যুদ্ধ করেননি আমাদের দেশের শাসকরা সর্বোõ

    কিছু উলামায়ে সু বিভিন্নভাবে মুয়াহহিদদের আক্বীদা বিশ্বাস ভ্রান্ত প্রমান করে তাগুতদের সন্তুষ্ট করার মতো হীন কাজে লিপ্ত।তাদের বিভ্রন্তিকর উক্তিগুলোর একটি হলো বর্তমান আলোচনার
    বিষয়বস্তু।তারা দাবি করে "আল্লাহর রাসুল আব্দুল্লাহ বিন
    উবাইয়ের মতো মুনাফিকের সাথেও যুদ্ধ করেননি তাহলে কিভাবে
    বর্তমান শাসকদের সাথে যুদ্ধ করা যায়"
    "জঙ্গিরা কোরআনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে গোমরাহ করছে জঙ্গিরা বলে
    يا ايها النبي جاهد الكفار والمنافقينআল্লাহ এ আয়াতে কাফেরদের
    সাথে যুদ্ধের ও মুনাফিকের সাথে যুদ্ধের কথা একই আয়াতে বলেছেন
    সুতরাং মুনাফিকের সাথেও যুদ্ধ করতে হবে কিন্তু জঙ্গিরা কোরআনের ব্যাখ্যা
    বুঝেনা রাসুল জীবনে কখনো মুনাফিকের সাথে যুদ্ধ করেননি সুতরাং তাদের
    সাথে যুদ্ধ করার অর্থ হলো তাদের সাথে তাদের ভ্রান্ত আক্বীদা
    খন্ডনের জন্য দলীল পেশ করা।"
    এ জঙ্গির পক্ষ থেকে তাদের উপরোল্লেখিত কথাগুলোর উত্তর দেওয়া হচ্ছে কয়েকটি পয়েন্টে
    প্রথমত:মুনাফিক দুই প্রকার।বিশ্বাসগত দিক থেকে মুনাফিক ও আমলগত
    দিক থেকে মুনাফিক।আমলগত দিক থেকে মুনাফিক হলো নেফাক সম্পর্কে
    বর্নিত আলামত সমূহের কোন একটি যদি তার মাঝে প্রকাশ পায়।
    যে আলামতগুলো হাদিসে বর্নিত হয়েছে।যেমন যখন কথা বলে মিথ্যা বলে
    ইত্যাদি।আর বিশ্বাসগত দিক থেকে মুনাফিক বলে ঐ ব্যক্তিকে যে অন্তরে
    কুফর গোপন রেখে বাহ্যিকভাবে নিজেকে মুসলিম রূপে পরিচয় দেয়।
    ২ প্রকার মুনাফিকের সংঙ্গা থেকেই স্পষ্টভাবে বুঝে আসে যে,
    আক্বীদগত মুনাফিক মুলত কাফের।কেননা,সে ইমানের ৩ রোকনের একটি
    আদায় করেনি। তা হলো অন্তরে বিশ্বাস করা।আর কোন জিনিসের
    রোকন কেউ আদায় না করলে তার ঐকাজ গ্রহণযোগ্য নয়
    যেমন নামাজের একটি রোকন হলো সিজদা করা এখন কেউ সিজদা না
    করলে তার নামাজই হবেনা।আর আলমের দিক থেকে মুনাফিক মুলত
    ফাসেকের পর্যায়ে। সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়না।কিন্তু
    আক্বীদাগত মুনাফিক মুমিন নয়।সুতরাং আমরা আক্বীদাগত মুনাফিকের
    সাথে যুদ্ধ করাকে রাসুলের আনীত দ্বীন বলে বিশ্বাস করি।
    আক্বীদাগত মুনাফিক কাফের হওয়ার দলীল:আল্লাহ তায়ালা আব্দুল্লাহ
    ইবনে উবাইয়ের মতো মুনাফিকদের ব্যাপারে একটি আয়াত নাযিল করেন রাসুল তাকে দাফন করার পরে
    আল্লাহ তায়ালা রাসুলকে লক্ষ্য করে বলেন(আয়াতটি কেয়ামত পর্যন্ত প্রযোজ্য,রহিত নয়)
    ولا تصل علي أحد منهم مات أبدا ولا تقم علي قبره انهم كفروا بالله و رسوله
    وماتوا وهم فاسقون অর্থাৎ আপনি এ সমস্ত মুনাফিকদের কারো জানাযায় কখনো
    শরীক হবেন না ও তাদের কবরের পাশে(দাফন ও মাগফিরাতের) জন্য দাড়াবেন না
    (কেননা)তারা আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে কুফরী করেছে ও কাফের অবস্থায়
    ইন্তেকাল করেছে।সুরা তাওবা ৮৪ নং আয়াত।এ আয়াতের শানে নুযুল বোখারীতে
    বর্নিত আছে এটি আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের জানাযায় শরীক হওয়ার পরে
    রাসুলকে এমন মুনাফিকদের জানাযায় শরীক হওয়া থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
    (হাদিসটি দীর্ঘ হওয়ার কারনে উল্লেখ করা হলোনা)।বুখারী শরীফ হাদিস নং
    ৪৪৮৩,৪৪৮৪,৪৪৮৫।
    এ সংক্রান্ত আরো দলীল আছে সংক্ষিপ্ততার জন্য একটা দিলাম।
    এ আয়াতে আল্লাহ এ মুনাফিকদেরব্যাপারে বলছেন,তারা আল্লাহ ও তার
    রাসুলের সাথে কুফরী করেছে।সুতরাং আক্বীদাগত মুনাফিক ও কাফেরদের
    একটা অংশ।তাদের সাথে যুদ্ধ করা যায়।
    আকেরটি দলীল তাদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে।সুরা মুনাফিকের১ নং আয়াত
    এখানে বলা হয়েছে "যখন মুনাফিকরা আপনার কাছে আসে তখন তারা
    বলে আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনি অবশ্যইআল্লাহর রাসুল। আল্লাহ ও জানেন
    আপনি নিশ্চয়ই তার রাসুল আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন নিশ্চয়ই মুনাফিকরা
    মিথ্যাবাদী।এখানে আল্লাহ মুনাফিকদের এ কথা আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি
    এ ব্যাপারেতাদেরকে মিথ্যাবাদী ঘোষনা করেছেনএটা সবাইই জানে যে,
    আল্লাহর রাসুলকে রাসুল বলে স্বীকার না করলে সে মুমিন নয়।
    এখানে তাদের সাক্ষীর ক্ষেত্রে তাদেরকে মিথ্যাবাদী ঘোষনাকরেছেন আল্লাহ
    তায়ালা।সুতরাং এ সাক্ষ্য বাতিল ও তারা মুহাম্মদ সাঃ কে রাসুল
    সাক্ষী না দেওয়ার কারনে কাফের।
    এ সুরারই ৩ নং আয়াতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে"এটা এ কারনে যে,তারা ইমান আনার পরে কুফরী করেছে তাই তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া হয়েছে"।
    সুরা মুনাফিকুন ৩ নং আয়াত।এ আয়াত থেকে স্পষ্টই বুঝা যায় আব্দুল্লাহ বিন উবাই
    ও তার সহচররা কাফের ছিল।
    সুতরাং আমরা কাফেরদের ও মুর্তাদদের সাথেই যুদ্ধ করছি মুসলিমদের সাথে
    বা আমলগত মুনাফিকদের সাথে নয়।
    দ্বিতীয়ত:মুনাফিকের সংঙ্গায় লিখা আছে যারা বাহ্যিকভাবে ইমান প্রকাশ করে
    কিন্তু আমাদের শাসকদের অবস্থা তাদের থেকে সম্পুর্ন ভিন্ন।তারা প্রকাশ্যে কুফরীতে লিপ্ত।
    যেমন আল্লাহর শরীয়তকে বাতিল করে নিজেরা শরীয়ত প্রনয়ন করে
    নিজেদেরকে আল্লাহর আসনে বসানো।
    এটা স্পষ্ট কুফরী।সুরা তাওবার ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় তিরমিজি শরীফে
    হাসান সনদে বর্নিত হাদিসটি দেখে নিলেই এ বিষয়টা যে কুফরী তা স্পষ্টভাবে
    বুঝে আসে।আর যে শাসক থেকে স্পষ্ট কুফরীপাওয়া যায় তার সাথে
    যুদ্ধ করা ফরজ রাসুলের সুন্নাহ অনুযায়ী।ওবাদা ইবনে সামিত রাযি থেকে
    বর্নিত তবে তোমরা শাসকদের থেকে স্পষ্ট কুফরীপেলে যে কুফরীর ব্যাপারে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে দলীল রয়েছে যুদ্ধ করবে (হাদিসের শেষাংশ)
    বুখারীশরীফ হাদিস নং ৬৭৭৯।
    সুতরাং আমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল আছে তাদের মাঝে এমন স্পষ্ট কুফর (নিজের
    হাতে আইন রচনা করা আল্লাহরটাকে বর্বর আইন বলা ইত্যাদি) পাওয়ার কারনেই যুদ্ধ করছি।
    মুসলিমদের সাথে নয়।
    তৃতীয়ত:তাদের এটা বুঝা উচিত যে রাসুলের সিআইডি
    হোযায়ফা রাযি থেকে বর্নিত আছে,
    তিনি বলেছেন,নেফাক ছিল রাসুলের যুগে
    আর বর্তমানে তা হলো ইমান আনার পরে
    কুফরী। বুখারী শরীফ ৬৮৩১ নং হাদিস।
    সুতরাং বর্তমানে মুনাফিক নাই হয়তো মুমিন
    নয়তো কাফের।
    এটির কারন হিসেবে তার থেকে বর্নিত আরেকটি হাদিস"আজকের যমানার মুনাফিকরা নবীজীর জমানার মুনাফিকদের থেকে জঘন্য।তারা ঐসময় গোপন করতো(কুফরী) আর বর্তমানে তারা প্রকাশ্যে
    (কুফরী) করছে।
    এ হাদিস থেকে বুঝা যায় কুফরী প্রকাশ
    না করে গোপন করলে তা হলো নেফাক।
    আর ঐ সময় তার সাথে যুদ্ধ করাও সম্ভব নয়।কারন তার অন্তর কেটে এটা দেখার জন্য আমরা দায়বদ্ধ নয় যে,তার অন্তরে সে কুফরী গোপন রেখেছে।
    কিন্তু যখন প্রকাশ্যে কুফরী করবে তখন তার সাথে যুদ্ধ করতে হবে।তখন তার
    আর কাফেরের মাঝে কোন তফাৎ থাকবেনা
    তবে এখানে একটা কথা মনে রাখা দরকার যে,কুফরী স্পষ্ট হওয়ার পরেও তাকে মুনাফিক বলা যাবে।
    আর কুরআনে যতস্থানে মুনাফিক আছে
    এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আক্বীদাগত মুনাফিক।কিন্তু তারা কাফের। কাফের আর তাদের মাঝে তফাৎ নাই।সুরা মুনাফিকের ১ নং আয়াতের প্রতি মনোযোগ দিন সহজেই
    বুঝবেন যে,আল্লাহ তাদেরকে মুনাফিক বলেছেন আবার তাদের ব্যাপারে বলেছেন
    রাসুলকে রাসুল বলে তারা যে সাক্ষ্য দিচ্ছে
    এটা মিথ্যা(আর এ কারনে কাফের যেহেতু রাসুলকে রাসুল বলে বিশ্বাস না কররলে কাফের)সুতরাং একই আয়াতে আল্লাহ তাদেরকে মুনাফিক ও বলেছেন আর তাদের কাফের হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন।
    চতুর্থত :তাহলে মুনাফিকদের সাথে জিহাদ করার অর্থ কি?আর কেন রাসুল সাঃ
    তাদের সাথে যুদ্ধ করলেন না?
    আয়াতটিতে আল্লাহ কাফের ও মুনাফিক ২ গ্রুপের বিরুদ্ধেই যুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন।
    আর এখানে মুনাফিক দ্বারা উদ্দেশ্য
    আক্বীদাগত মুনাফিক ও তাদের সাথেও তরবারী দ্বারাই জিহাদ করতে হবে।
    এখন প্রশ্ন আসে তাহলে আল্লাহ কেন
    এখানে মুনাফিকদের কথাও আনলেন শুধু
    কাফেরদের কথা আনলেই তো পারতেন।যেহেতু তারাও কাফেরদের একটা অংশ।
    এর উত্তর হলো মুনাফিক কাফেরই কিন্তু
    সে যেহেতু আগে তার কুফরীটা গোপন করেছে তাই আসল কাফের ও তার মাঝে
    একটু প্রার্থক্য হয়ে গেছে সে কুফরী গোপন রাখার কারনে (যদিও পরে প্রকাশ হয়ে গেছে)আর আসল কাফের শুরুতেই প্রকাশ্যে কুফরী করে আসছে।এতটুকু প্রার্থক্যের জন্য আল্লাহ ২ গ্রুপের কথাই স্পষ্ট করে বলেছেন।
    এখন বাকি রইল,কেন রাসুল (সাঃ)তাদের সাথে যুদ্ধ করলেন না।
    এটি রাসুলের হাদিসের মাধ্যমে স্পষ্ট।
    রাসুল উমরকে বলেছেন যখন তিনি আব্দুল্লাহ বিন উবাইকে হত্যা করার অনুমতি চেয়েছেন তাকে ছেড়ে দাও যেন কাফেররা একথা বলতে না পারে মুহাম্মদ
    সাঃ তার সাথীদেরকে হত্যা করেছেন।(দীর্ঘ
    হাদিসের শেষাংষ)।বুখারী শরীফ হাদিস নং
    ৪৭১৬,৪৭১৮
    হাদিসের অনেক কিতাবে ও বুখারীতে ও আরো কয়েক জায়গায় হাদিসটা আছে।
    সুতরাং রাসুল সাঃ তাদেরকে হত্যা না করার
    একটা কারন উল্লেখ করেছেন।এ কারনে নিষেধ করেননি যে,তাদেরকে হত্যা করা জায়েয নাই।এমন হলে নবীজী উমরকে বলতেন,তাকে তুমি কিভাবে হত্যা করবে এটা তো হারাম যেমনিভাবে তিনি খালেদ ও ওসামকে তিরষ্কার করেছিলেন।কারন এটা কোন নববীর জন্যই সম্ভব নয় তার সামনে তার সঙ্গীরা খারাপ কাজ করতে ইচ্ছা করবে আর তিনি তা স্পষ্ট করে নিষেধ করবেন না।
    সুতরাং এ থেকেই বুঝা যায় তাদের হত্যা করা যাবে কিন্তু রাসুল একটা কারনে হত্যা করেননি।আর বর্তমানে এ আশংকা নেই
    তাই তাদেরকে হত্যা করতে হবে।
    আর আমরা তাদেরকে মুনাফিক বলে যুদ্ধ করিনা মুর্তাদ বলে যুদ্ধ করি এটিই মূল।

  • #2
    জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা...
    অনেক উপকৃত হলাম ভাই!

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ! তবে (বর্তমানে মুনাফিক নাই হয়তো মুমিন নয়তো কাফের।) কথাটা পরিষ্কার না।
      Last edited by Ahmad Al-hindi; 05-05-2017, 08:43 PM.

      Comment


      • #4
        "আর আমরা তাদেরকে মুনাফিক বলে যুদ্ধ করিনা মুর্তাদ বলে যুদ্ধ করি এটিই মূল"

        আলহামদুলিল্লাহ, এমন কথায় অন্তর প্রশান্ত হয় - আমরা আসলে কখনই তাদের মুনাফিক বলিনা বরং বলি মুরতাদ, আর রাসুল (সাঃ) সরাসরি ৩ শ্রেণীর মানুষকে হত্যা করতে বলেছেন তার মধ্যে এক হচ্ছে "যে নিজের দ্বীন (ইসলাম) থেকে বের হয়ে গেছে"

        মুরতাদের রক্ত হালাল, তাকে হত্যার কোন কাফফারা নাই !!!
        মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ!

          Comment


          • #6
            jajakallah

            Comment


            • #7
              আহমাদ আল হিন্দি ভাই!এখানে বর্তমানে মুনাফিক নাই বলতে যা বুঝিয়েছি তা হলো,রাসুলের যুগে আক্বীদাগত মুনাফিকদেরকে আলাদা একটি বৈশিষ্ট হিসেবে গণ্য করা হতো
              যার ফলে তিনি কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করা সত্ত্বেও তাদের সাথে যুদ্ধ করেননি
              অথচ তারাও ছিলো কাফের।বিশেষ কারনে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে
              কিন্তু বর্তমানে আমরা জানতে পারবোনা কে অন্তরে কুফরী গোপন রাখার কারনে মুনাফিক
              কারন আমরা অন্তরের খবর জানিনা।কিন্তু অন্তরের এ কুফর প্রকাশ পেলে
              এটাকে কুফর ধরা হবে নেফাক নয় আর রাসুলের জমানায়
              আল্লাহ তাকে জানিয়ে দিয়েছেন কার অন্তরে সে কুফরী লুকিয়ে রেখেছে রাসুল এদের নামম
              হোযায়ফা রাযি এর কাছে জানিয়ে গেছেন সুতরাং ঐ সময় এদেরকে মুনাফিক হিসেবে চিন্হিত করা
              সম্ভব ছিলো সেটা শেষ হয়ে গেছে হোযায়ফা রাযি এর আছরের এইই অর্থ

              Comment


              • #8
                প্রিয় ভাইয়েরা, দরবারী আলেমদের সংখ্যা দি দিন বাড়ছেই। ৫মে আমাদের পেছনে ফেলে চলে গেছে অথচ একটি মসজিদেও ভাইদের জন্য দোওয়া করা হয়নি। হায় আফসোস। আল্লাহ আপনি ৫মে শহিদ হওয়া ভাইদের কবুল করুন। আমিন।
                সম্মান নেইকো নাচে গানে,
                আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

                Comment


                • #9
                  [size=3]
                  Originally posted by ahmad al-hindi View Post
                  জাযাকাল্লাহ! তবে (বর্তমানে মুনাফিক নাই হয়তো মুমিন নয়তো কাফের।) কথাটা পরিষ্কার না।
                  ভাই,

                  মক্কায় ছিলো কাফের আর মদিনায় ছিলো মুনাফিক। খুব সম্ভব আব্দুল্লাহ ইবনে আজ্জাম রহঃ সুরা তাওবার তাফসিরে বলেছিলেন- মুনাফিক ছিলো শুধু মদিনায়। মক্কায় নয়। এমন কি মদিনার বাইরে অন্যান্য অঞ্চল যেমন রোম, পারস্য, বিজেন্টাইন এসব এলাকাতেও নয়।

                  মদিনাতে যখন রাসুল (সাঃ) ইসলামের শক্তি/আহকাম/হুকুমাত/ প্রতিষ্ঠা করলেন তখন মক্কার কাফেরদের মত মদিনার কাফেররা সরাসরি বাধা দিতে পারলোনা, কারন সেটা তাদের সামর্থ্যের বাইরে ছিলো। একই ভাবে তারা এই শহর ছেড়েও যাবেনা। দুই হচ্ছে, তারা দেখলো যে মুসলমানদের সাথে থাকলে তাদের দুনিয়াবি ফায়দাও কম না, কারন তখন ইসলামী বাহিনি বিভিন্ন দিক থেকে বিপুল সম্পদ গানিমাহ হিসেবে অর্জন করছিলো। তারা জানতো এই বাহিনির সাথে থাকলে দুনিয়াবি ফায়দা আছে। প্রধানত এই দুইটি কারনে তারা নিজেদের কুফরকে গোপন করে উপরে ঈমানের লিবাস পরে থাকলো। এবং এমনি ভাবেই চলছিলো যতক্ষণ না আল্লাহ তাদের ব্যাপারে একের পর এক আয়াত নাজিল করে তাদের স্বরূপ প্রকাশ করে দেন।

                  মুনাফিকদের প্রসঙ্গে আয়াত গুলো অধিকাংশই মদিনার প্রেক্ষাপটে, কারন মুনাফিক ছিলো শুধু মদিনাতেই। মুনাফিকদের ব্যাপারে আরো একটি বিষয় খেয়াল রাখা দরকার যে তারা ছিলো মদিনাতে সংখ্যালঘু কাফের, নিজেদের দুনিয়াবি স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখার জন্য তারা ইসলাম গ্রহনের অভিনয় করেছিলো। দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজেদের কুফর গোপন করেছিলো।


                  বর্তমানে যদি কারও ভিতরে আকিদাগত মুনাফিকি থাকেও তবে সে তা ইসলামের ভয়ে গোপন করেনা, বরং তারা নিজেদের মুনাফিকি প্রকাশ্যেই দেখিয়ে বেড়ায়। তাদের নিফাকির কাজ গুলো নিফাক অপেক্ষা কুফর বেশি। যেমন সৌদি বাদশা - সে কি প্রকাশ্য নাকি গোপন? তার আমল কি প্রকাশ্য নাকি গোপন? আমেরিকার সাথে তার বন্ধুত্ব কি প্রকাশ্য নাকি গোপন? উত্তর হচ্ছে প্রকাশ্য। মদিনার মুনাফিকদের মত সৌদি বাদশার উপরে ইসলামী হুকুমতের কোন প্রভাব নাই, যার কারনে তাকে আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব গোপন করতে হবে। কিন্তু মদিনার মুনাফিকরা এটি করতে পারতোনা। তারা গোপনে তাদের আউলিয়াদের সাথে বন্ধুত্ব রাখতো, অর্থাৎ তারা তাদের মূল বিশ্বাস গোপন করত, আর এটিই হচ্ছে আকিদাগত নিফাক আর তারাই হচ্ছে আকিদাগত মুনাফিক, আল্লাহু আলাম সম্ভবত যাদের ব্যাপারে আয়াত সমুহ নাজিল হয়েছে। (যেহেতু এ ব্যাপারে আমার স্পষ্ট জ্ঞান নাই)

                  কিন্তু বর্তমানে কোন মুনাফিকেরই এমন করা দরকার পড়েনা, এমন কোন হিন্দু নাই যে জীবনের ভয়ে মুসলিম পরিচয় নিয়ে বাস করে কিন্তু মনে প্রানে হিন্দুদের সাথে আতাত রাখে। কিংবা হাসিনাও এমন কোন কুফর করেনি যা সে ভয়ে গোপন করেছে, মালাউন মোদির সাথে তার বন্ধুত্ব প্রকাশ্য, গোপন নয় যদিও সে নিজেকে মুসলিম দাবি করে কিন্তু তার কুফর এবং আল্লাহদ্রোহীতা গোপন না।

                  এই কারনে দেখা যাচ্ছে যে, যদিও আমলগত ভাবে কোন মুনাফিক থাকে সে আকিদাগত ভাবে মুনাফিক না সে সরাসরি কাফের অথয়া মুরতাদ। কারন বর্তমানে তাকে তার প্রকৃত বিশ্বাস এবং আমল কে গোপন করার কোন প্রয়োজন নাই এবং বাস্তবে কেউ তা করেও না।

                  হতে পারে এজন্য বলা হয়েছে, - "বর্তমানে মুনাফিক নাই হয়তো মুমিন নয়তো কাফের"

                  এবং এ ব্যাপারে আল্লাহই উত্তম জানেন।
                  Last edited by s_forayeji; 05-06-2017, 08:40 PM.
                  মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                  Comment


                  • #10
                    s-ফরায়েযী ভাই আপনাকে আল্লাহ উত্তম জাজা দান করুন।আমীন
                    বিষয়টি এমনই।তবে আক্বীদাগত মুনাফিকের সংঙ্গা হলো যে নিজের অন্তরে
                    কুফর লুকিয়ে রেখে বাহ্যিকভাবে ইসলাম প্রকাশ করে এ দল এখনো থাকতে পারে
                    এটি অসম্ভব নয় কিন্তু আমাদের মাখলুকের পক্ষে তা জানার সাধ্য নেই।
                    যেমন:মুজাহিদদের মাঝে কাফেরদের যে জাসুস বা গোয়েন্দা ঢুকে তারা কিন্তু
                    আক্বীদাগত মুনাফিক আল্লাহ জানেন আমরা জানিনা।প্রকাশ পেলে সে মুনাফিক
                    থাকবেনা হত্যা করা হবে কারন তার গোপনীয়তা ফাস হয়ে গেছে।
                    এজন্য এ প্রকারটি মূলত কাফেরই।আমাদের শরয়িয়্যার তাওহীদ নামক ফাইলটি
                    পড়লে বিষয়টি কিছুটা স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by karimul islam View Post
                      s-ফরায়েযী ভাই আপনাকে আল্লাহ উত্তম জাজা দান করুন।আমীন
                      ....
                      যেমন:মুজাহিদদের মাঝে কাফেরদের যে জাসুস বা গোয়েন্দা ঢুকে তারা কিন্তু
                      আক্বীদাগত মুনাফিক আল্লাহ জানেন আমরা জানিনা।প্রকাশ পেলে সে মুনাফিক
                      থাকবেনা হত্যা করা হবে কারন তার গোপনীয়তা ফাস হয়ে গেছে।
                      এজন্য এ প্রকারটি মূলত কাফেরই।আমাদের শরয়িয়্যার তাওহীদ নামক ফাইলটি
                      পড়লে বিষয়টি কিছুটা স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।
                      - জি ভাই জাঝাকাল্লাহ, আপনি ঠিক ধরিয়ে দিয়েছেন, আমার বুঝে কমতি ছিল।
                      মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

                      Comment


                      • #12
                        জাজাকুমাল্লাহু খাইরান

                        Comment


                        • #13
                          দিন যত সামনে এগুবে ঈমান ও কুফরের সারি তত স্পষ্ট হবে।ভেবে দেখো
                          লোকেরা তোমরা কার সাথী হবে।মাহদির নাকি দাজ্জালের?

                          Comment


                          • #14
                            প্রিয় ভাইয়েরা, আপনাদের সকলকেই জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
                            আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                            আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                            Comment


                            • #15
                              মুর্তাদদের ধ্বংস অনিবার্য।অপেক্ষা করো তোমরা হে তাগুত বাহিনী
                              আমরা ও অপেক্ষায় থাকলাম

                              Comment

                              Working...
                              X