Announcement

Collapse
No announcement yet.

বড়দের সমালোচনার ক্ষেত্রে কয়েকটা মূলনীতি!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বড়দের সমালোচনার ক্ষেত্রে কয়েকটা মূলনীতি!!



    শুধু হিন্দুস্তানী আকাবির বলেই কথা নয়, যে কোন আলেমের ভুলের সমালোচনার
    ক্ষেত্রেই মনে রাখা উচিৎ:

    ১. ভুলের সমালোচনা আর উক্ত ভুলের শিকার ইমাম, আকাবির বা আলেমের সমালোচনা এক নয়। ভুলের সমালোচনা করতে গিয়ে অহেতুক ব্যক্তির উপর আক্রমণ না করা চাই। কারণ স্বীকৃত ইমাম বা আকাবিরগণ কিছু বললে সাধারণত দলীল ছাড়া বলেন না। তাই উক্ত দলীল চিণ্হিত করে তা পর্যালোচনা করে প্রমাণ করা চাই যে, এ মাসআলায় তিনি যে মত দিয়েছেন তা সঠিক নয়। দলীল পর্যালোচনা না করে ব্যক্তির সমালোচনা উচিৎ নয়। হতে পারে তিনি উক্ত ভুল মাসআলার কারণে আল্লাহ তাআলার কাছে মাহবুব হয়েছেন, প্রতিদান পেয়েছেন; আর আমি অহেতুক তার ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করে আল্লাহ তাআলাকে নারাজ করেছি।

    ২. সাধারণত সকল ইমামেরই কিছু না কিছু মাসআলায় ভুল বিচ্যুতি থাকে। এ কারণে তাকে পরিত্যাগ করে দেয়া যায় না। কেননা, তাহলে আমাদের সামনে অনুসরণ করার মত কাউকেই আর সহীহ সালেম পাবো না। ইমাম যাহাবী রহ. এর উক্তি এ ব্যাপারে প্রসিদ্ধ।

    ৩. উক্ত ভুল বিচ্যুতি কি দলীল বুঝার ভুলের কারণে না’কি খাহেশাত প্রবণতার কারণে তা দেখা উচিৎ। যারা ন্যায়-নিষ্ট মুখলিছ হিসেবে স্বীকৃত তারা সাধারণত দলীল প্রমাণের আলোকেই কথা বলে থাকেন, খাহেশাতের কারণে নয়। কাজেই তাদের সমালোচনা দলীলভিত্তিক হতে হবে। দলীলের খণ্ডন দলীল দিয়ে করতে হবে। অহেতুক তাদের ব্যক্তি সমালোচনা শরীয়তের দৃষ্টিতেও যেমন বৈধ নয়, দাওয়াতের কাজেও ফলপ্রসু নয়। আর জুলুম আল্লাহ তাআলা সহ্য করেন না।

    ৪. কোন কোন আলেমের ভুলকে সুবিধাবাদি লোকেরা দলীল বানিয়ে নেয়। তখন সুবিধাবাদিদের সমালোচনা করতে গিয়ে উক্ত আলেমেরও অহেতুক সমালোচনা করা হয়। এটা উচিৎ নয়। যেমনটা আবু হানিফা রহ. এবং ইবনে তাইমিয়া রহ. বেলায় ঘটছে।

    ৫. কয়েক ক্ষেত্রে কিছু ভুলের কারণে আহলে সুন্নত থেকেও বের হযে যায় না, সলফ থেকেও বিচ্যুত গণ্য করা হয় না। দু’চার জায়গায় ভুল করলেও শত হাজারো মাসআলায় হয়তো তিনি সহীহ শরয়ী সমাধান দিয়ে গেছেন।

    ৬. মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। মানবীয় দুর্বলতা এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়া থেকেও মুক্ত নয়। সকলের তবিয়তও একরকম নয়। এসব কারণে মাসআলাতে প্রভাব সৃষ্টি হয়। একেজনের কাছে যেটা ফরয আরেকজনের কাছে সেটা হারাম সাব্যস্ত হয়। কাজেই ইজতিহাদি মাসআলায় কারো সমালোচনা না করা চাই। শাসকদের তাকফীর একটা ইজতিহাদি মাসআলা। কারো বুঝে না আসলে তার সমালোচনা না করা চাই। তিনি যে দলীল পেশ করেন কিংবা যে সন্দেহ প্রকাশ করেন তার সহীহ সমাধান দিই। তার ব্যক্তি সমালোচনায় না যাই। তবে সুস্পষ্ট শরীয়তের খেলাফ যার অবস্থান হবে তার কথা ভিন্ন।

    ৭. ছোট মুখে বড় কথা মানায় না। বড়রা বড়দের সমালোচনা যেভাবে করতে পারেন, আমরা ছোটরা সেভাবে করাটা শোভনীয় নয়। এতে ফায়েদা হওয়ার পরিবর্তে সমালোচনাকারী নিজেই সমালোচিত হয়ে পড়ে। তথন তার কথার তেমন কোন মূল্য থাকে না।
    .................................................. ................


    এ কয়টা কথা দলীল প্রমাণ উল্লেখ ছাড়াই বললাম। তবে কথাগুলো দলীল ছাড়া নয়। দলীল উল্লেখ করতে গেলে আলোচনা দীর্ঘ হয়ে যাবে তাই উল্লেখ করা হলো না। তাছাড়া এটা কোন স্বতন্ত্র আলোচনাও না। তাই উল্লেখ করলাম না। শুধু পয়েন্ট আকারে কয়েকটা মূলনীতি উল্লেখ করলাম। কারো দৃষ্টিতে ভুল ধরা পড়লে ধরিয়ে দিলে খুশি হব।

  • #2
    জাজাকাল্লাহ আখি

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহু খাইরান ইয়া শাইখ, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন আলোচনা। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আমাদের আমল করার তাওফীক দিন।
      বিন কাসিমের রণ বেশে
      কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
      দিকে দিকে লাগাও নারাহ
      জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

      Comment


      • #4
        যাঝাকুমুল্লাহু খাইরান। অনেক জরুরি একটা আলোচনা। আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার ও মানার তাওফীক দিন, আমীন।

        Comment


        • #5
          মহান আল্লাহ মুহতারাম শাইখের ইলমে বারাকাহ দান করুন এবং এর দ্বারা আমাদের উপকৃত হওয়ার তাওফীক দিন।
          Last edited by Mullah Murhib; 05-05-2017, 10:57 PM.
          বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

          Comment


          • #6
            ১. ভুলের সমালোচনা আর উক্ত ভুলের শিকার ইমাম, আকাবির বা আলেমের সমালোচনা এক নয়। ভুলের সমালোচনা করতে গিয়ে অহেতুক ব্যক্তির উপর আক্রমণ না করা চাই। কারণ স্বীকৃত ইমাম বা আকাবিরগণ কিছু বললে সাধারণত দলীল ছাড়া বলেন না। তাই উক্ত দলীল চিণ্হিত করে তা পর্যালোচনা করে প্রমাণ করা চাই যে, এ মাসআলায় তিনি যে মত দিয়েছেন তা সঠিক নয়। দলীল পর্যালোচনা না করে ব্যক্তির সমালোচনা উচিৎ নয়। হতে পারে তিনি উক্ত ভুল মাসআলার কারণে আল্লাহ তাআলার কাছে মাহবুব হয়েছেন, প্রতিদান পেয়েছেন; আর আমি অহেতুক তার ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করে আল্লাহ তাআলাকে নারাজ করেছি।
            “হতে পারে তিনি উক্ত ভুল মাসআলার কারণে আল্লাহ তা’আলার কাছে মাহবুব হয়েছে, প্রতিদান পেয়েছেন;আর আমি অহেতুক তার ব্যক্তিত্বের সামালোচনা করে আল্লাহ তাআলাকে নারাজ করেছি।”

            সম্মানিত ভাই! গ্রহণযোগ্য ইজতিহাদের ক্ষেত্রে তো কথাটা ঠিক আছে। কিন্তু যেখানে ইজতিহাদের ক্ষেতে সূক্ষ্ণভাবে বিলাসিতা, কাপুরুষতা, স্বার্থপরতা, গায়রাতহীনতা কাজ করে, সেই ইজতিহাদকেও মূল্যায়ন করা কতটুকু সঠিক? আবার সওয়াবের কারণ মনে করা!
            যেখানে শরীয়তের সাধারণ ও ব্যাপক মূলনীতির বিপরীতে এবং অসংখ্য প্রকাশ্য ও সুস্পষ্ট দলিল-আদিল্লার বিপরীতে শুধু মাত্র একখানা ব্যাখ্যাযোগ্য হাদিসকে দলিল হিসাবে পেশ করে নিজের মতকে তুলে ধরা হয়, যেখানে পরিপার্শ্বিকতা দ্বারা ইজতিহাদের ক্ষেতে স্বার্থপরতা বোঝা যায়, যেখানে ইজতিহাদের ক্ষেত্রে ভ্রষ্ট সামাজিকতার প্রতিফলন ঘটে সেখানেও একথা বলা কিভাবে সঠিক হবে?
            এছাড়া এ *দুনিয়াতে যত মাযহাব আছে, মোটামোটি অধিংকাংশই তো নিজেদের পক্ষে কোন না কোন দলিল দাঁড় করিয়েছে এবং অনেক মারাত্মক মাযহাবের অনুসারীদের মাঝেও ইখলাসের অনেক নমুনা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে কারো ব্যক্তিত্বের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, যথেচ্ছা ইজতিহাদকে সওয়াবের কারণ মনে করা কেমন?
            ভাই! সব ইজতিহাদই কি কুফরী থেকে রক্ষা করবে?! সব ইজতিহাদই কি সওয়াবের কারণ হবে?
            প্রিয় ভাই! মূলকথা হল: ইজতিহাদের বিষয়টাকে এত লাগামহীন করা ভাল মনে হচ্ছে না।যেখানে ইজতিহাদের বিপরীতে স্পষ্ট দলিল উল্লেখ করলে অহংকারবশততার তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করা হয় না, দলিল শুনতেই চাওয়া হয় না, শুধু গোড়ামী করে একটা মতের উপর থাকা হয় আর তার পক্ষে ঠুনকো একটা অজুহাত,দলিল বা যুক্তি পেশ করা হয়, সেখানে একথাটা উপযুক্ত মনে হয় না।

            Comment


            • #7
              আল্লাহ অাপনার কলমে অারো বরকত দান করুন৷

              Comment


              • #8
                Originally posted by salahuddin aiubi View Post

                “হতে পারে তিনি উক্ত ভুল মাসআলার কারণে আল্লাহ তা’আলার কাছে মাহবুব হয়েছে, প্রতিদান পেয়েছেন;আর আমি অহেতুক তার ব্যক্তিত্বের সামালোচনা করে আল্লাহ তাআলাকে নারাজ করেছি।”

                সম্মানিত ভাই! গ্রহণযোগ্য ইজতিহাদের ক্ষেত্রে তো কথাটা ঠিক আছে। কিন্তু যেখানে ইজতিহাদের ক্ষেতে সূক্ষ্ণভাবে বিলাসিতা, কাপুরুষতা, স্বার্থপরতা, গায়রাতহীনতা কাজ করে, সেই ইজতিহাদকেও মূল্যায়ন করা কতটুকু সঠিক? আবার সওয়াবের কারণ মনে করা!
                যেখানে শরীয়তের সাধারণ ও ব্যাপক মূলনীতির বিপরীতে এবং অসংখ্য প্রকাশ্য ও সুস্পষ্ট দলিল-আদিল্লার বিপরীতে শুধু মাত্র একখানা ব্যাখ্যাযোগ্য হাদিসকে দলিল হিসাবে পেশ করে নিজের মতকে তুলে ধরা হয়, যেখানে পরিপার্শ্বিকতা দ্বারা ইজতিহাদের ক্ষেতে স্বার্থপরতা বোঝা যায়, যেখানে ইজতিহাদের ক্ষেত্রে ভ্রষ্ট সামাজিকতার প্রতিফলন ঘটে সেখানেও একথা বলা কিভাবে সঠিক হবে?
                এছাড়া এ *দুনিয়াতে যত মাযহাব আছে, মোটামোটি অধিংকাংশই তো নিজেদের পক্ষে কোন না কোন দলিল দাঁড় করিয়েছে এবং অনেক মারাত্মক মাযহাবের অনুসারীদের মাঝেও ইখলাসের অনেক নমুনা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে কারো ব্যক্তিত্বের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, যথেচ্ছা ইজতিহাদকে সওয়াবের কারণ মনে করা কেমন?
                ভাই! সব ইজতিহাদই কি কুফরী থেকে রক্ষা করবে?! সব ইজতিহাদই কি সওয়াবের কারণ হবে?
                প্রিয় ভাই! মূলকথা হল: ইজতিহাদের বিষয়টাকে এত লাগামহীন করা ভাল মনে হচ্ছে না।যেখানে ইজতিহাদের বিপরীতে স্পষ্ট দলিল উল্লেখ করলে অহংকারবশততার তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করা হয় না, দলিল শুনতেই চাওয়া হয় না, শুধু গোড়ামী করে একটা মতের উপর থাকা হয় আর তার পক্ষে ঠুনকো একটা অজুহাত,দলিল বা যুক্তি পেশ করা হয়, সেখানে একথাটা উপযুক্ত মনে হয় না।
                আপনি যে ধরণের আলেমদের কথা বলছেন তাদের ব্যক্তিত্বের মাঝেই দোষ নিহিত আছে। এদের ব্যক্তিত্বের দোষ আলোচনা না করলে যেখানে ভুল বুঝাবুঝির আশঙ্খা আছে সেখানে অবশ্যই তাদের দোষ আলোচনা করা হবে। আমি এমন ধরণের আলেমের সমালোচনার মূলনীতি উল্লেখ করিনি। আমি এমন আলেমদের ব্যাপারে লিখেছি যাদের কাজে ইখলাছ দেখা যায় এবং ইলমী উসূল রক্ষা করে কথা বলেন।

                Comment


                • #9
                  জাজাকাল্লাহ,আখি

                  Comment

                  Working...
                  X