পথ ভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দি চিন্তাধারাঃ পর্ব ০২

[abdullah yafur]

(জিহাদের বিধান- থানভি রহঃ)
.
মাওলানা আশরাফ আলি থানভি রহঃ বলেন,
.
“তাহলে খুব ভালো করে বুঝে নাও, জিহাদের বিধান দেয়া হয়েছে ইসলাম হেফাজতের জন্য। প্রচার-প্রসারের জন্য নয়।
.
জিহাদের উদ্দেশ্য মানুষকে মুসলমান বানানো নয়, বরং মুসলমানদের হেফাজতের করাই এর উদ্দেশ্য!”
.
(কামালাতে আশরাফিয়া, মাকতাবাতুল আশরাফ, পৃষ্ঠা ২২৫)
.
.
#খন্ডন
.
১) আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমি কিয়ামত দিবসের পূর্বে তরবারী হাতে এ উদ্দেশ্য প্রেরিত হয়েছি যে, কেবলমাত্র এক আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তায়ালারই) #ইবাদত_করা_হবে, আর আমার রিযিক আসে আমার বর্শার ছায়া হতে,
.
আর যারা আমার আদেশের বিরুদ্ধে যাবে তাদের জন্য অপমান (আর লাঞ্ছনা) তাকদীরে নির্ধারিত হয়েছে, আর যে কেউ তাদের অনুকরণ করে সে তাদেরই একজন”।
(মুসনাদে আহমান, ৪৮৬৯; সহীহ আল জামে’,২৮৩১)
.
.
২) আল বুখারী (৪৫৭৭) বর্ণনা করেছেনঃ
.
“তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে”।(আলে ইমরান ১১০)
.
এই আয়াতটি সম্পর্কে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, মানুষের জন্য মানুষ কল্যাণজনক তখনই হয় যখন তাদের গ্রীবাদেশে শিকল লাগিয়ে নিয়ে আসে, এরপর তারা #ইসলামে_প্রবেশ_করে”।
.
জিহাদ ব্যতীত কি লোকদের ঘাড়ে শিকল লাগানো অবস্থায় নিয়ে আসা সম্ভব?
.
.
৩) ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ তাঁর আল-ফারুসিয়াহ গ্রন্থে (পৃ ১৮) বলেনঃ
.
“আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই দীন ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একদিকে দলীল প্রমাণ সাক্ষ্য সহকারে, এবং অপরদিকে তরবারী ও বর্শা দিয়ে, উভয়ে এমনভাবে একত্রিত আছে যার একটি থেকে অপরটি আলাদা করা যায় না।”
.
.
৪) ফাতাওয়া আল লাযনাহ আল দাইমাহ (১২/১৪) তে বর্ণিতঃ
.
যারা ইসলামের বার্তার প্রতি সাড়া দিয়েছে ও কর্ণপাত করেছে তাদের ক্ষেত্রে ইসলাম প্রসারিত হয়েছে দলীল-প্রমাণাদি সহকারে,
.
আর যারা উদ্ধত, দাম্ভিক অহংকারী ও গোঁয়ার তাদের ক্ষেত্রে ইসলাম প্রসারিত হয়েছে শক্তি ও তরবারীর মাধ্যমে, যে পর্যন্ত না তারা নত হয়েছে, অহংকার দাম্ভিকতা পরিত্যাগ করেছে, আর সবশেষে সত্য ও বাস্তবতার সামনে আত্মসমর্পণ করেছে।
.
.
আরও বিস্তারিত দলীলঃ http://tinyurl.com/hecg7vm
.
.
যারা মাওলানা আশরাফ আলি থানভি রহঃ’র ন্যায় বলে থাকেন যে, ইসলাম প্রচার-প্রসারে, কাফেরদের ইসলাম গ্রহণে জিহাদের ভূমিকা নেই, জিহাদ কেবল নিজেদের হেফাজতের জন্য… তাদের এহেন চিন্তাধারার ব্যাপারে প্রখ্যাত সিরিয়ান আলেম শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ হাফিজাহুল্লাহ বলেন,
.
“ইসলামের প্রসারের একটি মাধ্যম হিসেবে তরবারী ও শক্তি ব্যবহৃত হয়েছে এটি ইসলামের জন্য লজ্জা বা হীনমন্যতার কিছু নয়, বরং এটি ইসলামের একটি শক্তি ও গুণ, কেননা এর ফলে মানুষ সেই দীনের সাথে লেগে থাকে যা তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে উপকৃত করবে।
.
এটা এমন একটি বিষয়, যার জন্য ইসলাম প্রশংসার দাবীদার, নিন্দনীয় নয়।
.
#পরাজিত_ধ্বজাধারীদের উচিত আল্লাহকে ভয় করা এ কারণে যে তারা আল্লাহর দীনকে বিকৃত করছে, আর একে দূর্বল করে তুলছে বার বার এ দাবী করে যে, এটা হচ্ছে শান্তির ধর্ম।”

নোটঃ এইখানে কোন আলিমকে ব্যক্তিগতভাবে টার্গেট করা হচ্ছে না।
নোটঃ এই লিখাগুলোও আমার না। তাই আমাকে কেউ নরম ভাষা ব্যবহারের নসিহা না দিয়ে যিনি মূল লেখক সেই ভাইকে খুজে নসিহা দিলে ভালো হয়।
নোটঃ এটা সমালোচনা/ গীবত না। এটা আমাদের সংশোধন ও ওপেন আলোচনা।
নোটঃ এটা প্রচারের কারন যাতে আমাদের দায়ী ভাইয়েরা দাওয়াহর সময় ইতিহাস নির্ভর দলিল সহ দাওয়াহ দিতে পারেন প্লাস আমাদের সবারই জানা হয়ে যাক কিভাবে আমাদের পতন শুরু হয়েছে।
নোটঃ এইখানে কাউকে সম্পূর্ণভাবে কোন আলিমকে পরিত্যাগ করতে বলা হয় নি। কারো খেদমতকে ছোট করা হয় নি।

[abdullah yafur]

এই লিখা হল সেই সকল দায়ী ভাইদের জন্য যারা দাওয়াহ দেয়ার সময় এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হোনঃ

> তুমি কি আমাদের আকাবিরের চেয়ে বেশি বুঝ?
> তুমিই শুধু বুঝলা জিহাদ ফরয আর আশরাফ আলী থানবী রাহিঃ বুঝেন নি?
> তুমিই বুঝলা গণতন্ত্র কুফর হাফেজ্জি হুজুর রাহিঃ বুঝেন নি?

আর সেই সময় দেখা যায় ঐতিহাসিক দলিল সহ জানা না থাকলে শুধু কুরআন ও সুন্নাহর দলিল দিয়ে এইসকল ইরজায় ও নিফাকে আক্রান্ত আলিম ! দের জবাব দেয়া কঠিন হয়ে যায়।
আবার এমনো দেখেছি দাওয়াহ দেয়ার সময় এমন প্রশ্নের কারনে আমাদের অনেক দায়ী ভাইই ভরকে যায় , আরে আসলেই তো সমস্যা কোথায়? আমি কি তাহলে ভুল জানতেছি!!

তাই যারা ভাববেন এইখানে কাউকে ছোট করা হচ্ছে বা গীবত,পরনিন্দা, সমালোচনা করা হচ্ছে সেই সকল সম্মানিত ভাইদের কাছে অনুরোধ থাকলো মানুষের নিয়ত সম্পর্কে না যেনে ধারনা করা থেকে আমরা যদি বিরত থাকি তবেই ভালো। কারন অধিকাংশ ধারনাই মিত্থ্যা।

[আবু মুহাম্মাদ]

নোটঃ এই লিখাগুলোও আমার না। তাই আমাকে কেউ নরম ভাষা ব্যবহারের নসিহা না দিয়ে যিনি মূল লেখক সেই ভাইকে খুজে নসিহা দিলে ভালো হয়।

এই লিখাগুলো আমাদের ফোরামের সিনিয়র ভাই আবু খুবাইবের লিখা। উনি এগুলো ফোরামে পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু ফোরামের সমস্যায় অনেক পোস্ট গায়েব হয়ে গেছে।

#তবে আপনি শিরোনামে একটা কথা বাড়িয়েছেন। যেটা ভাইয়ের লিখায় ছিল না। আমার মনে হচ্ছে আপনি পথভ্রষ্ট শব্দটা নিজের থেকেই বৃদ্ধি করেছেন। এটার দায়ভার কে নিবে ভাই ?

আর উনি এই ফোরামের ব্যপারে আপনার থেকে ভাল জানেন। তাই উনার অনুমতি নিয়েই দেয়া উচিত ছিল।

[নিশানে হক]

অন্যের পোস্ট বিনা অনুমতিতে কপি করে, তার মধ্যে সংযোজন ও বিয়োজন করা ঠিক নয়।
ফোরামে ফেতনা সৃস্টি করা কখনই কাম্য নয়।

[abu_mujahid]

মুহতারাম abdullah yafur ভাই, নব্য দেওবন্দী চিন্তাধারা নামের সিরিজটি আবু খুবাইব ভাইয়ের, এই লিখাগুলোর জন্য স্বভাবতই কেউ আপনাকে দোষারোপ করবেনা কিংবা নসীহাও দিবে না, সবাই আপনাকে নাসীহা দিচ্ছেন কারণ আপনি আবু খুবাইব ভাইয়ের দেওয়া শিরোনামের সাথে একটি শব্দ যোগ করেছেন। এটা কি খেয়ানত নয় ইয়া আখি?

যেখানে আবু খুবাইব ভাই "পথভ্রষ্ট" শব্দটি যোগ করেননি সেখানে এই শব্দটি যোগ করার হাকীকত কি? আমাদের তো বুঝে আসছেনা। নিজের নফসকে সন্তুষ্ট করা ছাড়া আর কোন কারণ তো ভাই চোখে পড়ছেনা। আল্লাহু আ'লাম। মু'মিন ভাইয়ের ব্যাপারে খারাপ ধারনা পোষন থেকে বেচে থাকতে চাই। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

[gojwah]

জাঝাকাল্লাহ খাইরান!ভাই জান, আমাদের এই একে অপরের সংশোধন করা এটা পরিপূর্ণ সাহাবাদের (র) ত্বরিক্বা।।