Announcement

Collapse
No announcement yet.

পথভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দী চিন্তাধারা- সহনশীল হোন

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পথভ্রষ্ট নব্য দেওবন্দী চিন্তাধারা- সহনশীল হোন

    আব্দুল্লাহ ইয়াফুর ভাই!
    যদিও (নব্য দেওবন্দী চিন্তাধারা) মূল লেখাটি আবু খুবাইব ভাইয়ের, কিন্তু যেহেতু এখন পোষ্ট আপনি দিচ্ছেন, তাই দায়দায়িত্ব আপনার উপরই পড়বে। আর আপনি তার সাথে ‘পথভ্রষ্ট’ শব্দটি যোগ করে আপনার মানসিকতাও ফুটিয়ে তুলেছেন, তাই আমি প্রথমে আপনাকেই বলছি:

    ভাই!
    আশরাফ আলী থানবী, শাব্বির আহমাদ উসমানী, মুফতি শফি রহ:, হুসাইন আহমাদ মাদানী সহ এধরণের আলেমগণকে এভাবে বাতিলের অবস্থানে রেখে ধারাবাহিক খন্ডন লেখা উচিত নয়।
    কারণ এদের তাকওয়া, পরহেজগারী ও ইসলামের কল্যাণকামীতার ব্যাপারে অসংখ্য ঘটনা অজস্র সূত্রে বর্ণিত আছে। যার দ্বারা বোঝা যায়, তারা ইসলামের জন্য ফেদা ছিলেন, সারা জীবন নি:স্বার্থভাবে ইসলামের জন্য কাজ করেছেন, নিজেদের ব্যক্তিজীবনের প্রতি তেমন নজর না দিয়ে সারাটি জীবন ইসলামের কাজের ব্যস্ততায় ছিলেন।
    আমার এই কথাগুলো দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট সত্যকথা। তাদের ব্যাপারে লিখিত অসংখ্য কিতা্বের পাতাগুলোই এর প্রমাণ এবং তাদেরকে সরাসরি দেখা লোকদের বর্ণনাও প্রমাণ।
    কিন্তু তাদের কর্মপদ্ধতিগত যে সব ভুল-ভ্রান্তি আছে, সেগুলো তারা একান্ত ভুলবশত: করেছেন। পরিবেশ-পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, কেউ তার দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে পারেনি।কিন্তু কেউ তাদের সদিচ্ছার উপর প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
    আর তারা যে বিষয়গুলোতে ভুল করেছেন, ওই যামানায় বিষয়গুলো খুবই অস্পষ্ট ও মিশ্রিত ছিল। আর তাদের প্রত্যেকেরই ওই পদ্ধতির পক্ষে কিছু দলিল ছিল, যেগুলোর উপর তারা ভিত্তি করেছেন। আপনি সেই দলিলগুলো শুনলে তা একেবারে ফেলে দিতে পারবেন না।
    কিন্তু আপনাদের পোষ্টের বিপরীতে আমরা সেই দলিলগুলো উল্লেখ করি না, যেহেতু এখন ওগুলোর পক্ষে দিফা করে কোন লাভ নেই, কারণ ওভার অল এখন তো সেগুলো ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এবং তা গ্রহণ করছি না।
    কিন্তু যদি এই ভুলগুলোর কারণে তাদেরকে বাতিলের অবস্থানে রেখে পথভ্রষ্টদেরকে সমালোচনা করার মত সমালোচনা করতে থাকেন, তখন তো তাদের দলিলগুলো উল্লেখ করে, তাদের ওযর পেশ করা এবং বিষয়গুলোকে হালকা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিবে।
    কিন্তু এই সময় যেহেতু সেগুলো আমি নিজেও গ্রহণ করছি না, তাই সেগুলো উল্লেখ করতে, সেগুলোর পিছনে পড়তে উৎসাহবোধ হয়ত হচ্ছে না।
    আশা করি, বিষয়গুলো বুঝেছেন।
    তাই তাদেরকে এমন অবস্থানে রেখে এভাবে সমালোচনা না করার জন্য পরিস্কারভাবে অনুরোধ করছি। অন্যায় “পথভ্রষ্ট নব্য সালাফি চিন্তাধারা শিরোনামে কেউ লেখা শুরু করে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলে পরিস্থিতি গোলাটে হয়ে যাবে।আর এ বিষয়ে কমল ধরলে নিশ্চয়ই কলমের খোরাকের অভাব হবে না। কারণ নব্য সালফিদের বর্তমান প্রজন্মের সিংহভাগই তো সরকারের দালালি, চাটুকারীতা, আমেরিকার সহযোগীতা ও ঈমান বিক্রিতে লিপ্ত। তাই বিন বাজ, উসাইমিন ও ইবরাহীম আলুশ শায়খদের সরকারের গোলামী করা সত্ত্বেও আপনারা তাদের প্রতি যতটা সহনশীল, দেওবন্দী আলেমদের ইজতিহাদী ভুলগুলোর প্রতি ততটা সহনশীল হওয়ার অনুরোধ করছি।
    আমি দেখছি, এই ফোরামে কওমী ভাইয়েরা উগ্রতা খুবই কম দেখাচ্ছে, কিন্তু সালাফী নামধারী ভাইয়েরা কয়েকদিন পর পরই নিজেদের উগ্রতা ধরে রাখতে পারছেন না, তাদেরকে অনেক বোঝানো সত্ত্বেও।
    আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!

  • #2
    ibnul khattab ভাই এবং আবু মুহাম্মাদ ভাই উভয়ই যথার্থ কথা বলেছেন। আমাদের তা আমলে নেয়া উচিৎ।

    আমাদের মাশায়িখগণ তাঁদের কিতাবাদিতে হিন্দুস্তানী আকাবিরদের কিতাবাদির হাওয়ালা-বরাত দিয়ে থাকেন। তাঁরা তাঁদেরকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করে থাকেন। কিন্তু হায় আমরা! আমাদের মাশায়িখদের চেয়েও বেশি বুঝি।

    এ ব্যাপারে খুব বেশি বলতে চাই না, কারণ তখন আবার স্বজনপ্রীতির অপবাদ আসতে পারে। কিন্তু আশরাফ আলী থানভী রহ. সহ আরো যেসকল আকাবিরে দেওবন্দের সমালোচনা যেভাবে করা হচ্ছে তাতে দুই ধরণের নাজায়েয কাজ হচ্ছে যা দেখে চুপ করে থাকা মু’মিনের জন্য অনুচিৎ।
    এক. শরীয়তের দৃষ্টিতে নাজায়েয হচ্ছে। যদি কারো সাহস থাকে যে বলবে, নাহ্, এ ধরণের সমালোচনা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয- তাহলে তাকে চ্যালেঞ্জ করছি, আপনি যথার্থ দলীল প্রমাণ উপস্থি করুন।

    দুই. জিহাদের মানহাজ লঙ্গন হচ্ছে। উমারাগণ যে মানহাজ নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা যখন লঙ্গন হচ্ছে তখন চুপ করে থাকা কিভাবে জায়েয হবে? এভাবে চুপ করে থাকলে তো গাইরে মানহাজ মানহাজে পরিণত হবে।



    অন্তরে ব্যথা লাগে যে, জিহাদের নামে জিহাদী ভাইয়েরা কাজ করে যাচ্ছে, ছোট বড় সবার সমালোচনা করে যাচ্ছে, অথচ সমালোচনার নূনতম উসূলও রক্ষা করছে না। ফায়েদা তো পরের কথা এ ধরণের লাগামহীন সমালোচনার দ্বারা আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচা যাবে কি’না সেটাই তো প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    কেউ আবার ভুল বুঝবেন না যে, আমি আকাবিরদের ভুলের সমালোচনার বিরোধি। আমি কখনই ভুলের সমালোচনার বিরোধি নই। কিন্তু ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের উপর যে নাজাযেয হামলা হচ্ছে আমি তারই বিরোধি।


    যদি বলেন, ভুলের সমালোচনা করার মত ইলম আমার নেই- তাহলে বলি, বে ইলম হয়ে আপনি এমন কাজে হাত দিলেন কেন? ডাক্তারী যে পড়েনি তার কাজ না ডাক্তারী করা। বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিৎ।

    Comment


    • #3
      মুহরাম শাইখ, আপনাকে হাজারো শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা।
      #কিছু পোস্ট এমন আসে মাঝে মাঝে যা ফোরামের টপিকের সাথে একজাস্ট নয়। ফোরামের টপিকের মিলে না এমন সব পোস্ট বা কমেন্ট পাস না দেওয়ার অনুরোধ।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        নব্য সালাফী, নব্য দেওবন্দি উভয় গোষ্ঠীই তাগুতদের দালালিতে লিপ্ত। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আমাদের আসাবিয়্যাহ থেকে হেফাজত করুন। স্মরণ রাখা চাই, আনসার, মুহাজির এই দুটি উত্তম নাম নিয়ে আহবান করার পরও রাসূল (সা) বলেছিলেন এগুলো জাহিলিয়্যাতের ডাক। সহিহাইনে জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আমরা এক যুদ্ধে নবী (সা.) এর সঙ্গে ছিলাম। এক মুহাজির একজন আনসারীর পশ্চাদাঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে আনসারী চিৎকার করে বললেন, হে আনসার! মুহাজিরও ডাক দিলেন, হে মুহাজিররা! তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘কী ব্যাপার! জাহিলি যুগের মতো হাঁকডাক করছো কেন?’ তারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! একজন মুহাজির একজন আনসারীর পশ্চাতে আঘাত করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তোমরা এ ধরনের হাঁকডাক ছেড়ে দাও। কেননা এ তো নিন্দনীয় কাজ।’

        আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা আমাদের হেফাজত করুন সকল প্রকার আসাবিয়্যাহ থেকে। হককে হক হিসেবে মেনে নেওয়ার তাওফীক দান করুন। ইনসাফের সাথে কথা বার্তা বলার তাওফীক দান করুন।
        বিন কাসিমের রণ বেশে
        কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
        দিকে দিকে লাগাও নারাহ
        জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

        Comment


        • #5
          Originally posted by ibnul khattab View Post

          আমি দেখছি, এই ফোরামে কওমী ভাইয়েরা উগ্রতা খুবই কম দেখাচ্ছে, কিন্তু সালাফী নামধারী ভাইয়েরা কয়েকদিন পর পরই নিজেদের উগ্রতা ধরে রাখতে পারছেন না, তাদেরকে অনেক বোঝানো সত্ত্বেও।
          আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!

          সম্মানিত ভাই আমার!
          আমার মনে হয় আপনার এই কথাটি এডিট বা ডিলিট করে দেওয়া উচিত, কারণ আপনি এখানের ভাইদের নেপথ্য অবস্থান সম্পর্কে অবগত নন। আমি আমার চলার পথে অধিকাংশ জেনারেল শিক্ষিত ভাইকেই উলামাদের প্রতি নম্র দেখেছি, উপরন্তু অনেক মাদরাসার ভাইকেই সমালোচনার দিকে দেখেছি, যদিও এটা উচিত নয়, কিন্তু যে ভাইকে ১/২/৩ বার জিহাদকে ভালোবাসার কারণে মাদরাসা থেকে বহিস্কার হতে হয়, সে হয়তো একটু বেশিই কঠোরভাবে বলবে।
          এটা ঠিক দেওবন্দি উলামাদের ভুলগুলো আলোচনার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে-
          তবে-
          - এমন কিছু ঐতিহাসিক ভুল রয়েছে, যেগুলো সামনে না আনলেই নয়, যেমন ব্রিটিশ কর্তৃক ভারত-পাকিস্তান ভাগ, তৎসময়ে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা।
          - মাদারিসে কউমিয়্যাহর মধ্যে বিশাল একটি শ্রেণী রয়েছে, যারা পূর্বসুরি আকাবিরদের ব্যাপারে সামান্য সমালোচনাও সহ্য করে না, যদিও সেগুলো আলোচনা করা শরিয়াহ ও যৌক্তিক উভয়ভাবে জরুরি। যেমন- শামসুল হক ফরিদপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক ভোটকে বৈধ বলা।
          - মাদারিসে কউমিয়্যাহর সাথে সংশ্লিষ্ট সাইখগণ পুরা পৃথিবীতে অন্তত বাংলাদেশে নিজেদেরকে ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষাকারী মনে করে, যেন উনারা শেষ মানে ইসলামই শেষ, অথচ
          বাংলাদেশে বর্তমানে দ্বীন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উনাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ না করাও অনেক বড় একটা কারণ।

          তাই ভাইয়েরা আমরা সমালোচনা না করি বরং পর্যালোচনা করি, যদিও আমাদের হৃদয়ে অনেক কথা আছে, অনেক ব্যথা আছে...

          Comment


          • #6
            আরেকটা জিনিস উল্লেখযোগ্য, গ্লোবাললি প্রচলিত সালাফি ধারার বিরুদ্ধে মুজাহিদ আলিমগন যতটুকু সমালোচনা করেছেন, সরকারী সালাফীদের বিরুদ্ধে যত কথা বলেছেন, যত প্রবন্ধ লিখেছেন এর অর্ধেকও নব্য দেওবন্দীদের বিরুদ্ধে লিখা হয়নি, বলা হয়নি, যদিও নব্য দেওবন্দীরা তাগুতের পদলেহনে ব্যস্ত, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে ফতোয়া প্রদান করেছেন।

            যেসব সালাফীরা মুজাহিদদের সাথে বারাআত ঘোষনা করেছে, মুজাহিদদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছে আমরা তাদের সাথে বারাআতের ঘোষণা করি।

            যেসব দেওবন্দীরা মুজাহিদদের সাথে বারাআত ঘোষনা করেছে, জঙ্গিবাদের (আমেরিকার দৃষ্টিতে) সাথে বারাআত ঘোষনা করেছে, আমরা তাদের সাথেও বারাআতের ঘোষনা দেই।
            Last edited by abu_mujahid; 05-07-2017, 05:21 PM.
            বিন কাসিমের রণ বেশে
            কাঁপন তুলো হিন্দ দেশে!
            দিকে দিকে লাগাও নারাহ
            জিহাদেই শান্তির ফোয়ারা!!

            Comment


            • #7
              এমন কিছু ঐতিহাসিক ভুল রয়েছে, যেগুলো সামনে না আনলেই নয়, যেমন ব্রিটিশ কর্তৃক ভারত-পাকিস্তান ভাগ, তৎসময়ে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা।
              - মাদারিসে কউমিয়্যাহর মধ্যে বিশাল একটি শ্রেণী রয়েছে, যারা পূর্বসুরি আকাবিরদের ব্যাপারে সামান্য সমালোচনাও সহ্য করে না, যদিও সেগুলো আলোচনা করা শরিয়াহ ও যৌক্তিক উভয়ভাবে জরুরি। যেমন- শামসুল হক ফরিদপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক ভোটকে বৈধ বলা।
              ওমর মুখতার ভাই! আপনি প্রথমে যেগুলো এডিট করতে বলেছেন, সেগুলো না হয় এডিট করলাম। কিন্তু তারপর উপরের কথাগুলো আপনি কি বললেন!!
              ভাই আপনি কি ফেৎনা বন্ধ করতে চান না! যে কথার উত্তর দিলাম, যেটা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করলাম, সেটাই আবারও বলছেন। আপনি কি বুঝলেন আমার কথা থেকে!!!
              তার মানে আপনার কাছে এটা গ্রহণযোগ্য নয়; বরং ঐতিহাসিক ইজতিহাদী ভুলগুলোকে নতুন করে টেনে এনে সমালোচনা করতেই হবে!!!
              এজন্যই কি তানযীমুল কায়িদায় আমাদের আসা হয়েছে!!!
              ভাই! কম উত্তর দিলে খুশি হবো!!

              Comment


              • #8
                প্রিয় বড় ভাইয়েরা, আমার এই আলোচনাটা বাদ দিয়ে কেমন হয়। আমরা যদি আহ সুন্নাহ দাবিদার এমন লোকদের এক সাথে রাখার / করার চেষ্টা করি কেমন হয়।
                এইরকম আলোচনার দ্বারা মানুষ সম্ভবত মোজাহিদিনদের থেকে দূরে সরে যাবে। এক সময় পারাই পারাই শাইখ উসামার র. নামে মিছিল হতো, রিক্সা cng এর পেছনে শাইখের ছবি শুভা পাইতো। কিন্তু আজ কই গেলো এউ মিছিল আর পোস্টারিং। isis যেই ক্ষতি সাধন করেছে জিহাদের ময়দানকে তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।আমি নিজেও শাইখ উসামার ছবি রোমে পোস্টারিং করেছি, মুসলিমদের ছেলে হলে নাম রাখতো সাদ্দাম কিংবা উসামা। এই বিষয়গুলো আজ অতীত। হায় আফসোস। আমি নিজে কতশত বার জেলা শহরে মিছিল করেছি, আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান। এই স্লোগান তো বলা মানে নির্ঘাত চৌদ্দ শিকে ঢুকে যাওয়া।
                Last edited by bokhtiar; 05-07-2017, 07:38 PM.
                আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                Comment


                • #9
                  Originally posted by ibnul khattab View Post

                  আমি দেখছি, এই ফোরামে কওমী ভাইয়েরা উগ্রতা খুবই কম দেখাচ্ছে, কিন্তু সালাফী নামধারী ভাইয়েরা কয়েকদিন পর পরই নিজেদের উগ্রতা ধরে রাখতে পারছেন না, তাদেরকে অনেক বোঝানো সত্ত্বেও।
                  আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!
                  এখানে সালাফি বলতে আপনি কাদেরকে বোঝাচ্ছেন? এধরণের কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ্* তা'আলা হেফাজতের মালিক।

                  মুলত আকাবিরে দেওবন্দের সমালোচনা থেকে ভাইদের বিরত থাকাই উচিৎ। কেননা কোনো কোনো কথা সঠিক হলেও শ্রোতা ও অবস্থানের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়।

                  আবদুল্লাহ ইয়াফুর ভাই এবিষয়ে আর পোস্ট করবেন না আশা করি।

                  যে সকল ভাইয়েরা অল্পতেই নাড়া খেয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে শায়খ উসামা বিন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ লিখিত চিঠি দুটি পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি যা লেখা হয়েছিল ইবনে বাজ রহঃ'র প্রতি।

                  শায়খ আবু ফিরাস আস সুরি রহঃ'র আল-রিসালাহকে দেয়া সাক্ষাৎকারও পড়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি...

                  শায়খ রাহিমাহুমুল্লাহদের ভাষায়ও যদি উলামায়ে দেওবন্দের ব্যাপারে আলোচনা করা হয় অনেকেই কস্ট পেতে পারেন। এজন্যই এবিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে... আরব, উত্তর আফ্রিকায় সালাফি আলেমদের ব্যাপারে সচেতনতা ও তাদের বিচ্যুতিদের ব্যাপারে যেভাবে মুক্তভাবে আলোচনা করা হয়েছে সেভাবে এখানে সম্ভব নাও হতে পারে। মানসিকতা ও ইলমি ধারারও একটি বিষয় রয়েছে।

                  ডেমোগ্রাফি, জিওগ্রাফি, হিস্ট্রি- এবিসয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখাও উচিৎ। তাই এধরণের আলোচনা থেকে আপাতত বিরত থাকাই উচিৎ কেননা এতে হয়তো কওমি ঘরানার কিছু ভাইরা কস্ট পেতে পারেন। বরং, পড়ার জন্য বই সাজেস্ট করা যেতে পারে। যাতে যার ইচ্ছা সে পড়ে নিতে পারে।

                  মূলতঃ এবিষয়গুলো সিনিওর ভাইদের জানা থাকা জরুরী যা ইতিমধ্যে উনারা উপলব্ধি করেছেন আশা করি। গণহারে সবাইকে জানানো এত জরুরীও না।

                  দিন শেষে হিসাব তো হবে ব্যক্তিবিশেষেই! কাদা ছোড়াছুড়ি কাম্য নয়। এগুলো থেকে আমরা বিরত থাকি। আল্লাহ্* তা'আলা হেফাজত করার মালিক।

                  Comment

                  Working...
                  X