Announcement

Collapse
No announcement yet.

কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর

    বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।
    এক ভাই কিছু দিন আগে কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলেন।আমরা কয়েকটি পর্বে ইনশা-আল্লাহ সেগুলোর জবাব দেওয়ার প্রয়াস পাবো।
    প্রথম পর্ব:
    ভাইয়ের প্রথম প্রশ্ন ছিল,
    #কুফফারদের সাথে মুআমালাত মুআশারাত কিরকম হওয়া চাই?]
    আরেকটি প্রশ্ন ছিল,
    #এদেশের কুফফারদের দাওয়াতের কিরকম সিস্টেম হতে পারে?
    উত্তর: জেনে রাখা চাই যে, আল্লাহর যমীনে আল্লাহর বিধান কায়েম থাকবে এটাই হল সাধারণ রীতি। আল্লাহ তাআলা বলেন,
    إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً
    আমি ভূপৃষ্ঠে আমার প্রতিনিধি পাঠাতে চাই।
    এ আয়াতের তাফসীরে আল্লমা কুরতুবী রহ. বলেন,
    هذه الآية أصل في نصب إمام وخليفة يسمع له ويطاع، لتجتمع به الكلمة، وتنفذ به أحكام الخليفة. ولا خلاف في وجوب ذلك بين الأمة ولا بين الأئمة
    এই আয়াতটি ভূপৃষ্ঠে খলিফা নির্দারণ করার ব্যাপারে একটি মৌলিক অবস্থান দখল করে আছে। যে ইমামের অনুসরণ তকলের জন্য আবশ্যক। যাতে সকল মুসলমানের মাঝে ঐক্য বিরাজ করে এবং প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব বাস্তবায়ন হতে পারে। আর এটা ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কারো কোন মেতভেদ নেই। কোন ইমামেরও না আর কোন সাধারণ উম্মাতের মাঝেও না।
    এই আয়াতের দাবি অনুসারে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর বিধান বৈ অন্য কোন বিধান চলবে না। এমনকি কুফ্ফারদের সাথে যে আচরণ মুসলমানদের পক্ষ থেকে হবে সেটাও হবে আল্লাহর বিধান অনুপাতে। কুফ্ফাররা যে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর নাফরমানী করা অবস্থায় কালাতিপাত করবে সেটাও হবে তাদের জন্য দেওয়া আল্লাহর বিধান মোতাবেক।
    কাফেরের প্রকারভেদ:
    আল্লাহর যমীনে আল্লাহর নাফরমান জাতির বিচরণ তিনটি পরিধির বাইরে হতে পারবে না। এটা রাসূল স. আমাদেরকে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। তিনি বলেন,
    عن سليمان بن بريدة، عن أبيه، قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أمر أميرا على جيش، أو سرية، أوصاه في خاصته بتقوى الله، ومن معه من المسلمين خيرا، ثم قال: «اغزوا باسم الله في سبيل الله، قاتلوا من كفر بالله، اغزوا ولا تغلوا، ولا تغدروا، ولا تمثلوا، ولا تقتلوا وليدا، وإذا لقيت عدوك من المشركين، فادعهم إلى ثلاث خصال - أو خلال - فأيتهن ما أجابوك فاقبل منهم، وكف عنهم، ثم ادعهم إلى الإسلام، فإن أجابوك، فاقبل منهم، وكف عنهم، ثم ادعهم إلى التحول من دارهم إلى دار المهاجرين، وأخبرهم أنهم إن فعلوا ذلك فلهم ما للمهاجرين، وعليهم ما على المهاجرين، فإن أبوا أن يتحولوا منها، فأخبرهم أنهم يكونون كأعراب المسلمين، يجري عليهم حكم الله الذي يجري على المؤمنين، ولا يكون لهم في الغنيمة والفيء شيء إلا أن يجاهدوا مع المسلمين، فإن هم أبوا فسلهم الجزية، فإن هم أجابوك فاقبل منهم، وكف عنهم، فإن هم أبوا فاستعن بالله وقاتلهم،
    বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ, রাসুলুল্লাহ (সা) যখন কোন সেনাবাহিনী কিংবা সেনাদলের উপর আমীর নিমুক্ত করতেন তখন বিশেষ করে তাকে আল্লাহ ভীতি অবলম্বনের এবং তার সঙ্গী মুসলমানদের প্রতি কল্যাণজনক আচরণ করার উপদেশ দিতেন । আর (বিদায়লগ্নে) বলতেন, যুদ্ধ করো আল্লাহর নামে, আল্লাহ রাস্তায় । লড়াই কর তাদের বিরুদ্ধে যারা আল্লাহর সঙ্গে যুদ্ব করেছে । যুদ্ধ চালিয়ে যাও, তবে গনীমতের মালের খিয়ানত করবে না, চুক্তি ভঙ্গ করবে না, শক্র পক্ষের অঙ্গ বিকৃতি করবে না । শিশুদেরকে হত্যা করবে না । যখন তুমি মুশরিক শত্রুর সন্মুখীন হবে, তখন তাকে তিনটি বিষয় বা আচরণের প্রতি আহ্বান জানাবে । তারা এগুলোর মধ্য থেকে যেটিই গ্রহণ করে, তুমি তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে নিবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকবে । প্রথমে তাদের ইসলামের দিকে দাওয়াত দিবে । যদি তারা তোমার এই আহ্বানে সাড়া দেয়, তবে তুমি তাদের পক্ষ থেকে তা মেনে-নিবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকবে এরপর তুমি তাদের স্বগৃহ ত্যাগ করে মুহাজিরদের এলাকায় চলে যাওযার আহ্বান জানাবে । এবং তাদের জানিয়ে দিবে যে, যদি তারা তা কার্যকরী করে, তবে মুহাজিরদের জন্য যে সব লাভ-লোকসান ও দায়দায়িত্ব রয়েছে, তা তাদের উপর কার্যকরী হবে । আর যদি তারা স্বগৃহ ত্যাগ করতে অস্বীকার করে, তবে তাদের জানিয়ে দেবে যে, তারা সাধারণ বেদুঈন মুসলমানদের মত গণ্য হবে । তাদের উপর আল্লাহর সেই বিধান কার্যকরী হবে, যা সাধারণ মুসলমানদের উপর কার্যকরী হয় এবং তারা গনীমত ও ফায় থেকে কিছু পাবে না । অবশ্য মুসলমানের সঙ্গে শামিল হয়ে যুদ্ধ করলে তার অংশীদার হবে । আর যদি তারা ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তবে তাদের কাছে জিযিয়া, প্রদানের দাবী জানাবে । যদি তারা তা গ্রহণ করে নেয়, তবে তুমি তাদের তরফ থেকে তা মেনে নিবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকবে । আর যদি তারা এ দাবী না মানে তবে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড় । মুসলিম, হাদীস নং-১৭৩১
    এই হাদীসে যে মুসলিম দেশে হিজরত করার জন্য বলা হয়েছে সেটা সর্বসম্মতিক্রমে সাময়ীক ছিল। যখন মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন হয়েছিল না। কিন্তু এই বিধান এখন আর বলবৎ নেই।
    এই হাদীস থেকে আমরা দুইটি প্রশ্নের উত্তর পাই যে, কাফেরদের সাথে আমাদের আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ এবং তাদেরকে দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি কেমন হবে। তাছাড়া আমরা রাসূল স. এর মাদীনার জীবনচার ও কাফেরদের সাথে আচরণ দেখে অনুভব করতে পারি। সিরাতের কিতাবে যার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। সারমর্ম হল, যদি কাফেররা মুসলমানদের সাথে শত্রুতার জের অব্যাহত রাখে এবং মুসলমানদের জন্যও কাফেরদের মোকাবেলা করার যথেষ্ট সমর্থ রয়েছে তাহলে মুসলমানরা কাফেরদেরকে কোনভাবে ছাড় দিবে না। বরং হয়ত তাদের সাথে সরাসরি যুদ্ধে অবতরন করবে। যেমন আজ আমরা সিরিয়া, সোমালিয়ায় দেখতে পাচ্ছি। আর যদি মুসলমানদের শক্তি-সমর্থ তেমন না হয় তাহলে মুসলমানদের জন্য শক্তি-সমর্থ যোগাড় করা ফরজে আইন। এ বিসয়ে আল্লামা ইবনে তাইমিয়া রহ. মাজমুউল ফাতাওয়ায় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
    তবে মুসলমানদের জন্য এটা মোটেও বৈধ নয় যে তারা কাফেরদের সাখে সখ্যতা করবে বা তাদেরকে কোন সম্মানজনক অবস্থান দান করবে অথবা তাদেরকে কোন কিছুর একক অধিকারভূক্ত করবে। যদি কোন মুসলমান কাফেরদের সাথে সখ্যতা বা বন্ধুত্ব করে তাহলে তার ঈমান বিনষ্ট হয়ে যাবে। কারণ, কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব করা ঈমান বিনষ্টের একটি কারণ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
    وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ
    আর তোমাদের যারা তাদের সাথে একত্বতা করবে তারা তাদেরই অন্তর্ভূক্ত হবে।
    এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার জন্য হাকীমুল উম্মাহ শায়খ আইমান আয-যওয়াহেরী হাফিজাহুল্লাহর “আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল বারা” পুস্তিকাটি অধ্যায়ন করা যেতে পারে।
    তবে এখানে আরো একটি বিষয় স্পষ্ট হওয়া চাই যে, কাফেরদে সাথে দুর্ব্যবহার করা আর তাদের সাথে সখ্যতা ও বন্ধুত্ব না করা দুইটি বিষয় কোন ক্রমেই এক নয়। একজন কাফের সে কাফের। কিন্তু তাই বলে তার উপর কোন জুলুম অত্যাচার বা তার হক বিনষ্ট করা বৈধ নয়। তাছাড়া আরো একটি বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, তাদের ক্ষেত্রে শরীয়াতের যেসব বিধান রয়েছে সেসব বিধান বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আমি যে আমিরের আনুগত্যের ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি তা যেন একা একাই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা না করি। মনে করুন বাংলাদেশে বর্তমানে যেসব কুফ্ফার এবং তাদের দোসররা রয়েছে ইসলামী শরিয়াতে তাদের রক্তের কোন মূল্য নেই। তাই বলে কারো জন্য এটা বৈধ নয় যে, যে কেউ অস্ত্র নিয়েই তাদের ঘাড়ে আঘাত করে দিবে। কারণ, এসব কাজ একটি নির্দিষ্ট জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই এটা তারা যেভাবে নির্দেশনা দিবেন সেভাবেই বাস্তবায়ন করতে হবে। যেমন আমরা দেখেতে পেয়েছি যে, এযাতৎ কতগুলো কুলাঙ্গারকে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে কুপোকাত করা হয়েছে। সেটা নির্দিষ্ট একটি জামাতের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার পর তাদের নির্দেশ ও অনুমোদনেই করা হয়েছে। অনুরূপ কোন ক্ষেত্রে যদি উক্ত জামাতের অনুমোদন থেকে তাকে তাহলে তা বাস্তবায়ন করতে কোন সমস্য নেই।

  • #2
    জাযাকাল্লাহু খাইরান।
    আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
    আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ খাইরান।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment

      Working...
      X