Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিমের জন্য যা জানা আবশ্যক - (পর্ব ৭) ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান (২য় দরস)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিমের জন্য যা জানা আবশ্যক - (পর্ব ৭) ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান (২য় দরস)

    মুসলিমের জন্য যা জানা আবশ্যক - (পর্ব ৭)

    ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান
    (২য় দরস)




    এখানে দুইটি আলোচনাঃ

    ১/ ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমানের গুরুত্ব ও অবস্থান।

    ২/ ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনার পদ্ধতি।


    ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমানের গুরুত্ব ও অবস্থানঃ

    ইসলামী শরিয়তে ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের একটি রুকন। এটা ছাড়া কারো ঈমান গ্রহনযোগ্য হবে না। আল্লাহ তায়ালা এ ব্যাপারে কুরআনে আয়াতে উল্লেখ করেছেন। নবী করীম সাঃ তার সুন্নাহতে এ ব্যাপারে সংবাদ দিয়েছেন।

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ ۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ [٢:٢٨٥]

    রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

    এখানে আল্লাহ তায়ালা ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনাকে অন্যান্য বিষয়গুলোর ( যা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর নাযিল করেছেন এবং তা জরুরী করে দিয়েছেন তার ও উম্মতের উপর ) সাথে রুকন হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

    আল্লাহ তায়ালা অপর আয়াতে উল্লেখ করেনঃ
    لَّيْسَ الْبِرَّ أَن تُوَلُّوا وُجُوهَكُمْ قِبَلَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ وَلَٰكِنَّ الْبِرَّ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ

    সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর।

    আল্লাহ তায়ালা উপরুক্ত কয়েকটি বিষয়ের উপর ঈমান আনাকে সৎ কাজের প্রমান বহনকারী হিসাবে উল্লেখ করেছেন। একারণে যে, উল্লেখিত বিষয়গুলো উত্তম আমালের ভিত্তি ও ঈমানের রুকন যা থেকে বাকি সব শাখাগত মাসআলা বের হয়।

    আল্লাহ তায়ালা এই বিষয়গুলোর প্রতি ঈমানের প্রেক্ষাপটে বলেছেন, যেই ব্যক্তি এর কোন একটি রুকন অস্বীকার করবে সে আল্লাহ তায়ালাকেই অস্বীকার করল।

    আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    وَمَن يَكْفُرْ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا [٤:١٣٦]
    যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।
    এখানে আল্লাহ তায়ালা “কুফর” কে যেই ব্যক্তি এই রুকনগুলোকে অস্বীকার করবে তার জন্য ব্যবহার করেছেন। এবং তাকে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূর গিয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

    সুতরাং এই বিষয়গুলো দালালাত করে যে, ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের রুকনগুলোর মাঝে অনেক বড় একটি রুকন এবং যে তা ছেড়ে দিবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।


    ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান সুন্নাহ দ্বারাও প্রমাণিতঃ

    এই ব্যাপারটি “হাদীসে জিব্রীল” নামে প্রসিদ্ধ হাদীসটি স্পষ্ট করে দিয়েছে। ইমাম মুসলিম রাহঃ তার সহীহ মুসলিমে উমর ইবনুল খাত্তাব রাঃ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন, উমর ইবনে খাত্তাব রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ

    « একদা আমরা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর খিদমতে ছিলাম । এমন সময় একজন লোক আমাদের কাছে এসে হাযির হলেন । তাঁর পরিধানের কাপড় ছিল সাদা ধবধবে, মাথার কেশ ছিল কাল কুচকুচে । তাঁর মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন ছিল না । আমরা কেউ তাঁকে চিনি না । তিনি নিজের দুই হাঁটু নবী করীম (সাঃ)-এর দুই হাঁটুর সাথে লাগিয়ে বসে পড়লেন আর তার দুই হাত নবী (সাঃ)-এর দুই উরুর উপর রাখলেন ।
    তারপর তিনি বললেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সস্পর্কে অবহিত করুন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ ইসলাম হলো, তুমি এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং নিশ্চয়ইই মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল, নামায কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রামাযানের রোযা পালন করবে এবং বায়তুল্লাহ পৌছার সামর্থ্য থাকলে হজ্জ পালন করবে । আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন । তার কথা শুনে আমরা বিষ্মিত হলাম যে,তিনিই প্রশ্ন করেছেন আর তিনিই-তা সত্যায়িত করছেন ।
    আগন্তুক বললেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে অবহিত করুন । রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ঈমান হলো আল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসুলগণের প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান আনবে, আর তাকদিরের ভালমন্দের প্রতি ঈমান রাখবে । আগন্তুক বললেন,আপনি ঠিকই বলেছেন ।
    তারপর বললেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ইহসান হলো,এমনভাবে ইবাদত-বন্দেগী করবে যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ, যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে ভাববে তিনি তোমাকে দেখছেন ।
    আগন্তুক বললেন, আমাকে কিয়ামত সস্পর্কে অবহিত করুন । রাসুল (সাঃ) বললেনঃ এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে তিনি অধিক অবহিত নন ।
    আগন্তুক বললেন, আমাকে এর আলামত সস্পর্কে অবহিত করুন । রাসুল (সাঃ) বললেনঃ তা হলো এই যে,দাসী তার প্রভুর জননী হবে; আর নগ্নপদ, বিবস্ত্রদেহ দরিদ্র মেষপালকদের বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে । উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বললেন যে,পরে আগন্তুক প্রস্হান করলেন । আমি বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম । তারপর রাসুল (সাঃ) আমাকে বললেন, হে উমর! তুমি জান, এই প্রশ্নকারী কে? আমি আরয করলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই সম্যক জ্ঞাত আছেন । রাসুল (সাঃ) বললেনঃ তিনি জিবরাঈল । তোমাদের তিনি দীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন । ”

    এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস যা দ্বীনের মূলনীতি ও তার সকল স্তর সমূহ অন্তর্ভূক্ত করে নিয়েছে। এটা দ্বীন শিক্ষার ক্ষেত্রে এক অনন্য পদ্ধতি যা সংগঠিত হয়েছে কথোপকথনের মাধ্যমে। একজন ফেরেশতাদের মধ্য থেকে রাসূল, যিনি ছিলেন ফেরেস্তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ - জিব্রাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অপরজন মানুষদের মধ্য থেলে রাসূল, যিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব - মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । তাই মুসলিমদের এই হাদীসটির প্রতি ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং তাদের শিক্ষা পদ্ধতীতে এই হাদীস থেকে ফায়দা নেওয়া উচিত। যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন অতীত আকাবীরগণ।

    এই হাদীসে ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের প্রতি ঈমান আনা ঈমানের একটি রুকন। এখানে হাদীসটি উল্লেখ করার দ্বারা এটাই উদ্দেশ্য।



    ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনার পদ্ধতিঃ

    ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনা কয়েকটি বিষয়কে শামিল করে। কোন ব্যক্তির ঈমান বিল মালায়েকা বা ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান প্রমাণিত হওয়ার জন্য এই বিষয়গুলো পাওয়া জরুরী। যাতে ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান তার থেকে বাস্তবে প্রমাণিত হয়।

    ১/ ফেরেস্তাদের অস্তিত্বে স্বীকরুক্তি দিতে হবে এবং তাদেকে সত্যায়ন করতে হবে। আর এব্যাপারে পূর্বে অনেক আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফেরেস্তাদের উপর ঈমান আনা এটা ঈমানের একটা রুকন। সুতরাং কারও ঈমান প্রমাণিত হবে না যতক্ষণ না তার থেকে ফেরেস্তাদের প্রতি ঈমান আনা সাব্যস্ত না হবে।

    ২/ এই বিষয়েও ঈমান আনতে হবে যে, তারা সংখ্যায় অনেক বেশী যার হিসাব আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানেন না। আর এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَمَا يَعْلَمُ جُنُودَ رَبِّكَ إِلَّا هُوَ ۚ وَمَا هِيَ إِلَّا ذِكْرَىٰ لِلْبَشَرِ [٧٤:٣١]
    আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন এটা তো মানুষের জন্যে উপদেশ বৈ নয়।

    তোমার পালনকর্তার বাহিনী তথা ফেরেস্তাদের সংখ্যা একমাত্র তিনিই জানেন। আর এটা তাদের আধিক্যের কারণে।

    মে’রাজের লম্বা হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নবী করীম সাঃ বলেন,“ অতঃপর আমার সামনে বায়তুল মা’মুর তুলে ধরা হলো। আমি বললাম,“ হে জিব্রাঈল! এটা কী? তিনি বলেন, এটা বায়তুল মা’মুর। এতে *প্রতিদিন সত্তর হাজার ফেরেস্তা প্রবেশ করে। যখন তারা এর থেকে বের হয় পুনরায় আর কখনো ফিরে আসে না।( বুখারী)

    মুসলিম শরীফে আছে যে নবী করীম সাঃ বলেন,“ সে দিন (কেয়ামত) জাহান্নামকে নিয়ে আসা হবে। তার সত্তর হাজার লাগাম থাকবে। আর প্রত্যেক লাগামে সত্তর হাজার ফেরেস্তা থাকবে যারা তাকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাবে। ( মুসলিম- ২৮৪২)

    এই হাদীস দুইটি ফেরেস্তাদের আধিক্যের প্রতি দালালত করে। প্রতিদিন বায়তুল মা’মুরে সত্তর হাজার ফেরেস্তা প্রবেশ করে। অতঃপর আর কোন দিন সেখানে ফিরে আসে না, বরং ভিন্নরা আসে। আর কেয়ামতের দিনও বিশাল সংখ্যক ফেরেস্তা জাহান্নামের লাগাম টানার কাজ করবে। তাহলে অন্যান্য কাজে কী পরিমাণ ফেরেস্তা থাকতে পারে! যার সংখ্যা তার স্রষ্টা ব্যতীত আর কেউ জানেনা।

    ৩/ এটা স্বীকার করতে হবে যে, আল্লাহ তায়ালার কাছে ফেরেস্তাদের অনেক উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
    وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَٰنُ وَلَدًا ۗ سُبْحَانَهُ ۚ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ [٢١:٢٦]
    তারা বললঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছে। তাঁর জন্য কখনও ইহা যোগ্য নয়; বরং তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা।
    لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ [٢١:٢٧]
    তারা আগে বেড়ে কথা বলতে পারে না এবং তারা তাঁর আদেশেই কাজ করে।

    আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
    بِأَيْدِي سَفَرَةٍ [٨٠:١٥]
    লিপিকারের হস্তে,
    كِرَامٍ بَرَرَةٍ [٨٠:١٦]
    যারা মহৎ, পূত চরিত্র।


    আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যাপারে বলেনঃ
    فَإِنِ اسْتَكْبَرُوا فَالَّذِينَ عِندَ رَبِّكَ يُسَبِّحُونَ لَهُ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَهُمْ لَا يَسْأَمُونَ [٤١:٣٨]
    অতঃপর তারা যদি অহংকার করে, তবে যারা আপনার পালনকর্তার কাছে আছে, তারা দিবারাত্রি তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে এবং তারা ক্লান্ত হয় না।

    আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যাপারে বর্ণনা করেছেন, তারা তার নিকটে। ফেরেস্তারা আল্লাহ তায়ালার জন্য ইবাদাতকে বহাল রেখেই আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যের মহান মর্যাদা পেয়েছে। যেমন আল্লাহ তায়ালা কুরআনের অন্যত্র তাদের শপথ করেছেন, সেটাও আল্লাহ তায়ালার নিকট তাদের মর্যাদার কারণ। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَالصَّافَّاتِ صَفًّا [٣٧:١]
    শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো,
    فَالزَّاجِرَاتِ زَجْرًا [٣٧:٢]
    অতঃপর ধমকিয়ে ভীতি প্রদর্শনকারীদের,
    فَالتَّالِيَاتِ ذِكْرًا
    অতঃপর মুখস্থ আবৃত্তিকারীদের

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    فَالْفَارِقَاتِ فَرْقًا [٧٧:٤]
    মেঘপুঞ্জ বিতরণকারী বায়ুর শপথ এবং
    فَالْمُلْقِيَاتِ ذِكْرًا [٧٧:٥]
    ওহী নিয়ে অবতরণকারী ফেরেশতাগণের শপথ

    এমন আরও অনেক দলীল-প্রমাণ আছে যা ফেরেস্তাদের মর্যাদাকে প্রমাণিত করে এবং কুরআন সুন্নাহতে অনেক আলোচনা আছে। কিতাবুল্লাহ নিয়ে চিন্তা-ফিকির কারীর নিকট কুরআনের এই বিষয়গুলো অস্পষ্ট নয়।


    ৪/ এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ফেরেস্তাদের মাঝে একজন আরেক জনের উপর প্রাধান্যপ্রাপ্ত। তাদের সকলের মর্যাদা সমান নয়।

    কুরআনে দলীলঃ-

    আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
    اللَّهُ يَصْطَفِي مِنَ الْمَلَائِكَةِ رُسُلًا وَمِنَ النَّاسِ ۚ إِنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ [٢٢:٧٥]
    আল্লাহ ফেরেশতা ও মানুষের মধ্য থেকে রাসূল মনোনীত করেন। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্ব দ্রষ্টা!

    আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
    لَّن يَسْتَنكِفَ الْمَسِيحُ أَن يَكُونَ عَبْدًا لِّلَّهِ وَلَا الْمَلَائِكَةُ الْمُقَرَّبُونَ ۚ وَمَن يَسْتَنكِفْ عَنْ عِبَادَتِهِ وَيَسْتَكْبِرْ فَسَيَحْشُرُهُمْ إِلَيْهِ جَمِيعًا [٤:١٧٢]
    মসীহ আল্লাহর বান্দা হবেন, তাতে তার কোন লজ্জাবোধ নেই এবং ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাদেরও না। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর দাসত্বে লজ্জাবোধ করবে এবং অহংকার করবে, তিনি তাদের সবাইকে নিজের কাছে সমবেত করবেন।

    সুতরাং আল্লাহ তায়ালা সংবাদ দিচ্ছেন যে, তাদের কেউ আছে যাকে দূতের কাজের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে এবং তারা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্যশীল। তাই, এই আয়াতে তাদের একে অন্যের উপর মর্যাদাশীল হওয়ার উপর প্রমান করে।

    • সর্বোত্তম ফেরেস্তা হলো আরশবহনকারী ফেরেস্তারা। তারপর নৈকট্যশীল ফেরেস্তাদের মাঝে তিনজন ফেরেস্তা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ। যাদেরকে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়ায় উল্লেখ করতেন। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দোয়া করে তাহাজ্জুদ শুরু করতেনঃ "হে আল্লাহ! জিব্রাঈল, মিকাঈল এবং ঈসরাফীলের রব, আসমান এবং যমীনের সৃষ্টিকারী, দৃশ্যমান এবং অদৃশ্যমান বিষয়ে জ্ঞাত!...... (নাসায়ী, মুসনাদে আহমাদ)

    আর এই তিনজনের মাঝে শ্রেষ্ঠ হলেন জিব্রাঈল আঃ যিনি ওহীর দায়িত্বে আছেন। সুতরাং তার দায়িত্ব অনুযায়ী তার মর্যাদা।

    আল্লাহ তায়ালা তার ব্যাপারে এমন সব বিষয় বলেছেন যা অন্যের ক্ষেত্রে বলেননি। তাকে সর্বোত্তম এবং সর্ব শ্রেষ্ঠ নামে নাম করণ করেছেন।

    আল্লাহ তায়ালা তাকে “রুহ” নামে নাম করণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    نَزَلَ بِهِ الرُّوحُ الْأَمِينُ [٢٦:١٩٣]
    বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।

    আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ
    تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ [٩٧:٤]
    এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।

    আল্লাহ তায়ালা এই নামকে নিজের সাথে সম্পৃক্ত করে বলেনঃ
    فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا [١٩:١٧]
    অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।

    কখনো আবার “কুদস” এর দিকে সম্পৃক্ত করে বলেছেনঃ
    قُلْ نَزَّلَهُ رُوحُ الْقُدُسِ [١٦:١٠٢]
    বলুন, একে পবিত্র ফেরেশতা পালনকর্তার পক্ষ থেকে নিশ্চিত সত্যসহ নাযিল করেছেন।

    তবে মুফাসসীরিনদের অভিমতে “কুদস” এর সঠিক অর্থ হচ্ছে “আল্লাহ তায়ালা”।

    আল্লাহ তায়ালা তার গুন বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ
    إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ [٨١:١٩]
    নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের আনীত বাণী,
    ذِي قُوَّةٍ عِندَ ذِي الْعَرْشِ مَكِينٍ [٨١:٢٠]
    যিনি শক্তিশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাশালী,
    مُّطَاعٍ ثَمَّ أَمِينٍ [٨١:٢١]
    সবার মান্যবর, সেখানকার বিশ্বাসভাজন।

    অন্য জায়গায় বলেনঃ
    عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَىٰ [٥٣:٥]
    তাঁকে শিক্ষা দান করে এক শক্তিশালী ফেরেশতা,
    ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَىٰ [٥٣:٦]
    সহজাত শক্তিসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল।

    সুতরাং আল্লাহ তায়ালা তার বর্ণনায় বলেছেন, সে প্রেরিত দূত এবং তার নিকট সম্মানিত, সে শক্তিশালী ও আল্লাহ তায়ালার নিকট তার বিশেষ মর্যাদা রয়েছে । সে আকাশে অনুসরণীয়। ওহীর ব্যাপারে বিশ্বস্ত এবং চেহারায় অনেক সুন্দর।


    ৫/ তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে হবে। শত্রুতা রাখা যাবে না।

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ
    আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক।

    সুতরাং এই আয়াতে ফেরেস্তারাও অন্তর্ভূক্ত। কারণ তারাও মুমিন এবং আল্লাহ তায়ালার আদেশ পালনকারী। তারা আল্লাহ তায়ালার অবাধ্য হয় না। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    لَّا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُونَ مَا يُؤْمَرُونَ
    তারা আল্লাহ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, তাই করে।

    আল্লাহ তায়ালা নিজেই সংবাদ দিচ্ছে ফেরেস্তাদের সাথে রাসূল ও মুমীনদের বন্ধুত্বের ব্যাপারে।

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَإِن تَظَاهَرَا عَلَيْهِ فَإِنَّ اللَّهَ هُوَ مَوْلَاهُ وَجِبْرِيلُ وَصَالِحُ الْمُؤْمِنِينَ ۖ وَالْمَلَائِكَةُ بَعْدَ ذَٰلِكَ ظَهِيرٌ [٦٦:٤]
    আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।

    তিনি সুবহানুহু তায়ালা বলেনঃ
    هُوَ الَّذِي يُصَلِّي عَلَيْكُمْ وَمَلَائِكَتُهُ لِيُخْرِجَكُم مِّنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ ۚ وَكَانَ بِالْمُؤْمِنِينَ رَحِيمًا [٣٣:٤٣]
    তিনিই তোমাদের প্রতি রহমত করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণও রহমতের দোয়া করেন-অন্ধকার থেকে তোমাদেরকে আলোকে বের করার জন্য। তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু।

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    إِنَّ الَّذِينَ قَالُوا رَبُّنَا اللَّهُ ثُمَّ اسْتَقَامُوا تَتَنَزَّلُ عَلَيْهِمُ الْمَلَائِكَةُ أَلَّا تَخَافُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَبْشِرُوا بِالْجَنَّةِ الَّتِي كُنتُمْ تُوعَدُونَ [٤١:٣٠]
    নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন।

    সুতরাং মুমীনদের জন্য জরুরী যে, তারা ফেরেস্তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখবে। কারণ ফেরেস্তারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখে, তাদেরকে সাহায্য ও শক্তিশালী করে এবং মুমীনদের জন্য ইস্তেগফার করে।
    আল্লাহ তায়ালা ফেরেস্তাদের সাথে শত্রুতা রাখার ব্যাপারে সর্তক করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    مَن كَانَ عَدُوًّا لِّلَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَرُسُلِهِ وَجِبْرِيلَ وَمِيكَالَ فَإِنَّ اللَّهَ عَدُوٌّ لِّلْكَافِرِينَ [٢:٩٨]
    যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু।

    সুতরাং আল্লাহ তায়ালা সংবাদ দিয়েছেন, ফেরেস্তাদের সাথে শত্রুতা আল্লাহ তায়ালার সাথে শত্রুতা এবং আল্লাহর ক্রোধান্বিত করে। তার কারণ হলো ফেরেস্তারা আল্লাহ তায়ালার হুকুম ও আদেশাবলী কার্যকর করে। তাই, যে তাদের সাথে শত্রুতা রাখল সে আল্লাহ তায়ালার সাথে শত্রুতা রাখল।

    ৬/ এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, ফেরেস্তারা আল্লাহ তায়ালার মাখলুকদের থেকে এক ধরণের মাখলুক। সৃষ্টি, পরিচালনা এবং বিভিন্ন বিষয়ের পরিবর্তনের মাঝে তাদের কোন দখল নেই। বরং তারা আল্লাহ তায়ালার একটা বাহিনী যারা আল্লাহ তায়ালার আদেশকে বাস্তবায়ন করে। আল্লাহ তায়ালা ঐ সত্ত্বা যার হাতে সকল বিষয়ের কর্তৃত্ব। এতে তার কোন শরীক নেই। তাদের উদ্দেশ্যে কোন ইবাদাত জায়েয নেই। বরং তাদের এবং সকলের স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালার জন্য ইবাদাতকে একনিষ্ঠ করা জরুরী। রুবূবিয়্যাত, উলূহিয়্যাত এবং গুণবাচক নামসমূহের ক্ষেত্রে তার কোন শরীক নেই।

    এই বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَلَا يَأْمُرَكُمْ أَن تَتَّخِذُوا الْمَلَائِكَةَ وَالنَّبِيِّينَ أَرْبَابًا ۗ أَيَأْمُرُكُم بِالْكُفْرِ بَعْدَ إِذْ أَنتُم مُّسْلِمُونَ [٣:٨٠]
    তাছাড়া তোমাদেরকে একথা বলাও সম্ভব নয় যে, তোমরা ফেরেশতা ও নবীগনকে নিজেদের পালনকর্তা সাব্যস্ত করে নাও। তোমাদের মুসলমান হবার পর তারা কি তোমাদেরকে কুফরী শেখাবে?

    তিনি আরও বলেনঃ
    وَقَالُوا اتَّخَذَ الرَّحْمَٰنُ وَلَدًا ۗ سُبْحَانَهُ ۚ بَلْ عِبَادٌ مُّكْرَمُونَ [٢١:٢٦]
    তারা বললঃ দয়াময় আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছে। তাঁর জন্য কখনও ইহা যোগ্য নয়; বরং তারা তো তাঁর সম্মানিত বান্দা।
    لَا يَسْبِقُونَهُ بِالْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِ يَعْمَلُونَ [٢١:٢٧]
    তারা আগে বেড়ে কথা বলতে পারে না এবং তারা তাঁর আদেশেই কাজ করে।
    يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَىٰ وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ [٢١:٢٨]
    তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা আছে, তা তিনি জানেন। তারা শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত।
    وَمَن يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّي إِلَٰهٌ مِّن دُونِهِ فَذَٰلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ ۚ كَذَٰلِكَ نَجْزِي الظَّالِمِينَ [٢١:٢٩]
    তাদের মধ্যে যে বলে যে, তিনি ব্যতীত আমিই উপাস্য, তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দেব। আমি জালেমদেরকে এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।

    আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে, তিনি কাউকে ফিরিশতাদের ইবাদাতের আদেশ দেননি। আর তিনি কিভাবেই আদেশ দিতে পারেন অথচ এটা কুফুরী। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ঐ সকল লোকদের ধারণাকে বাতিল করে দিয়েছেন যারা ধারণা করে যে, ফেরেস্তারা আল্লাহ তায়ালার মেয়ে। আল্লাহ তায়ালা নিজ সত্ত্বাকে এ থেকে পবিত্র ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন যে, তারা তার সম্মানিত বান্দা যাদেরকে তিনি মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন। তারা তার আদেশ পালন করে এবং তার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকে এবং তারা সুপারিশের অধিকার রাখে না । তবে যার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হবেন।

    আল্লাহ তায়ালা সর্বশেষ অংশে বলেছেন যে, তাদের ব্যপারে যারা উলূহিয়্যাতের দাবী করবে বা তাদেরকে ইলাহ মনে করবে তাদের পরিণাম হলো জাহান্নাম।


    ৭/ কুরআন এবং সুন্নাহতে বিশেষভাবে যে সকল ফেরেস্তার আলোচনা হয়েছে তাদের প্রতি বিস্তারিত ঈমান আনতে হবে। যেমনঃ জিব্রাঈল, মিকাঈল,ইসরাফিল,মালেক, হারুত এবং মারুত, রেজওয়ান, মুনকার এবং নাকীর এবং অন্যান্য যারা আছে যাদের নাম সরাসরি কুরআন ও সুন্নাহতে আছে। তেমনি ভাবে ঈমান আনতে হবে যে সকল ফেরেস্তাদের গুনগুলো আল্লাহ তায়ালা বর্ণনা করেছেন। যেমনঃ রক্বীব, আতীদ ইত্যাদী । অথবা যাদের দায়িত্বের কথা আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করে দিয়েছেন। যেমনঃ মৃত্যুর ফেরেস্তা, পাহাড়ের ফেরেস্তা এবং অন্যান্য ফেরেস্তা যাদের ভিবিন্ন দায়িত্বের কথা আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন। যেমনঃ আরশবহনকারী ফেরেস্তা, কেরামুন কাতিবীন, এবং মাখলুকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ফেরেস্তা, জরায়ূতে বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রনকারী ফেরেস্তা, বায়তুল মা’মুর তাওয়াফকারী ফেরেস্তা এবং ভ্রমণকারী ফেরেস্তা যাদের কথা আল্লাহ তায়ালা এবং রসূল সাঃ উল্লেখ করেছেন।

    সুতরাং এই সকল নাম এবং সিফাত এবং তাদের কর্ম ও দায়িত্ব, যেগুলোর বিস্তারিত আলোচনা কুরআন এবং সুন্নাহতে আছে। তার উপর বিস্তারিতভাবে ঈমান আনা আবশ্যক। ইংশাআল্লাহ এর আরও বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসবে।
    Last edited by তাহরীদ মিডিয়া; 05-24-2017, 04:49 PM.

  • #2
    যাজাকুমুল্লাহ খাইরান, চালিয়ে যান ইংশাআল্লাহ।

    Comment


    • #3
      জাযাকুমুল্লাহু খাইরান। ইখওয়াতি ফিল্লাহ আপনাদের এই পর্বের পোস্টগুলোকে যদি একটি বই আকারে বের করা যেতো ইনশাল্লাহ মুসলিম জাতী অনেক উপকৃত হতো। এ নিয়মে বাজারে আমার জানা মতে কোনো বই নেই। বইয়ের নাম তো এখানে দেওয়া আছে ( মুসলিমের জন্য যা জানা আবশ্যক) আপনাদের অবশ্যই অনেকগুলো কিয়াব থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তাই বলছিলাম যদি অন্ততপক্কে একটি পিডিএফ বই আকারে বের করা যায়। আগের পর্বগুলো পিডিএফ আকারে দেওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ খাইরান

        Comment


        • #5
          প্রিয় ভাইয়েরা, পরবর্তী পোস্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
          Jazakumullah.
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            জাযাকুমুল্লাহ!

            Comment

            Working...
            X