Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুরতাদ বাহিনীর সদস্যদেরকে কি মুরতাদ বলা যাবে? তাদের মধ্যে যারা সরাসরি যুদ্ধে নামে না ত

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুরতাদ বাহিনীর সদস্যদেরকে কি মুরতাদ বলা যাবে? তাদের মধ্যে যারা সরাসরি যুদ্ধে নামে না ত


    প্রশ্ন-১: পাকিস্তানী, আফগানী, ইরাকী এবং এ জাতীয় অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদেরকে কি মুরতাদ বলা যাবে, যখন তাদের মধ্যে কিছু লোক এমনও রয়েছে যারা মুরতাদ নয়? যদি বলা জায়েয হয় তাহলে এর দলীল কি?

    প্রশ্ন-২: পাকিস্তানী বাহিনীর যে অফিসার কিংবা সৈনিক সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয় না, এমনকি বাহিনীকে যুদ্ধে সহায়তা করা থেকেও বিরত থাকে তার কি বিধান? শুধু বাহিনীকে চাকরিরত কিংবা সম্পৃক্ত থাকাটাই কি রিদ্দাহ্ বলে গণ্য হবে?


    ======================================



    উত্তর: যেসব বাহিনীর কথা আপনি উল্লেখ করেছেন সেগুলো মুরতাদ তাগুত হুকুমতের অধিনস্থ। মূলত এদের বিধান কুফর ও রিদ্দাহই। কেননা, এরাই তাগুতদেরকে সহায়তা করে, সমর্থন দেয়। তাদের শাসনের ভিত্তিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। মানব রচিত আইন কানুন এবং কুফরী সংবিধানকে বুলেট বোমার জোরে বাস্তবায়িত করে। মুজাহিদ, দাঈ এবং তাওহীদপন্থীদেরকে কতল করে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন সুস্পষ্ট কুফরীতে তারা লিপ্ত হয়। অতএব, যে কেউ এসব বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হবে সেই কাফের, মুরতাদ; তার কাজ তাতে যাই হোক না কেন। তাকে মুরতাদ বলা যাবে।


    এদেরকে মুরতাদ বলা জায়েয হওয়ার দলীল আল্লাহ তাআলার বাণী- {قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ} (আপনি বলুন, হে কাফেররা!) (কাফিরূন-১)।
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কাফেরদেরকে যে নাম দিয়েছেন সে নামেই তাদেরকে সম্বোধন করার জন্য তিনি তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ দিয়েছেন। আর মুরতাদ তো হচ্ছে যে মুসলমান হওয়ার পর কাফের হয়ে যায়। কাজেই এ সম্বোধনে সেও অন্তর্ভুক্ত হবে। অতএব, এসব বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের উপর এই বিধান বর্তাবে। তাগুত বাহিনীর সৈনিকের মূল যে বিধান যুদ্ধ না করার কারণে কেউ তার আওতাবহির্ভূত হবে না। কেননা, উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত- মুহারিব [যোদ্ধা] দলগুলোতে সরাসরি অপরাধে লিপ্ত ব্যক্তি আর তাতে সহযোগীতাকারীর বিধান একই।


    আর যা বলা হয় যে, এসব বাহিনীর মধ্যে এমন কিছু ব্যক্তিও রয়েছে যারা হুকুমতকে সহায়তা করে না, তার সাথে বন্ধুত্ব করে না, মানব রচিত কানুনের সহায়তা করে না… ইত্যাদী ইত্যাদী যা বলা হয় তা মূলত খেয়াল-কল্পনাপ্রসূত কথা এবং বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। এর কোনও প্রমাণ নেই। বাস্তবতা বরং এর বিপরীত। আর যদি ধরে নেয়াও হয় যে, এমন কিছু লোক রয়েছে, তবুও এতটুকু তো অবশ্যই বলতে হবে যে, তাগুতরা যে নাফরমানী করছে এসব লোক ইচ্ছাকৃতভাবে সেক্ষেত্রে তাগুতদের দল ভারী করছে। আর যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের দল ভারী করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। ইমাম নববী রহ. বলেন, “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের দল ভারী করে, বাহ্যিক দুনিয়াবী শাস্তির বেলায় তার উপর তাদেরই বিধান প্রযোজ্য হবে।”



    তাছাড়া যদি ধরেও নেয়া হয় যে, এসব বাহিনীর মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা যুদ্ধে অংশও নেয় না এবং বাহিনীকে যুদ্ধে কোনরূপ সহায়তাও করে না, আর তাদের মাঝে গ্রহণযোগ্য মাওয়ানেয়ে তাকফীরের কোন একটা বিদ্যমান রয়েছে এবং আমরা সেটা তাদের মাঝে বিদ্যমান রয়েছে বলে নিশ্চিত হতে পারি- তাহলে আমরা তাদেরকে তাকফীর করবো না। তবে যদি মানেয়ে তাকফীর দূর হয়ে যায় আর এরপরও তারা বাহিনীতে থাকে তাহলে সুনিশ্চিতভাবে কাফের হয়ে যাবে। আর যদি বাহিনী থেকে বের হয়ে যায় তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে নাজাত দিয়ে দিলেন। আমাদের কাছে এটাই পছন্দনীয়। আর যদি তাদের মাঝে কোন মানেয়ে তাকফীর রয়েছে বলে আমরা জানতে না পারি তাহলে তাদের ক্ষেত্রে মূল এটাই যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে কুফরী কাজে তাগুতদের সহযোগী। কাজেই তাগুত বাহিনীর হুকুম তাদের উপর বর্তাবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
    (الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا)
    (যারা ঈমান এনেছে তারা লড়াই করে আল্লাহর রাস্তায়। আর যারা কুফরী করেছে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে। কাজেই তোমরা লড়াই কর শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। নিশ্চয়ই শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল।)


    এ বিষয়ে যদি আরো দলীল প্রমাণ সহ বিস্তারিত দেখতে চান তবে আমি আপনাকে শায়খ সুলায়মান ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব রহ. লিখিত ‘আদ-দালায়িল ফী হুকমি মুআলাতি আহলিল ইশরাক’ কিতাবখানা চিন্তা-ফিকিরের সাথে পড়ার উপদেশ দেব। আপনার অনুরূপ প্রশ্নের জওয়াবেই তিনি কিতাবখানা লিখেছিলেন। লিখক তাতে মাজার এবং মানব রচিত কানুনের সংরক্ষকদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে এবং তাদের বাহিনীতে যোগ দেয় তাদের কাফের হওয়ার ব্যাপারে দলীল প্রমাণ জমা করেছেন। ওয়া বিল্লাহি তাআলাত্ তাওফীক!

    উত্তর প্রদানে: শায়খ আবুল ওয়ালীদ আল-মাকদিসি
    শরয়ী বিভাগ, মিম্বারুত তাওহীদ।





  • #2
    মাশাআল্লাহ! একটি সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন। অনেকের মনেই এ ব্যাপারে সন্দেহ ঘুরপাক খাচ্ছে। তাগুত বাহিনীর সদস্যরা হয়তো সরাসরি মুরতাদ, নয়তো মুরতাদের হুকুমে। তাদের সাথে মুরতাদের মতই আচরণ করা হবে।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ।
        দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

        Comment


        • #5
          প্রিয় আখি প্তিগুরুত্বপূর্ণ আলোচনা। আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন, আমি।
          #প্রিয় আখি বইটা কি বাংলা হয়েছে?? এই বইটা বাজারে পাওয়া যায়?
          #কোন ভাই যদি বইটার পিডিএফ করে দিতেন উত্তম হতো।
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            প্রিয় আখি অতিগুরুত্বপূর্ণ। আলোচনা। আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন, আমি।
            #প্রিয় আখি বইটা কি বাংলা হয়েছে?? এই বইটা বাজারে পাওয়া যায়?
            #কোন ভাই যদি বইটার পিডিএফ করে দিতেন উত্তম হতো। ন
            আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
            আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

            Comment


            • #7
              allhamdolilla vai boier lingta dile valo hoy

              Comment


              • #8
                http://www.al-oglaa.com/index.php?se...&SubjectID=118

                Comment


                • #9
                  ভাই এ গিয়ে যান,অাল্লাহ অাপনার কলমের বরকত দান করুন

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকাল্লাহ ভাই...

                    Comment

                    Working...
                    X