Announcement

Collapse
No announcement yet.

ফতোয়া ।। জালেম এবং ফাসেক শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে কি খারেজী ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ফতোয়া ।। জালেম এবং ফাসেক শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে কি খারেজী ?

    জালেম এবং ফাসেক শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে কি খারেজী ?


    কোন মুসলামনকে শুধু এই কারণে খারেজী আখ্যায়িত করা যে, সে জালেম এবং ফাসেক শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করাকে জায়েয মনে করে, তা সঠিক নয়। কেননা সালফে সালেহীন থেকে শুরু করে আজ শেষ যুগের আলেমরা এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিশেষ একদল আলেমগণ জালেম এবং ফাসেক শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে জায়েয মনে করেন। নিম্নে উলামায়ে্ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতামতগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

    ইমাম ইবনে হাযম আন্দালূসী রহঃ এর মতামতঃ

    “ আমরা ঐ সকল লোকদের কাছে প্রশ্ন করব, তোমরা ঐ সকল শাসকদের ব্যাপারে কী বলবে যারা নিজেদের স্বাধীনতাকে খৃষ্টানদের হাওলা করে দিয়েছে? খৃষ্টানরাই তাদের সাথী এবং তাদের বাহিনী। তারা (খৃষ্টানরা) মুসলিমদের উপর টেক্স বসায়। মুসলিম বাচ্চাদের উপর তরবারী চালায়। মুসলিম মেয়েদেরকে ধর্ষণ বৈধ করে দেয়। যে কোন মুসলিম নারী-পুরুষ বা বাচ্চা তাদের নজরে আসে তাকেই আঘাত করে। আর এ অবস্থায় এই সকল শাসক চুপ করে বসে তামাশা দেখতে থাকে। আবার সে নিজেকে মুসলিমও দাবী করে এবং নামাযও পড়ে?
    যদি তারা এত কিছু সত্ত্বেও এই সকল শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে জায়েয না বলে তাহলে তাদেরকে বলবোঃ এভাবে তো এসকল শাসকরা পুরো মুসলিম জাতীকেই খতম করে দিবে এবং মুসলিমরা একাকী হয়ে যাবে। অন্যদিকে কাফেররা শাসকের বন্ধু হয়ে যাবে।
    যদি ঐ সকল লোকেরা এই অবস্থাতেও ধৈর্য ধরাকে জায়েয বলে তাহলে তারা ইসলামেরই বিরোধিতা করছে। তারা ইসলাম থেকে বহির্ভূত। যদি তারা বলে এই সকল শাসকদের বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়ানো উচিত নয় তাহলে আমরা তাকে বলব, যদি শতাব্দীর পর শতাব্দী মুসলিমরা মার খেতে থাকে, তাদের নারীদেরকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়, তাদের ধন সম্পদ লুণ্ঠন করা হয় ( তাহলেও কী শাসকেদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা উচিত নয়) ??
    তথাপিও যদি সে বিদ্রোহ করতে বাধা দেয় তাহলে সে নিজের কথারই বিরোধিতা করছে। আর যদি সে বিদ্রোহকে ওয়াজিব না করে তাহলে আমরা তাকে প্রশ্ন করতেই থাকবো। এমনকি আমরা তাকে জিজ্ঞেস করবো যে, যদি একজন মুসলিমকে মেরে ফেলা হয়, একজন মুসলিম নারীকে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এক মুসলিমের ধন সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে যায় তাহলে তুমি কি করবে?
    যদি সে এই দুই অবস্থার মাঝে পার্থক্য করে তাহলে তার কথার মাঝে বৈপরিত্ব পাওয়া যায় এবং তার এই কথা দলীলহীন যা গ্রহনযোগ্য নয়। যদি সে বিদ্রোহকে সর্বাবস্থায় আবশ্যক মনে করে তাহলে সে হক্বের দিকে প্রত্যাবর্তন করলো।
    আমরা তাকে প্রশ্ন করবো, যদি কোন জালেম শাসক কোন লোকের স্ত্রী, মেয়ে বা ছেলেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় এবং তাদেরকে কোন পাপাচারে লিপ্ত হতে বলে তাহলে কী সেই মাজলুম লোকের জন্য (গোনাহ করে) শুধু নিজের জান বাঁচানোই উচিত? এটাতো এমন একটি বিষয় যা কোন মুসলিম করতে পারেনা। আর যদি বলে বিবি-বাচ্চাদের বাঁচানোর জন্য লড়াই করা উচিত তাহলে এটা হবে সঠিক এবং সত্য কথা। তদ্রুপ ভাবে অন্য মুসলিমদের জান মাল বাঁচানোর জন্যও লড়াই করা আবশ্যক।
    আবূ মোহাম্মাদ (রহঃ) বলেন, যদি সামান্য বিষয়েও জুলুম হয় তাহলে শাসকের সাথে এই বিষয়ে কথা বলা ওয়াজিব এবং তাকে বাধা দেওয়া আবশ্যক। যদি সে বিরত থাকে এবং হক্বের দিকে ফিরে আসে এবং যিনা, চুরি ইত্যাদির দন্ডবিধি কার্যকর করে তাহলে তার আনুগত্য থেকে বের হওয়া উচিত নয়। আর যদি এসকল ওয়াজিবাতকে বাস্তবায়ন করতে অস্বীকার করে তাহলে তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে তার স্থানে বসিয়ে ইমাম বানানো আবশ্যক।
    আল্লাহ তায়ালার বাণীঃ “সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না।” তাই ইহা শরয়ী ওয়াজিব সমূহ থেকে একটি ওয়াজিব।

    و الاهواء و النحل - لابن حزم الملل


    ইমাম কুরতুবী রহঃ এর মতামতঃ

    যখন ইমাম বা শাসক নিযুক্ত হয়ে যাওয়ার পর পাপাচারে লিপ্ত হয় তখন জমহুরের মতে তার নেতৃত্ব বাতিল হয়ে যাবে। তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে শাসক বানানো হবে, যদি সে প্রকাশ্য কোন ফিসকে লিপ্ত হয়ে থাকে। কেননা এই বিষয়টি প্রমাণিত যে, শাসক নিযুক্ত করা হয় মূলত হুদুদ বা দন্ডবিধি বাস্তবায়ন, হক্ব আদায়, এতিমের মাল সংরক্ষণ করা, অপরাধীদের প্রতি নজর রাখা ইত্যাদির উদ্দেশ্যে। সুতরাং যখন সে নিজেই ফাসেক হয়ে যাবে তখন সে এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে না।
    যদি আমরা ফাসেককে শাসক হিসাবে বহাল রাখাকে জায়েয করে দেই তাহলে যে উদ্দেশ্যে শাসক নিযুক্ত করা হয়েছে তা বাতিল হয়ে যাবে। এজন্য শুরুতেই ফাসেককে শাসনভার ন্যস্ত করা জায়েয নেই। কারণ এতে শাসক নিযুক্তির উদ্দেশ্য ভেস্তে যাবে।
    কিছু লোক বলে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত শাসক কুফুরী না করে বা নামায অথবা শরীয়তের অন্য কোন বিধান ছেড়ে না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে হটানো যাবে না। যার দলীল হলো উবাদা বিন সামেত রাঃ এর হাদীস যে, তোমরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে না যতক্ষণ না তার থেকে সুস্পষ্ট কুফর দেখ এবং তার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট দলীল থাকে। দ্বিতীয় হাদীসে বলা হয়েছে যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নামায কায়েম রাখে।
    উম্মে সালামা রাঃ থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে যে, তোমরা শাসক নিযুক্ত করবে যাদের কিছু বিষয় তোমাদের পছন্দ হবে আর কিছু অপছন্দ হবে। যে অপছন্দ করল সে মুক্ত। যে অস্বীকার করল সে নিরাপদ। আর (অপরাধ হবে) যে আনুগত্য করল এবং সন্তুষ্ট হলো। সাহাবায়ে কেরাম বললেনঃ আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো না? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নামায আদায় করে।(কুরতুবী- ১/২৮৬-২৮৭ পৃ

    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ

    لَا يَنَالُ عَهْدِي الظَّالِمِينَ [٢:١٢٤]
    আমার অঙ্গীকার অত্যাচারীদের পর্যন্ত পৌঁছাবে না।

    ইমাম কুরতুবী রহঃ এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ

    “ ইবনে খুয়াইয মিনদাদ রহঃ বলেনঃ যে কেউ জালেম হবে সে নবী হতে পারবে না, এমনকি খলীফা, শাসক বা মুফতীও হতে পারবে না। সে নামাযের ইমাম হবে না এবং তার কোন কথা গ্রহণ করা হবে না। বিধি-বিধানের ক্ষেত্রে তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। যতক্ষণ নিজের ফিসকের কারণে আহলে হল ও আক্বদ তাকে বহিস্কার করে। (কুরতুবী-২/১১৫)

    হাফেজ ইবনে হাজার রহঃ বলেনঃ

    ইবনুত তীন দাউদী থেকে বর্ণনা করেন যে, অত্যাচারী শাসকদের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের অভিমত হলো যে, যদি কোন ফেতনা এবং জুলুম ব্যতীত তাকে সরানো যায় তাহলে তাকে সরানো জরুরী এবং ওয়াজিব। অন্যথায় সবর করবে। কেউ কেউ বলেছেন ফাসেককে শাসনভার দেওয়াই জায়েয নেই। যদি শাসনভার পাওয়ার পর সে জুলুম করে তাহলে তাকে হটানোর ব্যাপারে ইখতেলাফ রয়েছে। সহিহ হলো বিদ্রোহ করা যাবে না। যতক্ষণ না তার থেকে সুস্পষ্ট কুফুর পাওয়া যাবে।” (ফাতহুল বারী-৮/১৩)

    ইমাম গাযালী রহঃ বলেনঃ

    “ জালেম শাসকের স্বাধীনতাকে বাধা দিতে হবে এবং সে অপসারণযোগ্য। শাসক হওয়ার উপযুক্ত নয়। ( ইহয়ায়ে উলুমিদ্দীন-২/১১১)

    আবুল উযায়ের রহঃ হুসাইন রাঃ এর বিদ্রোহের ব্যাপারে বলেনঃ

    “ (ফুকাহায়ে কেরামের কথায়) এই বিষয়টির সমর্থন আছে যা হুসাইন রাঃ ইয়াযিদের বিরুদ্ধে করেছিলেন এবং যা ইবনুল আশয়াস হাজ্জাজের সাথে করেছিলেন। জমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বিদ্রোহকে ইয়াযিদ এবং হাজ্জাজের সাথে খাস করে দিয়েছেন যে, এদের মতো জালেম এবং নিপিড়ন কারী শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যেতে পারে। জালেম শাসকদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ নিষিদ্ধ তা এই প্রকারের শাসক থেকে ভিন্ন। যার জুলুম ও ফাসাদ অনেক বেড়ে যায় যেমন, ইয়াযিদ এবং হাজ্জাজ। এই অবস্থায় কেউ এমন ব্যক্তিদের নের্তৃত্ব বৈধ হওয়ার কথা বলেন না। ( আর-রওজুল বাসেম)

    তারীখে বাগদাদে বর্নিত আছেঃ

    ইমাম আবূ হানিফা রহঃ এর মত হচ্ছে জালেম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা উচিত। যেমন ইমাম আবূ ইসহাক আল ফাযারী রহঃ ইমাম আবূ হানিফা রহঃ কে বলেছেন, আপনার ভিতর আল্লাহ তায়ালার ভয় নেই। কেননা আপনি আমার ভাই ইব্রাহীম ( বিন আব্দুল্লাহ বিন হাসান) এর সাথে বিদ্রোহে একমত হয়েছেন এবং তাকে উৎসাহিত করছেন। আবূ হানিফা রহঃ বলেন,“ যদি সে বদরে মারা যেত তাহলে (কী হতো)? আল্লাহর শপথ, আমার নিকট এটা বদরে সুগরা।” (তারীখে বাগদাদ)

    ইমাম জাসসাস রাহ; বলেনঃ

    ইমাম আবূ হানিফা রহঃ এর প্রসিদ্ধ মাযহাব হলো জালেম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা উচিত। ( আহকামুল কুরআন)

    ইবনুল উযায়ের রাহ; লিখেছেনঃ

    “ ইবনে হাযম রহঃ আবূ বকর বিন মুজাহিদের উপর এজন্যই মুরতাদ সাব্যস্ত করেছেন যে, তিনি জালেমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকে হারাম বলেছেন। ইবনে হাযম রাহঃ তাকে মুরতাদ বলে ফতুয়া দিয়েছেন এবং দলীল স্বরুপ তিনি ইয়াযিদের বিরুদ্ধে হুসাইন রাঃ এর বিদ্রোহ এবং হাজ্জাজের বিরুদ্ধে ইবনুল আশয়াসের কথা উল্লেখ করেছেন। তখন ইবনুল আশয়াস এর সাথে অনেক বড় বড় তাবেয়ীগনও ছিলেন।( আর রওজাতুল বাসেম)

    ইমাম ইবনে কাসীর রহঃ আহমাদ বিন নসর আল খোযায়ী রহঃ এর জীবনীতে লিখেছেনঃ

    “ আহমাদ বিন নসর রহঃ আলেম ছিলেন, দ্বীনদার, নেককার এবং মুজতাহিদ ছিলেন। তিনি আহলে সুন্নাহর ঐ সকল আলেমদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন যারা আমর বিল মা’রুফ এবং নাহি আনিল মুনকার করতে গিয়ে কুরআনকে মাখলুক দাবী কারী ওয়াসিক বিল্লাহ (তৎকালীন খলীফা) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন।”

    জালেম শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারী বড় বড় সাহাবী ও তাবেয়ীদের নামঃ

    আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের রাঃ, মুহাম্মাদ রাঃ, হাসান বিন আলী রাঃ এবং অন্যান্য আনসার এবং মুহাজির সাহাবায়ে কেরাম, হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ সহ অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম যারা হাজ্জাজ বিন ইউসুফের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে লিপ্ত ছিলেন।

    তাবেয়ীদের থেকে আছেন আব্দুর রহমান বিন আবী লায়লা, সাঈদ বিন যোবায়ের, ইবনুল বুখতারী আত তায়ী, আতা আসসালেমী আযদী, হাসান বসরী, মালেক বিন দিনার, মুসলিম বিন বাশার, আবুল হাওরা, শা’বী, আব্দুল্লাহ বিন গালেব, উক্ববাহ বিন আব্দুল গাফের, উক্ববাহ বিন সাহবান, মাহান, মাতরাফ বিন মুগিরা বিন শু’বাহ, আবীল মায়াদ, হানযালা বিন আব্দুল্লাহ, তলাক বিন হাবীব, মাতরাফ বিন আব্দুল্লাহ, নসর বিন আনাস, আতা বিন আস সায়েব, ইবরাহীম বিন ইয়াযিদ আত তায়মী রহিমাহুমুল্লাহ সহ আরও অনেকেই ছিলেন।

    ফুকাহায়ে কেরাম থেকে এই বিষয়টি প্রমাণিত রয়েছে ইমাম আবূ হানিফা, হাসান বিন হাই, শরীক, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী এবং ইমাম দাউদ রহিমাহুমুল্লাহ সহ অন্যান্যরা ক্ষেত্রে।

    আমরা পুরাতন-নতুন অনেকের কথাই উল্লেখ করলাম যাদের কেউ কেউ অস্বীকার কারীদের বিরুদ্ধে ফতওয়াও দিয়েছেন এবং কেউ কেউ এমন ছিলেন যারা অস্বীকার কারীদের বিরুদ্ধে নিজে তরবারী নিয়ে বের হয়েছেন।

    এই পুরো আলোচনাটা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, জালেম এবং ফাসেকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকারীকে খারেজী বলে দেওয়াটা ঠিক নয়। যতক্ষণ না তার মাঝে খারেজীদের অন্যান্য আলামতগুলো দেখা না যাবে।

    বর্তমান বিশ্বের কোথাও জালেম বা ফাসেকের বিরুদ্ধে মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন না। যদিও আমাদের নিকট শরয়ীভাবে জালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধটা প্রমাণিত। মুজাহিদীনরা বর্তমানে মুরতাদ এবং আসলী কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন এবং এটা সম্পূর্ণ শরয়ী দলীলের ভিত্তিতেই করছেন।


    আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।

  • #2
    যাজাকুমুল্লাহ খাইরান। বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোচনা এসেছে।

    Comment

    Working...
    X