Announcement

Collapse
No announcement yet.

কে হবে সেই ভাগ্যবান যার কাজ হবে নবী রাসুলদের মত!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কে হবে সেই ভাগ্যবান যার কাজ হবে নবী রাসুলদের মত!

    বিসমিল্লাহ ওয়াস সালাতু আস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ –
    আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা সুরা ফুসসিলাতে বলেন,

    “কথায় ঐ ব্যাক্তি অপেক্ষা কে আর উত্তম যে মানুষ কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করে, এবং সৎ কাজ করে আর বলে আমি মুসলিমদের মধ্য থেকে একজন।

    আল্লাহ সুরা আলইমরানে বলেন, তোমরাই সর্বোত্তম উম্মত, মানব জাতির কল্যানের জন্য তোমাদের আবির্ভূত কর হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দাও আর অসৎ কাজ হতে নিষেধ কর ও আল্লাহর প্রতি ঈমান রক্ষা করে চল।

    আল্লাহ সুবহানাহুওতায়ালা যুগে যুগে নবী রাসুল প্রেরন করেছেন শুধু মাত্র একটি কাজের জন্য আর তা হচ্ছে – বিপথগামী মানুষ কে আল্লাহর দিকে আহ্বান করার জন্য। আল্লাহ কুরআন এ নবী রাসুলদের (আলাইহিমুস সালাম) বিভিন্ন বর্ণনায় নবীওয়ালা এই কাজের বর্ণনা দিয়েছেন। যেমন মুসা (আঃ) কে বলেছেন ফিরাউন এর কাছে গিয়ে আহ্বান করতে, নুহ (আঃ), ঈসা (আঃ), ইবরাহীম (আঃ), লুত (আঃ), হুদ (আঃ), সালিহ (আঃ), ইউনুস (আঃ), সব শেষে মুহাম্মাদ (সাঃ) পর্যন্ত সমস্ত নবী রাসুল দুনিয়াতে এসেছেন শুধু মাত্র একটি মিশন নিয়ে আর তা হচ্ছে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করা।

    মুহাম্মাদ সাঃ এর পরে আর কোন নবি/রাসুল আসবেনা। কিন্তু এই কাজ বন্ধ হবেনা, তাই এই কাজের জন্য আল্লাহ আমাদের কে মনোনীত করেছেন। প্রত্যেক যুগে সেই যুগের নবী বা রাসুলের মৃত্যুর পর তাদের উপরে নাজিল হওয়া কিতাব বা সহিফা বিলুপ্ত বা বিকৃত হয়ে গেছে। কিন্তু যেহেতু মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত কিয়ামত এর আগ পর্যন্ত এই দাওয়াতের কাজ চালিয়ে যাবে আল্লাহ আমাদের আমাদের কিতাব কুরআন কে সংরক্ষন করেছেন।

    উপরের দুটি উদাহরন দিয়ে আমি বুঝাতে চাইলাম যে, আই দাওয়াহ কাজের গুরুত্ব কত! নবী রাসুল গন আল্লাহর পক্ষ থেকে আদেশ প্রাপ্ত হয়ে যে কাজ করতেন, আল্লাহস এই একই কাজের জন্য আমাদের পছন্দ করেছেন, শুধু তাই নয় আমাদের কাজের জন্য আল্লাহর কিতাব কেও আল্লাহ নিজে সংরক্ষন করার দায়িত্ব নিয়েছেন। দুটি বর্ণনা থেকে একথা স্পষ্ট ভাবে প্রমান হয়ে যায় যে, দাওয়াহ ইলাল্লাহ হচ্ছে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আমাদের জন্য খাস কাজ! এই কাজের গুরুত্ব, সম্মান আর মর্যাদা বুঝিয়ে বলা মুশকিল! শুধু এত টুকু বুঝে আসলেও যথেষ্ট যে শুধু মাত্র এই কাজের জন্য আল্লাহ নবী এবং রাসুলদের প্রেরন করেছেন।

    দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর মত উত্তম কাজ আর কি হতে পারে, এটা তো স্বয়ং আল্লাহই বলছেন। সুতরাং এই কাজের সম্মানের ব্যাপারে তো কোন সন্দেহ নাই। তাই দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর কাজে নিজের সাধ্যমত সময় শ্রম এবং মেধা ব্যাবহার করি। এই কাজে নিজের সমস্ত আন্তরিকতা উজাড় করে দেই। আপনি মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকছেন এর চেয়ে সম্মানের কিছু হতে পারে! আল্লাহ আপনাকে আমাকে এই কাজের অনুমতি দিয়েছেন, এই কাজের ব্যাপারে প্রশংশা করেছেন, সুতরাং এই কাজে নিজের সবটুকু মেহনত ঢেলে দেয়ার চেস্টা করা। আল্লাহ কবুল করুন।

    দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর মধ্যে যেমন তাওহিদ আছে, ঈমান আছে, আকিদাহ আছে, তেমনি জিহাদ আছে, শারিয়াহ আছে এবং আছে পরিপূর্ণ দ্বীন এর কায়েম অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনের পূর্ণ বাস্তবায়ন। এগুলোর কোন কিছুই দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর বাইরে নয়। এই জমিনের বুকে আল্লাহর দ্বীন কায়েম হবেই এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। আপনি কি এমন এমন সুযোগ হাতছাড়া করবেন যে একটা জমিনের বুকে আল্লাহর দ্বীন পরিপূর্ণ ভাবে কায়েম হবে আর সেখানে আপনার দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর সুযোগ ছিল! আল্লাহ কি আপনার দাওয়াহ কে দ্বীন কায়েমের জন্য কবুল করে তার পূর্ণ আজর দিতে পারেন না!

    আসলে আমরা দাওয়াহ এর মুল্যই বুঝতে পারিনা – দাওয়াহ হচ্ছে সেই কাজ যার জন্য নবী রাসুল রা এই দুনিয়াতে এসেছেন, হ্যা জিহাদ ও দাওয়াহ ইলাল্লাহ, এবং জিহাদ দাওয়াতু ইলাল্লাহ এর বাইরে না। তবে হ্যা এই দাওয়াহ কাজ মন মত করলে চলবেনা, মনগড়া গল্প কাহিনী বানিয়ে দাওয়াহ দেয়া যাবেনা। দাওয়াহ এর জন্য ইলম শর্ত। তাই দাওয়াহ এর আগে ইলম অর্জন করতে হবে। আবার ইলম অর্জন এর জন্য বসে থাকা যাবেনা, বরং ইলম অর্জন করতে হবে এবং সেই সাথে যে বিষয়ে আল্লাহ ইলম দান করেছেন তার উপরে দাওয়াহ কাজ জারি রাখতে হবে। যে বিষয়ে ইলম নাই সে বিষয়ে সরাসরি না বলে দিতে হবে। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর কাছে অনেক দূর থেকে এক লোক কিছু ফাতওয়া জানার জন্য এসেছিলো যার অধিকাংশর উত্তরে ইমাম আহমাদ (রহ) বলেছিলেন “আমি জানিনা” এই অবস্থায় সেই ব্যাক্তি টি বললো, আপনি যদি না জানেন তাহলে আমি আমার গোত্রের লোকদের কাছে গিয়ে কি বলবো? ইমাম আহমাদ রহঃ বলেছিলেন, “তুমি বলবে ইমাম আহমাদ বলেছে “আমি জানিনা” –

    দাওয়াহ এর মুল সফলতা হচ্ছে ইখলাস! আসলে সকল ইবাদতের সফলতাই ইখলাস। কয়জন কে দাওয়াহ দেয়া হচ্ছে এটা মুখ্য নয় বরং কার জন্য এবং কিভাবে দাওয়াহ দেয়া হচ্ছে সেটাই মুখ্য। নূহ (আঃ) ৯০০ বছর ধরে দাওয়াহ দিয়েছিলেন! আমরা হয়ত ৯ বছর ও ব্যয় করিনি।

    নিজের দাওয়াহ কাজ প্রকাশ করা উচিৎ নয়, নিজে থেকে এমন বলা উচিত নয় আমি উমুককে দাওয়াহ দিচ্ছি, উমুক কে নিয়ে হালাকা করছি। এতে নিজের কাজের ব্যাপারে সন্তুষ্টি বা ফখর চলে আসতে পারে। (তবে নিয়মিত কাজের রিপোর্ট হিসেবে এমন বলা যেতে পারে ইনশাআল্লাহ) দাওয়াহ এর ব্যাপারে সবসময়ে বিনয়ী থাকা উচিৎ, হ্যা তবে কিছু ব্যাতিক্রম আছে যেখানে কঠিন হবার দরকার আছে।
    দাওয়াহ আলাদা কোন কাজ নয়, এটি আমাদের জিন্দেগীর সাথেই জড়িত। কুল ইন্না সলাতি, ওয়া নুসুকি, ওমাহ ইয়া ইয়া, ওয়ামা মাতি লিল্লাহি রব্বিল আলামিন –
    অর্থাৎ আমার সলাত, আমার ইবাদত আমার জীবন আমার মরন সব কিছুই আল্লাহর জন্য! সুবহানআল্লাহ – আমাদের জীবন আল্লাহর জন্য। ওমাহ ইয়া ইয়া, আমার পুরা হায়াত, আমার জিন্দেগী ই হচ্ছে আল্লাহর জন্য। অর্থাৎ আমার জিন্দেগীই হচ্ছে সলাত, ইবাদত এবং দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর জন্য। কারণ এটাই তো আল্লাহর পক্ষ থেকে কাজ। তাই বুঝা যায় যে দাওয়াহ আলাদা কোন বিষয় নয়, কারো জন্য খাস কোন কাজ নয়, বরং আমাদের জন্মের সাথে সাথেই দাওয়াহ আমাদের কাজ হিসেবে গন্য।

    সমস্ত প্রশংসা শুধু আল্লাহর জন্য।

    Last edited by s_forayeji; 05-24-2017, 06:23 PM.
    মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক কিংবা তারও বেশি

  • #2
    Jazakallahu khairan.
    সম্মান নেইকো নাচে গানে,
    আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

    Comment

    Working...
    X