Announcement

Collapse
No announcement yet.

কুফরে আমলী এবং কিছু বিভ্রান্তির নিরসন -৮

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কুফরে আমলী এবং কিছু বিভ্রান্তির নিরসন -৮

    ৪. একটি মহা সংশয়: নিরানব্বইটা কুফরী করলেও কাফের হয় না!


    আমাদের সমাজে ব্যাপকভাবে একটি সংশয় প্রচলিত যে, কেউ যদি নিরানব্বইটা কুফরী কাজ করে আর একটা কাজ ভাল করে তবুও তাকে কাফের বলা যাবে না, মুসলমানই বলতে হবে।


    এই সংশয়টা যে শুধু জনসাধারণের মাঝে প্রচলিত তাই নয়, অনেক তালিবুল ইলম এমনকি অনেক আলেমের মাঝেও বিদ্যমান। তারা মনে করে, কেউ যদি একশোর মধ্যে নিরানব্বইটা কাজই কুফরী করে আর একটা কাজ এমন করে যার দ্বারা বুঝা যায় যে, সে মুসলমান তবুও তাকে মুসলমানই বলতে হবে, কাফের বলা যাবে না।


    একবার এক তালিবুল ইলম এক মসজিদে ওয়াজ করলো যে, যারা সুদকে হারাম মনে করে, তবুও খায় তারা কাফের হবে না, তবে কবীরা গুনাহে লিপ্ত। আর যারা সুদকে হালাল মনে করে খায় তারা কাফের, চিরস্থায়ী দোযখী। যেহেতু মুসল্লীদের অনেকেই সুদখোর ছিল তাই ওয়াজটা তাদের কাছে ভাল ঠেকলো না। সম্ভবত কেউ কেউ উক্ত তালিবুল ইলমের বিরুদ্ধে প্রভাবশালী একজনের কাছে নালিশও করলো। তখন উক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি সহ আরেকজন তালিবুল ইলম তাকে বুঝালো যে, এভাবে ওয়াজ করা উচিৎ নয়। কারণ, একেতো এতে সমাজের মানুষ বিরুদ্ধে চলে যাবে, আরেকতো কথা হলো, কেউ নিরানব্বইটা কুফরী করলে আর একটা ঈমানী কাজ করলেও তাকে কাফের বলা যাবে না। তাহলে শুধু সুদকে হালাল মনে করলে কাফের কিভাবে বলা হবে??



    এই হলো আমাদের সমাজের ঈমান আকীদার হালত। যে বিষয়গুলো প্রতিটি মুমিনের জানা থাকার কথা ছিল তা আজ শতে হাজারেও একজনে জানে না। ফা ইলাল্লাহিল মুশতাকা…।



    সংশয়টা সৃষ্টি হলো কোত্থেকে?

    প্রথমত কথা হলো, সংশয়টা শয়তান এবং তার আউলিয়ারা ছড়িয়েছে।
    দ্বিতীয়ত বলা যেতে পারে যে, সংশয়টা ফুকাহায়ে কেরামের একটা বক্তব্য থেকে সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা বলে থাকেন, যদি কোন একটা কথা বা কাজ এমন হয় যে, তার অনেকগুলো ব্যাখ্যা হতে পারে যার প্রত্যেকটা অনুযায়ীই উক্ত কথা বা কাজে লিপ্ত ব্যক্তি কাফের বলে সাব্যস্ত হয়, আর একটা ব্যাখ্যা এমনও হতে পারে যার মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে কুফর থেকে বাঁচানো যায়, তাহলে মুফতীর জন্য উচিৎ হলো উক্ত ব্যক্তিকে কাফের ফতোয়া না দেয়া।


    সম্ভবত উক্ত বক্তব্য থেকেই সংশয়টা ছড়িয়েছে যে, নিরানব্বইটা কুফরী কাজ করলে আর একটা ঈমানী কাজ করলেও কাফের হবে না, মুসলমানই থেকে যাবে।




    প্রকৃত ঘটনাটা কি?
    আসলে যারা ফুকাহায়ে কেরামের উক্ত বক্তব্য থেকে সংশয়ে পড়েছেন তারা ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্যটা বুঝতে ভুল করেছেন।

    প্রথমত: ফুকাহায়ে কেরাম একশো কিংবা অনেকগুলো কথা বা কাজ নিয়ে কথা বলছেন না, তাঁরা কথা বলছেন একটা কথা বা কাজ নিয়ে যার অনেকগুলো ব্যাখ্যা হতে পারে যার সবগুলো অনুযায়ীই উক্ত কথা বা কাজ কুফরের মধ্যে পড়ে, আর একটা ব্যাখ্যা এমনও করা সম্ভব যার মাধ্যমে উক্ত কথা বা কাজকে কুফরের অন্তর্ভুক্ত গণ্য নাও করা যেতে পারে।

    দ্বিতীয়ত: ফুকাহায়ে কেরামের উক্ত বক্তব্য হচ্ছে এমন ব্যক্তির ব্যাপারে যে উক্ত কথা বা কাজে লিপ্ত হয়েছে কিন্তু তার উদ্দেশ্য জানা যাচ্ছে না। অর্থাৎ সে কি কুফরী দিকগুলোর কোন একটা উদ্দেশ্য নিয়েছে, না’কি ঈমানী ব্যাখ্যাটা উদ্দেশ্য নিয়েছে তা জানা যাচ্ছে না।


    বিষয়টা আরেকটু খুলে বলি। উক্ত কথা বা কাজে লিপ্ত ব্যক্তির তাতে লিপ্ত হওয়ার দ্বারা কি উদ্দেশ্য ছিল সে ব্যাপারে তিনটা অবস্থা হতে পারে:

    এক. তার ব্যাপারে যদি নিশ্চিত জানা যায় যে, সে উক্ত কথা বা কাজের দ্বারা কুফরী দিকগুলোর কোন একটা উদ্দেশ্য নিয়েছে তাহলে সে নি:সন্দেহে কাফের।

    দুই. যদি জানা যায় যে, সে কুফরী দিকগুলোর কোনটাই উদ্দেশ্য নেয়নি বরং ঈমানী ব্যাখ্যাটাই উদ্দেশ্য নিয়েছে, তাহলে সে নি:সন্দেহে মুসলমান।

    তিন. আর যদি জানা না যায় যে, সে কোন ব্যাখ্যাটা উদ্দেশ্য নিয়েছে, তখন তার ব্যাপারে কি ফতোয়া দেয়া হবে? কাফের ফতোয়া দেয়া হবে, না’কি ঈমানদার ফতোয়া দেয়া হবে? যদি কুফরী ব্যাখ্যাগুলোর কোন একটা ধরা হয় তাহলে তো কাফের। আর যদি ঈমানী ব্যাখ্যাটা উদ্দেশ্য নেয়া হয় তাহলে মুমিন। ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, এমতাবস্থায় তাকে কাফের ফতোয়া দেয়া হবে না বরং ঈমানী ব্যাখ্যাটা ধরে তাকে মুমিনই ফতোয়া দেয়া হবে।

    কারণ,

    ১. সে ঈমানদার ছিল নিশ্চিত। এখন উক্ত কথা বা কাজের দ্বারা কাফের হয়েছে কি’না তা সন্দেহপূর্ণ। আর সন্দেহের দ্বারা নিশ্চিত ও ইয়াকীনি বিষয় দূর হয় না। কাজেই সে আগে যেমন মুমিন ছিল উক্ত কথা বা কাজের পরও তাকে মুমিনই ধরা হবে।
    ২. মুমিনের ব্যাপারে ভাল ধারণা করা শরীয়তের নির্দেশ। মুমিনের কথা বা কাজের যদি ভালো ব্যাখ্যা করা যায় তাহলে তার মন্দ ব্যাখ্যা করা হবে না। এখানে যেহেতু এক ব্যাখ্যা মতে তার উক্ত কথা বা কাজকে কুফর হওয়া থেকে এবং তাকে কাফের হওয়া থেকে বাঁচানো যায়, কাজেই সে এই ব্যাখ্যাই উদ্দেশ্য নিয়েছে বলে ধরা হবে।
    ৩. কোন মুসলমানকে কাফের বলা অতীব ভয়াবহ বিষয়। কাজেই কোন মতে যদি তাকে ঈমানের গন্ডির ভিতর রাখা যায় তাহলে কাফের বলা হবে না। এখানে যেহেতু এক ব্যাখ্যা মতে তাকে ঈমানদার রাখা যাচ্ছে এবং তার উদ্দেশ্য কি তা জানা যাচ্ছে না, কাজেই এই ব্যাখ্যাই গ্রহণ করে তাকে ঈমানদার ফতোয়া দেয়া হবে। তবে হ্যাঁ, সে যদি কুফর উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে তাহলে সে আল্লাহ তাআলার কাছে অবশ্যই কাফের বলে গণ্য হবে। আমাদের মুমিন ফতোয়া দেয়ার দ্বারা তার কোন ফায়েদা হবে না।


    এবার ফুকাহায়ে কেরামের বক্তব্য লক্ষ্য করি ইনশাআল্লাহ বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।


    ফাতাওয়া আলমগীরিতে বলা হয়েছে,
    إذا كان في المسألة وجوه توجب الكفر، ووجه واحد يمنع، فعلى المفتي أن يميل إلى ذلك الوجه كذا في الخلاصة في البزازية إلا إذا صرح بإرادة توجب الكفر، فلا ينفعه التأويل حينئذ كذا في البحر الرائق، ثم إن كانت نية القائل الوجه الذي يمنع التكفير، فهو مسلم، وإن كانت نيته الوجه الذي يوجب التكفير لا تنفعه فتوى المفتي، ويؤمر بالتوبة والرجوع عن ذلك وبتجديد النكاح بينه وبين امرأته كذا في المحيط.
    “যখন কোন মাসআলায় অনেকগুলো ব্যাখ্যা থাকে যেগুলো কুফরকে সাব্যস্ত করে আর একটা ব্যাখ্যা এমন থাকে যা কুফরকে প্রতিহত করে, তখন মুফতীর জন্য আবশ্যক হলো উক্ত কুফর প্রতিহতকারী ব্যাখ্যাটি অবলম্বন করা। ‘খোলাসা’তে এমনি বলা হয়েছে। তবে ‘বাযযাযিয়্যা’ [আরেকটু অতিরিক্ত] বলা হয়েছে যে, তবে যদি সে সুস্পষ্ট বলে দেয় যে, সে কুফর উদ্দেশ্য নিয়েছে তাহলে হিসাব ভিন্ন[ অর্থাৎ কাফের হয়ে যাবে]। তখন অন্য ব্যাখ্যা করা তার কোন উপকারে আসবে না। ‘আল-বাহরুর রায়েক’ এ এমনি বলা হয়েছে। অত:পর উক্ত কথায় লিপ্ত ব্যক্তির নিয়্যত যদি ঐ ব্যাখ্যাটি হয়ে থাকে যা কুফরকে প্রতিহত করে তাহলে সে মুসলমান। আর যদি ঐ ব্যাখ্যাটি উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে যা কুফরকে সাব্যস্ত করে তাহলে মুফতীর ভিন্ন ফতওয়া দেয়া তার কোন উপকারে আসবে না। তাওবা করে তা থেকে ফিরে আসতে এবং তার ও তার স্ত্রীর মাঝে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে আদেশ দেয়া হবে। ‘আল-মুহীত’ এ এমনি বলা হয়েছে।” (ফাতাওয়া আলমগীরিত: ২/২৮৩)


    এ বক্তব্য থেকে বুঝা গেল,

    ১. আলোচনাটা একটা কুফরী কথা প্রসঙ্গে, একশো বা নিরানব্বই কুফর প্রসঙ্গে নয়।
    ২. ব্যক্তি যদি সুস্পষ্ট বলে দেয় যে, সে কুফর উদ্দেশ্য নেয়নি বরং ঐ ব্যাখ্যাটি উদ্দেশ্য নিয়েছে যা কুফর নয়- তাহলে সে মুসলমান।
    ৩. আর যদি বলে যে, সে কুফর উদ্দেশ্য নিয়েছে তাহলে কাফের।
    ৪. কুফর উদ্দেশ্য নেয়ার পরও যদি মুফতী সাহেব ঘুরিয়ে কুফর প্রতিহতকারী ভিন্ন ব্যাখ্যাটি অবলম্বন করে তাকে মুসলমান ফতোয়া দেয় তাহলে এই ফতোয়া তার কোন উপকারে আসবে না। আল্লাহ তাআলার কাছে সে কাফের বলেই গণ্য হবে।
    ৫. আলোচনা হচ্ছে এমন কুফরী কথা প্রসঙ্গে যা কুফর হওয়াটা নিশ্চিত নয়, বরং তাতে দুই ধরণের অবকাশ আছে। কুফর হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কিন্তু যদি এমন কোন কুফরী কথা বলে বা কুফরী কাজ করে যা কুফর হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই তাহলে নিঃসন্দেহে কাফের হয়ে যাবে। সামনে আল্লামা শামী রহ. এর বক্তব্যে বিষয়টি আরোও স্পষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ।


    তিনি বলেন,
    ما تيقن أنه ردة يحكم بها وما يشك أنه ردة لا يحكم بها إذ الإسلام الثابت لا يزول بالشك مع أن الإسلام يعلو وينبغي للعالم إذا رفع إليه هذا أن لا يبادر بتكفير أهل الإسلام ... اهـ ما في جامع الفصولين. وفي الفتاوى الصغرى: الكفر شيء عظيم فلا أجعل المؤمن كافرا متى وجدت رواية أنه لا يكفر اهـ وفي الخلاصة وغيرها: إذا كان في المسألة وجوه توجب التكفير ووجه واحد يمنعه فعلى المفتي أن يميل إلى الوجه الذي يمنع التكفير تحسينا للظن بالمسلم. زاد في البزازية إلا إذا صرح بإرادة موجب الكفر فلا ينفعه التأويل ح وفي التتارخانية: لا يكفر بالمحتمل، لأن الكفر نهاية في العقوبة فيستدعي نهاية في الجناية ومع الاحتمال لا نهاية اهـ والذي تحرر أنه لا يفتى بكفر مسلم أمكن حمل كلامه على محمل حسن أو كان في كفره اختلاف ولو رواية ضعيفة ... اهـ
    “যেটির ব্যাপারে নিশ্চিত যে, তা কুফর- সেটিতে লিপ্ত হলে কাফের হয়ে গেছে বলে ফায়সালা দেয়া হবে। আর যেটির কুফর হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে যে, সেটিতে লিপ্ত হলে কাফের হয়ে গেছে বলে ফায়সালা দেয়া হবে না। কেননা, ব্যক্তির মুসলমান হওয়া যা সুনিশ্চিতভাবে সাব্যস্ত ছিল তা সন্দেহপূর্ণ বিষয়ের মাধ্যমে দূর হয়ে যাবে না। তাছাড়া ইসলাম তো সর্বদা বিজয়ী থাকে। … ‘জামিউল ফুসুলাইন’ এর বক্তব্য শেষ হল। ‘আল-ফাতাওয়াস সুগরা’ তে আছে, কুফর অত্যন্ত ভয়াবহ বিষয়। কাজেই কোন মুসলমানকে আমি কাফের হয়ে গেছে বলে ফতওয়া দেব না, যদি এমন কোন বর্ণনা পাই যে, সে কাফের হবে না। ‘খোলাসা’ সহ অন্যান্য কিতাবে আছে, যখন কোন মাসআলায় অনেকগুলো ব্যাখ্যা থাকে যেগুলো তাকফীরকে আবশ্যক করে আর একটা ব্যাখ্যা এমন থাকে যা তাকফীরকে প্রতিহত করে, তখন মুফতীর জন্য আবশ্যক হলো উক্ত কুফর প্রতিহতকারী ব্যাখ্যাটি অবলম্বন করা। কেননা, মুসলমানের ব্যাপারে ভাল ধারণা করা চাই। ‘বাযযাযিয়্যা’ তে এতটুকু অতিরিক্ত আছে যে, তবে যদি এমন ব্যাখ্যা সে উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে যা কুফরকে আবশ্যক করে তাহলে ঘুরিযে এর ভিন্ন ব্যাখ্যা করা তার কোন উপকারে আসবে না। ‘হালাবী’। ‘তাতারখানিয়া’তে বলা হয়েছে, এমন কিছুর দ্বারা তাকফীর করা হবে না যা ভিন্ন ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। কেননা, কুফর হচ্ছে সর্বোচ্চ শাস্তি যা সর্বোচ্চ অপরাধের বিনিময়ে বর্তাবে। আর যেখানে ভিন্ন ব্যাখ্যা হতে পারে সেখানে অপরাধ সর্বোচ্চ পর্যায়ের নয়। ‘তাতারখানিয়া’র বক্তব্য শেষ হল। মোটকথা, যদি মুসলমানের কথাকে ভালোর উপর প্রয়োগ করা যায়, কিংবা তা কুফর না হওয়ার ব্যাপারে কোন দুর্বল রিওয়ায়াতও থাকে তবুও তাকে কাফের ফতোয়া দেয়া হবে না।” (ফাতাওয়া শামী: ৪/২২৪, বাবুল মুরতাদ)


    আল্লামা শামী রহ. এর বক্তব্য পরিষ্কার। এখান থেকে আরো একটা বিষয় বুঝা গেল যে, যদি কোন কথা কুফর হওয়ার ব্যাপারে কোন দুর্বল মতভেদও থাকে তবুও এর দ্বারা তাকফীর করা হবে না। আর যা কুফর হওয়ার ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই তাতে লিপ্ত হলে কাফের হয়ে গেছে বলে ফতোয়া দেয়া হবে।



    মোটকথা, কাফের হওয়ার জন্য একটা কুফরই যথেষ্ট। ‘নিরানব্বইটা কুফর করলেও কাফের হবে না’ কথাটা যে সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন তাতে আশাকরি আর কোন সন্দেহ নেই।





    বি.দ্র-১: উপরোক্ত ক্ষেত্রে যদিও ঐ ব্যক্তিকে কাফের ফতওয়া দেয়া হবে না, তবে তাকে যথাযোগ্য শাস্তি দেয়া হবে এবং সতর্কতাবশত তার স্ত্রীর সাথে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে আদেশ দেয়া হবে। (ফাতাওয়া শামী: ৪/২৩০, বাবুল মুরতাদ)
    বি.দ্র.-২: উপরোক্ত আলোচনা হচ্ছে এমন ব্যক্তির ব্যাপারে যে একটামাত্র কুফরী কথা একবার মাত্র বলেছে। আর কুফরী কথাটাও এমন যা কুফর হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ আছে বা মতভেদ আছে। আর যারা যুগের পর যুগ ধরে অবিরাম সুস্পষ্ট কুফর করে যাচ্ছে তাদের ব্যাপারে উক্ত আলোচনা নয়।

    ***



  • #2
    বারাকাল্লাহু ফী কুল্লি আ'মালিক!
    বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহু খাইরান।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        জাজাকাল্লাহ
        আখি ফিল্লাহ!দারুল হরব নিয়ে আপনার সবগুলো লেখার পিডিএফ লিংক আমার খুবই প্রয়োজন।
        যদি লিংকগুলো দিতেন তাহলে দ্বীনের অনেক বড় উপকার হত।
        শামের জন্য কাঁদো.....

        Comment


        • #5
          দারুল আমানের প্রহসনের কবলে মুসলিম উম্মাহ!= http://docdro.id/TsRVFr4
          বর্তমান মুসলিম রাষ্ট্রগুলো দারুল হরব কেন? =
          http://docdro.id/aTVd8JB
          দারুল ইসলাম ও দারুল হরব প্রসঙ্গে মুফতী তাকি উসমানী সাহেব দা.বা. এর দাবির পর্যালোচনা = http://docdro.id/n5ryCFG

          Last edited by Ahmad Al-hindi; 05-26-2017, 12:17 PM.

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ। আপনার খেদমতগুলো আল্লাহ কবুল করুন।
            কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

            Comment


            • #7
              Originally posted by Taalibul ilm View Post
              মাশাআল্লাহ। আপনার খেদমতগুলো আল্লাহ কবুল করুন।

              আল্লাহ আপনি শাইখকে নিরাপদে রাখুন, আমিন।
              আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
              আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

              Comment


              • #8
                Originally posted by bokhtiar View Post
                আল্লাহ আপনি শাইখকে নিরাপদে রাখুন, আমিন।

                আমীন! আল্লাহ তাআলা সকল মুমিন ও মুজাহিদকেই নিরাপদ রাখুন!

                Comment

                Working...
                X