Announcement

Collapse
No announcement yet.

তারাবীর নামাযে কয়েকটি লক্ষ্যনীয় বিষয়!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তারাবীর নামাযে কয়েকটি লক্ষ্যনীয় বিষয়!

    আমাদের দেশে তারাবীর নামাযের উপর বড়ই জুলুম করা হয়। তাড়াহুড়া করে কোনমতে আদায় করে নেয়া হয়, যেন একটা জঞ্জাল মাথা থেকে সরানো হল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন! সুন্নত – মুস্তাহাব তো পরের কথা, অনেক ক্ষেত্রে ফরয ওয়াজিবের প্রতিই লক্ষ্য রাখা হয় না। এতে যে শুধু সওয়াব কমে যায় তাই না, বরং অনেক সময় সওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হয়ে যায়, এমনকি নামাযই হয় না।

    ত্রুটি তো অনেক; বলবো কয়টা। এখানে সংক্ষিপ্তাকারে কয়েকটা বিষয় উল্লেখ করা হল:
    ১. ইশা ও বিতরের নামাযে সুন্নত কেরাত পড়া চাই। তারাবীর কারণে তাড়াহুড়া করে মাগরীবের কেরাত দিয়ে ইশা ও বিতর না পড়া চাই।
    ২. ইশার ফরযের পর দুই রাকাআত সুন্নত ধীরে স্থিরে পড়া চাই।
    ৩. তারাবীহ্ সহ সকল নামাযে তাকবীরে তাহরীমা বলে দাঁড়ানোর পর ইমামের জন্য সানা এবং আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়া এবং মুক্তাদিদের জন্য শুধু সানা পড়া সুন্নত। কিন্তু তারাবীর নামাযে এর প্রতি কোনই খেয়াল রাখা হয় না। আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়েই আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন… পড়া শুরু করে দেয়া হয়। এমনটা না করা চাই।
    ৪. প্রথম রাকাআত শেষ করার পর দ্বিতীয় …তৃতীয় … চতুর্থ সকল রাকাআতেই সূরা ফাতিহার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়তে হয়। কিন্তু তারাবীর নামাযে এর কোন খেয়ালই করা হয় না। প্রথম রাকাআত শেষ করে দাঁড়িয়েই আলহামদু লিল্লাহ… পড়তে শুরু করে।
    ৫. নামাযের ওয়াজিব ফরযগুলোর প্রতি খেয়াল রাখা চাই। তাড়াহুড়ার কারণে কোন ওয়াজিব-ফরয ছুটে গেলে তো নামাযই হবে না।
    ৬. কেরাত এমনভাবে পড়া চাই যেন বু্ঝে আসে।
    ৭. সূরা ফাতিহার সাত আয়াতের প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা নি:শ্বাসে পড়া চাই। সম্পূর্ণ সূরা এক দমে না পড়া চাই।
    ৮. শেষ বৈঠকে অন্তত তাশাহুদ এবং দুরূদ শরীফ পড়তে হবে। মুসল্লীগণ বিরক্ত হওয়ার আশঙ্খা থাকলে দোয়া মা’ছূরা না পড়লেও চলবে। কিন্তু তাশাহুদ এবং দুরূদ শরীফ ছাড়া যাবে না। দুরূদ শরীফ সুন্নত। বার বার সুন্নত ছেড়ে দিলে শুধু যে সওয়াব কম হবে তাই না, বরং গুনাহের পর্যায়েও পৌঁছে যাবে।
    আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমল করার তাওফীক দান করুন।

  • #2
    বিশেষ করে এতো তাড়াতাড়ি ক্বিরাত পড়ে যে, কি পড়ে ইমামই শুধু একাই বুঝতে পারে।পুরাই 4g speed.

    Comment


    • #3
      jazakallah, vai

      Comment


      • #4
        জাজাকাল্লাহ আখি,
        হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তওফিক দান করুন| আমীন....

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহু আহসানাল জাযা। আল্লাহ আপনার মেহনতকে কবুল করুন, আমিন।
          প্রিয় শাইখ, কিছু জানার ছিলো। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন, আমিন।
          #নামাযের তকবিরে উলা পাওয়ার জন্য অজুতে সুন্নত ছাড়া যাবে কি না?
          # ফরজ নামাযের ৩য় ও ৪র্থ রাকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে সূরা ফাতিহা ছেড়ে দেওয়া যাবে কি না? ছেড়ে দিলে কোনো সমস্যা হবে?
          #নিয়ত কি মুখে উচ্চারণ শর্ত? নাকি মনে মনে কোন নামায পড়ছি, তা নির্ধারণ করলেই চলবে?
          প্রিয় শাইখ, উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
          আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
          আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            # ফরযের তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাআতে সূরা ফাতিহা পড়া সুন্নত; আবশ্যক নয়। ফাতিহা না পড়ে একবার/তিনবার তাসবীহ পড়লেও চলবে। তবে ফাতিহা পড়ে নেয়াই উত্তম। আর কোন জরুরতে ফাতিহা না পড়ে তাসবীহ পড়লেও সতর্কতাবশত তিন তাসবীহ পড়াই ভাল।
            # নিয়্যত বলা হয় অন্তরের দৃঢ় ইচ্ছাকে। মুখে উচ্চারণ করার নাম নিয়্যত নয়। নামাযে নিয়্যত শর্ত হওয়ার অর্থ- মনে মনে থাকা যে আমি অমুক ওয়াক্তের ফরয/ওয়াজিব/সুন্নত নামায পড়ছি। এতটুকুই যথেষ্ট। মুখে উচ্চারণ করতে হবে না। বাংলাতেও না, আরবীতেও না।
            অনেককে দেখা যায়, নামাযের নিয়ত উচ্চারণ করতে গিয়ে তাকবীরে উলা এমনকি প্রথম রাকাআত পর্যন্ত ছুটে যায়। তারা মনে করেন, মুখে নিয়্যত না করলে নামায হয় না।
            এটা মোটেও সঠিক নয়। নিয়্যত অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত, মুখের সাথে নয়। মনে মনে থাকাই যথেষ্ট। মুখে কিছু বলতে হবে না। মুখে বলতে যেয়ে তাকবীরে উলা কিংবা রাকাআত ফওত করে দেয়া কোনক্রমেই উচিৎ নয়। তবে যদি তাকবীরে উলা বা প্রথম রাকাআত না ছুটে এবং মুখে নিয়্যত করাকে আবশ্যক মনে না করে তাহলে আস্তে আস্তে মুখে নিয়্যত করে নিলেও অসুবিধা নেই। তবে এমনভাবে উচ্চারণ না করা চাই যে, পাশের ব্যক্তির ব্যাঘাত ঘটে।
            # অজুর শুধু ফরযগুলো আদায় করে নিলেই সে অজু দিয়ে নামায হয়ে যাবে। তবে সুন্নত মুস্তাহাব আদায় করেই অজু করা উচিৎ। হাদিসে এ ব্যাপারে তাগিদ এসেছে।
            তাকবীরে উলা ধরার জন্য অজুর সুন্নত ছাড়াটা ভাল হবে কি’না আমার জানা নেই। তাকবীরে উলা মুস্তাহাব/সুন্নত। এক সুন্নত ধরার জন্য আরেক সুন্নন না ছাড়ারই নিয়ম। কেননা, যেটা ধরতে যাবেন সেটা যা ছাড়ছেন তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া চাই। উভয়টা সমান হলে একটা ছেড়ে আরেকটা ধরার মাঝে কোন ফায়েদা নেই। তবে তাকবীরে উলার যেহেতু ফজিলত অনেক, তাই এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কিছু হবে কি’না বলতে পারছি না। অন্য কারো কাছ থেকে জেনে নিন।

            Comment

            Working...
            X