Announcement

Collapse
No announcement yet.

সম্মানিত ভাইয়েরা আমার মায়ের করা কিছু প্রশ্ন???? ভাইদের উত্তর আশা কামনা করছি....

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সম্মানিত ভাইয়েরা আমার মায়ের করা কিছু প্রশ্ন???? ভাইদের উত্তর আশা কামনা করছি....

    ১. আমরা তো জানি যে, রমযানে মৃত ব্যক্তি কবরের আযাব থেকে মাফ দেওয়া হয়, তাহলে যারা রমযানে মরা যায় তাদের ক্ষেত্রে কেমন করার হবে ? যখন তাদেরকে কবরে রাখা হয় তখন তো আমরা জানি মৃত ব্যক্তিক ফেশেতাদ্বয় এসে তাকে প্রশ্ন করে থাকে তারপর তার ঠিকানা সে পতিত হয়, তাহলে এখানে যারা রমজানে মারা যাবে তাদের তখন কি অবস্থা হবে ? তাদের কি প্রশ্ন করা হবে না ? নাকি, প্রশ্ন করা হবে ? যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে তার জন্য কখন থেকে সে তার শাস্তি উপভোগ করতে থাকবে ?
    ২. আল্লাহ তা’আলা কাফেরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন বা যারা গুনাহ করে থাকে তাদের শাস্তি দিয়ে থাকেন, তো শাস্তি যখন দেন তখন কি শাস্তি হয় সেই ব্যক্তির শরীরের উপর নাকি তার রুহের উপর? যদি রুহের উপর হয় তাহলে যে আল্লাহ তা’আলা আবার কিয়ামতের দিন পুনরায় মানুষকে সৃষ্টি করবেন বা মানুষকে পুনরায় উত্থাপন করবেন তো সেখানে আল্লাহ তা’আলা মানুষ আকারে সৃষ্টি করবেন ? তাহলে কিসের জন্য আল্লাহ তা’আলা রুহকে আযাব দিবেন ?
    ৩.
    একটি কথা প্রচলিত আছে যে, যারা শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করবে তারা জান্নাতি এ কথাটি কতটুকু সত্য ? যদি জান্নাতি হয় তাহলে যারা নামায পড়ে না, সুদ, ঘোস এবং অন্যায় কাজ করে থাকে তাদের কেমন প্রতিদান হবে ?

    ৪. নামাযে যখন আমরা শেষের বৈঠকে বসি তখন আমরা তাশাহুদ, দরুদে ইবরাহি, দো’আয়ে মাসুরা পড়ি তারপর সালাম ফিরায় তো আমরা যে সালাম ফিরায় বা দেয় , সেই সালাম কাদের দেওয়া হয় ?
    ৫.
    যারা নামায-রত অবস্থায় মারা যায় তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ কি ব্যবস্থা রয়েছে? যখন তারা অন্যায় কাজও কিছু কিছু করত । আর যদি ভালো কাজ করে থাকে তাহলে তাদের অবস্থা কেমন হবে?

    ৬. যারা ঈদের দিনে মারা যাবে তাদের অবস্থা কোথায় থাকবে ? প্রচলিত এমন যে, তারা জান্নাতে থাকবে ।
    Last edited by গাযওয়াতুল হিন্দ; 06-10-2017, 12:41 AM.

  • #2
    আল্লাহ তায়ালা সম্মানিত ওলামায়ে কেরামগন কে এই প্রশ্নাবলীর উপর দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ করে দিন আমিন।

    Comment


    • #3
      সম্মানিত ভাইয়েরা প্রশ্নগুলোর উত্তর দ্রুতই কামনা করছি ।

      Comment


      • #4
        ১. আমরা তো জানি যে, রমযানে মৃত ব্যক্তি কবরের আযাব থেকে মাফ দেওয়া হয়, তাহলে যারা রমযানে মরা যায় তাদের ক্ষেত্রে কেমন করার হবে ? যখন তাদেরকে কবরে রাখা হয় তখন তো আমরা জানি মৃত ব্যক্তিক ফেশেতাদ্বয় এসে তাকে প্রশ্ন করে থাকে তারপর তার ঠিকানা সে পতিত হয়, তাহলে এখানে যারা রমজানে মারা যাবে তাদের তখন কি অবস্থা হবে ? তাদের কি প্রশ্ন করা হবে না ? নাকি, প্রশ্ন করা হবে ? যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে তার জন্য কখন থেকে সে তার শাস্তি উপভোগ করতে থাকবে ?

        হয়তো প্রশ্নই করা হবে না তার অবস্থা অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম হবে।অথবা কোন সাস্তি হবেনা।একবার আযাব বন্ধ হয়ে গেলে আবার সাস্তি শুরু হয়ে যাওয়ার অস্বাভিক।

        ২. আল্লাহ তা’আলা কাফেরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন বা যারা গুনাহ করে থাকে তাদের শাস্তি দিয়ে থাকেন, তো শাস্তি যখন দেন তখন কি শাস্তি হয় সেই ব্যক্তির শরীরের উপর নাকি তার রুহের উপর? যদি রুহের উপর হয় তাহলে যে আল্লাহ তা’আলা আবার কিয়ামতের দিন পুনরায় মানুষকে সৃষ্টি করবেন বা মানুষকে পুনরায় উত্থাপন করবেন তো সেখানে আল্লাহ তা’আলা মানুষ আকারে সৃষ্টি করবেন ? তাহলে কিসের জন্য আল্লাহ তা’আলা রুহকে আযাব দিবেন ?
        দুনিয়াতে সাস্তি/সস্থি সরাসরি দেহ লাভ করে তার মাধ্যমে রূহে পৌছায়।কবরে সরাসরি রূহে পৌছবে আর তার মাধ্যমে দেহের বিচ্চছিন্ন অংশে পৌছাবে, আর আখেরাতের জীবনে দেহ রূহ একই সাথে সরাসরি সাস্তি বা শান্তি গ্রহন করবে যার কারণে দুনিয়ার চেয়ে কবরে এবং কবরের চেয়ে জান্নাত ও জাহান্নামে সাস্তি ও আরামের মাত্রা বেশি উপলব্ধি হবে।

        ৩. একটি কথা প্রচলিত আছে যে, যারা শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করবে তারা জান্নাতি এ কথাটি কতটুকু সত্য ? যদি জান্নাতি হয় তাহলে যারা নামায পড়ে না, সুদ, ঘোস এবং অন্যায় কাজ করে থাকে তাদের কেমন প্রতিদান হবে ?
        এটি একটি ফজিলত অর্থাৎ অতিরিক্ত দান, আর সব ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো মূল ঠিক থাকতে হবে। কোন গুনাহের কারণে তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত না হলে সে অবশ্যই আযাব থেকে নিরাপদ থাকবে এবং হয়তো কবরের প্রশ্ন ও করা হবে না।

        ৪. নামাযে যখন আমরা শেষের বৈঠকে বসি তখন আমরা তাশাহুদ, দরুদে ইবরাহি, দো’আয়ে মাসুরা পড়ি তারপর সালাম ফিরায় তো আমরা যে সালাম ফিরায় বা দেয় , সেই সালাম কাদের দেওয়া হয় ?
        ইমাম হলে ডান বাম দিকের মুক্তাদি ও কাধের ফেরেশ্তাদের , আর মুক্তাদি হলে ফেরেশ্তাদের এবং সেই পার্শের মুসল্লিদের এবং ইমাম যদি সেই দিকে থাকে তাকে আরএকাকি নামাজ আদায় কারি ফেরেশ্তাদেরকে সালামের নিয়ত করবে।
        ৫. যারা নামায-রত অবস্থায় মারা যায় তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ কি ব্যবস্থা রয়েছে? যখন তারা অন্যায় কাজও কিছু কিছু করত । আর যদি ভালো কাজ করে থাকে তাহলে তাদের অবস্থা কেমন হবে?
        শেষ অবস্থার হিসাবই চূড়ান্ত হিসাব, তদুপরি বাহ্যিক অবস্থা দেখে গায়েবের উপর ফায়ছালা করা ঠিক না, আল্লাহ ভালো জানেন কার দিলের হালত কি ছিল।
        ৬. যারা ঈদের দিনে মারা যাবে তাদের অবস্থা কোথায় থাকবে ? প্রচলিত এমন যে, তারা জান্নাতে থাকবে ।
        নিজেদের থেকে বলার কোন অবকাশ নেই। ওয়াল্লাহু আলাম।

        Comment


        • #5
          ১. আমরা তো জানি যে, রমযানে মৃত ব্যক্তি কবরের আযাব থেকে মাফ দেওয়া হয়, তাহলে যারা রমযানে মরা যায় তাদের ক্ষেত্রে কেমন করার হবে ? যখন তাদেরকে কবরে রাখা হয় তখন তো আমরা জানি মৃত ব্যক্তিক ফেশেতাদ্বয় এসে তাকে প্রশ্ন করে থাকে তারপর তার ঠিকানা সে পতিত হয়, তাহলে এখানে যারা রমজানে মারা যাবে তাদের তখন কি অবস্থা হবে ? তাদের কি প্রশ্ন করা হবে না ? নাকি, প্রশ্ন করা হবে ? যদি প্রশ্ন করা হয় তাহলে তার জন্য কখন থেকে সে তার শাস্তি উপভোগ করতে থাকবে ?

          হয়তো প্রশ্নই করা হবে না তার অবস্থা অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম হবে।অথবা কোন সাস্তি হবেনা।একবার আযাব বন্ধ হয়ে গেলে আবার সাস্তি শুরু হয়ে যাওয়ার অস্বাভিক।

          ২. আল্লাহ তা’আলা কাফেরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন বা যারা গুনাহ করে থাকে তাদের শাস্তি দিয়ে থাকেন, তো শাস্তি যখন দেন তখন কি শাস্তি হয় সেই ব্যক্তির শরীরের উপর নাকি তার রুহের উপর? যদি রুহের উপর হয় তাহলে যে আল্লাহ তা’আলা আবার কিয়ামতের দিন পুনরায় মানুষকে সৃষ্টি করবেন বা মানুষকে পুনরায় উত্থাপন করবেন তো সেখানে আল্লাহ তা’আলা মানুষ আকারে সৃষ্টি করবেন ? তাহলে কিসের জন্য আল্লাহ তা’আলা রুহকে আযাব দিবেন ?
          দুনিয়াতে সাস্তি/সস্থি সরাসরি দেহ লাভ করে তার মাধ্যমে রূহে পৌছায়।কবরে সরাসরি রূহে পৌছবে আর তার মাধ্যমে দেহের বিচ্চছিন্ন অংশে পৌছাবে, আর আখেরাতের জীবনে দেহ রূহ একই সাথে সরাসরি সাস্তি বা শান্তি গ্রহন করবে যার কারণে দুনিয়ার চেয়ে কবরে এবং কবরের চেয়ে জান্নাত ও জাহান্নামে সাস্তি ও আরামের মাত্রা বেশি উপলব্ধি হবে।

          ৩. একটি কথা প্রচলিত আছে যে, যারা শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করবে তারা জান্নাতি এ কথাটি কতটুকু সত্য ? যদি জান্নাতি হয় তাহলে যারা নামায পড়ে না, সুদ, ঘোস এবং অন্যায় কাজ করে থাকে তাদের কেমন প্রতিদান হবে ?
          এটি একটি ফজিলত অর্থাৎ অতিরিক্ত দান, আর সব ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো মূল ঠিক থাকতে হবে। কোন গুনাহের কারণে তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত না হলে সে অবশ্যই আযাব থেকে নিরাপদ থাকবে এবং হয়তো কবরের প্রশ্ন ও করা হবে না।

          ৪. নামাযে যখন আমরা শেষের বৈঠকে বসি তখন আমরা তাশাহুদ, দরুদে ইবরাহি, দো’আয়ে মাসুরা পড়ি তারপর সালাম ফিরায় তো আমরা যে সালাম ফিরায় বা দেয় , সেই সালাম কাদের দেওয়া হয় ?
          ইমাম হলে ডান বাম দিকের মুক্তাদি ও কাধের ফেরেশ্তাদের , আর মুক্তাদি হলে ফেরেশ্তাদের এবং সেই পার্শের মুসল্লিদের এবং ইমাম যদি সেই দিকে থাকে তাকে আরএকাকি নামাজ আদায় কারি ফেরেশ্তাদেরকে সালামের নিয়ত করবে।
          ৫. যারা নামায-রত অবস্থায় মারা যায় তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ কি ব্যবস্থা রয়েছে? যখন তারা অন্যায় কাজও কিছু কিছু করত । আর যদি ভালো কাজ করে থাকে তাহলে তাদের অবস্থা কেমন হবে?
          শেষ অবস্থার হিসাবই চূড়ান্ত হিসাব, তদুপরি বাহ্যিক অবস্থা দেখে গায়েবের উপর ফায়ছালা করা ঠিক না, আল্লাহ ভালো জানেন কার দিলের হালত কি ছিল।
          ৬. যারা ঈদের দিনে মারা যাবে তাদের অবস্থা কোথায় থাকবে ? প্রচলিত এমন যে, তারা জান্নাতে থাকবে ।
          নিজেদের থেকে বলার কোন অবকাশ নেই। ওয়াল্লাহু আলাম।

          Comment


          • #6
            ১ নং প্রশ্নের উত্তর:আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞনে এমন হাদিস পাইনি যে,রমজানে কবরের আযাব বন্ধ করে দেওয়া হয়(কোন ভাইয়ের জানা থাকলে দয়াকরে জানাবেন)।
            তবে হাদিসে আছে যে,وغلقت أبواب النار
            অর্থাৎ ও জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।(এটি বিভিন্ন শব্দে বর্ণিত আছে)
            এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন,এর অর্থ হলো এমাসে চিন্তা-চেতনা গুণাহের থেকে সরে থাকা যে গুণাহ জাহান্নামে নিয়ে যায়।
            অন্যান্য মুহাদ্দসগণ কিছুবৃদ্ধি করে এ ধরণের ব্যাখ্যাই করেছেন কেউ কেউ আবার আসল অর্থেই প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু এ হাদিসের ব্যাখ্যায় কবরের আযাব বন্ধ হওয়ার ব্যাখ্যা আমি পাইনি।
            সুতরাং রমজানে মৃত্যুবরণ করলে যথানিয়মে প্রশ্ন করা হবে ও শাস্তিও তখন থেকেই শুরু হবে।

            ২ নং প্রশ্নের উত্তর:মৃতদের শাস্তি কিসের উপরে হবে দেহের নাকি রুহের এ ব্যাপারে মুসলিমদের ২ টি মাজহাব রয়েছে(এ ২ টি ছাড়া বাকিগুলো একেবারে বাতিল)
            একটি হলো কবরে শুধু রুহের উপর শাস্তি হবে,যখন কবর থেকে উঠবে তখন দেহ,রুহ উভয়ের উপর শান্তি ও শাস্তি হবে।
            ২য় মাজহাবটি হলো,মৃত্যুর পর মৃতব্যক্তি শাস্তি অথবা শান্তিতে থাকে আর এটি তার রুহ দেহ উভয়ে প্রাপ্ত হয়।শরীর থেকে রুহ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে শাস্তি অথবা নেয়ামত পেতে থাকে ও কখনো রুহ দেহের সাথে সম্পৃক্ত হয় এবং দেহ রুহের সাথে শাস্তি ও নেয়ামত প্রাপ্ত হয়।অতঃপর যখন কেয়ামত সংগঠিত হবে তখন রহগুলো দেহগুলোতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে ও তারা তাদের কবর থেকে বিশ্বজগতের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে উথ্থিত হবে।
            ২য় মাজহাবটি সালাফদের ও এটিই পছন্দনীয় মাজহাব।(বিস্তারিত রুহ নামক কিতাবের ৭০-৭১ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য)

            ৩ নং:হাদিসে এমন পাইনি যে,জুময়ার দিনে মৃত্যুবরন করলে জান্নাতে চলে যাবে।
            (তবে হাকিম তিরমিজি রহঃ এর ব্যাখ্যা দ্বারা এমনই বুঝা যায় তিনি এটিকে সৌভাগ্যের কারন ও মুমিন মুনাফিকের মাঝে প্রার্থক্য হিসেবে ও দাড় করিয়েছেন)
            বাকি এটি আছে যে,জুময়ার দিন বা রাতে মৃত্যুবরন করলে কবরের আযাব ও প্রশ্ন থেকে তাকে মুক্তিদান করা হবে। কোন কোন বর্ননায় আছে,শহীদের সীলযুক্ত অবস্থায় কেয়ামতের দিন উঠবে,আবার কোনটিতে আছে তার কোন হিসাবই হবেনা।আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি রহঃ বলেছেন,এব্যাপারে সহীহ কোন হাদিস নেই।বাকি সহীহ ধরে নেওয়া হলে এগুলো ঐব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে যে শুক্রবারেই মারা গেছে ঐব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবেনা যে মারা গেছে অন্যদিন কিন্তু দাফন করা হয়েছে শুক্রবারে।(আলআরফুশ শাযি)।ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ এর বর্ননা থেকে বুঝা যায় তিনিও হাদিসগুলোকে দুর্বল মনে করেন।
            এছাড়া আল্লামা সুয়ুতী রহঃ এর বর্ননা থেকে বুঝা যায় হাদিসটি গ্রহণযোগ্য। তিনি অনেকগুলো সুত্র পেশ করেছেন ও বলেছেন ইমাম তিরমিজি এটিকে হাসান বলেছেন।(কিন্তু ইমাম তিরমিজি হাসান বলেননি,সুয়ুতী রহঃ থেকে ভুল হয়ে গেছে)
            মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ ও সুয়ুতি রহঃ এর মতটিই পছন্দ করেছেন।
            কিন্তু সবচেয়ে ভালো হবে এখানে আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি রহঃ এর মতটি গ্রহণ করলেই। কারন এখানে যে অনেক সুত্র আছে এগুলোও অনেক দুর্বল।এগুলোর সাহায্যে হাদিসটিকে হাসান লিগাইরিহি সাব্যস্ত করা হয়েছে।কিন্তু এখানে একটি সমস্যা থেকে যায় হাদিসটি কিছু সুত্রে মাওকুফ ও কিছুসুত্রে মারফু(উসুল হলো একটাকে প্রাধান্য দেওয়া না হলে হাদিস বাতিল বলে সাব্যস্ত হবে)।।এ সমস্যায় কোনটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি।তদুপরি এখানে আছে কবরে তাকে প্রশ্ন করা হবেনা
            শক্তিশালী সহীহ হাদিসে আছে প্রশ্ন করা হবে এখন ঐহাদিস থেকে এরকমব্যক্তিকে খাস বা বাদ দিতে হলে শক্তিশালী হাদিসই দরকার(নয়তো শক্তিশালী রাবীর বিপরীত দুর্বলরাবীর বর্নিত হাদিসকে মুনকার হাদিস বলে,যা অগ্রহণযোগ্য) অথচ এ হাদিসটি দুর্বল যেগুলো এর সহায়তায় পেশ করা হয় সেগুলো অনেক দুর্বল(অনেক দু্ূর্বল হাদিস শাহেদরুপে পেশ করা যায়না)।বিস্তারিত
            তুহফাতুল আহওয়াযি,ও মিরকাত
            ৪ নং:এটির উত্তর আমিও মুরাবিত ভাইয়ের মতোই দিবো।
            ৫নং প্রশ্নের উত্তর:নামাজে মৃত্যুবরণ করার বিষয়টি একটি ভালো আলামত ধরা যেতে পারে ও জান্নাতের আশা করা যেতে পারে।বাকি এমন ব্যক্তির পরিণাম সম্পর্কে শরীয়তে আলাদা কোন ফজিলত বর্নিত নেই ও এ কারনে তার পুর্বের গুণাহ মাফ হয়ে যাবে এমনটি ও নয়।(শরীয়ত যে বিষয়ে বলেনি ঐ বিষয়ে আমরা কিভাবে বলতে পারি তার অবস্থা কি হবে?)বরং অন্যান্য মানুষের মতোই তার অবস্থা হবে আল্লাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে জান্নাত ও দিতে পারেন আবার তিনি ইচ্ছা করলে আযাব ও দিতে পারেন।
            ৬ নং প্রশ্নের উত্তর:এটি কোথাও পাইনি যে,ঈদের দিন মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতে চলে যাবে।শরিয়ত না বললে আমরাও বলতে অপারগ

            Comment


            • #7
              আল্লাহ আপনাদের উত্তম জাযা দান করুন। উত্তর গুলো পেয়ে আমার মা আনন্দিত হলেন।

              জাযাকাল্লাহ

              Comment

              Working...
              X