Announcement

Collapse
No announcement yet.

ঈদের সুন্নাহ সমুহ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ঈদের সুন্নাহ সমুহ

    ঈদের_সুন্নাহ্সমূহ
    মুসলিমদের ঈদ একটি পবিত্র ও ইবাদতের দিন। ঈদ কেবলই উৎসব নয়। ঈদ ইসলামের শি'আরের (নিদর্শন) একটি। সুতরাং ঈদকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এর সাথে পালন করা উচিত। ঈদ ওয়েস্টার্ন কালচার চর্চার দিন না, ঈদ গান-বাজনা ও পাপাচারে মত্ত হওয়ার দিবসও না। ঈদ কে আমরারা যেন ওয়ীদ (অভিশাপ) না বানিয়ে ফেলি।
    ঈদের দিন বেশ কিছু সুন্নত রয়েছে। আসুন জেনে নেই সেই সুন্নাতগুলো!
    ১. অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। [বায়হাকী, হাদীস নং-৬১২৬]
    ৩. গোসল করা। [ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩১৫, মুয়াত্তা মালেক ৬০৯]
    ৪. শরীয়তসম্মত সাজসজ্জা যেমন আতর ইত্যাদি ব্যবহার করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮]
    ৫. সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৪৮, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং -৭৫৬০]
    ৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা। [মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-৭৫৬০]
    ৭. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার আগে বেজোড় সংখ্যায় খেজুর খাওয়া, খেজুর না থাকলে মিষ্টি জাতীয় কিছু খেয়ে ইদগাহে যাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পর নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৩, তিরমিজী, হাদীস নং-৫৪২, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-১৬০৩]
    ৮. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। [আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৭]
    ৯. ঈদুল ফিতরে ঈদগাতে যাওয়ার পূর্বে সদকায়ে ফিতর আদায় করা। [দারাকুতনী, হাদীস নং-১৬৯৪, বুখারী ১৫১০]
    ১০. ঈদের নামায ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৫৬, আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৫৮]
    ১১. যে রাস্তায় ঈদগাতে যাবে, সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরা। [বুখারী, হাদীস নং-৯৮৬]
    ১২. পায়ে হেটে যাওয়া। [আবু দাউদ, হাদীস নং-১১৪৩]
    ১৩. ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাবার সময় আস্তে আসত্ এই তাকবীর পড়তে থাকাঃ
    اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
    তবে ঈদুল আযহায় যাবার সময় পথে এ তাকবীর আওয়াজ করে পড়তে থাকবে। [ সুরা বাকারা ১৮৫ মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১১০৫ বায়হাকী ৬১৩০]
    ঈদের আরো কিছু করণীয় বর্জনীয়ঃ
    ** দীর্ঘদিন পর কারো সাথে দেখা হলে মুয়ানাকা করা মুস্তাহাব। কিন্তু যার সাথে প্রায়ই সাক্ষাৎ হয়, ঈদ উপলক্ষে তার সাথে মুয়ানাকা অর্থাৎ কোলাকুলির বিধান নেই।
    ** ঈদের দিন কাউকে শুভেচ্ছা জানানোর পদ্ধতি হচ্ছে, "তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম" বলা।
    রাসুল (সা) এর সাহাবীরা যখন ঈদের দিন পরস্পর মিলিত হতেন তখন বলতেন "
    ﺗﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻨﺎ ﻭﻣﻨكم
    "(তাকাব্বালা ল্লাহু মিন্না ও মিনকুম) অর্থাৎ "আল্লাহ আমাদের এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের ইবাদাতসমূহকে কবুল করুন"
    ** ঈদ মোবারক’ বলে শুভকামনা প্রকাশ করা যদিও মুবাহ, কিন্তু তা একটি রসমের মতো হয়ে গিয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় যে, সালামের পরিবর্তে এই শব্দটাই ব্যবহার করা হয়। এটা উচিত না। আগে সালাম, তারপর শুভেচ্ছা!

    -শাইখ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
    (সংগৃহীত)
    বিজয় তো এসেই গেছে

  • #2
    জাযাকাল্লাহ খায়র।
    আনসার কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ।

    Comment


    • #3
      zajakallah
      বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ খাইর, ﺗﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻨﺎ ﻭﻣﻨﻛﻢ ইয়া আখি।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহু খাইরান ফিদ্দারাইনি।
          সম্মান নেইকো নাচে গানে,
          আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

          Comment


          • #6
            ওয়া আনতা ফাজাকাল্লাহ খাইরান
            বিজয় তো এসেই গেছে

            Comment

            Working...
            X