Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইয়াহুদীদের সাথে ভারতসরকারের এত গভীর ভালোবাসা কেন?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইয়াহুদীদের সাথে ভারতসরকারের এত গভীর ভালোবাসা কেন?

    আফগানিস্তান থেকে আরাকান পর্যন্ত ভূখন্ডটি হিমালয়ান উপমহাদেশ ।যদি ধরে নেয়া হয় যে, প্রথম মানব হযরত আদম আ.ভারতবর্ষেই অবতীর্ণ হয়েছিলেন তাহলে এটিই প্রথম মানববসতি ।যদিও বিবি হাওয়া আ.এর সাথে সাক্ষা ও জীবনযাপন করেছিলেন বিশ্বের আদি বসতি এবং সভ্যতার প্রথম সূতিকাগার মক্কা শরীফে ।ভারতবর্ষে তাঁর বংশধর হযরত নুহ আ.এর পর বিস্তৃত হয়।ইউরোপ মধ্যপ্রাচ্য সামের বংশধর, উপমহাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হামের বংশধর , আর দূরপ্রাচ্য ও চীন জাপান ইত্যাদিতে ইয়াফেসের বংশধর বিস্তার লাভ করে ।বলা হয়, হামেরই দুয়েক পুরুষ পরের দু’জন ব্যক্তির নাম সিন্দ ও হিন্দ ।যেমন, তাদের আরো নিচের কোন সন্তানের নাম বঙ্গ ।উপরোক্ত সাম, হাম, ইয়াফেস হযরত নুহ আ. এর সন্তান ।
    সে যাই হোক ভারতবর্ষে প্রচলিত তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতভিত্তিক ধর্ম কমপক্ষে সাত হাজার বছর পৃথিবীতে বর্তমান ছিল ।আরব মুসলমানরা ভারতবর্ষের নাম হিন্দুস্তান রাখেন ।হিন্দের অধিবাসীরাই হিন্দুস্তানী বা আহলে হিন্দ।প্রচলিত ভাষায় হিন্দু কোন ধর্ম নয় ।বর্তমানে ভারতবর্ষে যারা হিন্দু তারা মূলত সনাতন ধর্মের অনুসারী ।সনাতন ধর্ম অর্থ দ্বীনে হানিফ যা হযরত ইব্রাহীম আ.থেকে নতুন করে প্রাণ লাভ করে ।এর মূল কথাই হল তাওহীদ ।এক আল্লাহ্*র সামনে আনুগত্যের মস্তক ঝুকিয়ে দেয়া, নিজের ইচ্ছা ও আশা আল্লাহর সামনে মিটিয়ে দেয়া ।এ অবস্থার নাম ইসলাম ।এ আদর্শের অনুসারীর নাম মুসলিম ।
    গবেষণায় দেখা গেছে, অন্তত চার হাজার বছর আগে হযরত মুসা আ. এর অনুসারী কিছু লোক আসমানী শিক্ষা ও আদর্শ নিয়েই ভারতবর্ষে আসে ।এরা আফগানিস্তানের খায়বার হয়ে পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করে ।বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব, কাশ্মীর হয়ে তারা স্থান করে নেয় গোটা উত্তর প্রদেশে ।আরেক দল সমুদ্র পথে এসে দেবল , বম্বে, গোয়া, সুরাট, গুজরাটে ঘাটি গেড়ে বসে ।অন্য একটি দল দক্ষিণ ভারতের উপকুলীয় অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে ।ধীরে ধীরে আসমানী নির্দেশনা থেকে এদের উত্তরসূরীরা দূরে সরে যেতে থাকে ।এক দুই প্রজন্ম পর এরা ইসলাম ছেড়ে হিন্দের স্থানীয় সংস্কৃতি ধারণ করে এবং হাজার রকম রীতি-নীতি ও প্রবৃত্তির চাহিদা মিলিয়ে এক অদ্ভুত ধর্মাচার প্রবর্তন করে ।পাশাপাশি ভারতের আদিবাসিন্দাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সীমাহীন অত্যাচার ও শোষণের কৌশল প্রণয়ন করে এদেশের মালিক -মুখতার বনে যায় ।এরা ধর্মীয় প্রাধান্য ও বংশীয় কৌলীন্য বজায় রাখার জন্য নিজেদের হযরত ইব্রাহীম আ. এর অনুসারী বা বংশধর বলে পরিচয় দেয় ।বলে, তারা ব্রাহমন অর্থাৎ ইব্রাহীমের সন্তান বা অনুসারী , বাংলা বানানে ব্রাহ্মণ, ওরা নিজেদের আর্য বলেও গর্ব বোধ করে ।আর্য শব্দটি আরইয়া থেকে নির্গত ।এই মূল থেকেই ইরান ও আরিয়ান ।ভারতবর্ষে তাওহিদ রিসালাত ও আখেরাতভিত্তিক আদি ধর্ম বিনাশে এই পথভ্রষ্ট ব্রাহ্মণ্যবাদই একমাত্র দায়ী ।এরা বনী ঈসরাইলের একটি শাখা এবং অভিশপ্ত ইয়াহুদীদের আদি অংশ ।শিরক ও অপসংস্কৃতি, শোষণ ও অনাচারের প্রবক্তা ।বাংলাদেশের সকল মানুষ ছিল অনার্য ।ইসলামের আগমনের পূর্বে প্রথমে সনাতন ও পরে এরা বৌদ্ধ ধর্ম পালন করত ।এ দেশে দক্ষিণ ভারত থেকে ব্রাহ্মণরা এসে ব্যাপক গণহত্যার মাধ্যমে প্রায় নির্মূল করে দেয় ।অন্যদের অস্পৃশ্য বানিয়ে শোষণ করতে থাকে ।অবশেষে ইসলাম এসে এ দেশের মানুষকে মুক্তির পথ দেখায় ।পৃথিবীর জগন্যতম পথভ্রষ্ট সম্প্রদায় এই ভারতীয় ব্রাহ্মণব্রাহ্মণ্যবাদের বিপক্ষে বৌদ্ধ ধর্ম ছিল এক জলন্ত বিদ্রোহ ।বর্তমান বিকৃত বৌদ্ধ ধর্ম বাদ দিয়ে এর আদিরূপ খুঁজে বের করলে এর সাথে ইসলামের তেমন দূরত্ব দেখা যায় না ।


    👇👇 রণাঙ্গন মিডিয়া একটি জিহাদী মিডিয়া ।এর টেলিগ্রাম লিংক https://telegram.me /ronangon
    আরবী চ্যানেল টেলিগ্রাম চ্যানেল লিংক https://telegram.me/joinchat/AAAAAEOH4_vol2kvnJen4w

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই... গুরুত্বপূর্ণ তথ্য...
    "হক হকের জায়গায়
    সম্মান সম্মানের জায়গায়
    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

    Comment


    • #3
      প্রিয় আখি আপনাকে শুকরিয়া। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। লিখা চালিয়ে যাবেন আশা করি।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment

      Working...
      X