Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না?

    আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না?

    সমস্ত প্রশংসা জগত সমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্*র যিনি বান্দাদের ব্যাপারে সম্যক অবগত, যার সামানে আমাদের সবাইকে একদিন দাঁড়াতে হবে যখন মাঝখানে কোন ভাষান্তরকারীর দরকার হবে না, দাঁড়াতে হবে সমস্ত সৃষ্টির সম্মুখে, আর ঐ দিনের ভয়াবহতা এতটাই তীব্র ও কঠিন হবে যা শিশুকে বৃদ্ধ বানিয়ে ফেলবে, যেদিন মানুষ বিভক্ত হবে বিভিন্ন দলে । আর মু’মিনদের সম্মুখে ও ডানপার্শ্বে ছুটতে থাকবে জ্যোতি । আল্লাহ্* সুবাহানাহু তা’আলা বলেন-
    ييَوْمَ تَرَى الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ يَسْعَىٰ نُورُهُم بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِم بُشْرَاكُمُ الْيَوْمَ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ [٥٧:١٢]
    যেদিন আপনি দেখবেন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদেরকে, তাদের সম্মুখ ভাগে ও ডানপার্শ্বে তাদের জ্যোতি ছুটোছুটি করবে বলা হবেঃ আজ তোমাদের জন্যে সুসংবাদ জান্নাতের, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই মহাসাফল্য।

    মু’মিনদের এরূপ সফলতা দেখে মুনাফিকেরা সেদিন বলবে-
    انظُرُونَا نَقْتَبِسْ مِن نُّورِكُمْ [٥٧:١٣]
    তোমরা আমাদের জন্যে অপেক্ষা কর, আমরাও কিছু আলো নিব তোমাদের জ্যোতি থেকে।
    ارْجِعُوا وَرَاءَكُمْ فَالْتَمِسُوا نُورًا [٥٧:١٣]
    অতঃপর তাদেরকে বলা হবে-
    তোমরা পিছনে ফিরে যাও ও আলোর খোঁজ কর।
    এরপর যা হবে সে ব্যাপারে আল্লাহ্* সুবাহানাহু তা’আলা বলেন-
    فَضُرِبَ بَيْنَهُم بِسُورٍ لَّهُ بَابٌ بَاطِنُهُ فِيهِ الرَّحْمَةُ وَظَاهِرُهُ مِن قِبَلِهِ الْعَذَابُ [٥٧:١٣]
    অতঃপর উভয় দলের মাঝখানে খাড়া করা হবে একটি প্রাচীর, যার একটি দরজা হবে। তার অভ্যন্তরে থাকবে রহমত এবং বাইরে থাকবে আযাব।
    يُنَادُونَهُمْ أَلَمْ نَكُن مَّعَكُمْ ۖ قَالُوا بَلَىٰ وَلَٰكِنَّكُمْ فَتَنتُمْ أَنفُسَكُمْ وَتَرَبَّصْتُمْ وَارْتَبْتُمْ وَغَرَّتْكُمُ الْأَمَانِيُّ حَتَّىٰ جَاءَ أَمْرُ اللَّهِ وَغَرَّكُم بِاللَّهِ الْغَرُورُ [٥٧:١٤]
    তারা মুমিনদেরকে ডেকে বলবেঃ আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না? তারা বলবেঃ হ্যাঁ কিন্তু তোমরা নিজেরানিজেদেরকে বিপদগ্রস্ত করেছ। প্রতীক্ষা করেছ, সন্দেহ পোষণ করেছ এবং অলীক আশার পেছনে বিভ্রান্ত হয়েছ, অবশেষে আল্লাহর আদেশ পৌঁছেছে। এই সবই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রতারিত করেছে।
    فَالْيَوْمَ لَا يُؤْخَذُ مِنكُمْ فِدْيَةٌ وَلَا مِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا ۚ مَأْوَاكُمُ النَّارُ ۖ هِيَ مَوْلَاكُمْ ۖ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ [٥٧:١٥]
    অতএব, আজ তোমাদের কাছ থেকে কোন মুক্তিপন গ্রহণ করা হবে না। এবং কাফেরদের কাছ থেকেও নয়। তোমাদের সবার আবাস্থল জাহান্নাম। সেটাই তোমাদের সঙ্গী। কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তন স্থল।

    এখন আসুন আমরা এই আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা করি । আমরা কোন দলে আছি ? আমাদের উত্তর হয়ত এমনটাই হবে যে, “আমরা তো হক্ব দলের সাথে আছি, সঠিক মানহাযের উপর আছি ।” দেখুন উপরের মু’নাফিকেরাও কিন্তু ঈমান্দারদের সাথেই ছিল যেটা তারা নিজেরাই দাবি করছে যে, “আমরা কি তোমাদের সাথে ছিলাম না?” ঈমান্দারেরাও স্বীকার করছে তারা তাদের সাথে ছিল, কিন্তু!!!
    তারা প্রতীক্ষা করেছে, দেখতে চেয়েছে আসলে কি হয়? ঈমান্দারেরা কি শরীয়া প্রতিষ্ঠা করতে পারে, নাকি জেল-জরিমানা, ক্যারিয়ার, পরিবার সব হারিয়ে শান্ত হয়ে যায় অথবা তাগুতের হাতে নিহত হওয়ার মাধ্যমে নিজেদের ধ্বংস করে । এরা কিছু একটা বুঝার আগে ময়দানে নেমে পড়তে নারাজ অর্থাৎ কোন দিকের পাল্লা ভারী, এটা না বুঝে জিহাদে নামতে নারাজ । এজন্য যখনই ঈমান্দারদের পাল্লা কিছুটা ভারী হয়েছে তখন এদেরকে খুব এক্টিভ থাকতে দেখা গেছে । যখনই আল্লাহ্*র বান্দারা কিছু শাতিমকে জাহান্নামে পাঠিয়েছে তখনই এদের কণ্ঠস্বর উঁচু হতে শোনা গেছে । যেন এবার আর কাফিরদের রক্ষা নাই । অতঃপর আল্লাহ্* ঈমান্দারদের পরীক্ষা করতে চাইলেন, কিছু ভাই গ্রেফতার ও কিছু ভাই তাগুতের হাতে শাহদাত বরণ করলো । তখন এরা এদের বোল পাল্টিয়ে ফেলল । এরা তখন বড় বড় শায়খ সেজে বসল । আর মুজাহিদীনদের সমালোচনা এদের কন্ঠগুলো সরব হয়ে উঠলো । মনে হচ্ছে এবার এদের নিকট ওহী নাযিল শুরু হয়েছে । এর আগে এরা কিছুই জানত না । মুজাহিদীনদের এ ভুল, ঐ ভুল । এসবের মাধ্যমে তারা একটা সত্যকে আড়াল করতে চাইল, আর তা হলো তাদের নিফাক । কিন্তু আল্লাহ্*র সত্যনিষ্ঠ বান্দারা এই নির্বোধদের কথায় একটুও প্রভাবিত হলেন না । তারা আল্লাহ্*র প্রতিশ্রুতি উপর ভরসা করলেন । আল্লাহ্* সুবাহানাহু তা’আলা বলেন-

    مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ ۖ فَمِنْهُم مَّن قَضَىٰ نَحْبَهُ وَمِنْهُم مَّن يَنتَظِرُ ۖ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا [٣٣:٢٣]
    মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষা করছে। তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেনি।

    এই শ্রেণী হচ্ছে মুনাফিকদের সম্পূর্ণ বিপরীত । মুনিফিকেরা না এদিকে না ওদিকে । এরা দোটানায় দোদুল্যমান । আল্লাহ্* সুবানাহু তা’আলা তাদের ব্যাপারে বলেন–

    مُّذَبْذَبِينَ بَيْنَ ذَٰلِكَ لَا إِلَىٰ هَٰؤُلَاءِ وَلَا إِلَىٰ هَٰؤُلَاءِ ۚ وَمَن يُضْلِلِ اللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُ سَبِيلًا [٤:١٤٣]

    এরা দোদুল্যমান অবস্থায় ঝুলন্ত; এদিকেও নয় ওদিকেও নয়। বস্তুতঃ যাকে আল্লাহ গোমরাহ করে দেন, তুমি তাদের জন্য কোন পথই পাবে না কোথাও।

    যখনই আবার পাল্লা তাগুতের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে তখনই তারা ময়দান ছেড়ে ভেগেছে । আল্লাহ্* সুবাহানাহু তা’আলা সূরা বাকারাতে তাদের কত চমৎকার উপমায়ই না দিয়েছেন!!!-

    أَوْ كَصَيِّبٍ مِّنَ السَّمَاءِ فِيهِ ظُلُمَاتٌ وَرَعْدٌ وَبَرْقٌ يَجْعَلُونَ أَصَابِعَهُمْ فِي آذَانِهِم مِّنَ الصَّوَاعِقِ حَذَرَ الْمَوْتِ ۚ وَاللَّهُ مُحِيطٌ بِالْكَافِرِينَ [٢:١٩] يَكَادُ الْبَرْقُ يَخْطَفُ أَبْصَارَهُمْ ۖ كُلَّمَا أَضَاءَ لَهُم مَّشَوْا فِيهِ وَإِذَا أَظْلَمَ عَلَيْهِمْ قَامُوا ۚ وَلَوْ شَاءَ اللَّهُ لَذَهَبَ بِسَمْعِهِمْ وَأَبْصَارِهِمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ [٢:٢٠]
    আর তাদের উদাহরণ সেসব লোকের মত যারা দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ো রাতে পথ চলে, যাতে থাকে আঁধার, গর্জন ও বিদ্যুৎচমক। মৃত্যুর ভয়ে গর্জনের সময় কানে আঙ্গুল দিয়ে রক্ষা পেতে চায়। অথচ সমস্ত কাফেরই আল্লাহ কর্তৃক পরিবেষ্ঠিত।(১৯) বিদ্যুতালোকে যখন সামান্য আলোকিত হয়, তখন কিছুটা পথ চলে। আবার যখন অন্ধকার হয়ে যায়, তখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। যদি আল্লাহ ইচ্ছা করেন, তাহলে তাদের শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ছিনিয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ যাবতীয় বিষয়ের উপর সর্বময় ক্ষমতাশীল।(২০)

    তাওহীদের এই পতাকা বহন হচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ রাতে পথ চলার ন্যায় । যাতে আছে বন্দী হওয়া, নিহত হওয়ার ন্যায় আঁধার ও গর্জন, আছে বিজয় ও গনীমাহ লাভের মত বিদ্যুৎচমক । হ্যাঁ, এই মুনাফিকদের নিকট মু’মিনদের বিজয় লাভকে বিদ্যুৎচমকের মতই মনে হয় । তারা মনে করে এরা যেহেতু এত স্বল্প সংখ্যক সৈন্য ও সামান্য অস্ত্র নিয়ে বিজয় লাভ করছে, তাই এরা খুব পাওয়ারফুল । সুতরাং এদের সঙ্গ নেওয়া সেইফ এবং এর মাধ্যমে মুনাফেকীর ট্যাগ থেকেও বাঁচা যাবে । আবার যখন বিদ্যুৎচমক থেমে যায় তখন তারা থমকে দাঁড়ায় । তারা জানে না, মু’মিনেরা এই বিদ্যুৎচমকের উপর ভরসা করে না । তাদের ভরসা একমাত্র আল্লাহ্* যিনি ছাড়া তাদের আর কেউ নেই । তারা আল্লাহ্*কে নিয়ে সন্তুষ্ট আছে । তাদের সমস্ত শক্তির উৎস তাদের রব । আঘাত তাদের দুর্বল করে না, বরং মজবুত করে ।
    পক্ষান্তরে মুনাফিকদের অবস্থা হল-

    وَمِنَ النَّاسِ مَن يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَىٰ حَرْفٍ ۖ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ ۖ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَىٰ وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ [٢٢:١١]

    মানুষের মধ্যে কেউ কেউ দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জড়িত হয়ে আল্লাহর এবাদত করে। যদি সে কল্যাণ প্রাপ্ত হয়, তবে এবাদতের উপর কায়েম থাকে এবং যদি কোন পরীক্ষায় পড়ে, তবে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে ইহকালে ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত। এটাই প্রকাশ্য ক্ষতি ।

    এদের দ্বিতীয় যে সমস্যা সেটি হলো- সন্দেহ পোষণ করা । তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্* সুবাহানাহু তা’আলা বলেন-

    وَإِذْ يَقُولُ الْمُنَافِقُونَ وَالَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ مَّا وَعَدَنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ إِلَّا غُرُورًا [٣٣:١٢]

    এবং যখন মুনাফিক ও যাদের অন্তরে রোগ ছিল তারা বলছিল, আমাদেরকে প্রদত্ত আল্লাহ ও রসূলের প্রতিশ্রুতি প্রতারণা বৈ নয়।

    প্রতিদিন গ্রেফতার ও শাহদাতের খবর শুনে শুনে এরা হতাশ । তাদের অনেকে বলেই ফেলে- “মনে হয় না এদেশে শরীয়া কায়েম হবে” । তারা কাজের চাইতে ফলাফল নিয়ে বেশি চিন্তিত । অথচ আমাদের দায়িত্ব কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী আ’মাল করা আর ফলাফলের জন্য আল্লাহ্*র উপর ভরসা করা এবং তিনি যা নির্ধারণ করেন তাতে সন্তুষ্ট থাকা । কেননা প্রকৃত জ্ঞান একমাত্র আল্লাহ্*র তা’আলারই রয়েছে । তিনি জানেন, কিসে মঙ্গল আর কিসে অমঙ্গল নিহিত আছে । আর ফলাফলের ব্যাপারে আল্লাহ্* সুবানাহু তা’আলা তো বলেই দিয়েছেন- “শুভ পরিণাম কেবল মুত্তাকীদের জন্য ।”
    তিনি সুবাহানাহু তা’আলা বলেন-

    وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ [٣:١٣٩]

    আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।

    হ্যাঁ, বিজয় মু’মিনদের জন্যই, কোথাও আজ, কোথাও আগামীকাল । অতএব হে আল্লাহ্*র বান্দার ধৈয্য ধারণ করুণ । নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের বলেন, “তোমাদের পর আসবে সবরের দিন সমূহ । তখন যে ধৈয্যধারণ করে স্বীয় দ্বীনের উপর অটল থাকবে যে দ্বীনের উপর আমি তোমাদের রেখে যাচ্ছি তার বিনিময় হবে পঞ্চাশ গুন ।” সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন “এই পঞ্চাশ গুন তাদের মধ্যাকার লোকদের থেকে, না আমাদের থেকে ?” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বললেন, “তোমাদের থেকে ।” তাই সবর করুন । জাহান্নামীদের সবর কোন কাজেই আসবে না । তাই এখানে সবর করুন যার বিনিময় আছে ।

    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাল্লাম বলেন, “বিজয় হচ্ছে সবরের সাথে ।”

    আসলে এই যুদ্ধের জয়-পরাজয়ের হিসাব এত সহজ নয় যে, একটু দেখেই বলে দিবেন যে, এ পক্ষ বিজয়ী । বরং এটা অমীমাংসিত অবস্থায় চলতে থাকবে এবং ফাইনালি আল্লাহ্* মু’মিনদের বিজয় দেবেন । যারা একটু জিহাদের ময়দান ঘুরে দেখতে এসেছেন তারা বিষয়টা মাথায় রাখবেন । আর যারা সত্যিকার মুজাহিদ তাদের জানা উচিৎ এখন থেকে জিহাদই তাদের বাড়ীঘর । কাজেই বাড়ী যাওয়ার প্লান বাদ দেন ।
    পত্রিকার নিউজের উপর জরিপ করে জয় পরাজয় নির্ধারন করা বাদ দিন । আল্লাহ্*র কালামের উপর ভরসা করুন ।
    মুনাফিকদের তৃতীয় সমস্যা হলো অলীক আশার পিছনে বিভ্রান্ত হওয়া । এরা জিহাদের বাজারে মন্দাভাব দেখে অন্য বিজনেস ধরেছে । জিহাদের ময়দানে ঘুরতে এসে এদের ক্যারিয়ার, পরিবারে যেটুকু ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল এখন তারা তাতে মলম লাগাতে ব্যস্ত হয়েছে । এখন এরা দেখছে যে, তাদের দুনিয়াদার দোস্তরা তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে গিয়েছে । এসব এখন তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে । এখন এরা দুনিয়াতে জান্নাত গড়তে চাচ্ছে । আখেরাতের জান্নাতের জন্য অপেক্ষা করার ধৈয্য তাদের আর নেই । তারা এখন দুনিয়ার হুর নিয়ে ব্যস্ত আছে । অস্থায়ী দুনিয়াতে স্থায়ী জান্নাত বানানোর মিথ্যা আশা তাদেরকে অন্ধ করে দিয়েছে ।
    আল্লাহ্* সুবাহানাহু তা’আলা মু’মিনদেরকে সম্বোধন করে বলছেন-

    أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَن تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ وَمَا نَزَلَ مِنَ الْحَقِّ وَلَا يَكُونُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ ۖ وَكَثِيرٌ مِّنْهُمْ فَاسِقُونَ [٥٧:١٦]

    যারা মুমিন, তাদের জন্যে কি আল্লাহর স্মরণে এবং যে সত্য অবর্তীর্ণ হয়েছে, তার কারণে হৃদয় বিগলিত হওয়ার সময় আসেনি? তারা তাদের মত যেন না হয়, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেয়া হয়েছিল। তাদের উপর সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হয়েছে, অতঃপর তাদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশই পাপাচারী।

    اعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ قَدْ بَيَّنَّا لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ [٥٧:١٧]

    তোমরা জেনে রাখ, আল্লাহই ভূ-ভাগকে তার মৃত্যুর পর পুনরুজ্জীবিত করেন। আমি পরিস্কারভাবে তোমাদের জন্যে আয়াতগুলো ব্যক্ত করেছি, যাতে তোমরা বোঝ।

    হে আল্লাহ্* ! আপনি আমাদের মৃত অন্তরগুলোকে আবার জীবত করুন আপনার কুরআন দ্বারা ।

    হে আল্লাহ্* ! আপনি হেদায়াত দানের পর আবার পথভ্রষ্ট করবেন না । আপনি আমাদের অন্তরে আপনার রহমত দান করুন । নিশ্চই আপনি মহাদাতা ।

    সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওসাল্লাম ও তার পরিবর্গ এবং সাহাবাদের প্রতি ।

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ভাই।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ ভাই... অনেক ভালো লাগলো...
      "হক হকের জায়গায়
      সম্মান সম্মানের জায়গায়
      আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ৷উপকৃত পোষ্ট
        শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ ভাই।

          Comment

          Working...
          X