Announcement

Collapse
No announcement yet.

উম্মাহ ও মুজাহিদিন নিউজ- শুক্রবার , ১১ আগষ্ট ২০১৭ ইংরেজি, ২৭ শ্রাবণ ১৪২৪ বাংলা, ১৮ জিলকদ ১&#

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উম্মাহ ও মুজাহিদিন নিউজ- শুক্রবার , ১১ আগষ্ট ২০১৭ ইংরেজি, ২৭ শ্রাবণ ১৪২৪ বাংলা, ১৮ জিলকদ ১&#

    উম্মাহ ও মুজাহিদিন নিউজ- শুক্রবার , ১১ আগষ্ট ২০১৭ ইংরেজি, ২৭ শ্রাবণ ১৪২৪ বাংলা, ১৮ জিলকদ ১৪৩৮ হিজরি

    ফিলিস্তিন

    তুমি কি মনে কর তোমরা আমাদের দেশে এতকাল টিকে থাকতে পারবে?


    এক ফিলিস্তিনি যুবককে জায়োনিস্ট রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিচারক ২০০ বছরের জন্য কারাভোগের আদেশ দিয়েছিল, যুবকটি বিচারকের দিকে হেসে বলল “তুমি কি মনে কর তোমরা আমাদের দেশে এতকাল টিকে থাকতে পারবে?”






  • #2
    ফিলিস্তিন

    ফিলিস্তিন
    ইসরায়েলী ইয়াহুদী আল-আকসাকে অপবিত্র এবং জেরুজালেমের সম্পত্তির গুরুত্বপূর্ন নথিপত্র সমূহ চুরি করেছে।


    ফিলিস্তিনে গতকাল সকালে কমপক্ষে ৮৬ জন দখলবাজ ইসরায়েলী ইয়াহুদী পুলিশি প্রহরায় মসজিদ আল আকসায় প্রবেশ করে আল-আকসাকে অপবিত্র করে যায়।


    এদিকে জানা গেছে মসজিদ আল আকসা থেকে জেরুজালেমের সম্পত্তির গুরুত্বপূর্ন নথিপত্র সমূহ চুরি করে নিয়ে গেছে ইহুদীরা…..


    গতমাসে মসজিদ আল-আকসায় ইসরায়েলী আগ্রাসনের সময় সন্ত্রাসী ইসরায়েলীরা মসজিদ আল-আকসা থেকে জেরুজালেমের সম্পত্তি ও ওয়াক্ফ বিষয়ক দলিলপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। যা গতকাল দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
    জেরুজালেম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের চেয়ারম্যান হাসান কাছের জানান আল-আকসা বন্ধের সময় ইসরায়েলের সন্ত্রাসী বাহিনী যখন মসজিদ আল-আকসায় একা অবস্থান করছিল ওই সময় তারা আল-আকসার কক্ষসমূহ,লাইব্রেরী, পুরোনো নথিপত্র রাখার স্থান থেকে এসব দলিলদস্তাবেজ চুরী করে নিয়ে যায়।


    এই নথিপত্র চুরির মাধ্যমে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল জেরুজালেমের অাবাসন ও ওয়াক্ফকৃত ভূসম্পত্তি বিভাগের উপর তাদের কালো হাতের বিস্তার ঘটাতে যাচ্ছে,চেয়ারম্যান কাছের একে “সত্যিকারের এক দুর্যোগ” বলে অবিহিত করেন।


    হাসান কাছের অারো জানান এসব নথিপত্রে পুরোনো জেরুজালেম শহরের ৯০ভাগেরও বেশি সম্পত্তির গোপন বিবরণ ও সাক্ষ্যরসমূহ রয়েছে।














    Comment


    • #3











      Comment


      • #4
        ফিলিস্তিন
        অবরুদ্ধ গাজা উপকূলে ইসরায়েল বিমান হামলাঃ দুই মুসলমান আহত।



        ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপকূলে ইসরায়েল বিমান হামলা চালাচ্ছে। এখন পর্যন্ত হামলায় দুজন ফিলিস্তিনি মুসলিমের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।









        Comment


        • #5





          Comment


          • #6
            ইরাক


            ইরাক-সিরিয়ার অসহায় মুসলমানদের দুর্ভোগ দেখার বুঝি কেউ নেই!!!!



            ইরাক-সিরিয়ায় যুগের সবচে’ ভয়াবহ দুর্যোগ পার করছেন মুসলমানরা। আমেরিকা নেতৃত্বাধীন জোট ও শিয়াদের নির্মমতা থেকে নারী ও শিশু কেউই রক্ষা পাচ্ছে না। মুসলমানদের মাল সম্পদ যেভাবে পারছে, লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। যেন মুসলমানদের মানবাধিকার থাকতে নেই!

            শিশুটি বুশরা আল-হামিদান, সিরিয়ার দেইর এজরের আল-মায়েদিন শহরে আমেরিকা নেততৃত্বাধীন জোটের বিমান হামলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার।






            ইরাক‘এর তাল-আফারে আমেরিকান বিমান হামলার শিকার শিশুরা।









            Comment


            • #7
              অাজ দামেস্কের এইন তারমায় সন্ত্রাসী আসাদ/রাশিয়ার ৭ বার বিমান হামলা চালায়, এতে ১ জন নিহত ও ৪ জন আহত হন।

              Comment


              • #8


                সন্ত্রাসী আসাদ বাহিনী পূর্ব রাক্কার অাল-আস্তানা গ্রামের মুসলিমদের বাড়িঘর লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে।







                Comment


                • #9







                  Comment


                  • #10









                    Comment


                    • #11
                      বাংলাদেশ

                      শুধু কুরবানি নিয়ে-ই সরকারের এতো মাথাব্যাথা কেন???




                      আজকের দৈনিক যুগান্তর দেখুন-
                      প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আবারও সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রতি নির্দেশনা এসেছে-

                      ১) কোরবানির কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে
                      ২) সরকার নির্ধারিতস্থানে পশু জবাই করতে হবে
                      ৩) রাস্তায় কাউকে পশু জবাই করতে দেয়া হবে না।

                      তবে মিটিং এ তারা এও উল্লেখ করেছে-
                      গত ২ বছর তারা কোরবানি বিরোধী উদ্যোগ নিলেও সফল হয়নি। অর্থাৎ জনগণ তাদের বর্জন করেছে।
                      (http://www.jugantor.com/news/2017/08/08/146262/print)

                      একটা বিষয় চিন্তা করুন- বছরে ৩৬৫ দিন সরকার জনগণকে কোন সুবিধাটা দিয়েছে সরকার-প্রশাসন ?
                      – রাস্তায় দিনের পর দিন ময়লা-আবর্জনা পরে থাকে, কিন্তু পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয় না সরকার। কিন্তু সেটা নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।
                      – সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই পানিবদ্ধতা হয়, জনগণ কত কষ্ট করে, কিন্তু সেটা দূর করতে নূণ্যতম উদ্যোগ নেই সরকারের।
                      – গাড়িতে ৩০০% ট্যাক্স নিচ্ছে সরকার। সে হিসেবে রাস্তাগুলো স্বর্ণ দিয়ে মুড়িয়ে দেয়ার কথা। কিন্তু রাস্তা ভাঙ্গার কথা বলতে বলতে জনগণের ব্রেনের নিউরন শুকিয়ে গেছে। যত্রতত্র খোড়াখুড়িতে জনগণ অতিষ্ট।
                      -চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু জ্বরে কুপোকাত জনগন। অথচ মশা নিধণে কোন কার্যকরি ভূমিকা নেই।
                      -গ্যাস সঙ্কটে রান্না করা যায় না, পানি সঙ্কটে গোসল করা যায় না, বিদ্যুৎ সঙ্কটে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়, ওয়াসার পানিতে টয়লেটের থেকেও খারাপ দুর্ঘন্ধ।
                      – যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছে বসবাসের অনুপযুক্ত নগরীতে।

                      এই যখন নাগরিক সুবিধার ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, তখন শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব কোরবানির বিরুদ্ধে লাগালাগি কেন ? সরকার ও সিটি কর্পোরেশন কোরবানিকে নিরুৎসাহিত করতে যত কাজ করছে, তার সিকিভাগও যদি ঐ সব সমস্যা সমাধানে করতো, তবে কখনই জনগণের এত কষ্ট থাকতো না।

                      আসলে পাঠক যত টা না পরিবেশ রক্ষার বুলি, তার চাইতে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি শত্রুতাই মুখ্য। আসুন বদলে দেই ইসলাম বিদ্বেষী এই শাসনব্যবস্থাকে!



                      Comment


                      • #12
                        বাংলাদেশ

                        ইউনিসেফ এর দরদ ওই শিশুদের প্রতি নেই কেন?





                        ইউনিসেফ বাল্যবিয়ের বিরোধীতা করতে গিয়ে বলছে-
                        “অল্পবয়সে বিয়ে এবং সন্তানধারনের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় তেইশ হাজার (২৩,০০০) শিশু মারা যায়।”।

                        মেনে নিলাম তাদের দাবি।
                        কিন্তু

                        ১) বাংলাদেশ সরকারের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি ঘণ্টায় ১৪ জন শিশু মারা যায় ।(http://bit.ly/2wCJfQe)
                        সে হিসেবে বছরে মারা যায়, ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৪০ জন।
                        অল্প বয়সে বিয়ে করলে যদি ২৩ হাজার শিশু মারা যায়, তবে বাকি (১২২৬৪০-২৩০০০)= ৯৯,৬৪০ জন শিশু মারা যায় কেন ? বাল্যবিয়ে বাদেও যে কারণে বহুগুন শিশু মারা যাচ্ছে, সে কারণগুলো রোধে সরকারের ভূমিকা কোথায় ?

                        ২) দাবি করা হচ্ছে, বাল্যবিয়ের কারণে ২৩ হাজার শিশু মারা যায়। কিন্তু যমুনা টিভি এক রিপোর্টে বলছে (https://youtu.be/gpMcuAMcPCc), বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লক্ষ ভ্রুণ শিশু হত্যা করা হচ্ছে। এবং বলাবাহুল্য এর অধিকাংশ হচ্ছে অবৈধ অর্থাৎ ১৮ বছরের নিচের কুমারী মাতা।
                        এ সম্পর্কে বাংলাদেশে যারা বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রচারণা চালায় সেই ডয়েচে ভেলে গর্ভপাতের পক্ষে প্রচারণা চালাতে গিয়ে বলেছে- “ভাবুন তো বিয়ের আগে কোনো নারী যদি গর্ভবতী হয়ে পড়েন, সমাজ কি তাকে গ্রহণ করবে? ”
                        (http://bit.ly/2vIFJ9M)
                        এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কিন্তু বলেছিলো-
                        “আমরা ১৮ বছর পর্যন্ত বিয়ের বয়স নির্ধারণ করে দিয়েছি। কিন্তু একটি মেয়ে যদি কোনো কারণে ১২-১৩ বা ১৪-১৫ বছরের সময়ে গর্ভবতী হয়ে যায়- তাকে গর্ভপাত করানো গেল না। তাহলে যে শিশুটি জন্ম নেবে তার অবস্থান কী হবে? তাকে কী সমাজ গ্রহণ করবে?” (http://bit.ly/2vJZVc7)। তারমানে ১৮ এর নিচে বিবাহবর্হিভূত সন্তানকে গর্ভপাত করানোর পক্ষপাতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

                        আমার কথা হলো- ২৩ হাজার শিশু নিয়ে এত লম্ফঝম্ফ, কিন্তু ৫ লক্ষ ভ্রণশিশু হত্যা নিয়ে লম্ফঝম্ফ কোথায় ? কঠিন আইন থাকার পরও সরকার-প্রশাসন কেন গর্ভপাত এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে না ?
                        ৩) বেশি বয়সে বিয়ে, বেশি বয়সে সন্তান। এই প্রচারণা চালাচ্ছে সরকার ও বিদেশী এনজিওগুলো। কিন্তু বেশি বয়সে সন্তানধারণ যে মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ সেটা কেন এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে ? (http://bit.ly/2vfoD2z)
                        ৪) বাংলাদেশে এখন একটা বড় সমস্যা সিজারিয়ান অপরেশন। আন্তর্জাতিক হিসেব মতে সিজারিয়ান অপরেশন এর হার ১৫% হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে এর পরিমাণ প্রায় ৫০% এর মত। আর ঢাকাস্থ প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে সিজারিয়ান অপরেশনের হার ৮০% এর মত। সিজারিয়ান অপরেশনের কারণে একদিকে যেমন একটি নারীকে আধা পঙ্গু বানিয়ে দেয়া হয়, অন্যদিকে সিজারিয়ান অপরেশনের ফলে জন্ম নেয়া শিশুরা স্বাভাবিকের তুলনায় কমবুদ্ধি সম্পন্ন ও রোগাগ্রস্ত হয়।(তথ্যসূত্র : মাসিক গণস্বাস্থ্য, ৩৬ বর্ষ ৩য়-৪র্থ সংখ্যা)
                        যদিও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সিজারিয়ান অপরেশন বৃদ্ধির মূল কারণ হাসপাতালগুলোর ব্যবসা, কিন্তু ডাক্তারদের যুক্তি খণ্ডনে চিন্তা করলে- মায়ের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সিজারিয়ান অপরেশনের হারও তত বাড়তে থাকে। গবেষণাগুলো বলছে- ১৯ এর নিচে মা হতে যদি সিজারিয়ান অপরেশন লাগে ৫%, সেখানে ২৬-এ মা হলে সিজারিয়ান হার বেড়ে দাড়ায় ২৫% -এ।(http://bit.ly/2ul5RrS)

                        সবশেষে বলবো- বাংলাদেশের শিশুর জীবন নিয়ে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনিসেফের এত দরদ কেন ? যে জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী মুসলিম শিশু নিধনে সম্রাজ্যবাদীদের বৈধতা দেয়, সেই জাতিসংঘ যখন বাংলাদেশের শিশুদের জন্য দরদ দেখায় তখন সেটা সত্যিই চিন্তার বিষয়। মায়ের থেকে মাসির দরদ যখন বেড়ে যায়, তখন ভাবতে হবে নিশ্চয়ই মাসির অতি দরদের আড়ালে অন্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। সেই বিশেষ উদ্দেশ্যটা উন্মোচন করা এখন অতীব জরুরী।

                        আসুন বদলে দেই ইসলাম বিদ্বেষী এই শাসনব্যবস্থাকে! অন্যাথায় আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিবে ওরা!

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by HIND_AQSA View Post
                          [/B]ফিলিস্তিন

                          তুমি কি মনে কর তোমরা আমাদের দেশে এতকাল টিকে থাকতে পারবে?


                          এক ফিলিস্তিনি যুবককে জায়োনিস্ট রাষ্ট্র ইসরায়েলের বিচারক ২০০ বছরের জন্য কারাভোগের আদেশ দিয়েছিল, যুবকটি বিচারকের দিকে হেসে বলল “তুমি কি মনে কর তোমরা আমাদের দেশে এতকাল টিকে থাকতে পারবে?”





                          ইনশাআল্লাহ
                          হে ভাই আর বেশি দিন তুমি জেলখানায় থাকতে হবে না।
                          أنا الهمام الفارس الكرار
                          أفني بسيفي عصبة الكفار

                          Comment


                          • #14
                            ফ্রান্স

                            প্যারিসে সেনা টহলে লোন উলফ হামলাঃ জিহাদিরা কেন বারবার পশ্চিমা বিশ্ব ও তাদের দোসরদের উপর হামলা চালায়! (ডকুমেন্টসহ)



                            ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে টহলরত সেনা সদস্যদের ওপর গাড়ি নিয়ে লোন উলফ হামলা হয়েছে। এতে ছয় সেনাসদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ বলেছে, ‘এ হামলা দৃশ্যত উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হচ্ছে।’

                            আজ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল আটটায় প্যারিসের উপকণ্ঠে লেভালুহা ত্রেহেতে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ছয় সেনার মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

                            ২০১৫ সালের ভয়াবহ জিহাদি হামলার পর থেকে ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা জারি আছে। হামলার বেশির ভাগই হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর। বিশেষ করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের ওপর এ হামলা হয়েছে।

                            গত শনিবার ১৮ বছরের এক যুবককে আইফেল টাওয়ারের কাছে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাতে ছুরি নিয়ে তিনি ‘আল্লাহ আকবর’ ধ্বনি দিচ্ছিলেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের ওই যুবক বলেন, তিনি এক সৈন্যকে হত্যা করতে চান।

                            আজকের ঘটনার পর লেভালুহা ত্রেহেতের মেয়র প্যাট্রিক বলেন, এটা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যমূলক হামলা। বিএমডব্লিউ গাড়ি তুলে দেওয়া হয় সেনাদের ওপর।

                            এছাড়াও জিহাদিদের উপর পশ্চিমাদেশসমুহের সাধারন নাগরিকদের উপর হামলার অভিযোগ করা হয়।

                            উল্লেখ্য ফ্রান্স সোমালিয়া, মালি সহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি মুসলিম ভুমিতে হামলা চালিয়ে বহু মুসলিমকে হত্যা করেছে, এবং মুসলিম হত্যায় আমেরিকা সহ বিভিন্ন শক্তিকে সহায়তা দিয়েছে।

                            কিন্তু কেন বারবার পশ্চিমাদের উপর জিহাদিরা হামলা চালায়, তা জানা যায় আল কায়েদার বর্তমান প্রধান শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি সহ প্রতিষ্ঠাতা শাইখ উসামা বিন লাদেনের সন্তান শাইখ হামযা বিন লাদেন সহ অন্যান্য গেরিলা যোদ্ধাদের ভাষ্য থেকে-

                            শাইখ আইমান বলেন-

                            “শারিয়াহতে সৈনিক ও সাধারণ নাগরিকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। বরং শরিয়াহ মানুষকে ২ ভাগে ভাগ করে- যোদ্ধা ও অযোদ্ধা। এবং যোদ্ধা হল তারা যারা সরাসরি যুদ্ধ করে কিংবা তাদের সম্পদ ও বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে যুদ্ধে সহায়তা করে।

                            এ মূলনীতির আলোকে পশ্চিমের জনগণ হল যোদ্ধা কেননা তারা তাদের নেতা ও পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের নিজ ইচ্ছায় ভোট দিয়ে নির্বাচন করে এবং এ নেতারাই আমাদের শিশুদের হত্যা করার, মুসলিমদের দেশ দখল ও তাঁদের সম্পদ লুন্ঠনের পলিসি তৈরি করে।

                            এ জনগণই তাদের সরকারকে ট্যাক্স দেয় যা দিয়ে এসব পলিসির বাস্তবায়ন হয়, এরাই তাদের সেনাবাহিনীতে সৈন্যের যোগান দেয় এবং মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করে। আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের শহরগুলোতে ৭ টনের বোমা নিক্ষেপ করে, কার্পেট বম্বিং করে ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহার করে; এরপর তারা চায় আমরা হালকা অস্ত্র দিয়ে তাদের মোকাবেলা করি, এটা কখনই হতে পারে না! আমাদের জন্য এটা ওয়াজিব যে আমরা আমাদের দ্বীন, শিশু এবং সম্পদ রক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলব। তারা যেভাবে আমাদের উপর বোমা ফেলে আমরাও একইভাবে তাদের উপর বোমা নিক্ষেপ করব, তারা যেভাবে আমাদের হত্যা করে আমরাও একইভাবে তাদের হত্যা করব। আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল সত্যই বলেছেন। তিনি বলেনঃ

                            “সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে, তোমরা তাদের উপর সীমালঙ্ঘন কর যেমন সীমালঙ্ঘন তারা করেছে তোমাদের উপর।”সুরা বাকারা(১৯৪)

                            আর এটা সারা বিশ্ব জানে আমারিকান সেনাবাহিনীর কাছে বিপুল বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার পরও তারা সম্মুখ যুদ্ধে খুবই দুর্বল।

                            আর এদের যুদ্ধের কৌশল হল বোম্বিং করে সবকিছু ধ্বংস করা এবং সবাইকে হত্যা করে ফেলা এবং শত্রুপক্ষকে আত্মসমর্পণ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা। আর এ সব কিছুর পর তারা আমাদের থেকে আশা করে আমরা যাতে তাদের দেশে আক্রমণ না করি!”

                            শাইখ হামযা বিন লাদেন বলেন-

                            প্রথমত: যারা আমাদের দ্বীনে হানিফের বিরুদ্ধে বা আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) বিরুদ্ধে সীমালংঘন করবে তাদেরকে টার্গেট করুন।

                            অতঃপর প্রত্যেক জায়গায় ইহুদিদের স্বার্থসমূহে…

                            আপনি যদি এদের খুঁজে পেতে সক্ষম না হন, তবে আমেরিকান ক্রুসেডারদের টার্গেট করুন।
                            যদি আপনি আমেরিকান ক্রুসেডারদের কাছে যেতে না পারেন, ন্যাটো জোটের ক্রুসেডার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ কোথায় কোথায় আছে সেগুলোকে টার্গেট করুন।
                            এবং যেহেতু রাশিয়া চেচনিয়া ও আফগানিস্তানের স্বাদ দ্রুতই ভুলে গিয়েছে এবং ইসলামের বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবার ফিরে এসেছে, তাই অগ্রাধিকারের লক্ষ্যমাত্রা থেকে তাদেরকেও বাদ দেয়া যাচ্ছে না। রাশিয়াকে আবার তার পূর্বপুরুষদের অবস্থার একটি নমুনা দেখিয়ে দিন।

                            আমি দৃঢ়ভাবে উপদেশ দিব যে আপনাদের অপারেশন কেন করেছেন তার সুস্পষ্ট বার্তা আপনি মিডিয়ার মধ্যে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবেন। এটা একেবারে অপরিহার্য যে মানুষ আপনার অপারেশন উদ্দেশ্য যেন জানতে পারে।

                            আল-কায়েদা থেকে আমরা পশ্চিমা দেশগুলোকে এই বার্তাটি পৌছে দিতে গুরুত্বারোপ করি এবং আপনাদেরও একই কাজ করতে পরামর্শ দিচ্ছিঃ

                            ১। আমাদের ধর্ম এবং আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন “লাল সীমানা/ নিষিদ্ধ সীমানা।” যারা এই সীমানা অতিক্রম করতে চায় তারা “শার্লি এব্দো” এর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিক।

                            ২। ফিলিস্তিন হচ্ছে এই উম্মাহ্*র ভিত্তি এবং যারাই দখলদার ইহুদীদের সমর্থন করবে; ইনশাআল্লাহ তারা কখনোই শান্তির স্বপ্নও দেখতে পারবে না।

                            ৩। শাম (সিরিয়া) হচ্ছে এই উম্মাহ্*র ভিত্তি। আমাদের শামের জনগণ গণহত্যার মুখোমুখি হয়েছে এবং প্রত্যেক সেই ব্যক্তি যারা এই গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেছে অথবা বাশার আল-আসাদ এবং তার সহযোগীদের সমর্থন করেছে তারা শাস্তি থেকে পালিয়ে বাচতে পারবে না।

                            ৪। আমাদের ভূমিগুলোকে দখল করে নেয়া হয়েছে। পবিত্র ভূমি দুটিই দখল করে নেয়া হয়েছে। আমরা তোমাদের আক্রমণ করতে থাকব যতক্ষন না তোমরা আরব উপদ্বীপ এবং অন্যান্য মুসলিম ভূমিগুলো ছেড়ে যাও।

                            ৫। তোমাদের বিমানগুলো আমাদের আকাশে সীমালঙ্গলন করে থাকে যার বিষাক্ত গ্যাস আমাদের সন্তানদের উপর নিক্ষেপ করে। আর তাই আমরাও তোমাদের উপর একই ভাবে আক্রমণ করতে থাকব যতক্ষন তোমরা আমাদের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে থাকবে।

                            এই বার্তাগুলো অবশ্যই আমরা আমাদের অপারেশনসমূহের সাথে পৌঁছে দিবো।

                            এছাড়াও জিহাদিরা একাধিক প্রবন্ধ/নিবন্ধ ও ভিডিও প্রকাশ করেছে লোন জিহাদ সম্পর্কে

                            ১। ম্যানচেস্টার হামলাঃ অদ্ভুত মানবাধিকারের দ্বিমুখী নীতি

                            https://youtu.be/m1D_6bx47Vc

                            ২। যে কারণে লন্ডন ব্রিজ ও বারো মার্কেটে হামলা করেছিল জঙ্গিরা!



                            ৩। “একাকী জিহাদের বিধিবিধান!” – শায়খুল মুজাহিদ হামুদ আত তামিমি হাফিজাহুল্লাহ

                            https://www.pdf-archive.com/2017/08/...ire-16-bangla/



                            সম্মানিত পাঠক-গবেষক ও তাওহীদবাদী ভাই ও বোনেরা! এবার আমরা আপনাদের সামনে আমেরিকা,গুপ্তহত্যা, লোন উলফ হামলা, পশ্চিমা বিশ্ব ও আত্মঘাতী হামলা সম্পর্কে সম্মানিত উলামায়ে কেরাম ও মুজাহিদিন যুদ্ধবিশারদদের রচনাবলীর বিশাল বাংলা সংকলন পেশ করছি।
                            আসলে যখনই আমেরিকার প্রসঙ্গ আসে, তখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুপ্তহত্যা, লোন উলফ হামলা, পশ্চিমা বিশ্ব ও আত্মঘাতী হামলা সম্পর্কিত বিষয়গুলোও চলে আসে। সুতরাং পশ্চিমা বিশ্বে গুপ্তহত্যা, লোন উলফ হামলা, ও আত্মঘাতী হামলা ইত্যাদি বৈধ কিনা, শরিয়াহ এই ব্যাপারে কি বলে এবং যুদ্ধশাস্ত্র এই ব্যাপারে কি বলে ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর জানা তথা জিহাদ সম্পর্কিত বেশ কিছু বিভ্রান্তি আপনারা এই সংকলনের মাধ্যমে দূর করার প্রয়াস পাবেন।
                            আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে দুয়া করি, আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাকে আমাদের নাজাতের অসিলা বানান এবং উম্মাহকে সঠিক পথে পরিচালিত করা ও হওয়ার অসিলা বানান। আর আমাদের সর্বশেষ কথা হল- ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।
                            https://justpaste.it/america_file
                            Last edited by HIND_AQSA; 08-11-2017, 09:31 AM.

                            Comment


                            • #15
                              পাকিস্তান

                              সুলতানখেল’এ টিটিপির ফাঁদে পা দিয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মেজরসহ বেশ কিছু সেনা নিহত।



                              পাকিস্তানের দের অঞ্চলের সুলতান খেল এলাকায় তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর এসটিএফ নামক স্পেশাল বাহিনীর যোদ্ধারা এক মেজর সহ বেশ কিছু পাকিস্তানী সেনাকে হত্যা করেছেন।

                              সুত্র জানায় একটি সার্চ অপারেশনে আসলে টিআইএ (তালেবান ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) গেরিলাদের কাছে রিপোর্ট পেশ করে। অতঃপর যোদ্ধারা ওঁত পেতে থাকে, টার্গেটে আসা মাত্র হামলা চালিয়ে অপারেশন ইনচার্জ ও গোপন গোয়েন্দা বাহিনীর সাথে সংশ্লিষ্ট মেজর আলী সালমান, হাবিলদার আখতার ও হাবিলদার গোলাম নজির সহ বেশ কিছু সেনা নিহত হয়।

                              এদিকে এক বার্তায় টিটিপির মুখপাত্র মুহাম্মাদ খোরাসানী বলেন- নিষ্পাপ কয়েদীদের শাহাদাতের বদলা একের পর এক নেওয়া হবে।

                              উল্লেখ্য পাকিস্তানে শরিয়াহ শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে জিহাদ করছেন টিটিপির যোদ্ধারা।

                              Comment

                              Working...
                              X