Announcement

Collapse
No announcement yet.

অতিত থেকে শিক্ষা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অতিত থেকে শিক্ষা

    অতিত থেকে শিক্ষা
    যে আমার কোন ওলির সাথে শত্রুতা প্রশন করবে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘুষণা করলাম।
    বাদশা বুখতে নাসেরের কথা আমরা সকলেই জানি। তার ক্ষমতায় আসার পূর্বের কথা । এক মুস্তাজাবুত দাওয়াহ আল্লাহর ওলি, তদ্বীয় যুগের দূর্ভিত্ব ও ক্ষমতাসীন লোকেরা তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে তার বরকতময় কলিজা বের করে। কিন্তু তা লাফাইতে থাকে । তারা এর কারন বুঝতে পারেনি। এর কিছু দিন পরেই বখতে নসরের অত্যাচার শুরু হয়, নির্মম ভাবে সে মানুষদেও উপর অত্যাচার করত। এরই ধারাবাহিকথায় একদা সেই গ্রামে আক্রমণ করার চিন্তা করল যে গ্রামের অধিবাসিরা ওই বুজর্গ কে নির্মম ভাবে হত্যা করে ছিল ।

    বুখতে নসর সে গ্রামে প্রবেশ করেই এক উঁচু যায়গায় দাড়িয়ে ঘোষণা দিল যে, ততক্ষন পর্যন্ত তোমরা হত্যা করতে থাকবে যতক্ষন না আমার পাঁ পর্যন্ততাদের রক্ত না পৈাছে। তার সৈণ্যরা হত্যা করতে করতে একে একে সবাইকে হত্যা করে ফেলল, কিন্তু রক্ত পা পর্যন্ত পৈাছালনা। সে বলল, হাকিম নরে তবে হুকুম নরে না তোমরা এই অধিবাসির সমস্ত পশু-পাখি গুলো হত্যা করো। তারা তাই করল কিন্তু রক্ত পা পর্যন্ত এখনও আসেনি। অত:পর সে বলল, তোমরা এ রক্তের উপর পানি ঢেলে দাও । তারা পানি ঢাললে রক্ত মিশ্রিত পানির বণ্যা হল, ফলে তার পায়ে এসে রক্ত লাগলে সে হত্যা বন্ধ করে।
    ঐ দিকে ঐ বুজুর্গের কলিজ ঐ জালেমদের রক্ত মাখা পানির ছুয়ায় শান্ত হয়, যা এখন পর্যন্ত লাফাচ্ছিল। এবার আসুন একটু অজানা ইতিহাস জেনে নেই। আরাকানের মাজলুমদের বর্তমান অবস্থা কে না জানে। কিন্তু এদের অতিত কি ছিল? যেই আরাকানের অগ্নিঝড়া জিহাদী বয়ানে আমরা হতাম উৎসাহিত। জিহাদের স্প্রিহা আমাদের শিরায় শিরায় জেগে উঠতো। সুরে সুরে আমরা গেতাম, আরাকান আফগান কাশ্মিরে” কিন্তু বর্তমান অবস্থা দেখে সেই অতিতের কল্পনাও করা যায় না।
    কেন এই পদস্খলন?? প্রশ্ন উম্মাহর কাছে। এটা ঐ বুজুর্গের ঘটনারই অনুরুপ। খুব বেশী দিন আগের কথা নয়, বর্তমানে যারা নির্জাতিত তাদেরই পূর্ব পূরুষরা, আরাকানের স্থানিয় মুজাহিদ বাহিনির কেম্পের কথা কুফ্ফার তাগুত বাহিনির কাছে বলে দেয়। ফলে তারা এক রাতে সব মুজাহিদদের কে স্বঘাটিতে ভুম্ভিং করে শহিদ করতে সক্ষম হয়।
    যারা আল্লাহতাআলার ওলিদেও সাথে শত্রুতা করবে আল্লাহ তাআলা তাদেও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এই মুনাফেকির শাস্তি স্বরুপই তাদেও এই করুন অবস্থা। তবে তাদের কে রক্ষা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। তাদেও জন্য অশ্রু প্রবাহিত করা চাই। কেননা তারা তো আমাদেরই মুসলিম ভাই।
    হে প্রিয় উম্মাহ! কালের দূযোগে বর্তমানে কিছু কিছু ওলামায়েছু দেরকে মুজাহিদদের বিরুধীতা করতে দেখা যায় । আল্লাহ না করুন যদি এর কারনে আমাদের উপর আযাব এসে যায় তাহলে এর দায়বার কে নিবে। স্বজাতীর প্রতি হিতাকাংখির রূপ ধারণ করে জাতির উপর বিপদের কারন হয়ে দাড়াবেননা । মনে রাখবেন সীমিত সময়ের জন্য তারা আপনার দিকে সুরক্ষা ও সম্মানের হাত বাড়াতে পারে, কিন্তু সামান্য বস্তুর দ্বারা স্বজাতীর সম্মান কে নষ্ট করে তাদেরকে বিপদে ঠেলে দিয়েননা । আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

  • #2
    আখি, জাযাকাল্লাহ। রোহিঙ্গা ভাইয়েরা আজ, হারে হারে টের পাচ্ছে কত ধানে কত চাল।
    #আজ তারা বুঝতে পেরেছে জিহাদ ও মুজাহিদ তাদের জন্য কত প্রয়োজন ছিলো।
    #যদিও তাদের পাপের শাস্তি, কিন্তু আমাদের জন্য মহা পরীক্ষা। আজ যদি তাদের সাহায্যে এগিয়ে না আসি, তাহলে আগামীকাল আমাদের উপরও আসতে পারে।
    সম্মান নেইকো নাচে গানে,
    আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

    Comment

    Working...
    X