Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাবা-মাকে ছাড়াই ১৩১২ রোহিঙ্গা শিশু, সীমান্তে আহাজারি আর আর্তনাদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাবা-মাকে ছাড়াই ১৩১২ রোহিঙ্গা শিশু, সীমান্তে আহাজারি আর আর্তনাদ

    বাবা-মাকে ছাড়াই ১৩১২ রোহিঙ্গা শিশু, সীমান্তে আহাজারি আর আর্তনাদ
    ১৮ সেপ্টেম্বর,২০১৭

    নিউজ ডেস্ক

    আরটিএনএন

    ঢাকা: জাতিসংঘের একটি সংস্থা ইউনিসেফ বলছে মায়ানমারের রাখাইনে নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার তিনশো শিশুকে এ পর্যন্ত চিহ্নিত করা হয়েছে যারা বাবা-মা বা কোনো আত্মীয় স্বজনকে ছাড়াই বাংলাদেশে এসেছে।


    সাহায্য সংস্থাগুলো ধারণা করছে এসব শিশুর বাবা-মার দুজনকেই অথবা বাবাকে মায়ানমারে মেরে ফেলা হয়েছে। খবর বিবিসির।


    মায়ানমার সেনাবাহিনীর ভয়াবহ নিপীড়নের মুখে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা চার লাখ পেরিয়েছে কদিন আগেই।


    আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের হিসেব মতে প্রতিদিনই গড়ে দশ থেকে পনের হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে, যার একটি বড় অংশই শিশু।


    এখন জাতিসংঘ বলছে তাদের সাথে কক্সবাজারে কাজ করছে এমন সাহায্য সংস্থাগুলোর হিসেবে এখন পর্যন্ত এক হাজার তিনশোর বেশি শিশুকে চিহ্নিত করা হয়েছে যারা বাংলাদেশে এসেছে বাবা-মা বা আত্মীয় স্বজন ছাড়াই।


    ইউনিসেফের একজন কর্মকর্তা মাধুরী ব্যানার্জি বলছেন, ‘আজ পর্যন্ত ১৩১২ জন শিশুকে পাওয়া গেছে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অর্থাৎ পিতা মাতা বা স্বজনদের ছাড়া। তাদের সহায়তার চেষ্টা করছি আমরা। মানসিক বা ট্রমা থেকে তারা যেন বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক হতে পারে সে চেষ্টা করা হচ্ছে’।


    ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা বলছেন এসব শিশুরা নিজের কিংবা পরিচিত না হলেও কোনও না কোনও পরিবারের সাথেই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাই সেখানে রেখেই তাদের সহায়তার চেষ্টা করছেন তারা।


    মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের একজন মোহাম্মদ নুর বাংলাদেশে এসেছিলেন অনেক আগেই। তিনি বলছেন এসব শিশুদের বাবা মাকে মায়ানমারের সেনারা মেরে ফেলেছে।


    জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার হিসেব অনুযায়ী এ দফায় নতুন করে আসা শিশু সংখ্যা দু লাখেরও বেশি।


    স্থানীয় একটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আবছার চৌধুরী বলছেন তার ধারণা যতো শিশু এসেছে তার প্রায় অর্ধেকের সাথেই বাবা নেই।


    ‘অন্তত ৪০ শতাংশ আসছে অভিভাবক ছাড়া। তবে কেউ কেউ আসছে শুধু মায়ের সাথে বা দাদির সাথে’, বলছেন তিনি।


    কক্সবাজারের রেড ক্রেসেন্টের কর্মকর্তা সেলিম মাহমুদ বলছেন বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা নারীদের অনেকেই তাদের জানিয়েছেন যে তারা সাথে করে এমন অনেক শিশুকে এনেছেন যাদের পরিবারের সদস্যদের তারা আসার সময় খুঁজে পাননি।


    সাহায্য সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা বলছেন এ দফায় পরিবার ছাড়া অন্যদের সাথে আসা এমন অনেক শিশুকে পাওয়া গেছে যাদের বয়স মাত্র তিন কিংবা চার বছরের মধ্যে।


    সঙ্গত কারণেই এসব শিশুদের অভিভাবকদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সেটি তারা কিংবা তারা যাদের সাথে বাংলাদেশে এসেছে তারাও ঠিক মতো বলতে পারছে না।


    বাবা-মা হারানো এসব শিশুদের আহাজারিতে টেকনাফ সীমান্তের আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।

  • #2
    jazakallah . allah tayala rohinga vaider ke hifajot korun

    Comment

    Working...
    X