Announcement

Collapse
No announcement yet.

রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কি সত্যিই আন্তরিক?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কি সত্যিই আন্তরিক?

    রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কি সত্যিই আন্তরিক?




    রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সহানুভূতির নামে বিভিন্ন দল, সংগঠন ও ব্যক্তিত্ব এমনকি অনেক ইসলামী দল ও ব্যক্তিত্বও রোহিঙ্গাদের মুক্তির জন্যে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কি সত্যিই সমাধানে আন্তরিক?

    গতকাল বিবিসি বাংলার একটি সংবাদের শিরোনাম ছিলো- ‘রোহিঙ্গা নিয়ে কথা বলতে নিষিদ্ধ করেছিলো জাতিসংঘ’ (http://bit.ly/2fyaghn)

    এই সংবাদটি ভালোভাবে পড়লেই বুঝতে পারবেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ কতটুকু আন্তরিক!
    এরপরেও যদি মিয়ানমানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ অবরোধ বা সামরিক অভিযানসহ যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে চায়, তাহলে অবশ্যই জাতিসংঘের স্থানী সদস্য পাঁচটি দেশের সর্বসম্মতিক্রমেই নিতে হবে, এই পাঁচটির যেকোনো একটি দেশ যদি ভেটো দেয়, তাহলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপই নেওয়া যাবে না। গত শেষ বৈঠকেই এটা হয়েছে। (দেখুন-
    http://bit.ly/2fFiCay)
    এবার আসুন, এই পাঁচটি দেশের অপরাধের ফিরিস্তি দেখে নেই।

    ১- আমেরিকা: মুসলিম দেশসমূহের উপর আমেরিকার পরিচালিত নির্যাতনের তালিকা যদি তৈরি করা হয়, তাহলে কয়েকদিন বললেও শেষ হবে না। এতটুকু বলি, শুধু ২০১৫ সালে মুসলিম দেশসমূহে ২৩ হাজার বোমা নিক্ষেপ করেছে এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আমেরিকা! বর্তমানে সরাসরি যে সব দেশে আমেরিকা সামরিক ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এগুলো হচ্ছে- আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ও সোমালিয়া। আর পরোক্ষ-প্রত্যক্ষভাবে আরো অনেক মুসলিমদেশে হামলার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে ফিলিস্তিন তো আছেই।

    ২- রাশিয়া: এখন যখন আপনি মিয়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা গণহত্যার খবর শুনে চোখের জল ঢালছেন, ঠিক এই মুহূর্তেই রাশিয়ান বিমানবাহিনী সিরিয়ার আকাশ থেকে বোমা বর্ষণ করে সে দেশের নারী-শিশু, মসজিদ-হাসপাতাল জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। প্রায় চারশো বছর ধরে চেচনিয়ায় তাদের নির্যাতনের খবর কারো কাছে গোপন নয়।

    ৩- বৃটেন: আফগানিস্তান-ইরাক-সিরিয়ায় সব জায়গারই মুসলিম গণহত্যায় রয়েছে বৃটেনের প্রত্যক্ষ মদদ। বৃটেনের অতীতের কথা না-ই-বা তুললাম।

    ৪- চীন: চীনে মুসলিমরা কী পরিমাণ নির্যাতিত তাতো মাঝেমধ্যে পত্রিকায় আপনারা দেখেন। সেখানে মুসলমানদেরকে রোযা রাখতে দেয় না, ইসলামি নাম রাখা যাবে না, ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না, সম্প্রতি ঘরে কুরআন শরীফ ও জায়নামাজ রাখা যাবে না ইত্যাদিসহ রয়েছে মুসলিমবিরোধী অনেক আইন-কানুন। মিয়ানমার সরকার কর্তৃক গণহত্যার মধ্যে রয়েছে চীনের প্রত্যক্ষ মদদ ও সমর্থন।(দেখুন-http://bit.ly/2x36rvC)

    ৫- ফ্রান্স: বর্তমানে মালি ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন মুসলিমদেশে গণহত্যার পিছনে রয়েছে ফ্রান্সের সরাসরি উপস্থিতি, ইরাক-সিরিয়ায় তো আছেই।

    প্রিয় পাঠক! এবার দেখলেনতো জাতিসংঘের স্থায়ীকমিটির মুসলিমবিরোধী সুস্পষ্ট অবস্থান। আপনি খুশীতো? যারা প্রতিটি পদে পদে নিজেদের হাতকে ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ত দ্বারা রঞ্জিত করছে, আপনি কীভাবে ভাবলেন, এরা মুসলমানদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে? আপনি কীভাবে এদের কাছে মুসলিম রক্ষার আবেদন জানান? এটা যে শুধু নমরূদের কাছে ফেরআউনের বিচার চাওয়া তা নয়, বরং আবু জাহলের কাছে আবু জাহলের বিচার চাওয়া। হ্যাঁ, আবু জাহলের কাছেই আবু জাহলের জুলুমের বিচার চাওয়ার নামান্তর। এই যদি হয় প্রকৃত অবস্থা তাহলে কীভাবে সঠিক বিচারের প্রত্যাশা করেন?

    মুমিন একই গর্তে দু’বার ধোকা খায় না, কিন্তু জাতিসংঘ নামক গর্তে কতবার ধোকা খেলে আমাদের হুঁশ ফিরে আসবে?
    তাই কবি ভাষায়ই বলি-
    তোরা চাসনে কিছু কারো কাছে খোদার মদদ ছাড়া/
    তোরা পরের উপর ভরসা ছেড়ে নিজের পায়ে দ্বারা

  • #2
    জাযাকাল্লাহ।

    Comment

    Working...
    X