Announcement

Collapse
No announcement yet.

লাস ভেগাসে লোন উলফ যোদ্ধার গুলিতে অন্তত ৫৮ জন আমেরিকান নিহত ও আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • লাস ভেগাসে লোন উলফ যোদ্ধার গুলিতে অন্তত ৫৮ জন আমেরিকান নিহত ও আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক

    লাস ভেগাসে লোন উলফ যোদ্ধার গুলিতে অন্তত ৫৮ জন আমেরিকান নিহত ও আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক


    সম্প্রতি লাস ভেগাসের মান্দালাই বে এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের রাস্তায় উন্মুক্ত কনসার্টে একজন লোন উলফ যোদ্ধা কর্তৃক গুলির ঘটনায় অন্তত ৫৮ জন আমেরিকান নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। কনসার্টস্থলের পাশে থাকা মান্দালাই বে হোটেলের ৩২তলা থেকে একজন বন্দুকধারী লোন উলফ যোদ্ধা ওই কনসার্টে গুলি ছোড়েন।




    পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী লোন উলফ যোদ্ধা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম স্টিফেন প্যাডক। ৬৪ বছর বয়সী স্টিফেন নেভাদার বাসিন্দা। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে তিনি অতিসম্প্রতি ই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
    বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনাস্থলের পাশে থাকা লাস ভেগাস বুলেভার্ড হোটেল পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে এবং জনগণকে ওই এলাকায় যেতে নিষেধ করেছে। পাশের ম্যাককারান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। গোলাগুলির ঘটনার সময় মান্দালাই বে এলাকার রাস্তাজুড়ে রুট ৯১ হারভেস্ট মিউজিক ফেস্টিভ্যালের শেষ রাত চলছিল।
    প্রত্যক্ষদর্শী জন বেসেট বলেছে, স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে গুলির শব্দ শোনে। তখন মঞ্চে থাকা দলটি দ্রুত নেমে গেলে হট্টগোল তৈরি হয়। সবাই ছুটছিল, অনেকে পায়ের নিচে চাপা পরেছে।
    বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কমপক্ষে একজন বন্দুকধারী লোন যোদ্ধা ওই ফেস্টিভ্যালে গুলি ছুড়েছেন। ভিডিও ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়ানো ছবিতে দেখা গেছে, শত শত আমেরিকান ঘটনাস্থল থেকে ছুটে পালাচ্ছে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, এক শ’র ওপরে গুলি চালানো হয়েছে। ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশ এর জবাব দেয়। এ ঘটনায় লাস ভেগাসের অনেক হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও লাস ভেগাস ম্যাককারান বিমানবন্দরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেক উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে অবতরণ করার আগেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।









    উল্লেখ্য পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন ভুমি সরাসরি ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। সোমালিয়া, মালি সহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি মুসলিম ভুমিতে হামলা চালিয়ে বহু মুসলিমকে হত্যা করেছে, এবং মুসলিম হত্যায় আমেরিকা সহ বিভিন্ন শক্তিকে সহায়তা দিয়েছে।

    কিন্তু কেন বারবার পশ্চিমাদের উপর জিহাদিরা হামলা চালায়, তা জানা যায় আল কায়েদার বর্তমান প্রধান শাইখ আইমান আয যাওয়াহিরি সহ প্রতিষ্ঠাতা শাইখ উসামা বিন লাদেনের সন্তান শাইখ হামযা বিন লাদেন সহ অন্যান্য গেরিলা যোদ্ধাদের ভাষ্য থেকে-


    শাইখ আইমান বলেন-

    “শারিয়াহতে সৈনিক ও সাধারণ নাগরিকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। বরং শরিয়াহ মানুষকে ২ ভাগে ভাগ করে- যোদ্ধা ও অযোদ্ধা। এবং যোদ্ধা হল তারা যারা সরাসরি যুদ্ধ করে কিংবা তাদের সম্পদ ও বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে যুদ্ধে সহায়তা করে।

    এ মূলনীতির আলোকে পশ্চিমের জনগণ হল যোদ্ধা কেননা তারা তাদের নেতা ও পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের নিজ ইচ্ছায় ভোট দিয়ে নির্বাচন করে এবং এ নেতারাই আমাদের শিশুদের হত্যা করার, মুসলিমদের দেশ দখল ও তাঁদের সম্পদ লুন্ঠনের পলিসি তৈরি করে।

    এ জনগণই তাদের সরকারকে ট্যাক্স দেয় যা দিয়ে এসব পলিসির বাস্তবায়ন হয়, এরাই তাদের সেনাবাহিনীতে সৈন্যের যোগান দেয় এবং মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করে। আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের শহরগুলোতে ৭ টনের বোমা নিক্ষেপ করে, কার্পেট বম্বিং করে ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যাবহার করে; এরপর তারা চায় আমরা হালকা অস্ত্র দিয়ে তাদের মোকাবেলা করি, এটা কখনই হতে পারে না! আমাদের জন্য এটা ওয়াজিব যে আমরা আমাদের দ্বীন, শিশু এবং সম্পদ রক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুলব। তারা যেভাবে আমাদের উপর বোমা ফেলে আমরাও একইভাবে তাদের উপর বোমা নিক্ষেপ করব, তারা যেভাবে আমাদের হত্যা করে আমরাও একইভাবে তাদের হত্যা করব। আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল সত্যই বলেছেন। তিনি বলেনঃ
    “সম্মানিত মাসই সম্মানিত মাসের বদলা। আর সম্মান রক্ষা করারও বদলা রয়েছে। বস্তুতঃ যারা তোমাদের উপর সীমালঙ্ঘন করেছে, তোমরা তাদের উপর সীমালঙ্ঘন কর যেমন সীমালঙ্ঘন তারা করেছে তোমাদের উপর।”সুরা বাকারা(১৯৪)
    আর এটা সারা বিশ্ব জানে আমারিকান সেনাবাহিনীর কাছে বিপুল বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার পরও তারা সম্মুখ যুদ্ধে খুবই দুর্বল।
    আর এদের যুদ্ধের কৌশল হল বোম্বিং করে সবকিছু ধ্বংস করা এবং সবাইকে হত্যা করে ফেলা এবং শত্রুপক্ষকে আত্মসমর্পণ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা। আর এ সব কিছুর পর তারা আমাদের থেকে আশা করে আমরা যাতে তাদের দেশে আক্রমণ না করি!”
    শাইখ হামযা বিন লাদেন বলেন-
    প্রথমত: যারা আমাদের দ্বীনে হানিফের বিরুদ্ধে বা আমাদের প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের) বিরুদ্ধে সীমালংঘন করবে তাদেরকে টার্গেট করুন।

    অতঃপর প্রত্যেক জায়গায় ইহুদিদের স্বার্থসমূহে…
    আপনি যদি এদের খুঁজে পেতে সক্ষম না হন, তবে আমেরিকান ক্রুসেডারদের টার্গেট করুন।
    যদি আপনি আমেরিকান ক্রুসেডারদের কাছে যেতে না পারেন, ন্যাটো জোটের ক্রুসেডার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ কোথায় কোথায় আছে সেগুলোকে টার্গেট করুন।
    এবং যেহেতু রাশিয়া চেচনিয়া ও আফগানিস্তানের স্বাদ দ্রুতই ভুলে গিয়েছে এবং ইসলামের বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবার ফিরে এসেছে, তাই অগ্রাধিকারের লক্ষ্যমাত্রা থেকে তাদেরকেও বাদ দেয়া যাচ্ছে না। রাশিয়াকে আবার তার পূর্বপুরুষদের অবস্থার একটি নমুনা দেখিয়ে দিন।

    আমি দৃঢ়ভাবে উপদেশ দিব যে আপনাদের অপারেশন কেন করেছেন তার সুস্পষ্ট বার্তা আপনি মিডিয়ার মধ্যে সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবেন। এটা একেবারে অপরিহার্য যে মানুষ আপনার অপারেশন উদ্দেশ্য যেন জানতে পারে।
    আল-কায়েদা থেকে আমরা পশ্চিমা দেশগুলোকে এই বার্তাটি পৌছে দিতে গুরুত্বারোপ করি এবং আপনাদেরও একই কাজ করতে পরামর্শ দিচ্ছিঃ
    ১। আমাদের ধর্ম এবং আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন “লাল সীমানা/ নিষিদ্ধ সীমানা।” যারা এই সীমানা অতিক্রম করতে চায় তারা “শার্লি এব্দো” এর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিক।
    ২। ফিলিস্তিন হচ্ছে এই উম্মাহ্*র ভিত্তি এবং যারাই দখলদার ইহুদীদের সমর্থন করবে; ইনশাআল্লাহ তারা কখনোই শান্তির স্বপ্নও দেখতে পারবে না।
    ৩। শাম (সিরিয়া) হচ্ছে এই উম্মাহ্*র ভিত্তি। আমাদের শামের জনগণ গণহত্যার মুখোমুখি হয়েছে এবং প্রত্যেক সেই ব্যক্তি যারা এই গণহত্যায় অংশগ্রহণ করেছে অথবা বাশার আল-আসাদ এবং তার সহযোগীদের সমর্থন করেছে তারা শাস্তি থেকে পালিয়ে বাচতে পারবে না।
    ৪। আমাদের ভূমিগুলোকে দখল করে নেয়া হয়েছে। পবিত্র ভূমি দুটিই দখল করে নেয়া হয়েছে। আমরা তোমাদের আক্রমণ করতে থাকব যতক্ষন না তোমরা আরব উপদ্বীপ এবং অন্যান্য মুসলিম ভূমিগুলো ছেড়ে যাও।
    ৫। তোমাদের বিমানগুলো আমাদের আকাশে সীমালঙ্গলন করে থাকে যার বিষাক্ত গ্যাস আমাদের সন্তানদের উপর নিক্ষেপ করে। আর তাই আমরাও তোমাদের উপর একই ভাবে আক্রমণ করতে থাকব যতক্ষন তোমরা আমাদের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে থাকবে।
    এই বার্তাগুলো অবশ্যই আমরা আমাদের অপারেশনসমূহের সাথে পৌঁছে দিবো।


    এছাড়াও জিহাদিরা একাধিক প্রবন্ধ/নিবন্ধ ও ভিডিও প্রকাশ করেছে লোন জিহাদ সম্পর্কে



    ১। যে কারণে লন্ডন ব্রিজ ও বারো মার্কেটে হামলা করেছিল জঙ্গিরা!



    ২। “একাকী জিহাদের বিধিবিধান!” – শায়খুল মুজাহিদ হামুদ আত তামিমি হাফিজাহুল্লাহ

    https://www.pdf-archive.com/2017/08/...ire-16-bangla/

    সম্মানিত পাঠক-গবেষক ও তাওহীদবাদী ভাই ও বোনেরা! এবার আমরা আপনাদের সামনে আমেরিকা,গুপ্তহত্যা, লোন উলফ হামলা, পশ্চিমা বিশ্ব ও আত্মঘাতী হামলা সম্পর্কে সম্মানিত উলামায়ে কেরাম ও মুজাহিদিন যুদ্ধবিশারদদের রচনাবলীর বিশাল বাংলা সংকলন পেশ করছি।

    লিংক- https://justpaste.it/america_file
    আসলে যখনই আমেরিকার প্রসঙ্গ আসে, তখনই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুপ্তহত্যা, লোন উলফ হামলা, পশ্চিমা বিশ্ব ও আত্মঘাতী হামলা সম্পর্কিত বিষয়গুলোও চলে আসে। সুতরাং পশ্চিমা বিশ্বে গুপ্তহত্যা, লোন উলফ হামলা, ও আত্মঘাতী হামলা ইত্যাদি বৈধ কিনা, শরিয়াহ এই ব্যাপারে কি বলে এবং যুদ্ধশাস্ত্র এই ব্যাপারে কি বলে ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর জানা তথা জিহাদ সম্পর্কিত বেশ কিছু বিভ্রান্তি আপনারা এই সংকলনের মাধ্যমে দূর করার প্রয়াস পাবেন।

  • #2
    ফোরামে আইডি যার যার
    কাফের মরলে খুশি সবার ।


    আলহামদুলিল্লাহ।
    "হক হকের জায়গায়
    সম্মান সম্মানের জায়গায়
    আমরা বেছে নিয়েছি আল্লাহর দলকেই"

    Comment


    • #3
      এই খবর গুলো মনকে আনন্দ দেয়।
      সম্মান নেইকো নাচে গানে,
      আছে মর্যাদা বিনিদ্র রজনী ও রণে।

      Comment


      • #4
        ফোরামে আইডি যার যার
        কাফের মরলে খুশি সবার ।



        হ্যা ভাই, সুন্দর কথা বলেছেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে কাফেরদের বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার তাওফিক দান করুন!

        Comment

        Working...
        X