Announcement

Collapse
No announcement yet.

সায়্যিদুল ইস্তিগফার (গোনাহ মাফের সর্বশ্রেষ্ট দোয়া) এর ফজিলত ও শর্ত।

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সায়্যিদুল ইস্তিগফার (গোনাহ মাফের সর্বশ্রেষ্ট দোয়া) এর ফজিলত ও শর্ত।


    বুখারী শরীফে এসেছে,
    شداد بن أوس رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه و سلم: سيد الاستغفار أن تقول

    اللهم أنت ربي لا إله إلا أنت خلقتني وأنا عبدك وأنا على عهدك ووعدك ما استطعت أعوذ بك من شر ما صنعت أبوء لك بنعمتك علي وأبوء لك بذنبي فاغفر لي فإنه لا يغفر الذنوب إلا أنت

    قال: ومن قالها من النهار موقنا بها فمات من يومه قبل أن يمسي فهو من أهل الجنة ومن قالها من الليل وهو موقن بها فمات قبل أن يصبح فهو من أهل الجنة

    “হযরত শাদ্দাদ ইবনে আউস রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত: সায়্যিদুল ইস্তিগফার হচ্ছে তুমি বলবে,

    اللهم أنت ربي لا إله إلا أنت خلقتني وأنا عبدك وأنا على عهدك ووعدك ما استطعت أعوذ بك من شر ما صنعت أبوء لك بنعمتك علي وأبوء لك بذنبي فاغفر لي فإنه لا يغفر الذنوب إلا أنت
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি (খালেস নিয়্যতে, এর সওয়াব ও প্রতিদানের প্রতি) ইয়াকিন করত দিনের বেলায় তা বলবে, অত:পর সন্ধার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতবাসী। আর যে ব্যক্তি (খালেস নিয়্যতে, এর সওয়াব ও প্রতিদানের প্রতি) ইয়াকিন করত রাত্রির বেলায় তা বলবে, অত:পর সকাল হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতী’।” [সহীহ বুখারী: হাদীস নং ৫৯৪৭]


    অর্থাৎ যখন কেউ গুনাহ থেকে তাওবা করতে চায়, তখন তার জন্য গোনাহ মাফের সর্বশ্রেষ্ট দোয়া হল- এই দোয়াটি।

    তবে দোয়াটি শুধু মুখে মুখে পড়লেই হবে না, গুনাহ থেকে তাওবার নিয়্যতে, ইয়াকিন ও ইখলাসের সাথে পড়তে হবে। তবেই দোয়াটি সায়্যিদুল ইস্তিগফার হিসেবে গণ্য হবে এবং তার ব্যাপারে বর্ণিত ফজিলত লাভ হবে, অন্যথায় নয়।


    হাফেয ইবনে হাজার রহ. (মৃত্যু: ৮৫২হি.) হাফেয ইবনে আবি জামরাহ্ রহ. থেকে বর্ণনা করেন,

    "من شروط الاستغفار:
    صحة النية،
    والتوجه،
    والأدب؛
    فلو ان أحدا حصل الشروط واستغفر بغير هذا اللفظ الوارد، واستغفر آخر بهذا اللفظ الوارد، لكن اخل بالشروط: هل يستويان؟
    فالجواب: ان الذي يظهر ان اللفظ المذكور انما يكون سيد الاستغفار إذا جمع الشروط المذكورة." اهـ
    “ইস্তিগফারের শর্ত হচ্ছে,
    (১). নিয়্যত সহীহ হওয়া।
    (২). আল্লাহর প্রতি মনোনিবেশের সহিত হওয়া।
    (৩). আদবের সহিত হওয়া।
    যদি কোন ব্যক্তি উল্লিখিত শর্তসমূহ পালনপূর্বক হাদিসে বর্ণিত অন্য কোন দোয়া দিয়ে ইস্তিগফার করে তথা গোনাহ মাফ চায়, আর অন্য এক ব্যক্তি এসব শর্ত পালন ব্যতীত এই দোয়া দিয়ে ইস্তিগফার করে- তাহলে উভয়ে কি বরাবর হবে?
    উত্তর: স্পষ্ট এটাই, এ দোয়াটি সায়্যিদুল ইস্তিগফার হবে, যখন উল্লিখিত শর্তসমূহ পাওয়া যাবে।” [ফাতহুল বারী: ১১/৯৮]


    অতএব, যখন সহী নিয়্যতে, মনোনিবেশপূর্বক, আদবের সহিত এই দোয়া পড়ে আল্লাহর তাআলার কাছে গোনাহ মাফ চাইবে- তখনই এই দোয়ার ফজিলত পূর্ণ লাভ হবে। অন্যথায় শুধু মুখে পড়ার দ্বারা কিছু ফায়েদা তো হবে, কিন্তু হাদিসে বর্ণিত ফজিলত লাভ হবে না, সমস্ত গুনাহও মাফ হবে না।


    বি.দ্র.
    মুজাহিদ ভাইদেরকে কিছু আযকার পড়তে দেয়া হয়। তাতে এ দোয়াটিও আছে। কিন্তু অনেক সময়ই খালেস নিয়্যত এবং আদব-ইহতিরামের সাথে পড়া হয় না। তাওবা এবং গুনাহ মাফের নিয়্যতও থাকে না। শুধু প্রথা-মাফিক পড়ে যাওয়া হয়, যেন কোনমতে দায়িত্ব আদায় করা উদ্দেশ্য। এভাবে পড়ার দ্বারা ফায়েদা কিছু হলেও, কোন দোয়ারই পূর্ণ ফজিলত লাভ হবে না। তাই ভাইদের প্রতি আবেদন, আপনারা মনোযোগের সহিত, বুঝে-শুনে, তাওবা ও গুনাহ মাফের নিয়্যতে আযকারগুলো পড়বেন।

    পোস্টটা দেয়ার উদ্দেশ্য- যেন আল্লাহ তাআলা আপনাদের সাথে আমাকেও মনোযোগের সাথে, তাওবা ও গুনাহ মাফের নিয়্যতে পড়ার তাওফিক দান করেন। কেননা, অন্যকে স্বরণ করিয়ে দেয়ার বরকতে নিজের মধ্যেও আমলের জযবা পয়দা হয়।



    Last edited by ইলম ও জিহাদ; 10-29-2017, 01:34 AM.

  • #2
    জাযাকাল্লাহ।

    Comment


    • #3
      যাজাকাল্লাহ

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহু খাইরান, আল্লাহ আপনার মেহনৎ কবুল করুন ( আমিন) আল্লাহ আপনি আমাদের ইখলাসের সাথে তাওবা করার তাওফিক দান করুন( আমিন) আল্লাহ আপনি আমাদের কবিরা ছগিরা সর্ব প্রকার গুনাহ থেকে হিফাজত করুন ( আমিন)

        Comment


        • #5
          zajakumullah

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ।
            ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

            Comment

            Working...
            X