Announcement

Collapse
No announcement yet.

কিভাবে সামরিক কৌশল ব্যবহার করে উত্তম অভ্যাস গড়ে তোলা যায়:

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কিভাবে সামরিক কৌশল ব্যবহার করে উত্তম অভ্যাস গড়ে তোলা যায়:

    অভ্যাস পরিবর্তনে ফিতরাতগত একটি সহজাত পদ্ধতিঃ
    -------------------------------------------------------------------------------
    কিভাবে সামরিক কৌশল ব্যবহার করে উত্তম অভ্যাস গড়ে তোলা যায়:
    .
    সুন ঝু ছিল প্রাচীন চীনের একজন সুপরিচিত ও প্রখ্যাত সমরবিদ এবং বিখ্যাত বই ‘দ্যা আর্ট অফ ওয়ার’ এর রচয়িতা। সে ছিল “শান্ত নিয়ন্ত্রন” এ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি এবং “কর্মতৎপর ক্ষিপ্র যুদ্ধকৌশল” এর জনক। সম্ভব হলে সে যুদ্ধ ছাড়াই জয়লাভ করতে অথবা, একদম শেষ পর্যায়ে প্রথমে সবচাইতে সহজ যুদ্ধগুলো জিততে পছন্দ করত।
    .
    সে লিখেছে, “যুদ্ধক্ষেত্রে একজন বিজয়ী সমরবিদ শুধুমাত্র বিজয় অর্জনের পরই যুদ্ধকামনা করে থাকে”। সে তার সৈন্যদের উপদেশ দিয়েছিল যেন তারা “অপ্রত্যাশিত পথে অরক্ষিত স্থানগুলোতে হামলা করে”। সে আরো উল্লেখ করেছে, “সামরিক কর্মকৌশল হল পানির মত। পানি তার প্রাকৃতিক গতিপথ হল, এটা উপর থেকে দ্রুত গতিতে নিচের দিকে যেতে থাকে। তাই, যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ম হল শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে এড়িয়ে যাওয়া এবং দুর্বল প্রতিপক্ষকে আঘাত করা।
    সুন ঝু এর শিক্ষা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, কারণ এই শিক্ষাসমূহে কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের সবচাইতে সহজ উপায়টি খোজার উপরে আলোকপাত করা হয়েছে। তার পদ্ধতিগুলোকে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্য নির্ধারণ হতে শুরু করে ওজন কমানো এবং অভ্যাস গঠন, জীবনের সকল ক্ষেত্রেই কাজে লাগানো যায়।
    .
    আসুন কিভাবে সমরকৌশল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
    (এই প্যারাটি এই লেখার সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নয়। লেখকের আরেকটি রিসার্চের লিঙ্ক)
    ভাল অভ্যাসের জন্য যুদ্ধ:
    .
    প্রতিনিয়ত আমরা নতুন নতুন অভ্যাস গড়ে তোলার, বড় বড় লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করি, এককথায় বলতে গেলে জীবনে জেতার চেষ্টা করি পুরোদমে। আমরা আমাদের জীবনের এই যুদ্ধগুলো করি সরাসরি এবং আমাদের শত্রুকে- এই ক্ষেত্রে যা হল আমাদের বদঅভ্যাসসমূহ- সেখানেই আক্রমণ করি, যেখানে তারা সবচাইতে বেশি শক্তিশালী।
    .
    উদাহরণস্বরূপঃ’
    • আমরা কঠোরভাবে খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি যখন কিনা আমরা বাইরে বন্ধু-বান্ধবের সাথে খেতে যাই।
    • আমরা একটা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বই লেখার চেষ্টা করি।
    • আমরা মিষ্টি আর চিনিতে পরিপূর্ণ বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চেষ্টা করি।
    • আমরা টেলিভিশন খোলা রেখে আমাদের হোমওয়ার্ক করার চেষ্টা করি।
    • আমরা মনসংযোগ করার চেষ্টা করি যখন কিনা আমরা সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ, গেমস আর অন্যান্য চিত্তবিনোদনে পরিপূর্ণ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে থাকি।
    .
    আর যখন অপরিহার্যভাবে আমাদের পতন হয়, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যররথ হই, আমরা নিজেদেরকে এজন্য দোষারোপ করি যে, “আমরা এটাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে চাই নি” আর আমাদের যথেষ্ট ইচ্ছাশক্তি নেই। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার জন্য দুর্বল ইচ্ছাশক্তি নয়, বরং দুর্বল কৌশল দায়ী।
    ভাল সামরিক নেতারা শুরুতে সহজ যুদ্ধগুলোতে জয়লাভ করে তাদের অবস্থানকে উন্নত করে। তারা প্রতিপক্ষের দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, এরপরই কেবল তারা তাদের শত্রুকে সরাসরি আক্রমণ করে। কেন সুরক্ষিত এলাকাগুলোতে আক্রমণ করে যুদ্ধ শুরু করতে হবে? কেন এমন একটা পরিবেশে নতুন একটা অভ্যাস শুরু করতে হবে যেখানে সেই অভ্যাসের অগ্রগতি কঠিন হয়ে পড়ে?
    .
    সুন ঝু কখনও তার বাহিনীকে এমন যুদ্ধে নিয়োজিত করত না যেখানে ভূপ্রকৃতি তার অনুকূলে থাকত না। সে কখনোই এমন স্থানে হামলা করে যুদ্ধ শুরু করত না যেখানে শত্রু সবচাইতে শক্তিশালী। অনুরূপভাবে আমরা শুরুতে আমাদের অভ্যাসে এমন উন্নতি আনব যা সহজে অর্জন করা যায়, এভাবে শক্তি অর্জন করব এবং একটা ভাল শক্ত অবস্থান তৈরী করব যেখান থেকে সবচাইতে কঠিন পরিবর্তন আনার জন্য আক্রমণ চালানো যায়।
    .
    সুন ঝু, অভ্যাসের শিক্ষক:
    আসুন সুন ঝু-র শিক্ষাগুলো ভাল অভ্যাস গঠনের জন্য ঈষৎ পরিবর্তনের মাধ্যমে উপযোগী করে নেই।
    উদাহরণ ১:
    • সুন ঝু: “তুমি কেবল তখনই তোমার আক্রমণে সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পার যদি তুমি কেবল সে জায়গাগুলোতেই আক্রমণ কর যেগুলো অরক্ষিত”।
    • পরিবর্তিত রূপ: “তুমি কেবল তখনই তোমার অভ্যাস গঠনে সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পার যদি তুমি কেবল সে অভ্যাসগুলোই গড়ে তোল যেগুলো মেন চলা সহজ”।
    উদাহরণ ২:
    • সুন ঝু: “সেই জিতবে যে জানে কখন যুদ্ধ করতে হবে আর কখন যুদ্ধ করা যাবে না”।
    • পরিবর্তিত রূপ: “সেই তার আচার আচরণ উন্নত করতে পারবে যে জানে শুরুতে কোন অভ্যাসগুলো অর্জন করতে হবে, আর কোনগুলো পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে”।
    উদাহরণ ৩:
    • সুন ঝু: “একজন কৌশলী সেনাপতি, একারনে, এমন সেনাবাহিনীকে এড়িয়ে যায়, যাদের মনোবল থাকে তুঙ্গে, কিন্তু তখন ঐ বাহিনীকে আক্রমণ করে যখন তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে ফিরে যেতে রত হয়”।
    • পরিবর্তিত রূপ: “একজন কৌশলী ব্যক্তি, একারনে, এমন সব জায়গা এড়িয়ে চলে যেখানে বদ-অভ্যাস-সমূহ সবচা

  • #2
    Originally posted by Abu Yahya View Post
    অভ্যাস পরিবর্তনে ফিতরাতগত একটি সহজাত পদ্ধতিঃ
    -------------------------------------------------------------------------------
    কিভাবে সামরিক কৌশল ব্যবহার করে উত্তম অভ্যাস গড়ে তোলা যায়:
    .
    সুন ঝু ছিল প্রাচীন চীনের একজন সুপরিচিত ও প্রখ্যাত সমরবিদ এবং বিখ্যাত বই ‘দ্যা আর্ট অফ ওয়ার’ এর রচয়িতা। সে ছিল “শান্ত নিয়ন্ত্রন” এ দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি এবং “কর্মতৎপর ক্ষিপ্র যুদ্ধকৌশল” এর জনক। সম্ভব হলে সে যুদ্ধ ছাড়াই জয়লাভ করতে অথবা, একদম শেষ পর্যায়ে প্রথমে সবচাইতে সহজ যুদ্ধগুলো জিততে পছন্দ করত।
    .
    সে লিখেছে, “যুদ্ধক্ষেত্রে একজন বিজয়ী সমরবিদ শুধুমাত্র বিজয় অর্জনের পরই যুদ্ধকামনা করে থাকে”। সে তার সৈন্যদের উপদেশ দিয়েছিল যেন তারা “অপ্রত্যাশিত পথে অরক্ষিত স্থানগুলোতে হামলা করে”। সে আরো উল্লেখ করেছে, “সামরিক কর্মকৌশল হল পানির মত। পানি তার প্রাকৃতিক গতিপথ হল, এটা উপর থেকে দ্রুত গতিতে নিচের দিকে যেতে থাকে। তাই, যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ম হল শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে এড়িয়ে যাওয়া এবং দুর্বল প্রতিপক্ষকে আঘাত করা।
    সুন ঝু এর শিক্ষা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, কারণ এই শিক্ষাসমূহে কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের সবচাইতে সহজ উপায়টি খোজার উপরে আলোকপাত করা হয়েছে। তার পদ্ধতিগুলোকে ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্য নির্ধারণ হতে শুরু করে ওজন কমানো এবং অভ্যাস গঠন, জীবনের সকল ক্ষেত্রেই কাজে লাগানো যায়।
    .
    আসুন কিভাবে সমরকৌশল আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
    (এই প্যারাটি এই লেখার সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত নয়। লেখকের আরেকটি রিসার্চের লিঙ্ক)
    ভাল অভ্যাসের জন্য যুদ্ধ:
    .
    প্রতিনিয়ত আমরা নতুন নতুন অভ্যাস গড়ে তোলার, বড় বড় লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করি, এককথায় বলতে গেলে জীবনে জেতার চেষ্টা করি পুরোদমে। আমরা আমাদের জীবনের এই যুদ্ধগুলো করি সরাসরি এবং আমাদের শত্রুকে- এই ক্ষেত্রে যা হল আমাদের বদঅভ্যাসসমূহ- সেখানেই আক্রমণ করি, যেখানে তারা সবচাইতে বেশি শক্তিশালী।
    .
    উদাহরণস্বরূপঃ’
    • আমরা কঠোরভাবে খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি যখন কিনা আমরা বাইরে বন্ধু-বান্ধবের সাথে খেতে যাই।
    • আমরা একটা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে বই লেখার চেষ্টা করি।
    • আমরা মিষ্টি আর চিনিতে পরিপূর্ণ বাড়িতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চেষ্টা করি।
    • আমরা টেলিভিশন খোলা রেখে আমাদের হোমওয়ার্ক করার চেষ্টা করি।
    • আমরা মনসংযোগ করার চেষ্টা করি যখন কিনা আমরা সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ, গেমস আর অন্যান্য চিত্তবিনোদনে পরিপূর্ণ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে থাকি।
    .
    আর যখন অপরিহার্যভাবে আমাদের পতন হয়, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যররথ হই, আমরা নিজেদেরকে এজন্য দোষারোপ করি যে, “আমরা এটাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে চাই নি” আর আমাদের যথেষ্ট ইচ্ছাশক্তি নেই। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার জন্য দুর্বল ইচ্ছাশক্তি নয়, বরং দুর্বল কৌশল দায়ী।
    ভাল সামরিক নেতারা শুরুতে সহজ যুদ্ধগুলোতে জয়লাভ করে তাদের অবস্থানকে উন্নত করে। তারা প্রতিপক্ষের দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, এরপরই কেবল তারা তাদের শত্রুকে সরাসরি আক্রমণ করে। কেন সুরক্ষিত এলাকাগুলোতে আক্রমণ করে যুদ্ধ শুরু করতে হবে? কেন এমন একটা পরিবেশে নতুন একটা অভ্যাস শুরু করতে হবে যেখানে সেই অভ্যাসের অগ্রগতি কঠিন হয়ে পড়ে?
    .
    সুন ঝু কখনও তার বাহিনীকে এমন যুদ্ধে নিয়োজিত করত না যেখানে ভূপ্রকৃতি তার অনুকূলে থাকত না। সে কখনোই এমন স্থানে হামলা করে যুদ্ধ শুরু করত না যেখানে শত্রু সবচাইতে শক্তিশালী। অনুরূপভাবে আমরা শুরুতে আমাদের অভ্যাসে এমন উন্নতি আনব যা সহজে অর্জন করা যায়, এভাবে শক্তি অর্জন করব এবং একটা ভাল শক্ত অবস্থান তৈরী করব যেখান থেকে সবচাইতে কঠিন পরিবর্তন আনার জন্য আক্রমণ চালানো যায়।
    .
    সুন ঝু, অভ্যাসের শিক্ষক:
    আসুন সুন ঝু-র শিক্ষাগুলো ভাল অভ্যাস গঠনের জন্য ঈষৎ পরিবর্তনের মাধ্যমে উপযোগী করে নেই।
    উদাহরণ ১:
    • সুন ঝু: “তুমি কেবল তখনই তোমার আক্রমণে সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পার যদি তুমি কেবল সে জায়গাগুলোতেই আক্রমণ কর যেগুলো অরক্ষিত”।
    • পরিবর্তিত রূপ: “তুমি কেবল তখনই তোমার অভ্যাস গঠনে সাফল্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পার যদি তুমি কেবল সে অভ্যাসগুলোই গড়ে তোল যেগুলো মেন চলা সহজ”।
    উদাহরণ ২:
    • সুন ঝু: “সেই জিতবে যে জানে কখন যুদ্ধ করতে হবে আর কখন যুদ্ধ করা যাবে না”।
    • পরিবর্তিত রূপ: “সেই তার আচার আচরণ উন্নত করতে পারবে যে জানে শুরুতে কোন অভ্যাসগুলো অর্জন করতে হবে, আর কোনগুলো পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে”।
    উদাহরণ ৩:
    • সুন ঝু: “একজন কৌশলী সেনাপতি, একারনে, এমন সেনাবাহিনীকে এড়িয়ে যায়, যাদের মনোবল থাকে তুঙ্গে, কিন্তু তখন ঐ বাহিনীকে আক্রমণ করে যখন তারা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে ফিরে যেতে রত হয়”।
    • পরিবর্তিত রূপ: “একজন কৌশলী ব্যক্তি, একারনে, এমন সব জায়গা এড়িয়ে চলে যেখানে বদ-অভ্যাস-সমূহ সবচা
    জাযাকাল্লাহু খাইরান
    মহান আল্লাহ তায়ালা আপনার মেহনত কবুল করুন
    আমিন
    "কেউ হেদায়েতের দিকে আহ্বান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরন করেছে তাদের সওয়াবের কোন কমতি হবে না।" [সহিহ মুসলিমঃ ২৬৭৮]
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ।

      Comment


      • #4
        ভাই বানানে / অনুবাদে কিছু ভুল রয়েছে।
        সুন জু না এটি সান জু হবে।
        কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ

          Comment


          • #6
            উপকারী প্রবন্ধ।

            Comment

            Working...
            X