Announcement

Collapse
No announcement yet.

কওমি ছাত্রদের জীবনের মাকাছিদ !

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কওমি ছাত্রদের জীবনের মাকাছিদ !

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম ।
    প্রিয় মুজাহিদ ভাইয়েরা । আমাদের উস্তাদগন আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন যে , কওমি ছাত্রদের জীবনের লক্ষ হবে এ' লায়ে কালিমাতুল্লাহ । কিন্তু আজকের ছাত্রদের মাঝে কী দেখতে পাচ্ছি !? দেখে মনে হচ্ছে তাদের ইলম অর্জনের উদ্যেশ্য ভিন্ন । কেহ ডিগ্রির জন্য ছুটছে । কেহ ভালো চাকরির জন্য ছুটছে । আবার কেহ বড় বক্তা হওয়ার জন্য ছুটছে । আল্লাহ কোরানে বলেন ,তাদের দৃষ্টান্ত হলো : পুস্তুক বহনকারী গাধার ন্যায় । সে কি বহন করছে সে নিজেও জানে না । মাকসাদ হওয়া দরকার ছিলো দ্বীন কায়েম / দ্বীনের প্রচার প্রশারের কাজ করা । কিন্তু দেখা যাচ্ছে তার উলটো ।
    কেহ কাজ হিসেবে বেচে নিয়েছে টিওশনি করা । কেহ ইমামতি করা ( ইমামতি অবশ্যই একটি ভালো কাজ তবে আল্লাহর জন্য হতে হবে) কেহ আবার শর্টকোর্স করে দ্রুত আলেম হয়ে যাচ্ছে ! কেহ আবার কিছুদিন কওমিতে পড়ে আলিয়াতে চলে যাচ্ছে ! কেহ ভার্সিটিতে । এ হচ্ছে বর্তমান সময়ের দিকভ্রান্ত ছাত্রদের মাকাসিদ ।
    Last edited by Muhammad bin maslama; 11-30-2017, 09:58 PM.

  • #2
    চমৎকার বাস্তবতা তুলে ধরলেন ভাই ৷
    সুধু কওমিরা কেন সবার জীবনের মাকসাদ-ই ইলায়ে কালিমাতুল্লাহ হওয়া দরকার ৷ বাকি আপনার শেষের কয়েকটি কথা আবার একটু গভীরভাবে ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো ৷ নিশ্চই জ্ঞানী লোকদের জন্য ইশারাই যথেষ্ঠ ৷

    Comment


    • #3
      আছাবিয়্যাহ এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি। আমাদের মুসলিম সমাযের এর কারণে ৯০% জগরার সূত্রপাত ঘটে। দেখা গেছে গুষ্টির ছোটছোট দুইজন ছেলে কিছু একটা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জগরায় লিপ্ত হলো। সাথেসাথে তাদের বুড়ুরাও এই জগরাতে যোগ দিলো। ফলে এই জগরা যুদ্ধতে রুপ নিল। এ হচ্ছে বাংলার মুসলিমদের অবস্তা। আর যদি ন্যায়সঙ্গতভাবে বিষয়টি দেখা হতো তাহলে জগরা যুদ্ধে পরিণত হতো না। অন্যায়ভাবে কারো পক্ষ নেওয়ার নামই হলো আছাবিয়্যা। যা আমাদের মাঝে রক্তের মত মিশে আছে। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        স্নাইপার ভাই, সুন্দর লিখেছেন। জাঝাকাল্লাহ।
        তবে কিছু বানান খেয়াল রাখবেনঃ

        সমাযের =সমাজের
        জগরা = ঝগড়া
        গুষ্টির = গোষ্টির
        বুড়ুরাও =বুড়োরাও
        অবস্তা=অবস্থা
        কথা ও কাজের পূর্বে ইলম

        Comment


        • #5
          Originally posted by Taalibul ilm View Post
          স্নাইপার ভাই, সুন্দর লিখেছেন। জাঝাকাল্লাহ।
          তবে কিছু বানান খেয়াল রাখবেনঃ

          সমাযের =সমাজের
          জগরা = ঝগড়া
          গুষ্টির = গোষ্টির
          বুড়ুরাও =বুড়োরাও
          অবস্তা=অবস্থা


          প্রিয় আখি, অনেক অনেক শুকরিয়া। ভুল ঠিক দেওয়া হলো সবচেয়ে বড় ইহসান। আমি হয়ত এই ভুলগুলো এমন জায়গায় করতাম যেখান থেকে শূদ্রানোর পরিবর্তে তিরস্কৃত হতাম।আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযা দিন।

          Comment


          • #6
            প্রিয় ভাই!ভুল ঠিক করে 'দেওয়া' হয় সাধুভাষায়।চলিতভাষায় ঠিক করে 'দেওয়া' হয় না,'দেয়া'হয়।আজ থেকে যদি চলিতভাষা অনুযায়ী 'ঠিক করে দেয়া' র নীতি মেনে চলেন, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে 'শূদ্রাতে' হবে না।কারণ শুধরিয়ে নেয়ার কাজ আগে থেকেই আপনি করছেন।স্মরণ রাখবেন শুধরানোর ধ এর হাটু ভেঙ্গে দিলে জিহাদ করতে পারবেন না। ফলে 'তিরষ্কৃত' হতে হবে।অবশ্য আমরা কোন 'তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে' ভয় করি না।তবে এমনভাবে চলাও উচিৎ নয়,যে কেউ 'তিরষ্কার' করতে পারে।আর 'তিরস্কার' করলে এড়িয়ে যাবেন ।এতে কিছু হবে না।(দেওয়া=দেয়া,শূদ্রানো=শুধরানো,তিরষ্কার=তিরস্কার। والله اعلم بالصواب)
            Last edited by আবু জাবের; 12-03-2017, 05:16 PM.

            Comment


            • #7
              জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
              আল্লাহ আমাদের মাঝে ভ্রাতৃত্বকে সুদৃঢ় করুন, আমিন।
              আছাবিয়্যাহ, এটি একটি মারাত্মক ব্যাধি। যা দূর করা খুবি কষ্ঠকর। কষ্ঠ হলেও এই ব্যাধি আমাদের দূর করতেই হবে। অন্যায়ভাবে কারো পক্ষ নেয়াই হলো আছাবিয়্যাহ। সমাজের অনেক ঘটনাই এর দ্বারা হয়ে থাকে। বিশেষ করে আপনজনদের বেলাই বেশী হয়। আমার নিজে লোকে অন্যায় করলেও আমি তাএ পক্ষে। তার পক্ষ হয়েই লাঠি ধরি। সমাজে ফেৎনা ফাসাদ সৃষ্টি করি। আমার ছেলে জুলুম করেছে আমি তার পক্ষেই নিই। তার নিয়ে যুদ্ধ করি। আমি একটি বারও ভাবি না যে, এ আমি কি করছি। আছাবিয়্যাহ এমন ব্যাধি যা কাঠাঁলের আঠার মত আমাদের নিজেদের মধ্যে আমাদের সমাজে লেপ্টে আছে। আল্লাহ আমাদের হিফাজত করুন। অনেকে হয়ত শুনে থাকবেন, একবার সৌদি আরবে কয়েকজন বাঙ্গালি মিলে একজন পাকিস্তানি মুসলিম ভাইকে খুব মেরে ছিলো। এবং এ নিয়ে তারা আনন্দও করেছে। আল্লাহ আমাদের একজনকে পাকিস্তানি, একজনকে ইন্ডিয়ান একজনকে বাঙ্গালি, একজনকে আরবি, একজন চায়নিজ, একজনকে, আফরিকার, একজনকে আমেরিকার, একজনকে ইউরোপিয়ান, বানিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের মাঝে যাতে পরিচয় থাকে এজন্য একেকজন জায়গায় সৃষ্টি করেছেন, একেক জায়গার নাম তিনিই দিয়েছেন। শুধুমাত্র আমাদের পরিচয়ের জন্য। আর এটাকে নিজেদের অস্তিত্বের মূল কাণ্ডারি হিসেবে দেখছি। অথচ মুসলিম এক অন্যের ভাই। সে যেখানেই থাকুক না কেনো। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, মিলেমিশে চলার তাওফিক দান করুন, আমিন।

              Comment

              Working...
              X