Announcement

Collapse
No announcement yet.

নবীগনের জীবন থেকে শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ 10

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নবীগনের জীবন থেকে শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ 10

    হযরত শোয়াইব (আঃ) এর জীবন থেকে শিক্ষণীয় বিষয় সমূহ :

    (86) শো‘আয়েব (আঃ) একটি সম্ভ্রান্ত গোত্রের মর্যাদাবান ব্যক্তি ছিলেন। নবুঅতের সম্পদ ছাড়াও তিনি দুনিয়াবী সম্পদে সমৃদ্ধিশালী ছিলেন। বস্ত্ততঃ সকল নবীই স্ব স্ব যুগের সম্ভ্রান্ত বংশে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তারা উচ্চ মর্যাদাশীল ব্যক্তি ছিলেন।
    (87) কওমের নেতারা ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মীয় বিধি-বিধান মানতে প্রস্ত্তত থাকলেও বৈষয়িক জীবনে ধর্মীয় বাধা-নিষেধ মানতে রাযী ছিল না৷
    (88) আল্লাহকে স্বীকার করলেও তাদের মধ্যে অসীলা পূজা ও মূর্তিপূজার শিরকের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল৷
    (89)বাপ-দাদার আমল থেকে চলে আসা রসমপূজা ছেড়ে নির্ভেজাল তাওহীদের সংস্কার ধর্মী দাওয়াত তারা কবুল করতে প্রস্ত্তত ছিল না৷
    (90) মূলতঃ দুনিয়া পূজা ও প্রবৃত্তি পূজার কারণেই তারা শিরকী রেওয়াজ এবং বান্দার হক বিনষ্টকারী অপকর্ম সমূহের উপরে যিদ ধরেছিল।

    (91) প্রচলিত কোন অন্যায় রসমের সঙ্গে আপোষ করে তা দূর করা সম্ভব নয়। বরং শত বাধা ও ক্ষতি স্বীকার করে হ’লেও স্রেফ আল্লাহর উপরে ভরসা করে আপোষহীনভাবে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াই প্রকৃত সমাজ সংস্কারকের কর্তব্য৷
    (92)সংস্কারককে সর্বদা স্পষ্ট দলীলের উপরে কায়েম থাকতে হবে৷
    (93) তাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল ও প্রকৃত সমাজদরদী হ’তে হবে৷
    (94) কোনরূপ দুনিয়াবী প্রতিদানের আশাবাদী হওয়া চলবে না৷
    (95) সকল ব্যাপারে কেবল আল্লাহর তাওফীক কামনা করতে হবে এবং প্রতিদান কেবল তাঁর কাছেই চাইতে হবে৷
    (96) শিরক-বিদ‘আত ও যুলুম অধ্যুষিত সমাজে তাওহীদের দাওয়াতের মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াকে দুনিয়াদার সমাজনেতারা ‘ফাসাদ’ ও ‘ক্ষতিকর’ মনে করলেও মূলতঃ সেটাই হ’ল ‘ইছলাহ’ বা সমাজ সংশোধনের কাজ। সকল বাধা উপেক্ষা করে তাওহীদের দাওয়াত দিয়ে যাওয়াই হ’ল সংস্কারকের মূল কর্তব্য (১২) চূড়ান্ত অবস্থায় আল্লাহর নিকটেই ফায়ছালা চাইতে হবে।
    চলবে……………৷
    إن شاء الله.

  • #2
    জাজাকাল্লাহ

    Comment

    Working...
    X