Announcement

Collapse
No announcement yet.

মুসলিম বোনদের প্রতি একটি চিঠি!লেখিকা: উমায়মাহ আহমেদ, শায়খ আইমান আল যাওয়াহিরির সহধর্মি&

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মুসলিম বোনদের প্রতি একটি চিঠি!লেখিকা: উমায়মাহ আহমেদ, শায়খ আইমান আল যাওয়াহিরির সহধর্মি&

    মুসলিম বোনদের প্রতি একটি চিঠি!
    লেখিকা: উমায়মাহ আহমেদ, শায়খ আইমান আল যাওয়াহিরির সহধর্মিনী।

    সকল প্রশংসা সর্বশক্তিমান আল্লাহর এবং প্রশংসা ও অনুগ্রহ সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, আমাদের শিক্ষক মুহাম্মদ এবং তার পরিবার ও সাহাবীদের উপর এবং বিচার দিবসের আগ পর্যন্ত যারা তাঁর দেখানো পথে চলবে এবং তাঁর সুন্নাহকে অনুসরণ করবে তাদের প্রতি।
    আমার নীতিবান বোনেরা আপনাদের উপর আল্লাহর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হোক….
    আমি আপনাদের সাথে যখন কথা বলতেছি তখন আমাদের উম্মাহ অনেক ঘটনা এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তিমূলক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন অতিক্রম করছে। আমার ও আপনাদের মধ্যে ইতিপূর্বে পরিচয় হয়েছিল। এখন, খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি আমার সম্মানিত বোনদের সাথে কথা বলব, যাই হোক।আমি আমার পরিবার এবং আমার প্রিয় জাতিকে বলতে চাই- আমাদের জন্য চিন্তা করবেন না, সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহ ও বদান্যতায় আমরা ভালো আছি এবং আমাদের আত্মা ও হৃদয় আপনাদের সাথে আছে যদিও দূরত্বের কারণে আমরা বিচ্ছিন্ন।
    এই পৃথিবী এমনই আমরা একসাথে মিলিত হব এবং আবার বিচ্ছিন্ন হব, আমরা সান্ত্বনা এইভাবে খুঁজতে চেষ্টা করি যে, আমরা সত্যের উপর আছি এবং সত্যের জন্য আহবান করে থাকি, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা বলেন:

    “ আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।” (সুরা আল ইমরান: ১৩৯ )
    যদি আল্লাহ চায় আমাদের সাক্ষাৎ যেকোনো মুহূর্তে হতে পারে। কারণ আল্লাহর স্বস্তি বিধান করা খুবই নিকটবর্তী এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর বিজয় শ্রেষ্ঠ।
    এবং আমার পরিবার ও প্রিয় লোকদের পর আমি আমার কথাগুলোকে সরাসরি আমাদের ইসলামিক উম্মাহর মূল্যবান নীতিবান বোনদের প্রতি বলছি এবং বিশেষভাবে উল্লেখ করবো এই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় জিহাদের ভূমিগুলোর প্রিয় বোনদেরকে, এবং আমাদের মা-দেরকে যারা আল্লাহর রাস্তায় তাদের পুত্রদেরকে উৎসর্গ করেছেন এবং বিজয় তো আল্লাহর দ্বীনেরই হবে, তারা এই দ্বীনকে সাহায্য করতে ক্লান্ত অথবা অলসতা দেখায় না। তারা তাদের স্বামী ও পুত্র এবং ভাইদেরকে উৎসর্গ করেছেন, এবং তাদের অনেকে আল্লাহর পথে আহত হয়েছেন। অতএব আমাদের সবার পরিস্থিতি এক।

    মহিলারা যারা আবাসস্থল এবং জিহাদের মধ্যে আছেন, যারা আল্লাহর রাস্তায় আহত হয়েছেন, এবং যা তাঁরা উৎসর্গ করেছিলেন আল্লাহর রাস্তায় যিনি ছাড়া আর কোন মালিক নেই তাদেরকে বলছি আমাদের দ্বীনকে সাহায্য করার জন্য একটি মুহূর্তও আমাদের থেকে বিলম্বিত করা যাবে না যদিও আমরা আমাদের প্রিয়জনকে এই পথে হারাই অথবা পরিবার থেকে দূরে অবস্থান করি। এই সবকিছু সত্ত্বেও আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করতেছি, গ্রহণ করছি সেইটি যেটি আল্লাহ তায়ালা সম্মানজনক ভাবে এবং মর্যাদাপূর্ণ ভাবে তাঁর সকল ভৃত্যদের জন্য রেখেছেন, যেটি তাঁর পথে জিহাদ করতে, তাঁর দ্বীনকে সাহায্য করতে এবং বানীকে উচ্চে তুলে ধরতে আমাদেরকে সৌভাগ্যবতী করেছেন। এতসব পরীক্ষা সত্ত্বেও সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহ ও সম্মানের কারণে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জীবিকা আছে।

    অতএব আমার প্রিয় বোনেরা! অবিচল থাকুন এই পথে। বস্তুত না কোন সুপার পাওয়ার, না কোন আন্তর্জাতিক জোট আমাদের থামাতে পারবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। তিনিই আমাদের ভরসা এবং রক্ষাকর্তা। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করি না। সকল প্রশংসা আল্লাহর যেইটিরই আমরা মুখোমুখি হই না কেন তাতে আমরা অবিচল এবং আল্লাহ আমাদের জন্য যে ওয়াদা করেছেন তা থেকে আনন্দ পেতে চেষ্টা করি,
    আল্লাহ তাঁর কোরআনে বলেন এইভাবে:
    “তোমাদের কি এই ধারনা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তার প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।” (সূরা বাকারাঃ ২১৪)

    অতএব আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় খুবই নিকটবর্তী এবং আমাদের রব আমাদেরকে কখনো পরিত্যাগ করবেন না। এইভাবে শাহাদাত অথবা বিজয়ের যেকোনো একটি হবে। অন্য যেকোনোটি থেকে এইটি হবে অনেক বেশি আনন্দের।
    আমি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার আমাদের বোনদের জন্য ও আমাদের জন্য দোয়া করি এবং বিশেষভাবে ফিলিস্তিন, ইরাক, চেচনিয়া, আফগানিস্তান এবং সোমালিয়ার আবাসস্থলের বোনদের প্রতি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিজয় অথবা শাহাদাতের প্রতি ধৈর্যশীল অথবা অবিচল থাকার জন্য।
    “ আল্লাহ নিজ কাজে প্রবল থাকেন, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না। (সূরা ইউসুফ: ২১)

    আমি আমার নিজেকে এবং আমার প্রিয় মুসলিম বোনদেরকে এইটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে মুজাহিদা, মুহাজিরা এবং বিশ্বাসীরা আমাদের নিকট সবচেয়ে ভালো আদর্শ এবং তাদের মাধ্যমে আমরা পরিচালিত হই এবং তাদের মাধ্যমে সান্ত্বনা অনুভব করি। তাদের বিশুদ্ধ জীবনের ঘটনাগুলোতে অনেক উপদেশ এবং গভীর ও বিস্তৃত জ্ঞানের বিষয় রয়েছে। তাঁরা কখনো আমাদের দ্বীনকে সেবা দিতে ক্লান্ত হননি, এইভাবে ইনশাল্লাহ আমরা তাদের পথে থাকব।
    আমাদের জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আদর্শ সাইয়িদাহ খাদিজা (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন)। তিনি আল্লাহর রসূলকে (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিলেন তাঁর দাওয়াতকে পরিপূর্ণ করতে। এবং তিনি সবসময় তাকে এইট বলতেন “আল্লাহর শপথ আল্লাহ আপনাকে কক্ষনো অবমানিত করবেন না। আপনি আপনার আত্মীয় স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করে থাকেন মেহমানদের উদারতার সাথে সেবা করে থাকেন, গরীব ও বঞ্চিতদের সাহায্য করেন এবং বিপদে আপদে পতিত লোকদেরকে সাহায্য করেন।
    এবং অনুরূপভাবে সাইয়িদাহ সাফিয়াহ-আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন- তিনি ছিলেন এক সাহসী মহিলা। যখন এক ইহুদি মুসলমানদের এক দুর্গকে অতিক্রম করে দুর্গকে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করে এবং মুসলমানরা বাহিনীর নাগালের মধ্যে ছিল। তিনি বের হয়ে এসেছিলেন এবং একটি কাঠের দণ্ড দিয়ে ঐ ইহুদিকে মেরে ফেলেন। তিনি ভয় পাননি এবং দুর্বলতায় হোঁচট খান নি। এইভাবে তিনি আজকের দিনের অনেক পুরুষ থেকেও অনেক বেশি সাহসী ছিলেন।
    বং একইভাবে সাইয়িদাহ উম্মে আমারাহ (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন) উহুদের যুদ্ধে আল্লাহর রসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রক্ষা করতে গিয়ে ১২ বার আহত হয়েছিলেন এবং তিনি ইয়ামামার যুদ্ধে তার হাত হারিয়েছিলেন এবং ইয়ামামার যুদ্ধে ১১ বার আহত হয়েছিলেন।
    এইভাবে এরা হচ্ছে তারা যাদেরকে আমরা অনুসরণ করব, আমাদের স্বামীদের সাহসী পদক্ষেপগুলোতে আমরা তাদেরকে সাহায্য করব এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া আমার আর কাউকে ভয় করবো না।


    আমার দ্বিতীয় চিঠি জালিমের জেলখানায় বন্দী আমার মুসলিম বোনদের প্রতি:
    আমি তাঁদেরকে বলব: আপনারা আমাদের হৃদয়গুলোতে অবস্থান করছেন এবং আমরা আপনাদেরকে কক্ষনো ভুলবো না। ইনশাল্লাহ আমরা আপনাদেরকে বন্দীখানা থেকে মুক্ত করার যেকোনো চেষ্টাকে পরিত্যাগ করবো না। আপনারা হচ্ছেন আমাদের সম্মান এবং আমরা আপনাদেরকে কক্ষনো ভুলবো না। এবং জানেন যে আমরা সকল শয়তান ও ক্ষতি থেকে আপনাদেরকে রক্ষা করার জন্য এবং আপনাদের মুক্তির জন্য সবসময় দোয়া করি।
    আমার তৃতীয় চিঠি বিশ্বের সাধারণ মুসলিমদের প্রতি:
    প্রথমে আমি তাঁদেরকে আহবান করব ইসলামের সকল নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য। এটা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য খুশী ও সফলতার কারণ হবে। বিশেষভাবে হিজাব পরিধান করা মেনে চলতে হবে। কারণ এটা হচ্ছে সেই মুসলিম নারীদের প্রতীক যারা তাদের রবকে মেনে চলে, তাঁর আইনকানুনকে মেনে চলে। শয়তানের আনুগত্য পরিত্যাগ করুন। হিজাবের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান ইসলাম ও কুফফারদের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ। এই সন্ত্রাসী কুফফাররা চায় মহিলারা তাদের ধর্মকে পরিত্যাগ করুক। প্রথম কাজ হচ্ছে মহিলারা তাদের নিকাকে পরিত্যাগ করুক এবং যখন মহিলারা নিকাব পরিধান ছেড়ে দিবে তখন তারা ধর্মে অন্যান্য অংশ পরিধান করাও ছেড়ে দিবে।
    অতএব মুসলিম বোনদেরকে এটি ভালোভাবে রক্ষা করতে হবে। আমার মুসলিম বোনেরা আপনারা জানেন যে পশ্চিমারা আপনাদেরকে পণ্যদ্রব্যের মত বাণিজ্য করা এবং ইসলামের খুঁটিকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কিছুই করতে চায় না। মুসলিম মহিলাদের খুঁটিগুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে হিজাব। এইট হচ্ছে আপনাদের পবিত্রতা এবং বিশুদ্ধতা ও পর্দা।

    পশ্চিমা বিশ্ব চায় না আপনারা হিজাব পরিধান করা অব্যাহত রাখেন কারণ আপনারা হিজাব পরা অব্যাহত রাখলে তাদের পবিত্র এবং সামাজিক অভ্যাসের নীচতা ও হীনতা ফুটে উঠবে। পশ্চিমা কুফফাররা মহিলাদের নিয়ে বাণিজ্য করতে চায় এবং মহিলাদেরকে সস্তা পণ্য মনে মনে করে। মহিলারা তাদের জন্য না অলঙ্ঘনীয় না সম্মানিত কিন্তু সে তাদের জন্য শয়তান ও নির্লজ্জ বাণিজ্য করার উৎস। এই সমস্ত কিছু থেকে আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
    কিন্তু পর্দানশীন মহিলারা তাদের ঘরে এবং বাইরে অলঙ্ঘনীয় ও সম্মানিত এবং তিনি একজন মূল্যবান রত্ন এবং খুবই দামি রত্ন।
    সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন:
    “হে নবী আপনি আপনার স্ত্রীগণ ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে ফেলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।”(সুরা আল আহযাব ৫৯)

    এই কথাগুলো সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন তাঁর নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্ত্রী এবং কন্যা এবং মুসলিম মহিলাদেরকে উদ্দেশ্য করে। সুতরাং আমার প্রিয় বোনেরা আমাদের উচিত শরীআহর হিজাবকে সবসময় মেনে চলা এবং এইটিই আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণকর হবে।
    দ্বিতীয়ত, আমি আমার মুসলিম বোনদেরকে পরামর্শ দিব তাদের পুত্রদেরকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর আনুগত্যের দিকে এবং তাঁর পথে জিহাদের ভালোবাসার জন্য উদ্বেলিত করতে।তাদের ভাই, স্বামী এবং পুত্রদেরকে মুসলমানদের ভূমি ও তাদের সম্পদ রক্ষা করা এবং দখলদারদের থেকে এগুলো উদ্ধার করতে উদ্দীপ্ত করার জন্য যারা মুসলমানদের ভূমিগুলোতে নৃশংসতা চালিয়েছে এবং ইহার সম্পদগুলোকে ছিনতাই করেছে। উম্মাহকে জেগে তুলুন তাদের বিরুদ্ধে যারা শত্রু“ বাহিনীর সাথে একসাথে কাজ করতেছে এবং মুসলিম ভূমিগুলোকে তাদের কাছে তুলে দিচ্ছে।
    আমি আরও পরামর্শ দিব মুজাহিদদেরকে দোয়া ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করার জন্য। আহত ও বন্দীদের পরিবারকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করার জন্য এবং তাদের সন্তান ও মহিলাদেরকে দান করার জন্য। এই কঠিন জীবনে তাদের সাহায্য সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
    এবং আমি আমার বোনদেরকে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসটিও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তিনি বলেন
    :
    “হে মহিলাদের জনতা, দান করুন কারণ আমি আপনাদের বেশিরভাগকে জাহান্নামের অধিবাসী হিসেবে দেখেছি” (বুখারি)
    এবং আমি ইসলামিক বিশ্বের প্রত্যেক জায়গার মুসলিম বোনদের কাজ সম্পর্কে আশ্বস্ত করছি। মহিলারা হচ্ছে পুরুষদের বোন। এইভাবে মুসলিম মহিলাদের উচিত তার দ্বীন ও ভূমি রক্ষা করতে পুরুষদের পাশে থাকা।
    এভাবে তার উচিত হবে তার নিজেকে রক্ষা করা। যদি সে টাকা দিতে না পারে এবং যদি সে তার মুসলিম বোনদেরকে মসজিদগুলো, স্কুলগুলো, প্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং ঘরগুলোতে দ্বীনের দিকে আহবান করতে না পারে, এবং যদি সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে দাওয়াত দিতে অসমর্থ হয় তাহলে তার উচিত হবে তার দাওয়াতগুলোকে লিখা ও এইটি প্রচার করা এবং মুজাহিদদের আহবানগুলোকে প্রচার করা। ইনশাআল্লাহ এইগুলো পৌছবে। এইভাবে সে খুঁজে পাবে মনযোগী কর্ণ এবং হৃদয়গুলো। অতএব আমার প্রিয় বোনেরা আমি প্রত্যাশা করি যা কিছু সম্ভব তা থেকে আমাদের দ্বীনকে সাহায্য করতে আপনারা ক্লান্ত অথবা বিরক্ত হবেন না।
    বর্তমান জিহাদে মুসলিম মহিলাদের কাজ কেমন হবে এই বিষয়ে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে।
    আল্লাহর পথ-নির্দেশিকায় আমি বলব প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য জিহাদ হচ্ছে ফরজে আইন। কিন্তু মুসলিম মহিলাদের জন্য যুদ্ধ করা সহজ নয় এর জন্য মাহরাম প্রয়োজন। মহিলাদের যাওয়া এবং ফিরে আসার জন্য মাহ-রাম থাকা উচিত। কিন্তু আমরা আমাদের দ্বীনকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারি এবং আমাদের উচিত হবে নিজেদেরকে মুজাহিদদের সাহায্য করায় নিয়োজিত রাখা ও তারা আমাদেরকে যে কাজটি করতে বলবে তা পুরোপুরি আদায় করতে হবে। আমরা তাদেরকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারি অথবা যেকোনো সেবা দিতে পারি অথবা তথ্য দিতে পারি অথবা পরামর্শ দিতে পারি অথবা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারি অথবা একটি শহীদি আক্রমণ পরিচালনা করতে পারি। এভাবে শত্রু“দেরকে হয়রান করে তুলেছিলেন এবং এর ফলে তাদের বিরাট পরাজয় ঘটেছিল।
    কিন্তু আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে মুজাহিদদের সন্তান, তাদের ঘর এবং তাদের গোপন বিষয়গুলো রক্ষা করা এবং তাদের সন্তানদের সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করা। সকল প্রশংসা আল্লাহর আপনাদের মুহাজির বোনেরা এই মাঠে অনেক ধৈর্য, অবিচলতা, সাহসিকতা এবং সংযমের সহিত দুনিয়াকে পরিত্যাগ করে এবং আখিরাতকে ভালোবেসে এর জন্য কাজ করছে। যদিও জীবনধারণ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে এবং তাদের স্বামী, সন্তান ও পিতাদেরকে হারাচ্ছে এবং স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। অনেককে জালিমের জেলখানায় নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে কিন্তু এরপরও আপনাদের মুহাজির বোনেরা সবর করছে এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি খোঁজার চেষ্টা করছে। সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহর।
    আমার বিবৃতির শেষে আমি আমার বোনদেরকে এইটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে আমাদের শেষ এবং প্রস্তুতিগুলো আল্লাহর কাছে লিখিত থাকবে। এবং একজনের মৃত্যুতে জিহাদকো তরান্বিত হবে না, না এবং প্রস্তুতি কমবে। আজ দখলকৃত মুসলিম ভূমিগুলোর বিদেশী কুফফারদের বিরুদ্ধে তিনটি পবিত্র স্থান নিয়ন্ত্রণকারী ও দখলকারীদের বিরুদ্ধে দালাল শাসকগোষ্ঠীর যারা মুসলিমদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতেছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ফরজ হয়ে উঠেছে। আলেমরা এই বিষয়ে একমত যে এই ধরনের শাসকগোষ্ঠীকে উৎখাত করা প্রয়োজন।
    এই বিষয়ে শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) বলেন: স্পেনের পতনের পর থেকে জিহাদ উম্মাহর উপর ফরযে আইন।
    মুজাহিদদের কমান্ডাররা উম্মাহকে জিহাদের জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্রে যাওয়ার আহবান করছে। আমার বোনেরা আমাদের দ্বীনের ফরজ দায়িত্ব থেকে বিরত থাকা উচিত নয় এবং আমাদের উচিত অন্যদেরকে এতে উদ্দীপ্ত করানো।
    এবং আপনাদেরকে এই আনন্দ দিতে পারি যে জিহাদই হচ্ছে বিজয় এবং উন্নয়নের মাধ্যম। পশ্চিমা মিডিয়ার মিথ্যাচার সত্ত্বেও জিহাদের বিভিন্ন মাঠে ক্রসেডার ও ইহুদিদের ক্ষতির কিছুটা এরা প্রচার করতেছে। কিছু সত্যকে পরিবর্তন করা ছাড়া আর কিছু পরিবর্তন করে না এবং ইহার অধিকাংশই গোপন করে রাখে। অতএব আপনাদের উচিত মুজাহিদদের মিডিয়াকে গ্রহণ করা যা মুজাহিদদের প্রকৃত অবস্থাকে তুলে ধরছে এবং এর মাধ্যমে পশ্চিমা মিডিয়ার মিথ্যাচারের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে পড়বে। এবং এইখানে আমি আপনাদের সামনে জীবিত এইটিই হচ্ছে পশ্চিমা কুফফারদের অসামর্থ্যরে একটা উদাহরণ। আল্লাহর অনুগ্রহে ক্রুসেড ঘোষণার আট বছর পড়েও আমরা এখনও আছি। জিহাদ চেচনিয়া থেকে ইসলামিক আলজেরিয়া ছড়িয়ে গেছে। এইভাবে আল্লাহর বিজয়ের প্রতি বিশ্বাস আছে যিনি তার কিতাবে বলেন:
    “যারা ইমানদার তারা যে, জিহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষাবলম্বন বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।” (সূরা আন নিসা ৭৬)
    এবং আমি আপনাদেরকে আল্লাহর হিফাজতে রেখে গেলাম।
    আমাদের সর্বশেষ দোয়া সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি এই বিশ্বের মালিক এবং শান্তি ও অনুগ্রহ আল্লাহর রসূল মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), তার পরিবার এবং তার সাথীদের উপর।


    ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহ
    আপনাদের বোন,
    উমায়মাহ হাসান আহমেদ মুহাম্মদ হাসান।
    আপনদের ভাই আইমান আল যাওয়াহিরির সহধর্মিণী।
    মুজাহিদদের জন্য আপনাদের কাছে দোয়া কামনা করছ।
    (সংগূহিত)
    ফিলিস্তিনের মুসলিম দের অবস্থার প্রেক্ষিতে লেথাটি দেওয়া হলো

    Last edited by কালো পতাকা; 12-11-2017, 09:49 AM.
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

  • #2
    আল্লাহু আকবার।
    খুবই গ্রুত্তপুর্ন পোস্ট।।।।।

    Comment


    • #3
      আমাদের জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আদর্শ সাইয়িদাহ খাদিজা (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন)। তিনি আল্লাহর রসূলকে (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিলেন তাঁর দাওয়াতকে পরিপূর্ণ করতে। এবং তিনি সবসময় তাকে এইট বলতেন “আল্লাহর শপথ আল্লাহ আপনাকে কক্ষনো অবমানিত করবেন না। আপনি আপনার আত্মীয় স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করে থাকেন মেহমানদের উদারতার সাথে সেবা করে থাকেন, গরীব ও বঞ্চিতদের সাহায্য করেন এবং বিপদে আপদে পতিত লোকদেরকে সাহায্য করেন।
      এবং অনুরূপভাবে সাইয়িদাহ সাফিয়াহ-আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন- তিনি ছিলেন এক সাহসী মহিলা। যখন এক ইহুদি মুসলমানদের এক দুর্গকে অতিক্রম করে দুর্গকে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করে এবং মুসলমানরা বাহিনীর নাগালের মধ্যে ছিল। তিনি বের হয়ে এসেছিলেন এবং একটি কাঠের দণ্ড দিয়ে ঐ ইহুদিকে মেরে ফেলেন। তিনি ভয় পাননি এবং দুর্বলতায় হোঁচট খান নি। এইভাবে তিনি আজকের দিনের অনেক পুরুষ থেকেও অনেক বেশি সাহসী ছিলেন।
      এবং একইভাবে সাইয়িদাহ উম্মে আমারাহ (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন) উহুদের যুদ্ধে আল্লাহর রসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রক্ষা করতে গিয়ে ১২ বার আহত হয়েছিলেন এবং তিনি ইয়ামামার যুদ্ধে তার হাত হারিয়েছিলেন এবং ইয়ামামার যুদ্ধে ১১ বার আহত হয়েছিলেন।
      এইভাবে এরা হচ্ছে তারা যাদেরকে আমরা অনুসরণ করব, আমাদের স্বামীদের সাহসী পদক্ষেপগুলোতে আমরা তাদেরকে সাহায্য করব এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া আমার আর কাউকে ভয় করবো না।

      Comment


      • #4
        আমি আমার মুসলিম বোনদেরকে পরামর্শ দিব তাদের পুত্রদেরকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর আনুগত্যের দিকে এবং তাঁর পথে জিহাদের ভালোবাসার জন্য উদ্বেলিত করতে।তাদের ভাই, স্বামী এবং পুত্রদেরকে মুসলমানদের ভূমি ও তাদের সম্পদ রক্ষা করা এবং দখলদারদের থেকে এগুলো উদ্ধার করতে উদ্দীপ্ত করার জন্য যারা মুসলমানদের ভূমিগুলোতে নৃশংসতা চালিয়েছে এবং ইহার সম্পদগুলোকে ছিনতাই করেছে।

        Comment


        • #5
          মুহতারাম কালো পতাকা ভাই!
          আলহামদুলিল্লাহ সময়উপযোগী অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট করেছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম যাজা দান করুন।
          সম্মানিত ভাই! অনুবাদটির সম্পাদনার প্রতি যত্নবান হলে বার্তাটি আরো সুন্দর হত। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন। অথবা যে ভাইয়ের কাছে মূল বার্তাটি আছে সে ভাইয়ের মনযোগ কামনা করছি।
          যাজাকুমুল্লাহু খাইরান

          Comment


          • #6
            জাজাকাল্লাহ খায়রান

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ

              Comment


              • #8
                যাজাকুমুল্লাহ খায়রান

                Comment


                • #9
                  মুসলিম বোনদের প্রতি একটি চিঠি!
                  লেখিকা: উমায়মাহ আহমেদ, শায়খ আইমান আল যাওয়াহিরির সহধর্মিনী।


                  সকল প্রশংসা সর্বশক্তিমান আল্লাহর তায়ালার। রহমত বর্ষিত হোক সর্বশ্রেষ্ঠ নবী, আমাদের শিক্ষক মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম, তার পরিবার ও সাহাবীদের উপর। এবং বিচার দিবস পর্যন্ত যারা তাঁর দেখানো পথে চলে এবং কুরআন ও সুন্নাহকে অনুসরণ করে তাদের প্রতি।

                  আমার নীতিবান বোনেরা ! আপনাদের উপর আল্লাহর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হোক।
                  আমি আপনাদের সাথে যখন কথা বলতেছি তখন আমাদের উম্মাহ অনেক ঘটনা এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তিমূলক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন অতিক্রম করছে। আমার ও আপনাদের মধ্যে ইতিপূর্বে পরিচয় হয়েছিল। এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমি আমার সম্মানিত বোনদের সাথে কথা বলব। আমি আমার পরিবার এবং আমার প্রিয় জাতিকে বলতে চাই। আমাদের জন্য চিন্তা করবেন না। সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহ ও বদান্যতায় আমরা ভালো আছি। আমাদের আত্মা ও হৃদয় আপনাদের সাথে আছে যদিও দূরত্বের কারণে আমরা বিচ্ছিন্ন।

                  এই পৃথিবী এমনই আমরা একসাথে মিলিত হব এবং আবার বিচ্ছিন্ন হব। আমরা সান্ত্বনা এইভাবে খুঁজতে চেষ্টা করি যে, আমরা আলহামদুলিল্লাহ সত্যের উপর আছি এবং সত্যের জন্য আহবান করে থাকি। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা বলেন:
                  “আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।” (সুরা আল ইমরান: ১৩৯ )
                  যদি আল্লাহ চায় আমাদের সাক্ষাৎ যেকোনো মুহূর্তে হতে পারে। কারণ আল্লাহর স্বস্তি বিধান করা খুবই নিকটবর্তী এবং আল্লাহর ইচ্ছায় তাঁর বিজয় শ্রেষ্ঠ।

                  আমার পরিবার ও প্রিয় লোকদের পর, আমি আমার কথাগুলো মুসলিম উম্মাহর মূল্যবান নীতিবান বোনদের প্রতি বলছি। বিশেষ ভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় জিহাদের ভূমিগুলোতে অবস্থানরত প্রিয় মা-বোনদের প্রতি। যারা আল্লাহর রাস্তায় স্বামী, পুত্র এবং ভাইদেরকে উৎসর্গ করেছেন। যাদের অনেকে আল্লাহর রাহে আহত হয়েছেন বা শাহাদাত লাভে হয়েছেন ধন্য। বিজয় তো আল্লাহর দ্বীনেরই হবে। তারা এই দ্বীনকে সাহায্য করতে ক্লান্ত অথবা অলসতা দেখায় না। অতএব আমাদের সবার পরিস্থিতি এক।

                  যে সকল বোনেরা আবাসস্থল এবং জিহাদের মধ্যে আছেন। যারা আল্লাহর রাস্তায় আহত হয়েছেন এবং তারই পথে উৎসর্গ করেছেন জীবন ও সম্পদ। যিনি ছাড়া আর কোন মালিক নেই। তাদেরকে বলছি, আমাদের দ্বীনকে সাহায্য করার জন্য একটি মুহূর্তও বিলম্বিত করা যাবে না। যদিও আমরা আমাদের প্রিয়জনকে এই পথে হারাই অথবা পরিবার থেকে দূরে অবস্থান করি। এই সবকিছু সত্ত্বেও আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করতেছি। গ্রহণ করছি সেইটি যেটি আল্লাহ তায়ালা সম্মানজনক ও মর্যাদাপূর্ণ ভাবে তাঁর সকল ভৃত্যদের জন্য রেখেছেন। যিনি তাঁর পথে জিহাদ করতে, তাঁর দ্বীনকে সাহায্য করতে এবং দ্বীনের বাণীকে উচ্চে তুলে ধরতে আমাদেরকে সৌভাগ্যবতী করেছেন। এতসব পরীক্ষা সত্ত্বেও সর্বশক্তিমান আল্লাহর অনুগ্রহ ও সম্মানের কারণে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত জীবিকা আছে।

                  অতএব আমার প্রিয় বোনেরা! অবিচল থাকুন এই পথে। বস্তুত না কোন সুপার পাওয়ার, না কোন আন্তর্জাতিক জোট আমাদের থামাতে পারবে। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। তিনিই আমাদের ভরসা এবং রক্ষাকর্তা। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করি না। সকল প্রশংসা আল্লাহর যেইটিরই আমরা মুখোমুখি হয় না কেন তাতে আমরা অবিচল। আল্লাহ আমাদের জন্য যে ওয়াদা করেছেন তা থেকে আনন্দ পেতে চেষ্টা করি। আল্লাহ তাঁর কালামে বলেন:
                  “তোমাদের কি এই ধারনা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে। অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনি ভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তার প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্যে? তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্যে একান্তই নিকটবর্তী।” (সূরা বাকারাঃ ২১৪)

                  অতএব আল্লাহর ইচ্ছায় বিজয় খুবই নিকটবর্তী এবং আমাদের রব আমাদেরকে কখনো পরিত্যাগ করবেন না। এইভাবে শাহাদাত অথবা বিজয়ের যে কোনো একটি হবে অনেক বেশি আনন্দের।
                  “ আল্লাহ নিজ কাজে প্রবল থাকেন, কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না। (সূরা ইউসুফ: ২১)
                  আমি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানরত আমাদের বোনদের জন্য ও আমার জন্য দোয়া করি। বিশেষভাবে ফিলিস্তিন, ইরাক, চেচনিয়া, আফগানিস্তান এবং সোমালিয়ার আবাসস্থলের বোনদের প্রতি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিজয় অথবা শাহাদাতের প্রতি ধৈর্যশীল অথবা অবিচল থাকার জন্য।

                  আমি আমার নিজেকে এবং আমার প্রিয় মুসলিম বোনদেরকে এইটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যে মুজাহিদা, মুহাজিরা এবং বিশ্বাসীরা আমাদের নিকট সবচেয়ে ভালো আদর্শ। তাদের মাধ্যমে আমরা পরিচালিত হই এবং তাদের মাধ্যমে সান্ত্বনা অনুভব করি। তাদের বিশুদ্ধ জীবনের ঘটনাগুলোতে অনেক উপদেশ, গভীর ও বিস্তৃত জ্ঞানের বিষয় রয়েছে। তাঁরা কখনো আমাদের দ্বীনকে সেবা দিতে ক্লান্ত হননি। এইভাবে ইনশাল্লাহ আমরা তাদের পথে অবিচল থাকব।

                  আমাদের জন্য সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আদর্শ সায়্যিদা খাদিজা (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন)। তিনি আল্লাহর রসূলকে (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিলেন তাঁর দাওয়াতকে পরিপূর্ণ করতে। তিনি সবসময় তাকে এইভাবে শান্তনাযোগতেন: “আল্লাহর শপথ আল্লাহ আপনাকে কক্ষনো অবমানিত করবেন না। আপনি আত্মীয় স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করেন, মেহমানদের জন্য উদার, গরীব ও বঞ্চিতদের সহযোগীতা করেন এবং বিপদগ্রস্থকে সাহায্য করেন।

                  অনুরূপভাবে সায়্যিদা সাফিয়াহ-আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হন- তিনি ছিলেন এক সাহসী মহিলা। যখন এক ইহুদি মুসলমানদের দুর্গে প্রবেশ করে পর্যবেক্ষণ করা শুরু করে। এমতাবস্থায় যে মুসলিম বাহিনী শত্রুর মুখোমুখি ছিল। তিনি বের হয়ে এসেছিলেন এবং একটি কাঠের দণ্ড দিয়ে ঐ ইহুদিকে মেরে ফেলেন। তিনি ভয় পাননি এবং দুর্বলতায় হোঁচট খাননি। এইভাবে তিনি আজকের দিনের অনেক পুরুষ থেকেও অনেক বেশি সাহসী ছিলেন।

                  একইভাবে সায়্যিদা উম্মে আমারাহ (আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট হোন)। যিনি উহুদ যুদ্ধে আল্লাহর রসুলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রক্ষা করতে গিয়ে ১২টি আঘাত পেয়ছিলেন। এবং ইয়ামামার যুদ্ধে ১১টি গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন ও নিজের হাত হারিয়েছিলেন।
                  এইভাবে এরা হচ্ছে তারা যাদেরকে আমরা অনুসরণ করব। আমাদের স্বামীদের সাহসী পদক্ষেপগুলোতে আমরা তাদেরকে সাহায্য করব এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ ছাড়া আমারা আর কাউকে ভয় করবো না।

                  আমার দ্বিতীয় চিঠি জালিমের জেলখানায় বন্দী আমার মুসলিম বোনদের প্রতি:

                  আমি তাঁদেরকে বলব: হে প্রিয় বোনেরা ! আপনারা আমাদের হৃদয়গুলোতে অবস্থান করছেন। আমরা আপনাদেরকে কক্ষনো ভুলবো না। আপনাদেরকে বন্দীখানা থেকে মুক্ত করার যেকোনো চেষ্টাকে হাতছাড়া করবো না। ইনশাআল্লাহ। আপনারা হচ্ছেন আমাদের সম্মান। আপনাদের মুক্তির জন্য এবং সকল শয়তান ও তার অনিষ্ঠ থেকে হিফাজতের জন্য সবসময় দোয়া করি।

                  আমার তৃতীয় চিঠি বিশ্বের সাধারণ মুসলিমদের প্রতি:

                  প্রথমে আমি তাঁদেরকে আহবান করব ইসলামের সকল নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য। এটা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য খুশী ও সফলতার কারণ হবে। বিশেষভাবে হিজাব পরিধান করা মেনে চলতে হবে। কারণ এটা হচ্ছে সেই মুসলিম নারীদের প্রতীক যারা তাদের রবকে মেনে চলে, তাঁর আইনকানুনকে মেনে চলে। শয়তানের আনুগত্য পরিত্যাগ করুন। হিজাবের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান ইসলাম ও কুফরের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ। এই সন্ত্রাসী কুফফাররা চায় মহিলারা তাদের ধর্মকে পরিত্যাগ করুক। প্রথম কাজ হচ্ছে মহিলারা তাদের নিকাব পরিত্যাগ করুক। যখন মহিলারা নিকাব পরিধান ছেড়ে দিবে তখন তারা ধর্মে অন্যান্য অংশ ছেড়ে দিবে। অতএব মুসলিম বোনদেরকে এটি ভালোভাবে রক্ষা করতে হবে।
                  আমার মুসলিম বোনেরা! আপনারা জানেন যে, পশ্চিমারা আপনাদেরকে পণ্যদ্রব্যের মত বাণিজ্য করা এবং ইসলামের খুঁটিকে ধ্বংস করা ছাড়া আর কিছুই করতে চায় না। মুসলিম মহিলাদের খুঁটিগুলোর মধ্যে প্রথম হচ্ছে হিজাব। এইটি হচ্ছে আপনাদের পবিত্রতা এবং বিশুদ্ধতা ও নিরাপত্তা।

                  পশ্চিমা বিশ্ব চায় না আপনারা হিজাব পরিধান করা অব্যাহত রাখেন। কারণ আপনারা হিজাব পরা অব্যাহত রাখলে, তাদের অপবিত্র সামাজিক অভ্যাসের নীচতা ও হীনতা ফুটে উঠবে। পশ্চিমা কুফফাররা মহিলাদের নিয়ে বাণিজ্য করতে চায় এবং মহিলাদেরকে সস্তা পণ্য মনে মনে করে। মহিলারা তাদের কাছে না অলঙ্ঘনীয় না সম্মানিত। কিন্তু সে তাদের জন্য শয়তান ও নির্লজ্জ বাণিজ্য করার উৎস। এই সমস্ত কিছু থেকে আমরা আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
                  কিন্তু মুসলিমদের নিকট, পর্দানশীন মহিলারা তাদের ঘরে এবং বাইরে অলঙ্ঘনীয় ও সম্মানিত। তিনি একজন মূল্যবান রত্ন এবং খুবই দামি রত্ন। সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন:
                  “হে নবী আপনি আপনার স্ত্রীগণ ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।” (সুরা আল আহযাব ৫৯)

                  এই কথাগুলো সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেছেন তাঁর নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্ত্রী, কন্যা ও মুসলিম মহিলাদের উদ্দেশ্য করে। সুতরাং আমার প্রিয় বোনেরা আমাদের উচিৎ শরীআ‘র হিজাবকে সবসময় মেনে চলা এবং এইটিই আমাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণকর হবে।

                  দ্বিতীয়ত: আমি আমার মুসলিম বোনদেরকে পরামর্শ দিব। তাদের পুত্রদেরকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর আনুগত্যের দিকে এবং তাঁর পথে জিহাদের ভালোবাসার জন্য উদ্বেলিত করতে। এবং তাদের ভাই, স্বামী এবং পুত্রদেরকে মুসলমানদের ভূমি ও তাদের সম্পদ রক্ষা করা এবং দখলদারদের থেকে এগুলো উদ্ধারের প্রতি উদ্দীপ্ত করতে। যারা মুসলমানদের ভূমিগুলোতে নৃশংসতা চালিয়েছে। তার সম্পদগুলো ছিনতাই করেছে।
                  হে প্রিয় বোনেরা! উম্মাহকে জেগে তুলুন তাদের বিরুদ্ধে যারা শত্রু “বাহিনীর সাথে একসাথে কাজ করতেছে এবং মুসলিম ভূমিগুলোকে তাদের কাছে তুলে দিচ্ছে। আমি আরও পরামর্শ দিব মুজাহিদদেরকে দোয়া ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করার জন্য। আহত ও বন্দীদের পরিবারের খোজখবর নেওয়ার জন্য এবং তাদের সন্তান ও মহিলাদেরকে দান করার জন্য। এই কঠিন জীবনে তাদের সাহায্য সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এবং আমি আমার বোনদেরকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসটিও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। তিনি বলেন:
                  “হে মহিলাদের জনতা, দান করুন কারণ আমি আপনাদের বেশিরভাগকে জাহান্নামের অধিবাসী হিসেবে দেখেছি” (বুখারি)

                  আমি মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেক জায়গার মুসলিম বোনদের কাজ সম্পর্কে আশ্বস্ত করছি। মহিলারা হচ্ছে পুরুষদের বোন। এইভাবে মুসলিম মহিলাদের উচিৎ তার দ্বীন ও ভূমি রক্ষা করতে পুরুষদের পাশে থাকা।
                  এভাবে তার উচিৎ হবে তার নিজেকে রক্ষা করা। যদি সে টাকা দিতে না পারে, যদি সে তার মুসলিম বোনদেরকে মসজিদ, স্কুল, প্রতিষ্ঠানগুলোতে এবং ঘরগুলোতে দ্বীনের দিকে আহবান করতে না পারে, যদি সে ইন্টারনেটের মাধ্যমে দাওয়াত দিতে অসমর্থ হয়। তাহলে তার উচিত হবে মুজাহিদদের প্রকাশনা, আহবান ও বাণীগুলো প্রচার করা। ইনশাআল্লাহ এইগুলো পৌছুবে। এইভাবে সে খুঁজে পাবে মনযোগী কর্ণ এবং হৃদয়গুলো। অতএব আমার প্রিয় বোনেরা, আমি প্রত্যাশা করি যা কিছু সম্ভব তা দিয়ে আমাদের দ্বীনকে সাহায্য করতে আপনারা ক্লান্ত অথবা বিরক্ত হবেন না।

                  বর্তমান জিহাদে মুসলিম মহিলাদের কাজ কেমন হবে এই বিষয়ে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে।
                  আল্লাহর পথ-নির্দেশিকায় আমি বলব: প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য জিহাদ হচ্ছে ফরজে আইন। কিন্তু মুসলিম মহিলাদের জন্য যুদ্ধ করা সহজ নয়, এর জন্য মাহরাম প্রয়োজন। মহিলাদের যাওয়া এবং ফিরে আসার জন্য মাহরাম থাকা উচিত। এছাড়াও আমরা আমাদের দ্বীনকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে পারি। আমাদের উচিত হবে নিজেদেরকে মুজাহিদদের সাহায্য করায় নিয়োজিত রাখা এবং তারা আমাদেরকে যে কাজটি করতে বলবে তা পুরোপুরি আদায় করা। আমরা তাদেরকে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে পারি, তথ্য দিতে পারি, পরামর্শ দিতে পারি অথবা যেকোনো সেবা দিতে পারি। সম্ভব হলে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারি অথবা একটি শহীদি আক্রমণ পরিচালনা করতে পারি। পূর্বববর্তী অনেক মুসলিম বিরঙ্গণা এইভাবে শত্রুদেরকে হয়রান করে তুলেছিলেন, ফলে তাদের বিরাট পরাজয় ঘটে। কিন্তু আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে মুজাহিদদের সন্তান, তাদের ঘর এবং তাদের গোপন বিষয়গুলো রক্ষা করা এবং তাদের সন্তানদের সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করা।

                  হে প্রিয় বোনোর ! আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের মুহাজির বোনেরা এই মাঠে অনেক ধৈর্য, অবিচলতা, সাহসিকতা এবং সংযমের সহিত দুনিয়াকে পরিত্যাগ করে এবং আখিরাতকে ভালোবেসে কাজ করছে। যদিও জীবনধারণ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে এবং তাদের স্বামী, সন্তান ও পিতাদেরকে হারাচ্ছে এবং স্থায়িত্ব কমে যাচ্ছে। অনেককে জালিমের জেলখানায় নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে কিন্তু এরপরও আপনাদের মুহাজির বোনেরা সবর করছে এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি খোঁজার চেষ্টা করছে। সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা আল্লাহর।

                  আমার বিবৃতির শেষে আমি আমার বোনদেরকে এইটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, আমাদের প্রস্তুতিগুলো আল্লাহর কাছে লিখিত থাকবে। কোন একজনের মৃত্যুতে জিহাদ তরান্বিত হবে না, এবং না প্রস্তুতী কমবে। আজ দখলকৃত মুসলিম ভূমিগুলো বিদেশী কুফফারদের দ্বারা পরিচালিত। তিনটি পবিত্র স্থান ও দখলকারী কুফফারদের অনুগত দালাল শাসকগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রিত। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ফরজ হয়ে উঠেছে। আলেমরা এই বিষয়ে একমত যে এই ধরনের শাসকগোষ্ঠীকে উৎখাত করা প্রয়োজ।
                  এই বিষয়ে শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম (আল্লাহ তার উপর রহম করুন) বলেন: স্পেনের পতনের পর থেকে জিহাদ উম্মাহর উপর ফরযে আইন।
                  মুজাহিদ কমান্ডাররা উম্মাহকে জিহাদের জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্রে যাওয়ার আহবান করছে। আমার প্রিয় বোনেরা! আমাদের দ্বীনের ফরজ দায়িত্ব থেকে বিরত থাকা উচিত নয় এবং আমাদের উচিত অন্যদেরকে এতে উদ্দীপ্ত করানো। আমি আপনাদেরকে এই সুসংবাদ দিতে পারি যে জিহাদই হচ্ছে বিজয় এবং উন্নয়নের মাধ্যম। পশ্চিমা মিডিয়ার মিথ্যাচার সত্ত্বেও জিহাদের বিভিন্ন মাঠে ক্রসেডার ও ইহুদিদের পরাযয় ও ক্ষতির কিছু তারা প্রচার করছে। কিছু সত্যকে পরিবর্তন করে এবং অধিকাংশই তারা গোপন রাখে। অতএব আপনাদের উচিত মুজাহিদদের মিডিয়াকে গ্রহণ করা। যা মুজাহিদদের প্রকৃত অবস্থাকে তুলে ধরছে এবং এর মাধ্যমে পশ্চিমা মিডিয়ার মিথ্যাচারের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে পড়বে। এইখানে আমি আপনাদের সামনে জীবিত এইটিই হচ্ছে পশ্চিমা কুফফারদের অসামর্থের একটা উদাহরণ। আল্লাহর অনুগ্রহে ক্রুসেড ঘোষণার আট বছর পড়েও আমরা এখনও আছি। জিহাদ চেচনিয়া থেকে ইসলামিক আলজেরিয়া ছড়িয়ে গেছে। এইভাবে আল্লাহর বিজয়ের প্রতি বিশ্বাস আছে যিনি তার কিতাবে বলেন:
                  “যারা ঈমানদার তারা যে, জিহাদ করে আল্লাহর রাহে। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জিহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষাবলম্বীদের বিরুদ্ধে। (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।” (সূরা আন নিসা ৭৬)
                  আমি আপনাদেরকে আল্লাহর হিফাজতে রেখে গেলাম।

                  আমাদের সর্বশেষ দোয়া সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি এই বিশ্বের মালিক এবং শান্তি ও অনুগ্রহ আল্লাহর রসূল মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), তার পরিবার এবং তার সাথীদের উপর।


                  ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহ
                  আপনাদের বোন,
                  উমায়মাহ হাসান আহমেদ মুহাম্মদ হাসান।
                  আপনদের ভাই আইমান আল যাওয়াহিরির সহধর্মিণী।
                  মুজাহিদদের জন্য আপনাদের কাছে দোয়া কামনা করছি।
                  (সংগৃহিত)
                  ফিলিস্তিনের মুসলিমদের অবস্থার প্রেক্ষিতে লেখাটি দেওয়া হলো

                  Comment


                  • #10
                    জাযাকাল্লাহ।

                    Comment

                    Working...
                    X