Announcement

Collapse
No announcement yet.

ইসলামে ভোট হালাল কি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ইসলামে ভোট হালাল কি?

    ভাই,একজন বলেছে ইসলামে ভোট হালাল,এ বিষয়টি প্রমান করার জন্য একটি লিংকও দিয়েছে এবং বলেছে তোমার কাছে এর কোন দলিল থাকলে বল,কিন্তু আমারর কাছে এ বিষয়ে কোন দলিল নাই তাই ভাইদের সাহায্য চাচ্ছি।

    নিম্নে লেখাটি ও তার লিংক দিয়েছি :-

    আলহামদুলিল্লাহ। রাষ্ট্র ব্যবস্হায় ইসলাম প্রয়োজন, এ নিয়ে আলেমদের মাঝে এখন আর খুব একটা দ্বিমত নেই। যারা সামান্য দ্বিধায় ছিলেন, তারাও এ ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।আর এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করার কোন অবকাশও নেই। কেননা এটাকে অস্বীকার করা মানে রাসূল সা, এর মাদানী জীবনের বিশাল একটি অংশকে অস্বীকার করা। আর যা সুস্পষ্ট কুফরী।
    এখন প্রশ্ন হলো, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের ইসলামী পদ্ধতি কী?

    অনেক ভাইকে বলতে শুনা যায়, আমরাও রাষ্ট্র ক্ষমতায় ইসলাম চাই, তবে রাসূল সা, এর পদ্ধতিতে হওয়া লাগবে, ভোটাভুটিতে নয়।ইসলামের ইতিহাসের দিকে দৃকপাত করলে দেখা যায়, রাসূল সা, এর পর হযরত আবু বকর, ওমর, ওসমান, আলী ও মুয়াবিয়া রা, সহ মোট পাঁচজন সাহাবী দীর্ঘ মেয়াদে ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
    মজার ব্যাপার হলো, তাদের নির্বাচিত হওয়ার পদ্ধতি কিন্তু একরকম ছিল না।

    ১. রাসূল সা, ইন্তিকালের পূর্বে পরবর্তী রাষ্ট্র প্রধান হিসেব কারো ঘোষণা করেন নি; বরং তা সাহাবাগণের মতামতের উপর ছেড়ে গেলেন। সাহাবাগণ তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে আবুবকর রা, কে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচিত করেন।
    ২. আবু বকর রা, ইন্তেকালের পূর্বে পরবর্তী রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে হযরত ওমর রা, এর নাম ঘোষণা করেন।
    ৩. হযরত ওমর রা, ইন্তকালের পূর্বে পরবর্তী রাষ্ট্র প্রধান হিসেবে ছয় জন সাহাবার প্যানেল ঘোষণা করে অসিয়ত করেন, তোমরা এদের থেকে একজনকে রাষ্ট্র প্রধান বানাবে।
    ৪. হযরত ওসমান রা, তার ইন্তেকালর সময় কারো নাম ঘোষণা করেন নি। সাহাবাগণ তাদের মতামতের ভিত্তিতে আলী রা, কে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচিত করেন।
    ৫. আলী রা, এর ওফাতকালে লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, আমরা আপনার পুত্র হযরত হাসান রা, কে রাষ্ট্র প্রধান বানাবে? তিনি বললেন- আমি নির্দেশও দিচ্ছি না, নিষেধও করছি না।
    ৬. পরবর্তীতে মুয়াবিয়া রা, এর রাষ্ট্র প্রধান হওয়া এবং তাঁর সন্তান ইয়াজিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ইতিহাস কারো অজানা নয়।

    উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনে ইসলামে নির্ধারিত কোন পদ্ধতি নেই। এটা স্হান ও কাল ভেদে নির্ধারিত হবে।কিন্তু রাষ্ট্র কিভাবে পরিচালিত হবে, তার পদ্ধতি ইসলামে সুনির্দিষ্ট। এর কোন ব্যতিক্রম হবে না।আর সেটা হলো- সৃষ্টি যার আইন চলবে শুধু তার, (সূরা আরাফ- ৫৪)।তাহলে, বুঝা গেলো- রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনে জনগণের মতামতের গুরুত্ব রাসূল সা, নিজে দেখিয়ে গেছেন।আর মতামত প্রধানের আধুনিক পদ্ধতির নাম হলো ভোট।এখন যারা রাসূলের পদ্ধতি লাগবে, এমন কথা বলে ভোট প্রধানের বিরোধীতা করে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্হার বিরোধীতা করছেন, আসলে এটা তাদের বাহানা মাত্র।তারা বলছেন, সব মানুষের ভোটের মূল্য সমান, এ জন্য নাকি ভোট হারাম। আজব ফাতওয়া!আমি, আর আপনি হারাম ফাতওয়া দিলেই কোন বস্তু হারাম হয়ে যাবে?হারাম সাব্যস্ত হওয়ার জন্য দালীলে কাতঈ বা অকাট্য দলীল লাগবে।

    রাসূল সা, এর সাহাবাগণের মাঝেও কি সবার শিক্ষা ও বুদ্ধি একরকম ছিল?অথচ সবার পরামর্শক্রমে আবু বকর ও আলী রা, কে রাষ্ট্র প্রধান করা হয়েছিল। তখন তো তুলনা মূলক কম জ্ঞানীদের কে উপেক্ষা করা হয় নি।তাহলে, আজ এ প্রশ্ন উঠবে কেন?আবার বলে, অধিকাংশ লোকের মতামতের ভিওিতে রাষ্ট্র প্রধান নিযুক্ত হয়, তাই এটা নাজায়েজ।দলীল হিসেবে বলে- “আপনি যদি পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কথা মেনে নেন, তবে তারা আপনাকে বিপথগামী করে দেবে”, (সূরা আনআম- ১১৬)।অথচ, এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে তাবারী ও তাফসীরে করতুবি প্রণেতাসহ অসংখ্য মুফাসসির বলেছেন, এখানে “অধিকাংশ” বলে কাফেরদেরকে বুঝানো হয়েছে।”অধিকাংশ” মানেই খারাপ এটা আপনাকে বলেছে?ফাতওয়ার কিতাবের অসংখ্য জায়গায় লেখা থাকে- “এটা অধিকাংশ আলেমের মত”। আমরাও বলে থাকি- “এ আয়াতের ব্যাখ্যায় অধিকাংশ মুফাসসির বলেন।”

    আলী রা, এর খলীফা হওয়ার ব্যাপারে ১৭/১৮ জন ব্যতীত সবাই একমত হয়েছিলেন বিধায় তিনি খলীফা হতে রাজি হয়েছেন, প্রথমে তিনি খলীফা হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। কই হযরত আলী রা, তো “অধিকাংশের মতামত” এর কোন দোষ খুজলেন না।আপনি এ দোষ খুজছেন কেন?এরপর বলে গণতন্ত্র হারাম, তাই এটা দিয়ে হবে না।আরে ভাই, আব্রহাম লিংকনের গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হলো কুফরী- “মানুষের সার্বভৌমত্ব্য”।এটাতো কোন মুসলমানই মানতে পারে না।তাই তো আমরা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব্য মেনে নিয়েই তাঁর উপর ঈমান এনেছি।

    এখন, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব্য মেনে নেয়ার পর জনগণের মতামত তথা ভোটের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রধান নির্বাচনের বিপক্ষ কোন দলীল আছে কী?যদি না থাকে, তাহলে আসুন কোন বাহানা তালাশ না করে দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে তাওহীদের ভিত্তিতে ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত পুরোটা জীবন কুরআনের আদলে ঢেলে সাজাই। আল্লাহ আমাদের সে তাওফিক দান করুন। আমীন।


    লিংক:- http://banglamail71.info/archives/5916


    ভাই,অনেক আশা নিয়ে ফতোয়াটি জানার জন্য অপেক্ষা করছি

  • #2
    রাষ্ট্র ব্যবস্তায় ইসলাম দরকার, কোন ইসলাম??? জামাতের ইসলাম। তারা তো নিজেরাই বিপথগামী। ভোটের মাধ্যমে ইসলাম মানে হচ্ছে, ছাগলের কাছে গরুর বাচ্চা চাওয়া। ভোটে পাশ করলে ইসলাম আসবে, আর না করলে ইসলাম আসবে না। যদি ভোটে ইসলামীদল পাশ করে তাহলে ইসলাম আসবে। পাশ না করলে!? ইসলাম আসবে না। ভোটে পাশ করার উপর নির্ভর ইসলাম আসা না আসার, হায় মুসলিম!!!
    যারা গন্ত্রী, ভালো করে শোনে রেখো, তোমাদের ভোটাভোটি মধ্যে আগুন লাগাতেই আনছার আল ইসলামের জন্য অপেক্ষা করো। আর জেনো রেখো ইসলাম কারো মতের উপর / কারো ভোটের উপর নির্ভর নয়। বদরের প্রন্তরে ইসলাম ভোটে পাশ করে নাই। করে তলোওয়ারে। তলোওয়ার একমাত্র ভরসা। ইনশাআল্লাহ।
    Last edited by Muhammad bin maslama; 12-16-2017, 11:00 AM.

    Comment


    • #3
      jajakallah
      যদি রাসুলকে কটুক্তি করা হয়, ওদের বাক সাধিনতার অংশ
      তাহলে ওদেরকে ধারালো চাপাতির আঘাতে হত্যা করা আমাদের
      দিনের অংশ। (আনওয়কর আল-আওরাকি রহি

      Comment


      • #4
        কিতাল-২ ভাই ! দলিল ভিত্তিক এই প্রশ্নগুলো উত্তর একটু বেশি দীর্ঘ ৷ আপনি আমিরে হিন্দ মাওলানা আসেম উমর লিখিত "ইসলাম ও গণতন্ত্রের সংঘাত" বইটি পরে নিন ৷ গুগোল থেকে pdf ডাউন করে নিতে পারেন বা ইসলামিক মাকতাবাগুলোতেও একটু খুজলে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ ৷ এই বইতে আপনার কাঙ্খিত উত্তর সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় পাবেন ইনশাআল্লাহ ৷

        Comment


        • #5
          লেখক এখানে একটি প্রতিষ্টিত ইসলামি রাষ্ট্র বা দারুল ইসলামের রাষ্ট্রপ্রধান নিয়োগের পদ্ধতি সম্পর্কে সাহাবাদের থেকে দলীল দিয়ে একটি প্রতিষ্টিত দারুল হারবের রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়াকে হালাল প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। যে রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান নিয়োগকে উনি দলীল দিয়েছেন সেই রাষ্ট্রের সর্বত্র দ্বীন বিজয়ি ছিল, মুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা ছিল। অথচ গণতান্ত্রিক কোন দ্বীন বিজয়ি নেই, মুসলিমদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নেই। এসব রাষ্ট্র তাদের নিজেদের হুকুম মত চলতে মুসলিমদের বাধ্য করে আল্লাহর হুকুম মত চলতে বাধা দেয়। কাজেই সেই দলিল এই রাষ্ট্রে চলে না। লেখক মূলত "দারুল হারব" ও "মুসলিম রাষ্ট্র" এই দুটোর ব্যাপারে জাহালতের মধ্যে আছেন। তাকে জিগ্ঘেস করুন দারুল হারবের পরিচয় কী, দারুল হারব ও দারুল ইসিলাম উভয় রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান নিয়োগের জন্য শরীয়তে মোকাদ্দাসা কি একই রকম বিধান দিয়েছে!!

          Comment


          • #6
            পোস্টদাতা ও কমেন্টকারীদের শুকরিয়া।
            #পরাজিত মন মানসিকতার লোকেরাই এসব কথা বলে/ এমনটা বিশ্বাস করে! উনি হয়ত বাংলাদেশকে দারুল ইসলাম ভেবেছেন। তাছাড়া এরকম বিশ্বাস করা নিতান্ত ই দুষ্কর।

            Comment

            Working...
            X