Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল্লাহর পথে শহীদ হওয়ার ফযিলত – শায়খ শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ(পর্ব ১)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল্লাহর পথে শহীদ হওয়ার ফযিলত – শায়খ শহীদ আব্দুল্লাহ আযযাম রহঃ(পর্ব ১)

    উম্মাহর অস্তিত্ব,আলেমের কলমের কালি এবং
    শহীদদের আত্ন-ত্যাগের সাথে সম্পর্কিত ।
    এর থেকে অধিক উত্তম আর কি হতে পারে,
    উম্মাহর ইতিহাস আলেমের কলমের কালি এবং
    তাঁদের রক্তে লেখা হচ্ছে। এটি এমনভাবে যে,
    ইসলামী ইতিহাসের মানচিত্র কালো এবং লাল দুই সারিতে রঞ্জিত হয়েছে।
    কালোটি হল আলেমগণের কলমের কালি, আর দ্বিতীয়টি হলো শহীদগণের রক্ত।
    এবং এর চেয়েও সুন্দর হলো, যখন রক্ত ও কলমের কালি একইসূত্র হতে প্রবাহিত হয়,
    অর্থাৎ আলেমের হাত, যা কলম চালনা করে এবং কালি নিঃসরণ করে,
    একই হাত যা থেকে রক্ত ঝরে এবং জাতিকে সামনের দিকে পরিচালনা করে।
    উলামাগনের লাশের সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাবে, সে হারে ঘুমন্ত মানুষের সংখ্যা কমে যাবে
    এবং তারা ঘুম থেকে জেগে উঠে নিজেদের অধঃপতনের হাত থেকে রক্ষা করবে।

    অতএব রক্ত ছাড়া ইতিহাস রচিত হয় না। গৌরবের সুউচ্চ ইমারাত খুলি ব্যতীত
    মাথা উচু করে দাঁড়ায় না। সম্মান এবং মর্যাদা বিকলাঙ্গতা ও
    লাশের ভিত্তি ছাড়া প্রতিষ্ঠা লাভ করে না। দৃষ্টান্ত ছাড়া সাম্রাজ্য, আভিজাত্য, রাষ্ট্র এবং সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয় না।

    শায়খ শহীদ আব্দুল্লাহ ইউসুফ ‘আযযাম রহমতুল্লাহি আলাইহি,
    হে আমাদের শায়খ! ১৯৮৯ এ আপনাকে গুপ্তহত্যা করার পরও আপনার রক্ত বৃথা যায়নি।

    টীকাঃ

    শহীদঃ আভিধানিক অর্থে একজন সাক্ষী

    শুহাদাঃ শহীদের বহু বচন

    শাহাদাহঃ আভিধানিক অর্থে সাক্ষ্য দেয়া

    ১। শহীদের রক্তের ঘ্রাণ মেশকের মতঃ

    “যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, আল্লাহর পথে এমন কেউ আহত হয় না
    -এবং আল্লাহ ভালো জানেন কে সত্যিকার ভাবে
    তাঁর পথে আহত হয়েছে- যে (তাঁর ক্ষতস্থান নিয়ে)
    কিয়ামতের দিন উত্তিত হবে , এবং তা থেকে রক্ত গড়িয়ে পরবে
    এবং এর রঙ হবে রক্তের মতই, তবে তাঁর ঘ্রাণ হবে মেশকের মত।”

    (মুসলিম, আহমাদ)

    *

    ২। আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় ফোঁটাঃ

    “আল্লাহর নিকট দুটি ফোঁটা এবং দুটি দাগ ব্যতীত
    সর্বাধিক প্রিয় অন্য কিছুই নাই। অশ্রু ফোঁটা যা আল্লাহর ভয়ে ঝরে থাকে,
    এবং রক্ত বিন্দু যা আল্লাহর পথে প্রবাহিত হয়। আর দাগসমূহের মধ্য হতে,
    যে দাগ আল্লাহর পথে হয়ে থাকে এবং একটি দাগ যেটি আল্লাহর ফরয বিষয়সমূহ হতে
    একটির দরুন হয়ে থাকে।”(হাসান, তিরমিযি বর্ণিত)

    ‘আল-জিহাদ’ শব্দটি পারিভাষিক ভাবে
    ‘আল্লাহর পথে’ বাক্যের দিকে সম্বন্ধীয় যেমনটি
    ইবন হাজর আল-আসকালানি ফাতহুল বারীতে ব্যাখ্যা করেছেন।

    *

    ইবন রুশদ ‘জিহাদ’ এর অর্থ দিতে গিয়ে বলেনঃ
    “জিহাদ শব্দ যখন উচ্চারণ করা হয় এর মানে দাঁড়ায়
    কাফিরদের বিরুদ্ধে তলোয়ার দ্বারা যুদ্ধ করা
    যতক্ষণ না সে ইসলাম গ্রহণ করে, অথবা জিযিয়া (ট্যাক্স) প্রদান করার
    মাধ্যমে রাষ্ট্র হতে নিরাপত্তা লাভ করে।”

    *

    ৩। শহীদ দুনিয়াতে পুনরায় ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করবেঃ

    “আল্লাহর কোন বান্দা যে মৃত্যুবরণ করে এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে
    পুরস্কার লাভ করে, কখনই সে এই দুনিয়াতে
    ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষা করবে না,
    যদিও দুনিয়া এবং এতে যা কিছু আছে সবই তাঁকে প্রদান করা হয়।
    তবে একজন শহীদ ব্যতীত, (এর কারণ) শহীদি মৃত্যুর ফযীলত হিসেবে সে যা
    কিছু অবলোকন করেছে তাঁর জন্য।
    সুতরাং সে দুনিয়াতে ফিরে পুনরায় নিহত হওয়ার
    আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করবে”- অন্য বর্ণনায় –
    “সুতরাং সে শাহাদতের যে ফযিলত ও মর্যাদা দেখেছে
    এর জন্য সে দশবার নিহত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করবে।”(বোখারী ও মুসলিম)

    *

    শহীদ ব্যক্তিকে ‘শহীদ’ নামকরণ করার কারণ সম্পর্কে
    উলামাদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।
    আল-আজহারি বলেন, “এর কারণ হল আল্লাহ ও
    তাঁর রসূল এই ব্যাপারে সাক্ষী যে সে জান্নাতী”।
    আন-নাদর বলেন, “আশ-শহীদ, হলেন জীবিত,
    সুতরাং তাঁদের এই নামকরণ করা হয়েছে কারণ তাঁরা তাঁদের
    রবের সাথে জীবিত অবস্থায় আছেন”।

    *

    এটিও বলা হয় “কারণ রহমতের ফিরেশতাগণ তাঁর রূহ গ্রহণ করেন
    এবং তাঁর ব্যাপারে সাক্ষী থাকেন” এবং
    “সে তাঁদের মধ্য হতে যে তাঁর জাতির সাক্ষ্য দাতা”,
    অথবা “বাহ্যিক ভাবে সে তাঁর ঈমান এবং ভাল সমাপ্তির সাক্ষী”
    , অথবা “এর কারণ শেষ বিচারের দিন তাঁর রক্ত তাঁর জন্য সাক্ষী হবে”।

    *

    শায়খ আব্দুল্লাহ ‘আযযাম রহঃ বলেনঃ
    “তাঁরা এই ব্যাপারে সাক্ষী যে এই দ্বীন জীবনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ,
    এবং এর মুল্য রক্তের চেয়েও দামী এবং
    এর মূলনীতি আত্মার চেয়েও মূল্যবান।”

  • #2
    জাযাকাল্লাহ

    Comment

    Working...
    X