Announcement

Collapse
No announcement yet.

একটি আয়াতের সঠিক তাফসির

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • একটি আয়াতের সঠিক তাফসির

    আল্লাহ তায়ালা বলেন,
    وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ
    অর্থ: তোমরা আল্লাহর পথে খরচ কর এবং স্বহস্তে নিজেকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিওনা। আয়াতের অর্থ স্পষ্ট। এতে আল্লাহর রাহে খরচ করতে এবং স্বেচ্ছায় নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করতে বারণ করা হয়েছে। এখন কথা হলো, “ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করা” বলতে এখানে কি বুঝানো হয়েছে? এ প্রসঙ্গে ইমাম জাসসাস রহ. আহকামুল কোরআনে বলেন,
    وقَوْله تَعَالَى [وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ] قَالَ أَبُو بَكْرٍ قَدْ قِيلَ فِيهِ وُجُوهٌ أَحَدُهَا مَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُد قَالَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ وَابْنِ لَهِيعَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَسْلَمَ أَبِي عِمْرَانَ قَالَ غَزَوْنَا بِالْقُسْطَنْطِينِيَّةِ وَعَلَى الْجَمَاعَةِ عَبْدُ الرحمن بن الوليد والروم ملصوق ظُهُورِهِمْ بِحَائِطِ الْمَدِينَةِ فَحَمَلَ رَجُلٌ عَلَى الْعَدُوِّ فَقَالَ النَّاسُ مَهْ مَهْ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ يُلْقِي بِيَدَيْهِ إلَى التَّهْلُكَةِ فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ إنَّمَا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِينَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ لَمَّا نَصَرَ اللَّهُ نَبِيَّهُ وَأَظْهَرَ دِينَهُ الْإِسْلَامَ قُلْنَا هَلُمَّ نُقِيمُ فِي أَمْوَالِنَا وَنُصْلِحُهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى [وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ] فَالْإِلْقَاءُ بِالْأَيْدِي إلَى التَّهْلُكَةِ أَنْ نُقِيمَ فِي أَمْوَالِنَا فَنُصْلِحَهَا وَنَدَعَ الْجِهَادَ قَالَ أَبُو عِمْرَانَ فَلَمْ يَزَلْ أَبُو أَيُّوبَ يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى دُفِنَ بِالْقُسْطَنْطِينِيَّةِ فَأَخْبَرَ أَبُو أَيُّوبَ أَنَّ الْإِلْقَاءَ بِالْأَيْدِي إلَى التَّهْلُكَةِ هُوَ تَرْكُ الْجِهَادِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَنَّ الْآيَةَ فِي ذَلِكَ نَزَلَتْ وَرُوِيَ مِثْلُهُ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ وَحُذَيْفَةَ وَالْحَسَنِ وَقَتَادَةَ وَمُجَاهِدٍ وَالضَّحَّاكِ وَرُوِيَ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ وَعُبَيْدَةَ السَّلْمَانِيِّ الْإِلْقَاءُ بِالْأَيْدِي إلَى التَّهْلُكَةِ هُوَ الْيَأْسُ مِنْ الْمَغْفِرَةِ بِارْتِكَابِ الْمَعَاصِي ... وَلَيْسَ يَمْتَنِعُ أَنْ يَكُونَ جَمِيعُ هَذِهِ الْمَعَانِي مُرَادَةً بِالْآيَةِ لِاحْتِمَالِ اللَّفْظِ لَهَا وَجَوَازُ اجْتِمَاعِهَا مِنْ غَيْرِ تَضَادٍّ وَلَا تَنَافٍ.
    “হযরত আসলাম থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা কুস্তুতুনতুনিয়ায় (বর্তমানে ইস্তাম্বুল) যুদ্ধের জন্য গেলাম। আমাদের আমির ছিলেন হযরত আব্দুর রহমান ইবনুল ওয়ালিদ রা. । (আমাদের দেখে) রোমান সৈন্যরা শহরের প্রাচিরের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে যুদ্ধ করতে থাকলো। এমতাবস্থায় এক মুসলিম একাই তাদের উপড় আক্রমন করলো। এটা দেখে অন্যান্য মুসলিমগণ বললেন, থামো থামো (কি করছো?) হায়! লোকটি স্বেচ্ছায় নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করছে। মুসলিমদের এ মন্তব্য শুনে হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রা. বললেন, এ আয়াত আমাদের অর্থাৎ মদিনার আনসারদের বিষয়ে নাযিল হয়েছে। (তাই আমরা এর ব্যাখ্যা ভালোভাবেই জানি) তাহলো, আমরাতো ইসলাম ও মুসলমানদেরকে অনেক সাহায্য করেছি, তবে যখন আল্লাহ তায়ালা তার রাসুলকে ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহায্য করলেন এবং তার ধর্ম ইসলামকে বিজয়ী ও সুপ্রতিষ্ঠিত করলেন। তখন আমরা (আনসাররা) পরস্পর আলোচনা করতে লাগলাম, (এখন আর জিহাদের কি প্রয়োজন?) আমরা এখন আপনগৃহে অবস্থান করে ধন-সম্পদের দেখা-শোনা করবো। এপ্রসঙ্গেই আয়াতটি নাযিল হলো। সুতরাং “স্বেচ্ছায় নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করা” হলো, জিহাদ ছেড়ে দিয়ে আপনগৃহে অবস্থান করে ধন-সম্পদের দেখা-শোনা করা। বর্ণনাকারী হযরত আবু ইমরান বলেন, এইজন্য আবু আইউব রা. সারাটি জিবন যুদ্ধ করেছেন অবশেষে কুস্তুন্তুনিয়ার যুদ্ধে তিনি শহিদ হন এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। হযরত আবু আইয়ুব আনসারী রা. এটা বুঝালেন, “স্বেচ্ছায় নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করা” হলো, জিহাদ ছেড়ে দেয়া এবং আয়াতটি প্রসঙ্গই নাযিল হয়েছে।
    হযরত ইবনে আব্বাস রা., হুযাইফা রা., কাতাদা রহ. এবং মুজাহিদ ও দাহহাক রহ. প্রমুখ মুফাসসিরগণের কাছ থেকে এরূপই বর্ণিত হয়েছে।
    হযরত বারা ইবনে আযেব রা. ও হযরত উবাইদা সালমানী বলেন, “স্বেচ্ছায় নিজেকে ধ্বংসের মুখে নিক্ষেপ করা” হলো, গোনাহের কারণে আল্লাহর মাগফিরাত থেকে নিরাশ হওয়া”।
    ইমাম জাসসাস বলেন, উপরোক্ত সমস্ত নির্দেশই আয়াতে উদ্দেশ্য হতে পারে।
    (আহকামুল কোরআন খন্ড: ১ পৃষ্ঠা: ৩১৮)
    দেখুন ভাইয়েরা, এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে জিহাদকে চলমান রাখার জন্য। কিন্তু আফসোস! বর্তমানে এ আয়াত দিয়েই জিহাদের বিরুদ্ধে দলিল দেওয়া হচ্ছে।
    আফসোস! শত আফসোস!!!!!!!!
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমীন।




    ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

  • #2
    আখিঁ ফিল্লাহ,জাযাকাল্লাহ।

    Comment


    • #3
      আখিরাতের উত্তম ব্যাংক হচ্ছে জিহাদের পথে দান করা।
      আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন, আমিন।
      আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
      আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ

        Comment


        • #5
          আল্লাহ তায়ালা অামাদের সকলকে দ্বীনের সহিহ বুঝ দান করুন। অামিন।
          কে আছো জোয়ান, হও আগোয়ান।

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ

            Comment

            Working...
            X