Announcement

Collapse
No announcement yet.

কি ভাবে আমরা বসে থাকতে পারি?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কি ভাবে আমরা বসে থাকতে পারি?

    রাসূল (সঃ) এর নিকটবর্তী প্রতিশ্রুতি শুনে কিভাবে আমরা বসে থাকতে পারি!!!
    সমস্ত প্রশংসা ঐ মহান স্রষ্টার জন্য যিনি মাজলুমদেরকে রক্ষা করা ও কুফ্ফারদেরকে নির্মূল করার জন্য এবং খেলাফাত–আলা মানহাজিন নবুওয়াকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে জিহাদকে ফরজে-আইন হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন । এবং রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ভবিষ্যৎ বানী খোরাসান থেকে কালো পতাকা বাহিনীর আত্নপ্রকাশ পেয়েছে । মহান স্রষ্টার দয়ায় তারা পৃথিবীতে কালো পতাকা তুলতে সক্ষম হয়েছেন । সালাত এবং সালাম মহান স্রষ্টার মহান হাবীবের জন্য যিনি জিহাদের মতো উত্তম ফরজকে “আজিমুশ্শান” ইবাদাত হিসেবে পালন করেছেন । এবং সমস্ত ধর্মের উপর দ্বীন-ইসলামকে এই জিহাদের মাধ্যমেই প্রবল করেছেন এবং জিহাদের মাধ্যমেই মানুষকে কুসংস্কার, নোংড়ামী থেকে বের করে কল্যাণের দিকে এনে ছিলেন । মাজলুমদেরকে রক্ষা করার জন্যে এই জিহাদ-ফি সাবীলিল্লাহ কেই উত্তম আদর্শ হিসেবে গ্রহন করেছেন । আর মুসলিম জাতির জন্যে ভবিষৎ বানী করে গেছেন গাযওয়াতুল হিন্দকে যার সূচনা মহান আল্লাহ-তায়ালা কাশ্মীর থেকে শুরু করেছেন ।
    হে-যুবক ! কাশ্মীরের মুজাহীদিনরা গজওয়াতুল হিন্দকে বাস্তবায়ন করার জন্যে তাদের চেষ্টা প্র্রচেষ্টাকে এখন পযর্ন্ত অব্যাহত রেখেছেন এবং নিজেদের ভূ-খন্ডে নিজেদের
    বুকের তাজা রক্ত দ্বারা আল্লাহর দ্বীনকে সু-উচ্চ করার জন্যে সচেষ্ট আছেন । অন্যদিকে কুফ্ফাররা তাদেরকে ভূ-পৃষ্ঠের সাথে মিশিয়ে দেওয়ার জন্যে, সব ধরনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করার জন্যে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে । (আর মহান স্রষ্টা চাচ্ছেন কাশ্মীরিদেরকে বিজয় দান করবেন !) তারপরেও কাশ্মীরের মুজাহীদিনরা রক্তমাখা হাতে কালো পতাকা নিয়েই গাযওয়াতুল হিন্দের কাজকে চালিয়ে যাচ্ছেন ।
    হে-যুবক ! তুমি কী তাদের রক্তমাখা শরীর থেকে গাযওয়াতুল হিন্দের জিহাদের ডাক পাচ্ছনা ? তারপরও তাদের এই স্মৃতি দেখে গাযওয়াতুল-হিন্দের প্রতি তোমার জেগে উঠতে মন চায়না ?
    হে-মুসলিম জাতি ! আরাকানের নির্যাতন তোমাদের চোখের সামনে । আর তোমরা তাদের নির্যাতন দেখে কীভাবে ঘরে বসে থাকতে পার ? আজ যদি তোমাদের মা ও বোনদেরকে ধর্ষণ করা হতো তুমি কি বসে থাকতে পারবে ? মহান স্রষ্টা তাদেরকে সর্বদিক দিয়ে সাহায্য করার জন্যে কোরআনে-কারিমে আহবান করেছেন । আর তার আদর্শকে বাদ দিয়ে মালউন-তাগুদের কাছে মাথাকে নিচু করে দিলে ?
    হে-যুবক ! মুসলমান জাতি কারো কাছে মাথা নত করেনা কেননা তারাতো মাথা নত করার জাতি নয় । মুসলিমতো মাথা নত করে একমাত্র মহান রব্বুল আলামিন আল্লাহ-তায়ালার সামনে ।

    হে-মুসলিম জাতি ! তুমি আর কত কাল মহান প্রতিপালকের অবাধ্য চরনে হাবুডুবু খাবে ?
    হে-আল্লাহর গোলাম ! রক্তমাখা মজলুমদের দেখে তাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতিশ্রুতি গাযওয়াতুল হিন্দকে ভূলে গিয়ে আর কতদিন তুমি বসে থাকবে ?
    হে-যুবক ! আরাকানের মাজলুমরা কী রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতিশ্রুতির দিকে আহবান করছে না ? তারপরেও কিভাবে তোমার মূল্যবান সময়কে খেলা-দুলায় ও অশ্লীল কাজে ব্যয় করছো ?
    হে-বাংলার তরুনেরা ! তোমারাও কী আজ জুলুমের স্বীকার নও ? এই ভূ-খন্ডে আল্লাহর বিধানকে মেনে চলতে ও তাগুতকে বর্জন করে ও রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উত্তম আদর্শকে মেনে চলা কী আজ সম্ভব হচ্ছে ?
    হে-মুসলিম জাতি ! আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে এই বাংলার ভূ-খন্ডে ব্যঙ্গ চিত্র ও ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে গুটি কয়েক নাস্তিক । এবং তাগুত বাহীনিরা তাদেরকে পাহাড়া দিয়ে তাদের নাস্তিকতা-বাদে সাহায্য করছে । অথচ তাদের হত্যাকারী মুজাহীদিন ভাইদেরকে চূড়ান্ত পযার্য়ে নিযার্তন করে হত্যা করছে । হক্কানী ওলামাদেরকে গুম করা হচ্ছে, ধর্ষণের ঝড় চলছে । অন্যদিকে সংবিধান থেকে আল্লাহর আইনকে বাদ দিয়ে মানব রচিত সংবিধানকে চালু করা হচ্ছে ।
    হে-ওলামা ও ত্বলাবা, university এর যুবক তরুনেরা ও সর্বস্তরের মুসলিম জাতি ! তোমরা কী শাপলা চত্ত্বরে তাগুত বাহিনীর হত্যাকান্ডের কথা ভূলে গেছ ? তারপরও কি এই স্মৃতি দেখে গজওয়াতুল হিন্দের প্রতি জাগ্রত হতে উৎসাহ আসেনা যে, আমি এই বরকতময় জিহাদে অংশগ্রহন করবো (ইনশাআল্লাহ) । এই বরকতময় জিহাদ থেকে তোমাকে কোন জিনিস বাধা দিয়েছে ? আর কত জুলুমের শিকার হলে এই বরকতময় জিহাদের জন্যে জেগে উঠবে ??? তুমি কী এই জিহাদে নিজের বুকের তাজা রক্তকে ঝড়াতে ভয় পাচ্ছ ?
    হে-যুবক ! জীবন যাবে তাতে কী হয়েছে, মহান প্রতিপালকের দ্বীনতো বিজয় হবে ! তুমি কী জানো ? আর এই ভয়ংকর যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হয়ে বায়তুল মুকাদ্দাসের (বর্তমান ফিলিস্তিন ) দিকে এগিয়ে ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) এর সাথে মিলিত হবে । গাযওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে নবী করীম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষৎবানী দিয়ে গেছেন ।
    এক নং হাদিসঃ- হযরত আবু হুরায়রা রাযি আল্লাহু তা’য়ালা আনহু কতৃক বনির্ত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের থেকে হিন্দুস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন । কাজেই আমি যদি সেই যুদ্ধ পেয়ে যাই, তাহলে আমি তাতে আমার জীবন ও আমার সমস্ত সম্পদ ব্যয় করে ফেলবো । যদি নিহত হই, তবে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদের অন্তর্ভূক্ত হবো, আর যদি ফিরে আসি তাহলে আমি জাহান্নাম থেকে মুক্ত আবু হুরায়রা হয়ে যাবো ।
    শুনানে নাসাঈ, খন্ড নং :-০৬,পৃষ্টা নং:-৪২, হাদিস নং :-০২
    দ্বিতীয় হাদিসঃ- নবী করীম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আজাদকৃত গোলাম হযরত সাওবান রাযি আল্লাহু তা’য়ালা আনহু বর্নণা করেন, রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :- আমার উম্মতের এমন ২টি দল আছে । “আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম হতে নিরাপদ করে দিয়েছেন” । একটি দল হল. তারা যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে । আরেকটি দল হল. তারা যারা ঈসা ইবনে মারিয়ামের (আঃ) সাথে হবে ।
    সুনানে নাসাঈ, খন্ড নং :- ০৬, পৃষ্ঠা নং :-৪২ ,হাদিস নং :- ০৩
    অপর এক হাদিসে হযরত আবু হুরায়রা রাযি আল্লাহু তা’য়ালা আনহু কতৃক বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে । আল্লাহ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা হিন্দুস্তানের রাজাদের বেড়ি দিয়ে টেনে
    আনবেন । এবং আল্লাহ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় *যুদ্ধের দরুন ! ) । এবং সে মুসলিমরা ফিরে আসবে । তারা ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ) কে শাম দেশে ( বর্তমান সিরিয়া ) পাবে । হযরত আবু হোরায়রা রাযি আল্লাহু তা’য়ালা আনহু বলেন, আমি যদি সেই গজওয়া পেতাম তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রি বিক্রি করে দিতাম এবং আমি এতে অংশ গ্রহন করতাম । যখন আল্লাহ্ আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম তখন আমি একজন মুক্ত আবু-হুরায়রাহ্ *হয়ে যেতাম । যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত ।
    হে-আল্লাহর রাসূল ! (সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) এটা আমার গভীর ইচ্ছা যে, আমি ঈসা (আঃ) এর নিকটবর্তী হতে পারতাম । আমি তাকে বলতে পারতাম যে, আমি মহা-নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন সাহাবী । বর্ননাকারী সাহাবী বলেন যে, তখন রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুচকি হাসলেন এবং বললেন, সেটাতো খুব কঠিন, সেটাতো খুব কঠিন । আল-ফিতান, খন্ড নং:-০১,পৃষ্টা নং:- ৪০৯
    এই যুদ্ধে বীর হয়ে উঠতে হলে খালেদ ইবনে ওয়ালিদ রাযি আল্লাহু তা’য়ালা আনহু এর মতো বুকে সাহস রাখতে হবে, উসমান রাযি আল্লাহু তা’য়ালা আনহু এর মত সম্পদ ব্যয় করতে হবে । আবু-বকর ও ওমর (রাযি আল্লাহু তা’য়ালা আনহুমা) মতো নিজের জানকে বিলীন করে দিতে হবে । হামজা রাযি আল্লাহু তা’য়ালা আনহু এর মতো নিজেকে পাহাড়ের মতো মজবুত, কিলকের মতো শক্ত এবং মাটির মতো ধৈয্যতে প্রস্তুত করতে হবে ।
    সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় গাযওয়াতুল হিন্দ আমাদের চোখের সামনে তারপরও আমরা জেগে উঠছিনা । আমাদের চেয়ে হতভাগা আর কে হতে পারে ? অথচ রাসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবী তার প্রতিশ্রুতির কথা শুনে কী পরিমান আসায় আনন্দিত হয়ে গেলেন । আর আমরা কথায় গাযওয়া বলতে যুদ্ধ আর হিন্দ্ বলতে এই উপমহাদেশের তথা পাক-ভারত, বাংলাদেশ, সহ মায়ানমার, শ্রীলংকা, নেপাল, ভূটান ও পাকিস্তানকে বুঝে থাকি ।।।

  • #2
    জাযাকাল্লাহ।
    ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ।

      Comment

      Working...
      X