Announcement

Collapse
No announcement yet.

দরসুল কোরআন ( আমর বিল মারুফ)

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দরসুল কোরআন ( আমর বিল মারুফ)

    দরসুল কোরআন( আমর বিল মারুফ)
    الحمد لله وحده والصلوة والسلام على من لا نبي بعده. اما بعد.
    প্রিয় মুজাহিদ বন্ধুগণ, আপনারা কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভাল আছি। আমি আজকে একটি আয়াত নিয়ে আলোচনা করবো,
    আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন,
    كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ.
    “ তোমরা সর্বোত্তম উম্মত, যাদের আবির্ভাব হয়েছে মানব জাতির (কল্যাণের) জন্য। তোমরা ভাল কাজের আদেশ কর ও মন্দ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখ। (সুরা আলে ইমরান; আয়াত: ১১০)
    প্রিয় ভাইগণ, এ আয়াত আমরা সবাই পড়ি, বয়ান করি, অন্যকে দাওয়াত দেই।
    কিন্তু এর অর্থ কি আমরা ভালভাবে অনুধাবন করি?
    প্রথমত: আল্লাহ বলেছেন, “ তোমরা সর্বোত্তম উম্মত, যাদের আবির্ভাব হয়েছে মানব জাতির (কল্যাণের) জন্য। মানবজাতির কল্যণের অর্থ কি? এ বিষয়ে বেশী কিছু বলতে চাই না শুধু একটি হাদিস বলছি, তা থেকেই এর অর্থ বুঝা যাবে।
    ইমাম বুখারী রহ. (মৃত্যু: ২৫৬ হিজরী) বলেন,
    باب { كنتم خير أمة أخرجت للناس }
    حدثنا محمد بن يوسف عن سفيان عن ميسرة عن أبي حازم عن أبي هريرة رضي الله عنه { كنتم خير أمة أخرجت للناس } قال خير الناس للناس تأتون بهم في السلاسل في أعناقهم حتى يدخلوا في الإسلام.
    “ তোমরা সর্বোত্তম উম্মত, যাদের আবির্ভাব হয়েছে মানব জাতির (কল্যাণের) জন্য”। এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত আবু হুরাইরা রা. বলেন, তোমরা মানুষের জন্য সবচেয়ে উপকারী মানুষ। তোমরা তাদেরকে শিকলাবদ্ধ করে নিয়ে আসবে। অতপর তারা ইসলামে প্রবেশ করবে। অর্থাৎ শিকলাবদ্ধ করে নিয়ে আসা তাদের ইসলাম গ্রহনের কারণ হবে। (বুখারী শরীফ: কিতাবুত তাফসীর, পৃষ্ঠা: ৬৫৪)
    সুতরাং উত্তম উম্মত তারাই যারা শিকলাবদ্ধ করে কাফেরদেরকে নিয়ে আসে। আর কারা এ কাজ করে, এটা স্পষ্ট। আল্লাহু আকবার। মুজাহিদগণ সর্ববোত্তম উম্মত। আল্লাহু আকবার।
    তবে দুঃখের বিষয়, আমাদের সমাজে এর অর্থ অন্যভাবে করা হয়। আল্লাহ তাদের হেদায়াত দান করেন। আমীন।

    দিতীয়তঃ আল্লাহ তায়ালা উক্ত আয়াতে আমাদেরকে ভাল কাজের আদেশ করতে বলেছেন।
    এ আদেশ বলতে আমরা কি বুঝি? কেউ বুঝি, মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে পিঠ হাত বুলিয়ে ভাল কাজের আহ্বান করা ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।
    কিন্তু “আদেশ” অর্থ কি এটা?
    আর “আদেশ” কে আরবীতে “আমর” বলা হয়।
    আসুন, আমরা এর অর্থ জেনে নেই,
    **ইমাম ফখরুল ইসলাম বাযদভী রহ. (মৃত্যু: ৪৮২ হিজরী) বলেন,
    وقيل هو اللفظ الدال على طلب الفعل بطريق الاستعلاء واحترز بلفظ الاستعلاء عن الالتماس والدعاء. وهذا أقرب إلى الصواب.
    “কেউ আমরের সংজ্ঞা এভাবে করেন, আমর হলো, এমন শব্দ যা প্রভাব খাটিয়ে বা বল প্রয়োগের মাধ্যমে কাজ আদায় করা কে বুঝায়। সংজ্ঞার মধ্যে বল প্রয়োগের শর্ত থাকার কারণে, যে কাজগুলো শুধু আবেদনের মাধ্যমে আদায় করা হয়, তা আমরের অন্তর্ভুক্ত হবে না”। ( উসুলে বাযদভী: ১৪/৩৫৮)
    **ইমাম সাইফুদ্দীন আমাদী রহ. (মৃত্যু: ৬৩১ হিজরী) বলেন,
    ويكون أمرا، إذا كانت على سبيل الاستعلاء، لا على سبيل الخضوع والتذلل.
    “ কোন কথা আমর তখনই হবে যখন তা প্রভাব খাটিয়ে বা ক্ষমতার বলে বলা হবে। আর যা অনুনয়-বিননয় করে বলা হয়, তা আমর হবে না”। ( আল ইহকাম-ফি- উসুলিল আহকাম: ২/১৫৬)
    তিনি আরো বলেন,
    الأمر طلب الفعل على جهة الاستعلاء.
    “ আমর হলো, প্রভাব খাটিয়ে বা ক্ষমতার বলে কাজ আদায় করা” ( আল ইহকাম-ফি- উসুলিল আহকাম: ১/৩৯৩)
    **ইমাম আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ আন নাসাফী রহ. (মৃত্যু: ৭১০ হিজরী) বলেন,
    الامر: هو قول القائل لغيره على سبيل الاستعلاء افعل.
    “আমর হলো, অপরকে প্রভাব খাটিয়ে একথা বলা, ‘ঐ, কাজটা কর’। ” (নুরুল আনওয়ার:
    দুঃখিত: এ মুহুর্তে কিতাবটি আমার সামনে নেই তাই, পৃষ্ঠা নাম্বার দিতে পারলাম না)
    প্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা উসুলে ফিকহের যত কিতাব দেখবেন সব জায়গায় একই কথা লেখা পাবেন। তবে প্রত্যেকের ইবারতের মধ্যে বেশ-কম হতে পারে। কিন্তু সবার কথা এটাই যে, কোন কথা আমর তখনই হবে যখন তা প্রভাব খাটিয়ে বলা হবে।
    সুতরাং সৎকাজের আদেশ দেওয়ার অর্থ হলো, প্রভাব খাটিয়ে আদেশ করা। অর্থাৎ আদেশ পালন না করলে ডান্ডা লাগনোর ক্ষমতা থাকা।
    এটাই আমর। আল্লাহ আমাদের কাছ থেকে এটাই চাচ্ছে এবং আদেশ করছে। এখন আমরা দেখবো আল্লাহর এ আদেশকে কারা পালন করছে, আমাদের দেশে যারা এ বলে বুলি আওড়ায় যে, আমরা সৎ কাজের আদেশ করছি। তারা কি তাদের দাবিতে সত্যবাদী? চোখ বুজেই বলা যায়, এ আদেশ মুজাহিদিনরা পালন করছে। আল্লাহু আকবার। আল্লাহু আকবার। আল্লাহু আকবার।
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে মুজাহিদ হিসেবে কবুল করেন। আমিন।





    ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

  • #2
    jajakallah

    Comment


    • #3
      জাযাকাল্লাহ।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহ

          Comment

          Working...
          X