Announcement

Collapse
No announcement yet.

জরুরীয়াতে দ্বীনের সংজ্ঞা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জরুরীয়াতে দ্বীনের সংজ্ঞা

    ➖➖➖➖➖➖

    জরুরীয়াতে দ্বীনের সংজ্ঞা


    জরুরীয়াতে দ্বীন বলতে বুঝানো হয় দ্বীনের এমন একটি বিষয় যা কোন চিন্তা-ভাবনা, দলীল প্রমান ছাড়াই বুঝে আসে (যেমন টুপি বা আযান) এবং তা সর্ব সাধারণও জানে। এটা বদীহী বা স্পষ্ট (যা চিন্তা ছাড়াই বুঝে আসে) এর সমপর্যায়ে। (আত তা’রীফাতুল ফিক্বহিয়্যাহ লি মুহাম্মদ আমীম আল ইহসান - পৃ:৩৫৮)

    জরুরীয়া্তে দ্বীনের উপরোক্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী যে সকল মাসআলার ক্ষেত্রে বলা হয় যে, তা জরুরীয়াতে দ্বীন: তা হলো শরীয়তের ঐ সকল বিধান যা জানা থাকা সকলের জন্য আবশ্যক। তাতে সাধারণ কিংবা আলেমের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তালাকের সময়ও এই বিষয়টি ধর্তব্য। ইমাম শাফেয়ী রহঃ এটার নাম দিয়েছেনঃ (ইলমুল আম্মাহ) যা কারও জন্য ভুলে থাকার সুযোগ নেই। (আর রিসালা-৩৫৮পৃ

    সুতরাং জরুরীয়াতে দ্বীনের মূল কথা হলো, এমন বিধান যা মানুষের মাঝে প্রকাশিত হয়ে গেছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে। (জামেউল উলূম ওয়াল হিকাম লি হাফিজ ইবনে রজব-পৃ:৬৭)

    অস্পষ্ট মাসআলা যা সাধারণ মানুষের জানা থাকে না তা জরুরীয়াতে দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত হবে না।




    ➖➖➖➖➖➖➖

  • #2
    তাব্লিগি চিল্লার একজনের কারগুজারিঃ কুড়িগ্রামের দিকের এক বুড্ডাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে আমাদের নবী কে? উত্তর দিয়েছে আগে ছিল শেখ মুজিব এখন কে বলতে পাড়িনা।
    আপনার উল্লেখিত সংজ্ঞার বিষয়গুলো অবশ্যই জরুরিয়াতের অন্তর্গত তবে এমন যেন মনে না করা হয় যে এখানেই জরুরিয়াত সীমিত ।
    কুরান শরিফে কোন সন্দেহ নেই , কিন্তু অজ্ঞতার কারনে অনেক সন্দেহবাদি আছে , এমনি ভাবে জরুরিয়াত গুলোর ব্যপারে মুসলিমের অজ্ঞতা থাকার কথা নয় কিন্তু কুফরি সমাজে বসবাস রত নামধারি মুসলিমদের অজ্ঞতা এমনই পর্যায়ে যে মারুফ কে মুনকার মুনকার কে মারুফ জেনে বসে থাকছে। নুছুছের বাহিরে ফুকাহায়ে কিরামের ইজতিহাদি মাসায়েল গুলোর ব্যপারে এ বিষয়টিও লক্ষনীয় তারা ইসলামি প্রশাসনের অধীন সমাজের লোকদের প্রতি লক্ষ করেই মাসআলা আলোচনা করেছেন, মুসলমান হয়ে কুফরি শাসনের অধীন জীবন পার করবে হিজ্রত করবেনা এটা তারা কল্পনা করতেন না। যেমন শাসকের আনুগত্যের বিষয়টিঃ আবু হানিফা রাঃ জালেমের বিরদ্ধে শক্তি থাকলে যুদ্ধকরে তাকে গদি থেকে নামানো ফরজ বলতেন শক্তি না থাকলেও স্বসস্ত্র সংগ্রামকে জায়েজ বলতেন, আর জুমহুরের নিকট এ অবস্থাটা শক্তি থাকলে অপসারন অপরিহার্য্য তবে শক্তি নাথাকলে তারা শরিয়ত বিরোধি কোন কাজের নির্দেশ নাদিলে তাদের বৈধ কর্ম কান্ডের ক্ষেত্রে মান্যতার নির্দেশ দিতেন। কিন্তু তাদের কেহই কাফের/মুরতাদ শাসকের মান্যতার ফতোয়া দেন নি। যা এখন অনেকে এসব মুরতাদ সাশকের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার ভ্রান্তিতে লিপ্ত হচ্ছে।এভাবে আমরা ফুকাহায়ে কিরামের তখনকার সময়োপযোগী আরো অনেক সিদ্ধান্তকেও নুছুছের মত চিরস্থায়ি বানিয়ে নিয়েছি। বরং অনেক ক্ষেত্রে নছের খিলাফ কোন মুজতাহিদ/বরং গায়রে মুজতাহীদের দলীল শুন্য বানী আমাদের কাছে বেশী প্রিয় হয়ে গিয়েছে । আল্লাহ তায়ালা হিফাযত করেন।

    জরুরীয়াতে দ্বীন: তা হলো শরীয়তের ঐ সকল বিধান যা জানা থাকা সকলের জন্য আবশ্যক। তাতে সাধারণ কিংবা আলেমের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
    এই আবশ্যক বিশয়টি যদি কোন আলেম ও অবহেলা করে তাহলে বিষয়টি অনাবশ্যক হবেনা বরং আলেম সাহেব জাহেলের নীচে চলে যাবেন। হাশরের মাঠে প্রশ্ন হবে যা জেনেছ কি আমল করেছো। এর অর্থ কি এই যে যেব্যক্তি জানে নাই তার কোন ঝামেলা নেই?

    সুতরাং জরুরীয়াতে দ্বীনের মূল কথা হলো, এমন বিধান যা মানুষের মাঝে প্রকাশিত হয়ে গেছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে।
    কোরান সুন্নাহর অকাট্য দলীল দ্বারা প্রমানিত হওয়া এটিই প্রকাশিত হওয়ার ক্ষেত্রে যতেষ্ঠ , এমন বিষয়ে অজ্ঞতার কারনে যদি কেহ বিরোধিতা করে , সারা পৃথিবিতে সব কিছু এই পরিমান হাতের নাগালে আসার পর এই জাহালত সহনীয় নহে। সুর্য উদিত হওয়ার পরো কেহ যদি পেচা বিড়াল ইত্যদির উদাহরন দিয়ে নিজের না দেখার পক্ষে দলীল দিতে চায় তাহলে তাকে বলা হবে তুমিত আর অন্ধকার কুটরে বাসকারি পেচা নও সমাজে বসবাসকারি একজন ।

    Comment


    • #3
      না জেনে অনেক মুসলিম মা কালির শক্তিতে বিস্বাসি , বিভিন্ন পীর ফকীরের ও মাজারের মধ্যে অদৃশ্য শক্তির বিস্বাসি , শরিয়তের পরিবর্তে গণতন্ত্রে বিশ্ব সান্তির বিশ্বাসির তো অভাব নেই , ধর্ম থেকে রাজনীতি ভিন্ন এই মতবাদ তো প্রকাশ্যে জুড়েসুরেই চালো আছে।মুসলিমদের বিরোদ্ধে যুদ্ধে অমুসলিমদের সাপোর্ট দান কারি নামাজি হাজি,দ্বীনদার দায়ি এমন কি আলেমের ও অভাব নেই। তাগুত কে অস্বীকার ছাড়া ঈমান হবেনা , কিন্তু ঈমানের দাবিদার লাখো কুটি মুসলিম পাওয়া যাবে বর্তমান যোগে তাগুত কীরূপে বিদ্যমান জানেই না , অস্বীকার তো বহু দুরকিবাত , অথচ সব নবির প্রতি নির্দেশ ছিলো তাগুত বর্জন করে ইবাদত করো। যে তাগুত সব নবীর যূগে বিদ্যমান ছিলো সেই কাফেলার দাবিদার রা তাগুত কি বুঝেনা। অজ্ঞতার সাথেই তাগুতের মান্যতা কে ফরজ বলে যাচ্ছে। উলটো তাগুত বর্জন কারিদের বিরোধিতা করে যাচ্ছে।

      Comment


      • #4
        বর্তমান পুরো বিশ্ব কাফের তাগুতদের দখলে। এবং পুরো পৃৃথিবীর অবস্থা ঘুলাটে। তাই এখানে কতোটুকু অজ্ঞতা গ্রহনযোগ্য আর কতোটুকু গ্রহনযোগ্য না তাও অস্পষ্ট।
        এ জন্য এ বিষয়টাকে আরো পরিস্কারভাবে জেনে তারপর সামনে আগানো দরকার।

        Comment


        • #5
          يقول الإمام القرافي في كتابه "الفروق"
          لأن القاعدة الشرعية دلت على أن كل جهل يمكن المكلف دفعه لا يكون حجة للجاهل؛ فإنه الله تعالى بعث رسله إلى خلقه برسائله وأوجب عليهم كافة أن يعلموها ثم يعملوا بها، فالعلم والعمل واجبان، فمن ترك التعلم والعمل وبقي جاهلاً فقد عصى الله معصيتين لتركه واجبين، وإن علم ولم يعمل فقد عصى معصية واحدة بترك العمل، ومن علم وعمل فقد نجا

          শরীয়তের দলীল এ কথা নির্দেশ করে যে অজ্ঞতা দূর করা সম্ভব তা অজ্ঞব্যক্তির পক্ষে(উযর হিসেবে)হুজ্জত গন্য হবে না...।

          قال شيخنا الشيخ عبد اللطيف رحمه الله: وينبغي أن يُعلم الفرق بين قيام الحجة وفهم الحجة، فإن من بلغته دعوة الرسل فقد قامت عليه الحجة إذا كان على وجه يمكن معه العلم، ولا يُشترط في قيام الحجة أن يفهم عن الله ورسوله ما يفهمه أهل الإيمان والقبول والانقياد لما جاء به الرسول، فأفهم هذا يكشف عنك شبهات كثيرة في مسألة قيام الحجة، قال الله تعالى: {أم تحسب أن أكثرهم يسمعون أو يعقلون إن هم إلاَّ كالأنعام بل هم أضل سبيلا} [الفرقان/44]، وقال تعالى: {ختم الله على قلوبهم وعلى سمعهم وعلى أبصارهم غِشاوة ولهم عذابٌ عظيم} [البقرة/7]، انتهى.

          হুজ্জত কায়েম হওয়া এবং হুজ্জত বুঝা এদুয়ের মধ্য পার্থক্য জানা থাকা চায়...।
          যার কাছে নবী গনের আহবান পৌছে গেছে এবং সেটির জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব তাহলে তার উপর হুজ্জত প্রতিষ্ঠা হয়েগিয়েছে।
          সব অজ্ঞতাই ওযর গন্য হবেনা। নতবা সব কাফেরইতো অজ্ঞ ।

          Comment

          Working...
          X