Announcement

Collapse
No announcement yet.

মোল্লা মুহাম্মদ উমার মুজাহীদের (রাহিমাহু

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মোল্লা মুহাম্মদ উমার মুজাহীদের (রাহিমাহু

    মোল্লা মুহাম্মদ উমার মুজাহীদের (রাহিমাহুল্লাহ)এর জীবনী
    -------------------------------------------------------------------------
    ৬ই এপ্রিল হচ্ছে মুসলমানদের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক দিন। আজকের এই দিনে ১৯৯৬ সালে দেড় হাজার উলামা, মাশায়েখ ও জিহাদী নেতারা ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ আফগানিস্তানের প্রধান হিসেবে আমীরুল মুমিনীন উপাধি দিয়ে মোল্লা উমরের হাতে বাইয়াহ দেন।
    জন্ম ও বংশঃ মোল্লা উমরের পিতার নাম হচ্ছে মৌলভি গোলাম নবী, দাদার নাম মুহাম্মদ রাসূল এবং প্রপিতামহের নাম বাজ মুহাম্মাদ। ১৯৬০ সালে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের খাকরেজ জেলার জাহ হিমত গ্রামের এক দ্বীনদার পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। মোল্লা উমরের পিতা গোলাম নবীও অত্র এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন, এই এলাকায়ই বিভিন্ন হালকায় দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করেন। দ্বীনি শিক্ষাদান, ওয়াজ-নসিহতের কারণে লোকদের কাছে একজন আলেম ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলেন।
    মোল্লা উমরের জন্মের দু’ বছর তাঁর পিতা কান্দাহার প্রদেশের খাকরেজ জেলা ত্যাগ করে অন্য জেলা ডাঁণ্ড জেলায় স্থানান্তর করেন, সেখানেই দ্বীনি খেদমতে নিয়োজিত থাকাবস্থায় ১৯৬৫ সালে মোল্লা উমর পাঁচ বছরের শিশু থাকাবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
    পিতার ইন্তেকালের পর মোল্লা উমরকে পরিবারের সাথে ডাঁণ্ড জেলা থেকে উরুজগান জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়, সেখানে চাচা মৌলভি মুহাম্মদ আনওয়ার ও মৌলভি মুহাম্মদ জুম’আর তত্ত্বাবধানে প্রাথমিক শিক্ষার স্তর অতিক্রম করেন।
    শিক্ষা অর্জনঃ আট বছর বয়সে মোল্লা উমর উরুজগান জেলার একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হন। মাদ্রাসার প্রধান উনার চাচা মৌলভি মুহাম্মদ জুম’আ ছিলেন। চাচাদ্বয়ের তত্ত্বাবধানেই ওই মাদ্রাসায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক ইলম অর্জন করেন। এরপর আঠার বছরে বয়েসে আফগানিস্তানের প্রচলিত উচ্চ শিক্ষাঅর্জন শুরু করেন, এমতাবস্থায় কম্যুনিস্টরা আফগানিস্তানে আধিপত্য বিস্তার করে। তাই তাঁর উচ্চ শিক্ষা অসমাপ্ত থেকে যায়।
    বংশঃ গোত্রীয় দিক দিয়ে মোল্লা উমর পাখতুনের হুতকের শাখা তুমযাঈ থেকে ছিলেন। ১৮৮০ সালে ইরানি সফবি জালিমদের হাত থেকে মুক্ত করে স্বাধীন ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা দ্বীনদার, বিচক্ষণ সর্বজন গ্রহণযোগ্য মুজাহিদ বিজয়ী হাজী মীরওয়েস এই গোত্রের ছিলেন।
    মোল্লা উমরের পরিবার সর্বদা ইলম, দ্বীনদারি ও মাদ্রাসার শিক্ষক দ্বারা পরিপূর্ণ ছিলো। দ্বীনদারি এবং সামাজিকতার দরুন সাধারণ জনগণের কাছে এ পরিবার গ্রহণযোগ্য ছিলো।
    জিহাদী এবং সংগ্রামী জীবনঃ
    মোল্লা উমর এখনো বয়েসের দিক দিয়ে তৃতীয় দশকে পা রাখেন নি যে, আফগানিস্তানে কম্যুনিষ্টরা আধিপত্য বিস্তার করলো। তখন তিনি শিক্ষার্জন অসমাপ্ত রেখেই উরুজগানে হরকাতে ইনকিলাবে ইসলামির অধীনে জিহাদ শুরু করেন। অল্প দিনে বীরত্ব ও সাহসিকতায় সবার বিশ্বাস অর্জন করেন যে, যখন দেওহরাঊদ জেলায় বিভিন্ন এলাকার মুজাহিদরা বিশাল লক্ষ্য নিয়ে গ্রুপ গ্রুপ করে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করলেন, তখন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আগত মুজাহিদরা মোল্লা উমরকে গ্রুপ প্রধান নির্বাচন করেন। তিনি এই অপরেশনও অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন। এই যুদ্ধেই তিনি প্রথমবারের মতো আহত হন। তিনি ধারাবাহিক তিন বছর নিজের এলাকার মুজাহিদদের সাথে রুশ ও কম্যুনিস্টদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
    এরপর তিনি ১৯৮৩ সালে হরকতে ইনকিলাবে ইসলামির প্রসিদ্ধ কমাণ্ডার ফয়জুল্লাহের অধীনে কান্দাহার জেলার মেওয়ান্দে জিহাদে অংশগ্রহণ করেন। দিনে দিনে তার যোগ্যতা প্রকাশ পেতে থাকে। অবশেষে হরকতে ইনকিলাবে ইসলামির প্রধান মৌলভি মুহাম্মদ নবী মুহাম্মদীর নেতৃত্বে হরকতে ইনকিলাবে ইসলামীর পক্ষ থেকে একটি পৃথক স্বতন্ত্র গ্রুপের কমান্ডার নির্বাচিত হন।
    এরপর মোল্লা উমর ১৯৮৩-১৯৯১ সাল পর্যন্ত কান্দাহারের যাড়ি, মেওয়ান্দ, ইয়ানজুয়ায়ি এবং ডাঁণ্ড সোভিয়েতের শক্তিশালী ঘাঁটি সমূহে হামলা শুরু করেন, প্রায় প্রতিদিন হামলা পরিচালনা করতেন। এমনিভাবে জাবুল প্রদেশের সাফা ও মারকায কিলাত জেলার কাবুল-কান্দাহারের প্রধান সড়কে উল্লেখযোগ্য অপারেশন পরিচালনা করেন। মোল্লা উমরের প্রিয় অস্ত্র আরপিজি ছিলো, যা তিনি রাশিয়ান ট্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতেন। রকেট চালানোর ক্ষেত্রে খুব দক্ষতা ছিলো। রাশিয়ানদের পরাজয়ের ক্ষেত্রে কান্দাহারের এসব অপারেশন খুব গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। এই সড়কে এই পরিমাণ ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয় যে, হেরাতের রাস্তার দুপাশের ট্যাঙ্ক ও শত্রুদের গাড়ীর দেওয়াল নির্মাণ হয়ে যায়।
    রাশিয়াবিরোধী জিহাদি মোল্লা উমর চারবার আহত হন, এমনকি শেষের বার তাঁর ডান চক্ষু হারিয়ে ফেলেন।
    মোল্লা উমর কান্দাহার এবং এর আশপাশের প্রদেশসমূহে একজন গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডার ছিলেন, যিনি অনেক জিহাদি অপারেশনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
    এখানে চারটি অপারেশনের বর্ণনা দেওয়া আছে যা তার সাথীদের মুখ থেকে শোনা গেছে।
    (উর্দুতে পাবেন, লম্বা হয়ে যাবে তাই অনুবাদ করি নি)
    ১৯৯২ সালে ডক্টর নজিবের পতনের পর জিহাদীগ্রুপের দাঙ্গার প্রারম্ভে মোল্লা উমর তার কিছু বিশ্বস্ত সাথীদের সাথে নিজ অস্ত্র রেখে নিজের জিহাদি অঞ্চল কান্দাহার প্রদেশের মেওয়ান্দ জেলার সঙ্গ হেসারের একটি গ্রামে হাজী ইব্রাহীম মসজিদের পাশে একটি দ্বীনি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন, এবং এই মাদ্রাসায় থাকা শুরু করেন।
    দীর্ঘ চৌদ্দ বছর জিহাদের পর নিজের কিছু সাথীদের সাথে অসম্পূর্ণ ইলম অর্জনে ব্রতী হলেন।
    বিশৃংখলা, অশান্তি ও গৃহযুদ্ধ পরবর্তী ইমারাতে ইসলামিয়্যাহের প্রতিষ্ঠাঃ
    সারাদেশে যখন অশান্তি বিরাজ করছিলো, একের পর এক ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছিলো। মোল্লা উমর তখন আপন মুজাহিদ সাথীদের সাথে কান্দাহারের মেওয়ান্দ জেলায় ছিলেন। সারাদেশের অনিশ্চিত অবস্থা তাকে ভাবিয়ে তুলল। সব খবরাখবর নিয়মিত রাখছেন।
    এই অরাজকতার অবসানকল্পে মোল্লা উমর ও সাথীরা মিলে প্রসিদ্ধ উলামা-মাশায়েখেদেরকে নিয়ে কান্দাহারের ইয়ানজুয়ায়ী জেলার যাঙ্গাওয়াত এলাকায় একটি বৈঠকের আয়োজন করেন। রুশদের বিরুদ্ধে জিহাদের যুগে মুজাহিদদের প্রধান বিচারপতি মৌলভি সায়্যিদ মুহাম্মদ সাহেব (যিনি মৌলভি ইয়াসিনি নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন) মোল্লা উমরকে বলেন তুমি এই অরাজকতার বিরুদ্ধে ওঠো, আমরা তোমাকে সাহায্য করবো। এই বৈঠকেই মোল্লা উমর ইসলামি আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করেন, এবং ১৫মুহাররম ১৪১৫ হিজরিতে জালুম ও ফাসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ভিত্তি রাখেন।
    কান্দাহার থেকে শুরু হওয়া এই বিপ্লব ক্রমান্বয়ে সারা আফগানিস্তানে ছড়িয়ে পড়ে, যখন ইমারাতের মুজাহিদরা একসময় অর্ধেকের বেশি আফগানিস্তান দখল করে নেন তখন ১৪১৬ হিজরি ১৫ যীকাদায় কান্দাহারের ১৫০০ উলামার একটি বৈঠক সম্পন্ন হয়। সেই বৈঠকেই উলামারা ইমারাতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে মোল্লা উমরকে আমীরুল মুমিনীন উপাধি দ্বারা ভূষিত করেন। এভাবে ১৯২৪ সালে খিলাফাতে উসমানিয়্যাহের পতনের ৭২ বছর পর ১৯৯৬সালে একটি শরীয়াহ পরিচালিত ইসলামি রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন হয়। এর কিছুদিন পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল মুজাহিদদের হস্তগত হয়। এভাবে আফগানিস্তানের ৯৫ ভাগ এলাকা মুজাহিদদের করতলগত হয়।
    মোল্লা উমরকে যখন এইসব উলামাদের উপস্থিতিতে আমীরুল মুমিনীন উপাধি দ্বারা ভূষিত করা হলো তখন খুশীতে আত্মহারা হন নি। বরং তিনি বলেন,
    ‘হে উলামারা! আজ আপনারা শরয়ী ইলমের ভিত্তিতে নবীগণের উত্তারাধিকার হিসেবে যে দায়িত্ব আজ আমার কাঁধে অর্পন করেছেন, প্রকৃতপক্ষে এর দৃঢ়তা অথবা স্খলনের পূর্ণ জিম্মাদার আপনারা সবাই।
    আমাদের উস্তাদবৃন্দ এবং সম্মানিত উলামায়ে কেরাম! আল্লাহ না করুন, যদি আমাদের থেকে মুসলমানদের এই আমানতের মধ্যে কোনো ত্রুটি বা বিচ্যুতি হয়ে যায়, তাহলে এর সংশোধন এবং ইসলাহ করা আপনাদের শরয়ী দায়িত্ব। আপনারা নিজেদের শরয়ী ইলমের আলোতেই তালেবান মুজাহিদদের অবিচলতা এবং তাদের সত্য রাস্তার উপর চলার ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনা দিবেন। যদি তালেবানের পক্ষ থেকে ইসলামি আইনের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি বা বিচ্যুতি হয়ে যায়, এবং আপনারা তা দেখেন, এবং ইসলাহের জন্যে কিছু না বলেন, তাহলে আল্লাহর কাছে এর দায়িত্ব আপনাদের উপর এবং আমি প্রশ্ন-উত্তরের দিন আপনাদের গর্দান আকড়ে ধরবো’।
    নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মোল্লা উমরের ব্যক্তিত্বঃ
    মোল্লা উমর নেতৃত্বের পূর্ণ যোগ্যতা রাখেন, সাধাসিধে জীবনের অধিকারী, পৃথিবীর অন্যান্য শাসকের মতো বিলাসী নন। অনর্থক কথা বলেন না, কিন্তু প্রয়োজনের সময় তার কথা পূর্ণ দৃঢ়তা, বুঝেসুঝে এবং যৌক্তিক হয়। উদাহরণ স্বরূপ আফগানিস্তানে ক্রুসেডারদের হামলার পূর্বে আমেরিকা মুজাহিদদেরকে মানসিকভাবে দুর্বল করার লক্ষ্যে প্রচার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা চালানো শুরু করে। কিন্তু মোল্লা উমর এই তামাম শয়তানী মিডিয়ার বিরুদ্ধে পূর্ণ দৃঢ়তা, প্রশান্তি, পূর্ণ নির্ভরতা ও প্রত্যয়ের সাথে সহজ সরল ভাষায় অর্থপূর্ণ কয়েকটি বাক্য দ্বারা নিজের গোত্রকে সান্তনা দিলেন। তিনি বলেন,
    ‘আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্ষমতাবান, আল্লাহ তাআলার জন্যে আমেরিকা এবং পিপিলিকা বরাবর। আমেরিকা এবং তাদের জোটবাহিনীকে এটা জেনে রাখা উচিৎ, যে, ইমারাতে ইসলামিয়্যাহ এমন কোনো শাসন ব্যবস্থা নয় যে, এর আমীর জহির শাহের (আফগানিস্তানের সাবেক বাদশাহ) মতো রূমে চলে যাবে এবং সৈন্যরা তোমাদের সম্মুখে অস্ত্র ফেলে দেবে। বরং এটা হচ্ছে জিহাদের উপর একটি সুশৃংখল ঘাঁটি।
    যদি তোমরা শহরসমূহ এবং রাজধানীর উপর আধিপত্য বিস্তার করে নাও, ইসলামি হকুমতকে পতনও করে ফেলো, তাহলে আমাদের মুজাহিদরা গ্রাম এবং পাহাড়ে চলে যাবে।তখন তোমরা কী করবে? অতঃপর তোমরা কম্যুনিস্টদের মতো প্রত্যেক স্থানে মারা যাবে। তোমরা জেনে রাখো যে, বিশৃংখলা এবং যুদ্ধ সৃষ্টি করা সহজ, কিন্তু বিশৃংখলা এবং যুদ্ধের সমাপ্তি করা অনেক কঠিন। মৃত্যু সত্য এবং কাছে আসবে, আমেরিকার সাহায্য করে বেঈমানি এবং লাঞ্ছনার সাথে মৃত্যু আসা ভালো না ইসলামের অবস্থায় ঈমানের সাথে সম্মানিত অবস্থায় মৃত্যু আসা উত্তম’?
    ঐতিহাসিক এই বক্তব্যের বাস্তবতা আপনার সামনে।
    এমনিভাবে তিনি আমেরিকান হামলার শুরুতে একটি রেডিও বার্তায় বলেন, ‘অস্ত্র মৃত্যু দিতে পারে, কিন্তু মৃত্যু থেকে বাঁচাতে পারে না’।
    তাঁর দৃষ্টিতে বেশি বলার চেয়ে কাজ বেশি প্রিয়। তাঁর জীবন লৌকিকতা থেকে পবিত্র। তার এই সাধাসিধে জীবন সব দিক দিয়ে পরিপূর্ণ। সাধারণ পোষাক, সাধারণ খাদ্য, লৌকিকতামুক্ত কথা, সাধারণ উঠাবসা তাঁর মজ্জাগত স্বভাব। লৌকিকতাপূর্ণ চালচলন তাঁর মোটেও পছন্দ নয়।
    আলেম-উলামাদের সম্মান করেন।
    এসব কারণেই তার অধীনস্থ মুজাহিদরা তাঁকে খুব ভালোবাসেন।
    মুসলিম উম্মাহের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদিতে গুরুত্বারূপঃ
    মুসলমানদের একজন নেতা হিসেবে সমগ্র মুসলিমবিশ্বের খবরাখবর বিশেষভাবে রাখতেন।
    মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মুকাদ্দস এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ব্যাপারে বিশ্বের সমগ্র মুসলিমদেশের শাসকদের অবস্থানের বিরোধিতা করতেন। তিনি দখলদার জায়নবাদিদের হাত থেকে মসজিদে আকসাকে মুক্ত করা প্রত্যেক মুসলমানদের শরয়ী দায়িত্ব মনে করতেন।
    মোল্লা উমর একজন দরদী নেতা, মুসলমান ভাইদের সাথে ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা এগুলো তার দাবি নয়, বরং সর্বদা তাদেরকে তাঁর অবস্থান কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন।
    আকীদা ও মতাদর্শঃ
    মোল্লা উমর আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের মানহাজে হানাফি মাযহাবের অনুসারি। বেদায়াত-কুসংস্কারের কট্টরবিরোধী। মুসলমানদের মধ্যে মাযহাবি এবং সাংগঠনিক বাড়াবাড়ি তার মোটেও পছন্দ নয়। নিজে মুজাহিদ ও সমস্ত মুসলমানদের মধ্যে চিন্তাগত ও ইসলামি ঐক্যের বার বার গুরুত্বারূপ করেন।
    কুরআন-সুন্নাহের আলোকে সালাফে সালেহীন ও আইয়াম্মায়ে মুজতাহিদের উপর চলাকে মুসলিম উম্মাহের এক মাত্র মুক্তির উপায় মনে করেন।
    ব্যক্তি জীবনে মোল্লা উমরঃ
    মোল্লা উমরের জীবনের অধিকাংশ অংশ দ্বীনি জ্ঞানার্জন, মুতালাআহ, জিহাদ, দাওয়াত এবং ইসলামি খিদমতে অতিবাহিত হয়েছে। আফগানিস্তানের সমকালীন শাসকবর্গের মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে দরিদ্র এবং বায়তুল মালকে ব্যবহার না করা কারী ব্যক্তি তিনিই হবেন। কেননা না তিনি অতীতের জিহাদের সময় নিজের জিহাদি প্রভাব ও অবস্থানকে কর্ম হিসেবে ধরে নিজের ব্যক্তি জীবনের স্বার্থে কিছু অর্জন করেছেন, এবং না ইমারাতে ইসলামিয়্যাহের ৭ বছরের শাসনে এ ধরনের কিছু করেছেন।
    মোল্লা মুহাম্মদ উমর কোনো ঘরের স্বত্ত্বাধিকারী নন, এবং না বহির্দেশীয় ব্যাংকে তার কোনো অর্থ আছে।
    ১৯৯৯সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে আফগানিস্তানের উপর এক তরফা জুলুমবাজি অবরোধ চাপিয়ে দেওয়া হয় এবং বহির্বিশ্বে তালেবান নেতাদের গচ্ছিত অর্থসমূহের উপর নজরদারি শুরু হয়ে যায়। মোল্লা উমর ইমারাতে ইসলামিয়্যাহের আমীর হিসেবে সবচেয়ে বড় নেতা ছিলেন, তার ব্যক্তিগত অথবা প্রয়োজনের নামে আফগানিস্তানের বাহির বা ভেতরে কোনো ব্যাংকে একাউন্ট ছিলো না।
    ইমারাতে ইসলামিয়্যাহের শাসনকালে তার বসবাসের ঘর শত্রুদের পক্ষ থেকে ভয়ানক হামলার লক্ষ্যবস্তু বনে যায়। যার কারণে তার বংশের নিকটাত্মীয়সহ অনেকেই শহীদ হন। এজন্যে ইমারাতে ইসলামিয়্যাহের কিছু নেতাদের সিদ্ধান্তে তাঁর হেফাজতের জন্যে কান্দাহার শহরের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে ‘বাবা সাহেব কুতেল’র এলাকায় যেথায় নিকটে কোনো সাধারণ বসতি ছিল না, তার জন্যে একটি বসবাসের ঘর এবং ইমারাতে ইসলামিয়্যাহের কেন্দ্রীয় আমীরের অফিস বানানো হয়। যা ব্যবহারের ক্ষেত্রে বায়তুল মালের সাধারণ সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হতো, ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নয়।
    স্বভাব ও ব্যবহারঃ
    মোল্লা উমর নিজের মিতভাষিতার সাথে সাথে এক বিশেষ ধরনের বৈচিত্র্য ও হর্ষপ্রকৃতির স্বভাব রাখতেন। তিনি কোনো ব্যক্তিকে চাহে সে উনার থেকে বয়েসে কতই কম হোক নিজেকে তার থেকে বড় মনে করতেন না। নিজের সাথীদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার অশেষ প্রীতিপূর্ণ, আন্তরিক, সৌহার্দপূর্ণ, ভালবাসা এবং পারষ্পারিক সম্মানের ভিত্তিতেই হয়। মজলিসসমূহে জিহাদের সূত্রে অধিকাংশ কথাবার্তা ও আলোচনা করতেন।

    আল্লাহ তা’আলা এই প্রিয়নেতাকে জান্নাতের জন্যে কবুল করুন!! আমীন!!

  • #2
    Originally posted by Umar Faruq View Post
    মোল্লা মুহাম্মদ উমার মুজাহীদের (রাহিমাহুল্লাহ)এর জীবনী
    -------------------------------------------------------------------------

    আল্লাহ তা’আলা এই প্রিয়নেতাকে জান্নাতের জন্যে কবুল করুন!!
    আমীন!! জাযাকাল্লাহ আখি

    Comment


    • #3
      Originally posted by Umar Faruq View Post

      আল্লাহ তা’আলা এই প্রিয়নেতাকে জান্নাতের জন্যে কবুল করুন!!
      আমীন!! জাযাকাল্লাহ আখি

      Comment

      Working...
      X