Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাকলিদের প্রয়োজনীয়তা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাকলিদের প্রয়োজনীয়তা

    ইসলাম কোন মানব রচিত জীবন ব্যবস্থা নয় বরং একটি ওয়াহী ভিত্তিক আল্লাহ প্রদত্ত ও মনোনীত জীবন ব্যবস্থা, ইসলামী শরী’আতের মূলনীতি হলো কুরআন ও সুন্নাহ। পবিত্র কুরআন যেমন ওয়াহী প্রদত্ত, সুন্নাহও তেমনি ওয়াহী প্রদত্ত। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
    “আর তিনি (নবী ছাঃ) প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না বরং শুধুমাত্র তাকে যাওয়াহী করা হয় তা-ই বলেন।” (আন-নাজম: ৩-৪)
    সুতরাং নবী (ছাঃ) -এর দ্বীনী কথা, কাজ ও সম্মতি সবকিছুই ওয়াহী ভিত্তিক। এজন্যই আল্লাহর নির্দেশকে যেমন কোন ঈমানদার নর-নারীর উপেক্ষা করে চলার সুযোগ নেই, নবী (ছাঃ) -এর নির্দেশেরও একই অবস্থা। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
    “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন কাজের নির্দেশ দিলে কোন ঈমানদার পূরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে কোন এখতিয়ার থাকে না, আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয় সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।” (আহযাব: ৩৬)
    এ আয়াত ইসলামী শরীয়তে সুন্নাহর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, আল্লাহ বা কুরআনের নির্দেশের অবস্থান এবং রাসূল (ছাঃ) বা সুন্নাহর নির্দেশের অবস্থান পাশাপাশি। অনুরুপভাবে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করলে যেমন পথভ্রষ্ট হয়ে যায়, রাসূল (ছাঃ) এর নির্দেশ অমান্যের পরিণতিও একই, কোন অংশে কম নয়। এমনকি রাসূল (ছাঃ) -এর সিদ্ধান্ত ও সমাধানকে সতস্ফূর্তভাবে মাথা পেতে নেয়া ছাড়া ঈমানদার হওয়া কখনও সম্ভব নয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন,
    “অতঃপর তোমার রবের কসম তারা কখনও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যপারে তোমাকে ফয়সালাকারী হিসাবে মেনে নেয়, অতঃপর তোমার ফয়সালার ব্যপারে তারা কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবূল করে নিবে।” (নিসা: ৬৫)
    রাসূল (স.)-এর পর খোলাফায়ে রাশেদীন এই কুরআন ও সুন্নাহর জীবন ব্যবস্থার উপর কায়েম ছিলেন, এক চুল পরিমাণও ব্যতিক্রম ঘটতে দেননি। পরবর্তীকালে অন্যান্য সাহাবা ও তাবেয়ীগণও কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে কিছুমাত্র রদবদল হতে দেননি। বরং রাসূল (স.)-এর কোন হাদীস তাঁদের সম্মুখে উপস্থিত হলে বিনা শর্তে তা মেনে নিতেন। সাজাবা কেরাম ও তাবেয়ীগণের পরবর্তী যুগে যেমন নানা দেশের, নানা বর্ণের, নানা ধর্মের লোক ইসলামের পতাকা তলে আসতে লাগল তেমনি তাদের সঙ্গে সঙ্গে নানা ধর্মমত ও দার্শনিক মতবাদও আসা শুরু হল। ফলে, মুসলিমগণ নীতিগতভাবে এক আল্লাহকে সার্বভৌম শক্তির অধিকারী ও তাঁর রাসূল (স.)-কে একমাত্র নেতা বলে স্বীকার করলেও কার্যতঃ তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে ইসলামের প্রকৃত নীতি হতে সরে যেতে লাগল এবং কোনো কোনো সম্প্রদায় একেবারে ইসলামের গন্ডীর বাইরে চলে গেল। ফলে, মুসলিম জাতীয় জীবনে ভাঙ্গন শুরু হল। তারা রাসূল (স.)-এর নেতৃত্ব ত্যাগ করে বিভিন্ন নেতার অধীনে ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ল। এভাবে ইসলামে শুরু হল ফেতনা। ( খারেজি, রাফেজি......) অখন্ড ইসলাম হয়ে গেল খন্ড বিখন্ড।

    তাই ইসলামকে আবার তার পূর্বের স্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমদেরকে আবার কুরআন ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরতে হবে।
    Last edited by কাল পতাকা; 10-24-2015, 09:07 PM.

  • #2
    আসসালামু আলাইকুম।
    Last edited by Badr; 10-24-2015, 05:50 PM.

    Comment


    • #3
      মাযহাব রক্ষার লড়াইয়ের নোংরামি থেকে এই পেজটিকে পবিত্র রাখা যায় না?
      মুহতারাম ভাই! আপনার এই কথাটি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। আর আমাদের মানহায এটা নয় যে, আমরা মাজহাবি বিষয় নিয়ে ইখতেলাফ করি !।
      আল্লাহ আমাদের এই ধরণের অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে হেফাযত করুন।

      Comment


      • #4
        মাযহাব রক্ষার লড়াইয়ের নোংরামি থেকে এই পেজটিকে পবিত্র রাখা যায় না?

        মুহতারাম Badr ভাই! আপনার কথাটি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। আর আমাদের মানহায এটা নয় যে, আমরা মাজহাবি বিষয় নিয়ে ইখতেলাফ করি !।
        আল্লাহ আমাদের এই ধরণের অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে হেফাযত করুন।

        Comment


        • #5
          السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

          মুহতারাম বড় ভাইয়েরা,
          আমি প্রথমেই আমার ভুল স্বীকার করছি যে, পূর্বের কমেন্টে আমি যা লিখেছি, যদিও তা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবু আরো মার্জিত ভাষা ব্যবহার করা সম্ভব ছিল কথাটি বলার জন্য। আমি দুঃখিত।
          আমি দুঃখিত, কারণ আমি কী বুঝাতে চেয়েছি তা আপনাদের কাছে স্পষ্ট করতে পারি নি। তাই আপনারা হয়তো বুঝেছেন যে আমি রাফউল ইয়াদাইন করা – না করা এ জাতীয় বিতর্ককে বুঝিয়েছি, যাতে আপনারা কখনো লিপ্ত হন না।
          আমি বোঝাতে চেয়েছি আমাদের কোন কোন ভাইয়ের ওই সব লেখাকে যেগুলোতে তারা মুতাআসসিবীনগণের ঐসব সারশূন্য শুবুহাত – হয়তোবা না বুঝেই – উল্লেখ করে থাকেন-
          *যেগুলো মুতাআসসিবগণ নিজেদের মত প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহার করে থাকেন,
          *যেগুলোকে তারা وجوب الاعتصام بالكتاب والسنة এবং وجوب رد الخلافيات إلى الكتاب والسنة এর বিপক্ষে দলিল হিসাবে দাঁড় করিয়ে থাকেন,
          *যেগুলোকে কেবল আইম্মায়ে উম্মাহর ইজতিহাদী মাসআলাহই নয়, বরং প্রচলিত যে কোন গোমরাহীর পক্ষেই দলিল বানানো সম্ভব,
          *যেগুলোর ওপরে ভিত্তি করে তাদের অধিকাংশই উম্মাহর ওই অংশকে আমভাবে গোমরাহ বলে থাকেন, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা فتنة التعصب হতে রক্ষা করেছেন, যাদের মধ্যে উম্মাহর ওই সব মুজাদ্দিদীনও রয়েছেন, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা উম্মাহর হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার সঠিক পথের রাহবার বানিয়েছেন,
          *সর্বপরি সেগুলো এমন কিছু শুবুহাত যেগুলো আমাদের জিহাদের মানহাজ বোঝার পথে বাঁধা ছিল। সেগুলোকে ছুড়ে ফেলে عقيدة الاعتصام গ্রহণ করেই আমরা এই পথে এসেছি। কিন্তু মুতাআসসিবগণ সেই শুবুহাত নিজেদের প্রয়জনে ব্যবহার করে থাকে।
          বোঝার সুবিধার্থে এখানে একটি উদাহরণ উল্লেখ করছি। শরিয়তুল্লাহ ভাই যে প্রবন্ধটির কিছু অংশ পোষ্ট করেছেন তার ১৪৪ নং পৃষ্ঠায় আছে:
          “যদি সাধারণ মানুষের কাছে উলামা মাশায়েখের আমলের বিপরিত কোন দাওয়াত পৌছে তাহলে তাদের জন্য যা করনীয় তা এই যে, তারা পরিষ্কার বলে দিবেন, ‘ভাই আমরা সাধারণ মানুষ। আমাদের নিজেদের পক্ষে গবেষণা ও পরিক্ষা নিরীক্ষা করা সম্ভব নয়, আপনাদের কথা যদি মানতেই হয় তাহলে আপনাদের ওপরই নির্ভর করে মানতে হবে, সেক্ষেত্রে ওলামা মাশায়েখের কথার ওপর নির্ভর করতে অসুবিধা কী?’”
          শ্রদ্ধেয় ভাই, লক্ষ করুন, যদিও কথাটি মুতাআসসিবগণ ইখতিলাফী মাসআলায় নিজেদের মতটি রক্ষার জন্য বলেছেন, (এবং আইম্মায়ে উম্মাহর ইজতিহাদী বিষয়গুলো হিদায়াত ও গোমরাহীর ইখতিলাফ নয়,) এই শুবহাটি কি যেকোন প্রচলিত গোমরাহীর পক্ষেই দলীল হিসাবে দাঁড় করানো যায় না? আমাদের যে সাধারণ শিক্ষিত ভাই জিহাদের দাওয়াত পেয়ে এই ভ্রান্ত দর্শনের আশ্রয় না নিয়ে ‘যে আলেমের কথা কিতাব ও সুন্নাহর সাথে মিলবে তার কথা সঠিক’ এই নীতি গ্রহণ করে জামাআতভুক্ত হয়েছেন, তিনি কি ভুল করেছেন? তিনি কি ওপরের দর্শনটি গ্রহণ করলে ঠিক করতেন? পরে সেই ভাইটির সামনে আমাদের পক্ষ থেকে এ ধরণের সারশূন্য শুবুহাত সম্বলিত প্রবন্ধ পেশ করা কি মুনাসিব হবে?
          এসব শুবুহাতের সারশূন্যতা উলামায়ে কেরামগন এগুলোর মতলব বুঝে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন। সেগুলো এখানে উল্লেখ করে আমি আমার কথা দীর্ঘ করতে চাচ্ছি না।
          তবে এর মানে এই নয় যে প্রবন্ধটিতে ভালো কিছু নেই। সেখানে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ আছে, যেগুলো অন্যরা شدة التعصب এর কারণে সাধারনত বলেন না।
          আর আমি কেবল ভাই ‘কালো পতাকা’ এর লেখার ব্যাপারে এই মন্তব্য করি নি, বরং এ বিষয়টি একাধিক জায়গায় দেখার পর একথা লিখেছি। আর ভাইয়ের লেখার মূল কথাগুলো তো উম্মাহর সর্বযুগের হক আলিমদের নিকট স্বীকৃত। আল্লাহ ভাইকে জাযায়ে খায়ের দিন। কিন্তু ভাই কথাগুলোর যে ফলাফল দাঁড় করিয়েছেন, সেখানে মুতাআসসিবদের দর্শনের প্রভাব স্পষ্ট। সেগুলোর ব্যাপারে আমি ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছি মাত্র।
          আমি আমার ভারতীয় উপমহাদেশের ভাইদের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা নিয়ে কেবল নাসীহাহ হিসাবে মনের কথাগুলো লিখেছি। আশা করি ভুল বুঝবেন না। আমি চাই আমার ভাইয়েরা الاعتصام بالكتاب والسنة এর হাতিয়ারে সুসজ্জিত থাকুক। সালাফে সালেহীনের আকীদাহ মানহাজই হোক তাদের পাথেয়। যাতে তারা আল্লাহ তাআলার নুসরাহ তাদের আরো কাছে থাকে। কমপক্ষে আমাদের মাননীয় রাহবারগণ যেন প্রচলিত কোন ভ্রান্তি দ্বারা প্রভাবিত না থাকেন। والله ما أردت إلا الخير.
          মুহতারাম ভাইয়েরা, আমি মনে করি قاعدة الجهاد এর নেতৃত্বদানকারী জীবিত ও মৃত মাশায়েখগণ আমাদের আদর্শ হতে পারে। যারা সালাফের আদর্শকে আকড়ে রেখেই উম্মাহকে সাথে নিয়ে কাজ করেছেন।
          মুহতারাম ইলমে ওহীর ওয়ারিস আমাদের বড় ভাইয়েরা, আমি এত কথা এখানে বলতে চাই নি। এভাবে আলোচনা করাটা মুনাসিবও মনে করছি না। তাই যদি আমার কথাগুলো বলার জন্য ই-মেইল এড্রেস বা অন্য কোন বিকল্প মাধ্যম দিতেন যেগুলোর মাধ্যমে আমি আমার কথাগুলো জানাতে পারি, তাহলে মনে হয় ভাল হত।
          والله إني لكم من الناصحين. وما فعلته إلا نصيحة لإخواننا الذين هم أولى بي من إخواني في الرحم.

          Comment


          • #6
            সন্মানিত কালো পতাকা ভাই,
            আপনার শিরোনাম হলো তাকলীদের প্রয়োজনীয়তার সাথে নিচের কথার কোন মিল খুজে পাচ্ছি না ! শিরোনাম দিয়ে কি বুঝাতে ছেয়েছেন বুঝতে পারছি না ।

            এভাবে ইসলামে শুরু হল ফিরকাবন্দী। অখন্ড ইসলাম হয়ে গেল খন্ড বিখন্ড।

            Comment


            • #7
              সন্মানিত ভাইগন!

              আমরা ইসলাহী মুজাকারা করতে পারি কিন্তু কটাক্য করতে পারি না। কারো ভুল হলে কল্যানকামীতার ভাষা প্রকাশ করে ইসলাহ করতে পারি, দোষ তালাশ করতে পারি না। আমাদের মানহাজ বুঝার জন্য ভাইদেরকে শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রাহিমাহুল্লাহ এর "সূরা তাওবাহ" এর তাফসির পড়ার জন্য অনুরোধ করছি।\
              লিঙ্কঃ- http://www.pdf-archive.com/2014/03/1...wordpress-com/

              সেই সাথে শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ রহঃ এর সন্মানিত ইমামগনের সমালোচনার জবাব বইটি পড়ার ও অনুরোধ জানাচ্ছি।
              লিঙ্কঃ-
              http://islamhouse.com/bn/books/409013/

              আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক আকীদা ও মানহাজের উপর কায়েম রাখুন।
              Last edited by Ahmad Faruq M; 10-24-2015, 08:56 PM.

              Comment


              • #8
                জাযাকুমুল্লাহ, ভাই 'কালো পতাকা', সুন্দর একটি পোসটের জন্য। আগের কমেন্টে আমি আসলে আপনার আগের পোস্টটি বুঝিয়েছি।
                Last edited by Badr; 10-27-2015, 11:17 AM.

                Comment

                Working...
                X