Announcement

Collapse
No announcement yet.

শত্রু আমাদের ঘরকোনে!!!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • শত্রু আমাদের ঘরকোনে!!!

    بسم الله الرحمن الرحيم

    সম্মানিত ভাইয়েরা সকলে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
    খ্রিস্টান মিশনারি ও কোয়ান্টাম মেথড
    .................................................. .......

    সম্মোহনী শক্তি শয়তানের কাজের মধ্যেও নিহিত থাকে। যেমন কিছু দুষ্ট যাদুকরদের কাছ থেকে বিভিন্ন রাস্তাঘাটে আমরা হরেক রকম যাদু দেখে থাকি, যা আমাদেরকে আশ্চর্যান্বিত করে। আর এটা দেখানোর মাধ্যমে তারা বিক্রি করে বিভিন্ন পণ্য। আর জেনে রাখুন, মিশনারিরা নিজেদের কাউকে দিয়ে এ কাজগুলো করাই না কখনো। মুসলিমদের দিয়েই করাই। সেদিন দেখলাম রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু মানুষ 'সত্য জানতে হলে বাইবেল পড়ুন' শ্লোগানে কয়েকটা ব্যানার নিয়ে লিফলেট বিলি করতেছে। ভাবতেই আপনার অবাক লাগবে! পরে কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম এরা মুসলিম। তারা ভালো করেই জানে, মুসলিমদের সহজেই ক্রয় করে নেয়া যায়। অর্থ আর নারী এ দুটোই তাদের দুর্বল দিক।
    ১৮৮২ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ মন্ত্রী গ্লাডস্টোন বলেছিলেন, মুসলমানদেরকে ধ্বংস করার দুইটি প্রক্রিয়া রয়েছে।
    ১.তাদের কাছ থেকে কোরআনকে কেড়ে।নিতে হবে, কিন্তু তা সম্ভব নয়।
    ২. তারা যেন কোরআনের প্রতি ভালবাসা হারিয়ে ফেলে সেই কাজ করতে হবে কৌশলে, আর তা
    হবে বেশী কার্যকরী। সেই থিউরি নিয়েই সারা বিশ্বে খ্রিষ্টান মিশনারিরা চালাচ্ছে তাদের শক্তিশালী মিশন।
    ১৫৯৯ খৃস্টাব্দে তাদের প্রথম অনুপ্রবেশ ঘটেছিল এ দেশের মাটিতে। সে সময় জেসুইট সম্প্রদায়ভুক্ত পর্তুগীজ খৃস্টাব্দে মিশনারিদের একটি দল যশোর জেলায় আসে। সেখানকার ইশ্বরীপুর এলাকায় ১৬০০ খ্রিস্টাব্দের ১ লা জানুয়ারিতে “যিশুর পবিত্র নামের গির্জা” নামক এক গির্জা নির্মাণ করে উদ্বোধন করে। ১৬৭৯ খৃ, এর ৪ নভেম্বর গোয়ার অগাস্টিন সম্প্রদায়ের জনৈক সেন্ট(সন্যাসী) তার একটি পত্রে লিখেন যে,”যশোরে ২ জন পর্তুগীজ সেন্টের হাতে ৪০০ জন দেশীয় খ্রিষ্টান হয়েছে!"
    ১৮১২ খৃষ্টাব্দে রেভারেন্ড উইলিয়াম টমাস, ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে রেভারেন্ড উইলিয়াম বাকিংহাম, ১৮৩১ খৃ. রেভারেন্ড জন প্যারী ও জন সেল এবং ১৮৫৫ সালে রেভারেন্ড জে এইচ এন্ডরসন যশোরে মিশনারী হিসেবে আসে। এভাবে তারা বিভিন্ন জেলায় আস্তে আস্তে তাদের কর্ম তৎপরতা চালাতে থাকে। যা আজ অব্দি বিদ্যমান রয়েছে।
    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, গত ২০ বছরে সেখানে ১২ হাজার উপজাতীয় পরিবার খ্রিষ্টান হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় ১৯৪টি গির্জা এ ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। খাগড়াছড়ি জেলায় ৭৩টি গির্জা। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এ জেলায় চার হাজার ৩১টি পরিবার খ্রিষ্টান হয়ে গেছে। বান্দরবান জেলায় গির্জা ১১৭টি। একই সময়ে খ্রিষ্টান হয়েছে ছয় হাজার ৪৮০টি উপজাতীয় পরিবার রাঙ্গামাটিতে চারটি গির্জা খ্রিষ্টান বানিয়েছে এক হাজার ৬৯০টি পরিবারকে। পাহাড়ি যেসব জনগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা কম, তাদের প্রায় শতভাগ খ্রিষ্টান হয়ে গেছে অনেক আগেই।
    ২০১৫ সালের আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দিচ্ছে, খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ইউরোপীয় দাতাগোষ্ঠী ও এনজিওরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে টার্গেট করে এগোচ্ছে। প্রায় দু’বছর স্থগিত থাকার পর ইউএনডিপি সে বছর রাঙ্গামাটি, বিলাইছড়ি, বান্দরবান ও থানচিতে ২০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
    কোয়ান্টাম মেথড হলো খ্রিষ্টান মিশনারিদের অনেক এজেন্ডার মধ্যে একটি। তাই মেডিটেশনকে না বলুন। এটা দ্বারা হয়তো মনের মাঝে কিছু সময়ের জন্য প্রশান্তি জাগতে পারে অথবা আসতে পারে প্রফুল্লতা। পৃথিবী যখন ঘুমন্ত থাকে, তখন আপনি জায়নামাজে দাঁড়িয়ে যান। ধীরে ধীরে কুরআনের আয়াতগুলো তেলাওয়াত করুন। চেষ্টা করুন অর্থ বুঝতে। গ্যারান্টি দিলাম, কোয়ান্টামে গিয়ে মেডিটেশন করার মধ্য দিয়ে প্রশান্তি আনতে হবে না। আল্লাহর স্মরণের মাঝেই প্রশান্তি নিহিত।
    ১২/১৫ হাজার টাকা দিয়ে অনেকেই মেডিটেশন কোর্স শেষ করেছে। তাদের জীবনে মহামারী চেঞ্জিং কী এসেছে একটু খেয়াল করে দেখেন তো! নিজের ব্যক্তিগত জীবনে সুদ, ঘুষ, প্রতারণা ইত্যাদির সাথে মিলিত থেকে মেডিটেশন করে অনেকজনই প্রশান্তি খুঁজে বেড়াতে চান। হয়তো আপনি জানেন না, ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে ওয়ার্ল্ডওয়াইড চলছে International conspiracy তথা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আপনি তাদের একজন হয়ে যাচ্ছেন, তা বুঝতেও পারবেন না। কারণ আপনার ধর্মের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড দিয়েই তারা আপনাকে কাছে টেনে নিবে। তাই নিজে সচেতন হোন, অপরকেও সচেতন করুন।
    হে আল্লাহ্* আপনি আমাদের কবূল করুন
    শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত.....

  • #2
    জাযাকাল্লাহ ,ভাই অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ,আশা করি কোয়ানটাম মেথড ও মোভ ফাউন্ডেশন পোষ্ট করবেন,এদুটি
    বিষয়ে পোষ্ট করলে অনেক উপকৃত হতাম।

    Comment


    • #3
      zajakallah. আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক
      হে ওলামায়ে কেরাম আমরা আপনাদের সন্তান
      AQIS

      Comment


      • #4
        Originally posted by ওমর বিন আ:আজিজ View Post
        জাযাকাল্লাহ ,ভাই অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ,আশা করি কোয়ানটাম মেথড ও মোভ ফাউন্ডেশন পোষ্ট করবেন,এদুটি
        বিষয়ে পোষ্ট করলে অনেক উপকৃত হতাম।
        ইনশাআল্লাহ ভাই আপনাদের নেক দু'আ আমাকে পথচলতে সাহায্য করবে।
        শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত.....

        Comment


        • #5
          zajakallah. আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক

          Comment


          • #6
            জাযাকাল্লাহ

            Comment


            • #7
              জাযাকাল্লাহ ,ভাই অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ,আশা করি কোয়ানটাম মেথড ও মোভ ফাউন্ডেশন পোষ্ট করবেন,এদুটি
              বিষয়ে পোষ্ট করলে অনেক উপকৃত হতাম।
              জি ভাই আমি ও একমত।
              ইদানিং বিভিন্ন জায়গায় এরা পোস্টার,বিলবোর্ড, পত্রিকা বিলি করছে। এদের সম্বন্ধে আরও পোস্ট করা দরকার

              Comment


              • #8
                Originally posted by উসামা View Post
                জি ভাই আমি ও একমত।
                ইদানিং বিভিন্ন জায়গায় এরা পোস্টার,বিলবোর্ড, পত্রিকা বিলি করছে। এদের সম্বন্ধে আরও পোস্ট করা দরকার
                জ্বি ভাই ইনশাআল্লাহ আপনারা আমার জন্যে দু'আ করবেন।
                الله الموفق و المعين
                শরিয়াহর জন্য আমরা নিবেদিত.....

                Comment


                • #9
                  ঠিক বলেছেন ৷

                  Comment

                  Working...
                  X