Announcement

Collapse
No announcement yet.

আলেম ভাইদের কাছে জিজ্ঞাসা।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আলেম ভাইদের কাছে জিজ্ঞাসা।

    আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু। সম্মানিত আলেম ভাইদের কাছে কিছু জিজ্ঞাসা,ইনশাআল্লাহ আশা করি উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন।

    ***আমি একজন হাইস্কুল শিক্ষক।স্কুলটি ছেলেমেয়ে একসাতে পরিচালিত।* এই হিসেবে ছেলেমেয়েদের এক সাতে ক্লাস করতে হয়।(বিঃদ্রঃ স্কুলটি সরকারি সিলেবাসের মাধ্যমে পরিচালিত) এখন প্রশ্ন হচ্ছে -
    (১)সহশিক্ষা মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করা টিক হবে কিনা?
    (২)সরকারি শিক্ষা ব্যবস্তায় শুধু ছেলেদের স্কুলে পাঠদান করা টিক হবে কিনা?
    (৩)শুধুমাত্র ছেলেদের গণিত বা ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানো টিক হবে কিনা?
    (৪)নিজ উদ্যোগে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে সহশিক্ষা টিক হবে কিনা?

  • #2
    ভাইদের কাছে উত্তর আশা করছি।

    Comment


    • #3
      উত্তর আশা করছি

      Comment


      • #4
        Originally posted by নুরুদ্দিন View Post
        আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু। সম্মানিত আলেম ভাইদের কাছে কিছু জিজ্ঞাসা,ইনশাআল্লাহ আশা করি উত্তর দিয়ে সাহায্য করবেন।

        ***আমি একজন হাইস্কুল শিক্ষক।স্কুলটি ছেলেমেয়ে একসাতে পরিচালিত।* এই হিসেবে ছেলেমেয়েদের এক সাতে ক্লাস করতে হয়।(বিঃদ্রঃ স্কুলটি সরকারি সিলেবাসের মাধ্যমে পরিচালিত) এখন প্রশ্ন হচ্ছে -
        (১)সহশিক্ষা মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করা টিক হবে কিনা?
        (২)সরকারি শিক্ষা ব্যবস্তায় শুধু ছেলেদের স্কুলে পাঠদান করা টিক হবে কিনা?
        (৩)শুধুমাত্র ছেলেদের গণিত বা ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানো টিক হবে কিনা?
        (৪)নিজ উদ্যোগে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে সহশিক্ষা টিক হবে কিনা?
        الحمد لله وحده و الصلوة و السلام على النبى الذى لا نبى بعده. اما بعد:
        কেমন আছেন ভাই? আশা করি ভালো আছেন। আল্লাহ ভালো রাখেন এবং দ্বীনের জন্য কবুল করেন। আমিন।
        ভাই এখন আমি সংক্ষিপ্তাকারে উত্তর দিচ্ছি সময়-সুযোগ মত বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার চ্ষ্টো করবো। ইনশাআল্লাহ।
        প্রিয় ভাই। এখানে আমাদের কয়েকটি বিষয় লক্ষনীয়,
        (ক) আমাদের দেশের সরকার ব্যবসথাটা একটি কুফরী ব্যবস্থা। কারণ, তারা ইসলামী শরীয়ত মানে না। তারা মানে আব্রাহামের গনতন্ত্র। যেটা কুফুরী হওয়ার বিষয়ে কারো কোন ইখতেলাফ নেই।
        (খ) আমাদের দেশের সরকারী-বেসরকারী প্রায় স্কুলেই নাস্তিকতা শিক্ষা দেয়া হয়। তাই এ শিক্ষাকে শরীয়ত কিভাবে সমর্থন করতে পারে?
        (গ) সহশিক্ষা একটি শরীয়ত পরিপন্থী কাজ। এর দ্বারা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের আখলাক নষ্ট হয়।
        এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রেখে আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো,
        (১) সহশিক্ষা মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করা জায়েয নেই। এতে যে কত চোখের যিনা হয় তা গণনা করে শেষ করা যাবে না। আপনাকে যতটুকু সময় স্কুলে থাকতে হবে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বেগানা মেয়েদের দিকে তাকাতে হবে। আর আল্লাহ তায়ালা বেগানা মেয়েদের দিকে তাকানো হারাম করেছেন। অনুরূপ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যারা বেগানা মেয়েদের দিকে নজর দেয় তাদের উপড় লা’নত করেছেন। তাই এই গর্হিত কাজ থেকে বেচে থাকা সকলের কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা সকলকে তৌফিক দান করেন। আমিন।
        (২) সরকারি শিক্ষা ব্যবস্তায় শুধু ছেলেদের স্কুলে পাঠদান করার বিষয়ে মাসআলা হলো, (আমি আগেই বলেছি বর্তমান সরকার মুরতাদ। তাই আমাদের উপড় কর্তব্য হলো, তার থেকে সম্পুর্ণ বারাআত (সম্পর্কবিচ্ছিন্ন) করা । তবে যদি এটা করতে যেয়ে কোন ক্ষতি পৌছার আশংকা দেখা দেয় তাহলে অন্তরে ক্ষোভ রেখে শুধু উপরে উপরে তাদের সাথে মুহাব্বত প্রকাশ করা যেতে পারে।) যদি আপনাকে শরীয়ত বিরোধী কোন বিষয় পড়াতে না হয় বরং দুনিয়াবী বিষয় যেমন অংক ইত্যাদি পড়ান। তাহলে তা জায়েয হবে। তবে সরকারী হওয়ার কারণে চাকরি না করাই ভাল।
        (৩) শুধুমাত্র ছেলেদের গণিত বা ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানো জায়েয হবে। তবে ইংরেজী বইয়ের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে অনেক মিধ্যা ঘটনা লেখা থাকে তাই কোন ঘটনা আসলে তা সঠিক না বেঠিক এটা যাচাই করে নিতে হবে। সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের তা জানিয়ে দিতে হবে।
        (৪) নিজ উদ্যোগে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে সহশিক্ষা জায়েয হবে না। ইসলামী শিক্ষার জন্যও সহশিক্ষা নাজায়েয। তাই তা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
        فقط. والله اعلم بالصواب
        ( কোন বিষয় অস্পষ্ট থাকলে প্রশ্ন করতে পারেন।)
        ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

        Comment


        • #5
          Originally posted by Diner pothe View Post

          الحمد لله وحده و الصلوة و السلام على النبى الذى لا نبى بعده. اما بعد:
          কেমন আছেন ভাই? আশা করি ভালো আছেন। আল্লাহ ভালো রাখেন এবং দ্বীনের জন্য কবুল করেন। আমিন।
          ভাই এখন আমি সংক্ষিপ্তাকারে উত্তর দিচ্ছি সময়-সুযোগ মত বিস্তারিত উত্তর দেওয়ার চ্ষ্টো করবো। ইনশাআল্লাহ।
          প্রিয় ভাই। এখানে আমাদের কয়েকটি বিষয় লক্ষনীয়,
          (ক) আমাদের দেশের সরকার ব্যবসথাটা একটি কুফরী ব্যবস্থা। কারণ, তারা ইসলামী শরীয়ত মানে না। তারা মানে আব্রাহামের গনতন্ত্র। যেটা কুফুরী হওয়ার বিষয়ে কারো কোন ইখতেলাফ নেই।
          (খ) আমাদের দেশের সরকারী-বেসরকারী প্রায় স্কুলেই নাস্তিকতা শিক্ষা দেয়া হয়। তাই এ শিক্ষাকে শরীয়ত কিভাবে সমর্থন করতে পারে?
          (গ) সহশিক্ষা একটি শরীয়ত পরিপন্থী কাজ। এর দ্বারা শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের আখলাক নষ্ট হয়।
          এ বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রেখে আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো,
          (১) সহশিক্ষা মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করা জায়েয নেই। এতে যে কত চোখের যিনা হয় তা গণনা করে শেষ করা যাবে না। আপনাকে যতটুকু সময় স্কুলে থাকতে হবে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বেগানা মেয়েদের দিকে তাকাতে হবে। আর আল্লাহ তায়ালা বেগানা মেয়েদের দিকে তাকানো হারাম করেছেন। অনুরূপ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যারা বেগানা মেয়েদের দিকে নজর দেয় তাদের উপড় লা’নত করেছেন। তাই এই গর্হিত কাজ থেকে বেচে থাকা সকলের কর্তব্য। আল্লাহ তায়ালা সকলকে তৌফিক দান করেন। আমিন।
          (২) সরকারি শিক্ষা ব্যবস্তায় শুধু ছেলেদের স্কুলে পাঠদান করার বিষয়ে মাসআলা হলো, (আমি আগেই বলেছি বর্তমান সরকার মুরতাদ। তাই আমাদের উপড় কর্তব্য হলো, তার থেকে সম্পুর্ণ বারাআত (সম্পর্কবিচ্ছিন্ন) করা । তবে যদি এটা করতে যেয়ে কোন ক্ষতি পৌছার আশংকা দেখা দেয় তাহলে অন্তরে ক্ষোভ রেখে শুধু উপরে উপরে তাদের সাথে মুহাব্বত প্রকাশ করা যেতে পারে।) যদি আপনাকে শরীয়ত বিরোধী কোন বিষয় পড়াতে না হয় বরং দুনিয়াবী বিষয় যেমন অংক ইত্যাদি পড়ান। তাহলে তা জায়েয হবে। তবে সরকারী হওয়ার কারণে চাকরি না করাই ভাল।
          (৩) শুধুমাত্র ছেলেদের গণিত বা ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানো জায়েয হবে। তবে ইংরেজী বইয়ের মধ্যে ইসলাম সম্পর্কে অনেক মিধ্যা ঘটনা লেখা থাকে তাই কোন ঘটনা আসলে তা সঠিক না বেঠিক এটা যাচাই করে নিতে হবে। সাথে সাথে শিক্ষার্থীদের তা জানিয়ে দিতে হবে।
          (৪) নিজ উদ্যোগে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ ও ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে সহশিক্ষা জায়েয হবে না। ইসলামী শিক্ষার জন্যও সহশিক্ষা নাজায়েয। তাই তা থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
          فقط. والله اعلم بالصواب
          ( কোন বিষয় অস্পষ্ট থাকলে প্রশ্ন করতে পারেন।)
          জাযাকাল্লাহ। অনেক সুন্দর আলোচনা। আল্লাহ তায়ালা আপনার ইলমের মধ্যে বরকত দান করেন। অামিন।

          Comment


          • #6
            জাযাকুমুল্লাহ
            ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

            Comment


            • #7
              মাশা-আল্লাহ আখি জ্ঞানগর্ভ ও সটিক উত্তর দিয়েছেন। এটি ধ্রুব সত্য যে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় মেয়েদের দিখে চোখ চলে যায়।আর অনেক বছর ধরে পর্দাবিহীন ক্লাস করার কারনে পর্দার গুরুত্ব ও এই পাপের গুনা সম্পর্কে গাফেল হয়ে গিয়েছিলাম। আর ইংরেজি বিষয়ে অনেক মিত্যা ও সেকুলার শিক্ষা রয়েছে এই ব্যপারে আপনার উত্তর আমাকে মুগ্ধ করেছে। জাযাকাল্লাহু খায়রান আখি। আল্লাহ আপনাকে এই উত্তরের প্রতিদান আখেরাতে দান করুন। এবং আমাকেও আখেরাতে জান্নাত দান করুন।

              Comment


              • #8
                জেনারেল শিক্ষার মধ্যে রয়েছে কুফরি শিক্ষা ব্যবস্থা যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলেই ব্যক্তি কাফের হয়ে যায় । এবং এতে রয়েছে জিনা ব্যবিচারের মহা বাজার । এবং এতে রয়েছে অন্যায় অপরাধের আস্তানা।

                Comment


                • #9
                  বিশ্ববিদ্যালয় ও হাই স্কুলে শিক্ষকতা করার হুকুম কী?



                  প্রশ্ন:

                  বিশ্ববিদ্যালয় ও হাই স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদেরকে এক সাথে পড়াতে হয়। এতে চোখের পর্দা লঙ্ঘন হয়। তাই জানতে চাই, শরিয়তের দৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও হাই স্কুলে শিক্ষকতা করার হুকুম কী?

                  প্রশ্নকারী- মুহাম্মাদ প্রশান্ত



                  উত্তর:

                  সহশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতায় অনেক সমস্যা রয়েছে। একে তো তাতে পর্দার বিধান লঙ্ঘিত হয়। দ্বিতীয়ত আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নানান কুফর শিরক ও নাস্তিক্যবাদ রয়েছে। তৃতীয়ত একজন শিক্ষককে সভ্যতা সংস্কৃতি ও বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিভিন্ন অন্যায় ও পাপাচারমূলক কাজে লিপ্ত হতে হয়। এছাড়া এদেশে দুর্নীতি যে মহামারির রূপ ধারণ করেছে, আমাদের ধারণা, কেউ দুর্নীতি না করলে সরকারি চাকরিতে টিকে থাকা তার জন্য প্রায় অসম্ভব। সুতরাং সহশিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলে যদি এসব বিষয় থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব না হয়, তাহলে তা জায়েয হওয়ার প্রশ্নই আসে না; বরং ক্ষেত্রবিশেষে ঈমান হারানোরও আশঙ্কা রয়েছে। হ্যাঁ, কারো পক্ষে যদি এসকল অন্যায় থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয় এবং পাঠ্য বিষয়ের শরিয়াহ পরিপন্থী ও কুফরি-শিরকি বিষয়গুলো পড়ানোর সময় ছাত্রদের সামনে পরিষ্কার করে দিতে পারেন যে, এগুলো কুফর শিরক এবং ঈমান পরিপন্থী, তাহলে তার জন্য এ চাকরি তাগুতের অধীন হওয়ার কারণে মাকরুহ হলেও জায়েয হবে; যদিও তা অসম্ভব প্রায়।

                  ফতোয়া প্রদানে-
                  আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মাহদি (হাফিযাহুল্লাহ)

                  Collected
                  গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

                  Comment


                  • #10
                    জাজাকল্লাহু খাইরান, ভাই আপনাদের প্রশ্ন, এবং উত্তর দ্বারা আমরা সবাই, ইলমের দিক দিয়ে উপকৃত হচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা আমরা সব ভাইয়ের নেক আমলগুলোকে কবুল আর মঞ্জুর করে নিন।

                    Comment


                    • #11
                      https://dawahilallah.com/showthread....B%26%232478%3B
                      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

                      Comment


                      • #12
                        Originally posted by Jannat1 View Post
                        জাজাকল্লাহু খাইরান, ভাই আপনাদের প্রশ্ন, এবং উত্তর দ্বারা আমরা সবাই, ইলমের দিক দিয়ে উপকৃত হচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা আমরা সব ভাইয়ের নেক আমলগুলোকে কবুল আর মঞ্জুর করে নিন।
                        আমিন ইয়া রব্বাল আলামিন

                        Comment


                        • #13
                          আলহামদুলিল্লাহ, উপকৃত হওয়ার মত পোস্ট। জাযাকুমুল্লাহ
                          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                          Comment

                          Working...
                          X