Announcement

Collapse
No announcement yet.

গাজওয়াতুল হিন্দের এক টুকরো বিশ্লেষণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • গাজওয়াতুল হিন্দের এক টুকরো বিশ্লেষণ

    গাজওয়াতুল হিন্দের এক টুকরো বিশ্লেষণ


    হিন্দুস্তানের এই যুদ্ধটি হবে একটি সর্বদলীয়, সর্বগ্রাসী দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কিছুতেই মুষ্টিমেয় মুজাহিদীন এবং হিন্দুত্ববাদী ভারতের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।
    বরং এতে অংশ নিবে ভারত, পাকিস্থান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলংকা। বিদেশি শক্তি হিসেবে চীন, রাশিয়া, আমেরিকা। এবং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের কোন একটি অলি-গলিকেও নিস্তার দিবেনা। কোন নবজাতকই তার বিভীষিকা থেকে রেহাই পাবেনা। হাজার বছর ধরে ধূমায়িত যুদ্ধাগ্নি একটুখানি খোঁচাতেই বিষ্ফোরিত হয়ে লেলিহান ছড়াবে। আফগান থেকে বঙ্গ, যেখানেই এর সূচনা হোক না কেন ক্ষণ মুহুর্তেই তা সব দিকে ছড়িয়ে পড়বে!
    এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের আমরা সাদরণভাবে তিনটি শ্রেণীতে দেখতে পাব।
    এক গণতান্ত্রিক আদর্শ, আধিপত্য, সার্বভৌমত্ব, জাতিয়তাবাদের জন্যে লড়াইকারী পাকিস্থান। বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে অভিন্ন।

    দুই হিন্দুত্ববাদের জন্যে লড়াইকারী ভারত। উপমহাদেশীয় সকল ফাসাদের মূলে যারা, যারা ইসলাম ও মুসলিমদের জন্যে তাদের দেশে এক নারকীয় জাহান্নাম বানিয়ে রেখেছে
    তিন ইসলাম ও মুসলিমদের হেফাজত এবং বিজয়ের জন্যে জিহাদকারী মুজাহিদীন। যারা আল্লাহর কালেমা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে সবরকম পার্থিব স্বার্থের ঊর্ধে থেকে লড়াই করবে।
    এবং বাকি যারা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে তারাও এই তিন শ্রেণীর ছায়াতলেই অংশগ্রহণ করবে। হোক আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, মায়ানমার বা দুনিয়ার দূর প্রান্তের হিজরতকারী মুজাহিদীন। প্রত্যেকেই নিজ নিজ মিত্রদের সাথে সমবেত হবে।

    যদিও যুদ্ধটির নামকরণ রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি) করেছেন। যদিও যুদ্ধটি হবে মালাউন হিন্দুদের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ। যদিও মুজাহীদিনরাই হবে এই যুদ্ধের বরপুত্র ও বিজয়ী। তথাপিও এটি একটি সর্বদলীয় যুদ্ধ হবে। জাত-পাত নির্বিশেষে সবাই এতে অংশ নিবে। সামরিক-বেসামরিক কেউই বাদ যাবেনা মোদ্দা কথা দুনিয়া সৃষ্টি তথা মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি) এর নবুওয়ত প্রাপ্তির পর থেকে আজ অবধি এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত এমন যুদ্ধ ভারতবাসী প্রত্যক্ষ্য করেনি। আর কখনো করবেনা। নানা কারণেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুমুখী শক্তির উত্থান, আধিপত্য, জ্যেত্যাভিমান, আন্তঃধর্মীয় সংঘর্ষ এক ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে ধাবিত করছে ভারতের ভবিষ্যতকে।
    তাই গাজওয়াতুল হিন্দ শুধু একদিনের এক আকষ্মিক যুদ্ধ নয় যে কেউ চাইলেই মুখ ফিরিয়ে নিবে বা অজ্ঞতার দোহাই দিয়ে ঘরে বসে থাকবে। বরং এই যুদ্ধ সকল ধর্মের, সকল মতের, সকল পথের, সকল বয়সের প্রতিজনের কাছে উপস্থিত হবে এবং যুদ্ধের উত্তপ্ততা পরখ করাবে।
    উপর্যুপরি বৃটিশদের হিন্দুস্থান শাসন, ভারতকে মনস্তাত্ত্বিক দিক দিয়ে বিভক্তি, হিন্দু-মুসলিম বৈষম্য সৃষ্টি, অখন্ড হিন্দুস্থানকে খন্ড-বিখন্ড করণ, বৃটিশদের থেকে হিন্দুস্থানের স্বাধীনতা উদ্ধার।
    হিন্দু-মুসলিম আলাদা রাষ্ট্রের চেতনায় ভারত-পাকিস্থান নামের আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হওয়া, দেশ ভাগের সময়
    ধর্মীয় দাঙ্গা, নতুন করে ভারতের হিন্দুত্ত্ববাদ রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভাব,

    ইসলামের প্রতি চরম বিদ্বেষ ও যুদ্ধংদেহী মনোভাব, অনেকগুলি দাঙ্গা ও হাজারে হাজারে মুসলিম হত্যা, বাবরি মাসজিদের মতো শত মসজিদকে শহীদ ও বিলীন করে দেয়া,
    ১৯৭১ এ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম, ত্রিমুখী নীতির মেরুকরণ, ৭১ সালে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে ভারতের সহায়তা, পাকিস্থানের পরাজয় ও প্রতিশোধপরায়ণতা, ভারত-পাকিস্থানের পরমাণু অস্ত্রধর রাষ্ট্র হওয়া,
    বিশ্ব ক্ষমতা দ্বিমেরুকরণ হওয়া এবং চীন-রাশিয়া ও আমেরিকা-ন্যাটু বেল্টে ভারত-পাকিস্থান আলাদা আলাদা বেল্টের অন্তর্ভুক্ত হওয়া, চিত্রঃ পাকিস্থানের আত্নসমর্পন
    উপমহাদেশের সার্বিক আধিপত্য,
    কাশ্মির স্বাধীনতা ইস্যুতে ভারত-পাকিস্থানের বিপরীত অবস্থা ও একটি দীর্গ যুদ্ধের মাঝ দিয়ে যাওয়া ভারত-পাকিস্থানের সার্বভৌমত্ব

    কাশ্মির ইস্যু উত্তপ্ত হওয়া, কাশ্মির স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হওয়া, কাশ্মির নিয়ে ভারত-পাকিস্থানের ইঁদুর-বেড়াল নীতি, বিশ্ব
    মুসলিমদের কাশ্মিরের প্রতি সংহতি, মুজাহিদীনদের কাশ্মির জিহাদের আগ্রহ, নীতিগতভাবে কাশ্মির ইস্যুতে আস্থা হারানো

    পাকিস্থান-জাতিসংঙ্গের চালাকি প্রচেষ্টা, সশস্ত্র লড়াই-ই একমাত্র কাশ্মির সমস্যার সমাধান অনুধাবিত হওয়া, বাংলাদেশের ভারতের প্রতি একমুখী সমর্থন, গোলামি নীতি, বাংলাদেশকে ভারতের দাস রাষ্ট্রে পরিণত করা, একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে সর্বাংশে হিন্দুত্বকরণ,

    একনিষ্ট আলিম ও তাওহিদী জনতাকে নিগৃহীত করা, আরাকানে বৌদ্ধদের দ্বারা মুসলিমদের জাতিগত ধর্ষণ-উচ্ছেদ ও গণহত্যা, ভারতের প্রকাশ্য সমর্থন, ভারত-মায়ানমার মিলে যৌথ সামরিক মহড়া, আসামের মুসলিমদের গ্রেপ্তার, নাগিরিকত্ব বাতিল, ঘর-বাড়ি ধবংস করা, ভারতের সাতটি অঙ্গের(Seven Sisters) স্বাধীনতার দাবী ও সংগ্রাম, পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশ পাকিস্থানের দ্বন্দ্ব, ভারত-পাকিস্থান উভয় রাষ্ট্রের
    কিন্তু সিরিয়া যুদ্ধের কোনই লক্ষণ নেই। ইমাম আনোয়ার আল আওলাকি (রাহিঃ) ইরাক অবরোধের পর পরই বলেছিলেন এখন আমাদের সিরিয়ার দিকে তাকানো উচিত, কেননা হাদীস অনুযায়ী শীঘ্রয় সিরিয়া অবরুদ্ধ হবে! সুবহানাল্লাহ! শাইখ আওলাকি ২০১১ সালে শহীদ হোন এবং সিরিয়া অবরোধ দেখার আগেই!
    ২০১২ সাল। আরব বসন্তের ধোয়া ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে। অতঃপর সিরিয়ায় তা পৌঁছাল এবং সশস্ত্র লড়াইয়ে রুপান্তরিত হল। শুরু হল গৃহ যুদ্ধ। কালব বংশের নুসাইরিদের আগ্রাসন, লাখো আহলে সুন্নাহর মৃত্যু, এক কোটি সিরিয়ানদের দেশান্তরি, রাশিয়া, ইরান আর আমেরিকার সিরিয়া যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং স্মরণকালের ভয়াবহ অবরোধ আরোপিত হলো সিরিয়া বাসীর ওপর।
    অতঃপর আজ ৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে সিরিয়া যুদ্ধের। ১০ লাখ নিহত, এর অধিক সংখ্যায় আহত। ২০১৫ সালেই অবরোধে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫০০ জন প্রায়! এটি হচ্ছে হাদীসের বাকি অংশের বাস্তবায়ন
    তিনি আবার বললেন অচিরেই শামবাসীর নিকট কোন দীনার আসবে না এবং কোন খাদ্যশস্যও আসবে না। আমরা প্রশ্ন করলাম, এ বিপদ কোন দিক থেকে আগমন করবে? তিনি বললেন, রোমের দিক থেকে। অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, আমার উম্মাতের শেষভাগে একজন খলীফা (ইমামুল মাহদি) হবে। সে হাত ভরে ভরে অর্থ সম্পদ দান করবে, গণনা করবে না।

    এখন শুধু খলীফা ইমাম আল মাহদীর আগমন বাকি আছে!
    সিরিয়া যুদ্ধই হবে শেষ যুদ্ধ, মহাযুদ্ধ। এই যুদ্ধের শেষ ভাগে ইমাম মাহদীর আগমন ঘটবে। ইমাম মাহদী দামেষ্কের উপকণ্ঠে গুতা শহরে

    দুটি ভয়ংকর -নিকৃষ্ট-ভোগবাদী গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এবং 'আইএসআই' এর কুট-কৌশল ও চক্রান্ত, বিদেশি পরাশক্তির এজেন্ট হওয়া, ভারত রাষ্ট্রে চরম মুসলিম বিদ্বেষী ও হিন্দু জঙ্গীসংগঠনের ক্ষমতাসীন হওয়া, আরএসএস, শিবসেনা, বজরংদের মুসলিম নিধন মানসিকতা ও একটি চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ, ভারতের সাথে ইজরাইলের বন্ধুত্ত্ব ও একাত্নতা, ভারত-পাকিস্থান সীমান্ত উত্তেজনা ও বার কয়েকের চাপা যুদ্ধ, মায়ানমারের বৌদ্ধ ও ভারতের হিন্দুদের জোটবদ্ধ হওয়া এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিজেদের আগ্রাসনসহ জানা-অজানা অসংখ্য কারণ যুগের পর যুগ ধরে গাজওয়াতুল হিন্দ'কে অত্যাবশ্যকীয় করে তুলেছে।
    এর বাইরে শাহ নি'আমতুল্লাহর গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে ৮০০ বছর আগে করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণী, ইসলামের পুনরায় বিজয়ী হওয়ার যে জাগরণ প্রাচ্য থেকে প্রাশ্চাত্য, সিন্দু থেকে ইউফ্রেটিস নদীর তীর, আর বঙ্গপোসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া থেকে স্পেন তথা পৃথিবীর সর্বত্রই শুরু হয়েছে তারই ঢেউ আছড়ে পড়েছে উপমহাদেশেও। তাওহীদ ও জিহাদের এক নব জাগরন শুরু হয়েছে। বাশেঁরকেল্লা-বালাকোট বিজয়ের বার্তা নিয়ে ফিরে এসেছে, হিন্দের সমুদ্রে জিঞ্জির ছেঁড়া উচ্চ্বাসের গর্জন ওঠেছে। কাশ্মির থেকে আরাকান আজ জিহাদের জন্যে উর্বর ভূমি হিসেবে আবাদ হয়েছে। মুহাম্মাদ বিন কাসিমের উত্তরসুরীরা আজ হিন্দুস্তানের প্রতিটি ঘরে তাওহীদের কালেমা পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পর তৃতীয় শক্তি হিসেবে আজ আবির্ভূত হয়েছে উম্মতের মুজাহিদরা। সবাই তটস্থ। কি চায় তারা! ইসলামের বিজয়, কালিমার বুলন্দি আর মুসলিমদের মুক্তি। আল্লাহর ভূমিতে আল্লাহর আইনের শাসনই কেবল সক্ষম এতে! সুতরাং ভারত-পাকিস্থানের শত্রুতার সাথে আরেকটি নতুন খেলোয়ার মাঠে এসেছে, যারা এতটাই তীব্র, বাঁধভাঙা আর বে-পরোয়া যে সারা বিশ্ব পেরেশান, হয়রান। তারা আল্লাহ ও মুমিন ব্যতীত সবার সাথেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা নতুন যুদ্ধা, যুদ্ধের সব পক্ষই তাদের প্রতিপক্ষ, না ভারত, না রাশিয়া-আমেরিকা আর না ইসলামের নাম ব্যবহারকারী পাকিস্থান! সবাই শত্রু। তারাই কেবল বন্ধু যারা আল্লাহর শরীয়তের জন্যে লড়াই করে। সুবহানাল্লাহ!
    সুতরাং এইসব কিছু আল্লাহর রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণী'কৃত যুদ্ধকে বাধ্যতামূলক ও অবশ্যম্ভাবী করেছে এবং আমাদের প্রজন্মে তা সংগঠিত হবার সব ধাপ পূরণ করেছে। হিন্দ এখন এক অভূতপূর্ব ভয়ংকর যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত!
    কে আছ.....কাফেলা বদ্ধ হবে!

    কিন্তু বন্ধু, তুমি কি জান যুদ্ধটি কিভাবে তোমাকে নাড়া দিবে এবং কি অবস্থায় তোমার সাথে সাক্ষাত করবে?
    তুমি তো ভেবেই নিয়েছ-"একটা যুদ্ধ হয়তো হবে, কিছুটা ভয়ংকর হতেও পারে, কিন্তু তুমি বা তোমার পরিবার পার পেয়ে যাবে, ফাঁক গলে বেড়িয়ে যাবে(!) আরে, এটা তো গাজওয়াতুল হিন্দ, এটি মহাযুদ্ধ/বিশ্বযুদ্ধ হাদীসের ভাষায় মালহামাতুল কুবরা তো আর নয়......!"

    না বন্ধু, তুমি ভুলই ভেবেছ, আর ভুলেই থেকে গেলে মাশুল টা চড়া হয়ে যাবে! তুমি কি জান- 'গাজওয়াতুল হিন্দ' মালহামাতুল কুবরা অর্থাৎ বিশ্বযুদ্ধের অংশই হবে! যখন শামে ইমাম মাহদী মালহামা/বিশ্বযুদ্ধে লিপ্ত থাকবেন তখন তুমি হিন্দুস্থানে গাজওয়াতুল হিন্দে ব্যস্ত থাকবে। উভয়টা মিলেই হবে মালহামতুল কুবরা বা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
    যুহায়র ইবনু হারব ও আলী ইবনু হুজর (রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) বলেন, "অচিরেই ইরাকবাসীরা না খাদ্যশস্য পাবে, না দিরহাম পাবে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! কার কারণে এ বিপদ আসবে”? তিনি বললেন- অনারবদের কারণে। তারা খাদ্যশস্য ও দিরহাম আসতে দিবে না। কিছু সময় চুপ থেকে তিনি আবার বললেন অচিরেই শামবাসীর নিকট কোন দীনার আসবে না এবং কোন খাদ্যশস্যও আসবে না। আমরা প্রশ্ন করলাম, এ বিপদ কোন দিক থেকে আগমন করবে? তিনি বললেন, রোমের দিক থেকে। অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললেন, আমার উম্মাতের শেষভাগে একজন খলীফা (ইমামুল মাহদি) হবে। সে হাত ভরে ভরে অর্থ সম্পদ দান করবে, গণনা করবে না। সহীহ মুসলিম: অধ্যায় ৫৪/ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত, হাদিস নং: ৭০৫১, পাবলিশার: ইফাবা। বুখারী: অধ্যায় ৮১/ ফিৎনা ও কিয়ামতের আলামত।
    ২০০০ সালের অব্যবহিত পরেই ইরাকের ওপর অনারব আমেরিকা আর ন্যাটু জোট দ্বারা অবরোধ আরোপ করা হয়, যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক ভাবে ইরাককে বিশ্ব বাজার থেকে বৈকট করা হয়েছিল এবং প্রায় ১০ লাখ ইরাকি সেই যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। সাদ্দাম কে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল এবং সকল সম্পদ ডাকাতি করা হয়েছিল। এটি ছিল হাদীসের প্রথম অংশের সত্যায়ন, ""অচিরেই ইরাকবাসীরা না খাদ্যশস্য পাবে, না দিরহাম পাবে। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! কার কারণে এ বিপদ আসবে”? তিনি বললেন- অনারবদের কারণে। তারা খাদ্যশস্য ও দিরহাম আসতে দিবে না।"
    রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চুপ থাকা ও অতঃপর শাম(সিরিয়া) অবরোধের কথা বলার দ্বারা বুঝা যায় ইরাক অবরোধের কিছু দিন পরই সিরিয়া অবরোধ ও যুদ্ধের শিকার হবে। দেখতে দেখতেই ইরাক যুদ্ধের ১০ বছর অতিবাহিত হল।


    সংগৃহিত

  • #2
    মাশাআল্লাহ ভাই চমৎকার আলোচনা গাজওয়া হিন্দের চূড়ান্ত যুদ্ধের সময় ঘনিয়ে আসছে তাই এ ধরনের আলোচনা বেশী বেশী দরকার ইনশাআল্লাহ
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      দীর্ঘদিনের প্রেক্ষাপট বড় আকারের বিস্ফোরনের ঘন্টাধ্বনি বাজাচ্ছে। আর জাতি ঘুমের ঘোরে বিভোর।

      Comment


      • #4
        আল্লাহ আমাদেরকে গাজওয়াতুল হিন্দে অংশ গ্রহণ করে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার তাওফীক দান করুন!

        Comment


        • #5
          হে আল্লাহ! সালেহীনদের কাফেলায় আমাকে যুক্তহওয়ার তাওফীক দাও।

          Comment


          • #6
            অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে

            Comment


            • #7
              ভারতে স্কুলগুলোয় 'মুসলিম বাচ্চারা হয়রানির শিকার' - একটি বইয়ের তথ্য

              ভারতে বিভিন্ন অভিজাত স্কুলেও মুসলিম ছেলেমেয়েরা তাদের ধর্মের কারণে ক্রমবর্ধমান হয়রানির লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে, বলা্ হয়েছে একটি বইয়ে।

              বইটির লেখক নাজিয়া ইরাম - যিনি ভা্রতের ১২টি শহরে ১৪৫টি পরিবার, এবং রাজধানী দিল্লির ২৫টি অভিজাত স্কুলের ১০০ জন ছাত্রছাত্রীর সাথে কথা বলেছেন - বলছেন, এমনকি পাঁচ বছরের শিশুও এসব হয়রানির লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে।

              ভারত এবং সারা বিশ্ব জুড়েই ইসলাম-ভীতি ক্রমণ বাড়তে থাকার পটভূমিতেই এটা ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।

              বিবিসিকে নাজিয়া ইরাম বলেন, তিনি তার গবেষণায় যা পেয়েছেন তা তাকে স্তম্ভিত করেছে।

              "যখন পাঁচ-ছয় বছরের বাচ্চারা বলে তাদেরকে 'পাকিস্তানি' বা 'সন্ত্রাসী' বলে ডাকা হয়েছে - আপনি তার কি জবাব দেবেন? সেই স্কুলের কাছেই বা কি অভিযোগ করবেন।"

              "এর অনেকগুলোই হয়তো মজা করে বলা হয়েছে, মনে হতে পারে এটা নির্দোষ ঠাট্টা। কিন্তু আসলে তা নয়, এটা উৎপীড়ন।"

              তার বইতে নাজিয়া ইরাম যে সব বাচ্চার সাক্ষাতকার নিয়েছেন, তারা বলেছে এমন কিছু প্রশ্ন বা মন্তব্য আছে যা প্রায়ই তাদের দিকে ছুঁড়ে দেয়া হয়। যেমন:

              'তুমি কি একজন মুসলিম? আমি মুসলিমদের ঘৃণা করি।'

              'তোমার বাবা-মা কি বাড়িতে বোমা বানায়?'

              'তোমার বাবা কি তালিবানের অংশ?'

              'সে একজন পাকিস্তানি।'

              'সে একজন সন্ত্রাসী।'

              'ওই মেয়েটাকে জ্বালিও না, সে তোমাকে বোমা মেরে দেবে।'

              এই বইটি বের হবার পর থেকেই স্কুলগুলোতে ধর্মীয় ঘৃণা এবং বিরূপ ধারণা কতটা আছে তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে।

              টুইটারে মাদারিংএমুসলিম নামে একটি হ্যাশট্যাগে অনেকেই তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা বর্ননা করছেন।

              ভারতে জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ হিন্দু এবং মুসলিমরা প্রায় ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এই দুই সম্প্রদায় অধিকাংশ সময় শান্তিতে বসবাস করলেও ১৯৪৭এর ভারত ভাগ এবং ১৯৯০-এর দশকে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর এ পরিস্থিতিতে পরিবর্তন হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ বৈরি মনোভাব আরো বেড়েছে।

              লেখক নাজিয়া ইরাম নিজেই বলছেন, তার প্রথম কন্যা সন্তান জন্মের পরই তিনি প্রথম ভয় পেলেন। তিনি তাকে কোন পরিচিত মুসলিম নাম দেয়া নিয়েও উদ্বিগ্ন ছিলেন।

              এর পর থেকে তার 'মুসলিম' পরিচয় ছাড়া অন্য সব পরিচয়ই যেন গৌণ হয়ে গেছে, বলেন মিজ ইরাম।

              ভারতে নরেন্দ্র মোদির হিন্দু-জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই মুসলিমদের আগ্রাসনকারী, জাতীয়তাবিরোধী, এবং জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি বলে চিত্রিত করা হতে থাকে।

              টেলিভিশনে নানা তর্কবিতর্কে এই বিভেদ আরো গভীর হয়। আর এখন তা বড়দের থেকে ছোট বাচ্চাদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে।

              মিজ ইরাম বলছেন, "স্কুলে, খেলার মাঠে, ক্লাসরুমে, স্কুলবাসে একজন মুসলিম বাচ্চাকে লক্ষ্য করে 'পাকিস্তানি', 'আইএস', 'বাগদাদি', 'সন্ত্রাসী' - এসব বলা হয়।

              নাজিয়া ইরামের বইটিতে এমন গল্প আছে যেখানে একটি পাঁচবছরের মেয়ে বলছে, "মুসলিমরা আসছে, ওরা আমাদের মেরে ফেলবে" - কিন্তু মেয়েটি নিজেই মুসলিম।

              ইউরোপে এক সন্ত্রাসী আক্রমণের পর ১০ বছরের একটি ছেলেকে তার সহপাঠী বলছে "তুমি এটা কি করলে?"

              আরেকটি গল্প: ১৭ বছরের একটি ছেলেকে একজন 'সন্ত্রাসী' বলেছে, তার মা গালি দেয়া ছেলেটির মার কাছে অভিযোগ করেছেন। সেই মা বলছেন, "কিন্তু আপনার ছেলে যে আমার ছেলেকে বলেছে 'মোটা'!"

              সারা বিশ্বেই এমন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার পর বর্ণ-জাতি-ধর্ম নিয়ে এমন ঘটনা ঘটলে একে বলা হচ্ছে 'ট্রাম্প এফেক্ট'। তাহলে ভারতে যা ঘটছে তাকে কি 'মোদি এফেক্ট' বলা যায়?

              মিজ ইরাম বলছেন, সব পার্টিই এরকম ভাষা ব্যবহার করছে, ইসলামী পার্টিগুলোও করছে।

              তিনি আরো বলেন, স্কুলগুলো তাদের ক্যাম্পাসে এরকম ধর্মীয় উৎপীড়নের ঘটনা ঘটার কথা স্বীকার করতে অস্বীকার করেছে।

              কিন্তু মিজ ইরামের মতো এর সমাধান করতে গেলে প্রথম এটা স্বীকার করতে হবে, তা না হলে এই ঘৃণাছড়াতে ছড়াতে এক সময় আমাদের সবাইকে গিলে ফেলবে।

              বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন:

              যে মেয়ে শিশুটির ধর্ষণ ও হত্যায় উত্তাল পাকিস্তান

              ট্রাম্পের 'শিটহোল' শব্দটি নিয়ে সাংবাদিকদের বিড়ম্বনা

              ভালো ঘুমের জন্য মধ্যযুগের সাতটি উপায়

              মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে সেদিন বঙ্গভবনে যান জেনারেল মইন

              -বিবিসি

              Comment


              • #8
                ভাবনার বিষয় ৷

                Comment


                • #9
                  বাংলাদেশের' ভারতের প্রতি একমুখী সমর্থন, গোলামি নীতি, বাংলাদেশকে ভারতের দাস রাষ্ট্রে পরিণত করা, একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে সর্বাংশে হিন্দুত্বকরণ,





                  একনিষ্ট আলিম ও তাওহিদী জনতাকে নিগৃহীত করা, আরাকানে বৌদ্ধদের দ্বারা মুসলিমদের জাতিগত ধর্ষণ-উচ্ছেদ ও গণহত্যা, ভারতের প্রকাশ্য সমর্থন, ভারত-মায়ানমার মিলে যৌথ সামরিক মহড়া, আসামের মুসলিমদের গ্রেপ্তার, নাগিরিকত্ব বাতিল, ঘর-বাড়ি ধবংস করা, ভারতের সাতটি অঙ্গের(Seven Sisters) স্বাধীনতার দাবী ও সংগ্রাম, পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশ পাকিস্থানের দ্বন্দ্ব,
                  ভারত-পাকিস্থান উভয় রাষ্ট্রের দুটি ভয়ংকর -নিকৃষ্ট-ভোগবাদী গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এবং 'আইএসআই' এর কুট-কৌশল ও চক্রান্ত, বিদেশি পরাশক্তির এজেন্ট হওয়া, ভারত রাষ্ট্রে চরম মুসলিম বিদ্বেষী ও হিন্দু জঙ্গীসংগঠনের ক্ষমতাসীন হওয়া, আরএসএস, শিবসেনা, বজরংদের মুসলিম নিধন মানসিকতা ও একটি চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ,
                  ভারতের সাথে ইজরাইলের বন্ধুত্ত্ব ও একাত্নতা, ভারত-পাকিস্থান সীমান্ত উত্তেজনা ও বার কয়েকের চাপা যুদ্ধ, মায়ানমারের বৌদ্ধ ও ভারতের হিন্দুদের জোটবদ্ধ হওয়া এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিজেদের আগ্রাসনসহ জানা-অজানা অসংখ্য কারণ যুগের পর যুগ ধরে গাজওয়াতুল হিন্দ অত্যাবশ্যকীয় করে তুলেছে। এগুলো তারই কিছু নমুনা মাত্র। জুলুম, অত্যাচার, নির্মমতা, গাদ্দারী আর অসলাম বিদ্বেষের ফিরিস্তি বিশাল। কিন্তু আমরা কজনই বা খবর রাখি!


                  এর বাইরে শাহ নি'আমতুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ'র গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে ৮০০ বছর আগে করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণী, ইসলামের পুনরায় বিজয়ী হওয়ার যে জাগরণ প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য, সিন্দু থেকে ইউফ্রেটিস নদীর তীর, আর বঙ্গপোসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া থেকে স্পেন তথা পৃথিবীর সর্বত্রই শুরু হয়েছে তারই ঢেউ আছড়ে পড়েছে উপমহাদেশেও। তাওহীদ ও জিহাদের এক নব জাগরন শুরু হয়েছে।
                  বাশেঁরকেল্লাহ-বালাকোট, ফকির বিদ্রোহ, লাল মাসজিদ, জামেয়া হাফসা, হেফাজতের ৫ ই মে আজ একত্রিত হয়ে নব বিপ্লবে জয়ের বার্তা নিয়ে ফিরে এসেছে, হিন্দের সমুদ্রে জিঞ্জির ছেঁড়া উচ্চ্বাসের গর্জন ওঠেছে।

                  কাশ্মির থেকে আরাকান আজ জিহাদের জন্যে উর্বর ভূমি হিসেবে আবাদ হয়েছে। মুহাম্মাদ বিন কাসিমের উত্তরসুরীরা আজ হিন্দুস্তানের প্রতিটি ঘরে তাওহীদের কালেমা পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পর তৃতীয় শক্তি হিসেবে আজ আবির্ভূত হয়েছে উম্মতের মুজাহিদরা।
                  সবাই তটস্থ। কি চায় তারা! ইসলামের বিজয়, কালিমার বুলন্দি আর মুসলিমদের মুক্তি। আল্লাহর ভূমিতে আল্লাহর আইনের শাসনই কেবল সক্ষম এতে! সুতরাং ভারত-পাকিস্থানের শত্রুতার সাথে আরেকটি নতুন খেলোয়ার মাঠে এসেছে, যারা এতটাই তীব্র, বাঁধভাঙা আর বে-পরোয়া যে সারা বিশ্ব পেরেশান, হয়রান।
                  নিন্দুকেরা তাদের উগ্র আর জঙ্গী যাই দিক না কেন, যত প্রোপাগান্ডা
                  ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                  Comment


                  • #10
                    ই করা হোক কেন তারা আজ সবকিছুকে অগ্রাহ্য করার দীপ্ত শপথ নিয়েছে। তাদের শানে দয়াময় আল্লাহ ইরশা করেন
                    "হে ঈমানদারগণ তোমাদের মধ্যে যারা স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচীরেই আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাকে ভালোবাসবে। তারা মুমিনদের প্রতি নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করবেনা। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী মহাজ্ঞানী! [সুরা মায়েদা; ৫৪]

                    কবি কত সুন্দর বলেছেন,

                    " আজ পৃথিবীর দিকে দিকে শুনি জিহাদের ডাক, কেউ জাগে নও জুশ লয়ে কেউ ভয়ে নির্বাক, কেউ বলে তাকে মুক্তির পথ কেউ বলে সন্ত্রাস, কেউ ভাবে তাকে কল্যাণকর কেউ বা সর্বনাশ, পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের সব সরকার পেরেশান,
                    প্রচার মিডিয়া কিছু না বুঝিয়া হয়রান হয়রান, জিহাদের হয় অপব্যবহার জানিনা সে দোষ কার,
                    আসলে জিহাদ কুর'আনে লিখা ফরমান আল্লাহর,
                    জিহাদ শক্তি, জিহাদ মুক্তি, জিহাদ মিথ্যে নয়, শোষিত পীড়িত মাযলুমানের জিহাদেই আশ্রয়"-

                    তারা আল্লাহ ও মুমিন ব্যতীত সবার সাথেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা নতুন যুদ্ধা, যুদ্ধের সব পক্ষই তাদের প্রতিপক্ষ, না ভারত, না রাশিয়া-আমেরিকা আর না ইসলামের নাম ব্যহারকারী মিল্লাতের অবাধ্য সন্তান পাকিস্থান! সবাই শত্রু। তারাই কেবল বন্ধু যারা আল্লাহর শরীয়তের জন্যে লড়াই করে। সুবহানাল্লাহ!

                    সুতরাং এইসব কিছু আলল্লাহর রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণী'কৃত যুদ্ধকে বাধ্যতামূলক ও অবশ্যম্ভাবী করেছে এবং আমাদের প্রজন্মে তা সংগঠিত হবার সব ধাপ পূরণ করেছে। হিন্দ এখন এক অভূতপূর্ব ভয়ংকর যুদ্ধের জন্যে প্রস্তত!

                    কেউ কি আছে.....কাফেলা বদ্ধ হবে!
                    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                    Comment


                    • #11
                      কেমন হতে পারে গাজওয়াতুল হিন্দ; কি করব আমি?
                      পর্ব ০১
                      ��
                      ভূমিকা


                      গাজওয়াতুল হিন্দ কি? কার সাথে এই যুদ্ধ? কি হবে এর ফলাফল?
                      সবাই তা জানে। কিন্তু কেমন হবে এই ভয়াবহ যুদ্ধটি, এর রুপরেখাই বা কি, কত দীর্ঘ হবে, মুজাহিদীনদের ভূমিকা কি, কারা কোন মতলবে কাদের পক্ষে যুদ্ধ করবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সবার কাছে সতত স্বচ্ছ নয়।
                      তারই জবাব ও গাজওয়াতুল হিন্দের বিশ্লেষণ নিয়ে আমাদের এই কলেবর।
                      সাথে একজন একাকী ব্যক্তির জন্যে আমরা যুদ্ধের একটি ছক এঁকে দিব, যা তাকে প্রস্তুত করবে গাজওয়াতুল হিন্দের জন্যে।
                      বাংলা ভাষায় এবং আমাদের জানামতে, অন্য ভাষাতেও গাজওয়াতুল হিন্দের এত বিস্তৃত বিশ্লেষণ, আপডেট পর্যবেক্ষণ, পরিস্থিতিত মূল্যায়ণ ও বাস্তবিক নির্দেশনা আছে বলে আমাদের জানা নেই! গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে আমাদের এই কাজটি তাই অবশ্যই আপনার গুরুত্ত্বের দাবি রাখে। বইটি লিখতে গিয়ে একটি অভিব্যক্তি বর্ণনা করি।
                      যখন আমি এই বইটি লেখা শুরু করি, তখন থেকে প্রতিনিয়তই উপমহাদেশীয় খবরাখবরের দিকে একটু বাড়তি গুরত্ত্বের সাথে নজর রাখতাম। এবং প্রতিনিয়তই এমন সব ঘটনাপ্রবাহ, ঘাত-প্রতিঘাত ঘটে চলছিল এবং চলছে, প্রতি মূহুর্তেই উপমহাদেশীয় যুদ্ধ তথা গাজওয়াতুল হিন্দের প্রেক্ষাপট স্পষ্ট হয়ে আসছে। এমনকি আমি লেখা বন্ধ করে দিয়েছি, কখনো বা পেরেশান হয়েছি যে এত ঘটনা-দুর্ঘটনা যা হিন্দু-মুসলিমের চূড়ান্ত যুদ্ধের দিকে বাঁক নিচ্ছে-এ সকল ইদানীন্তন তথ্য-বিশ্লেষণ যোগ করলে বইটি নির্ঘাত হাজার পৃষ্ঠা অতিক্রম করবে। এর মাঝে শ্রীলংকায় মাসজিদ পুডিয়ে দেয়া, আসাম-কর্ণাটকের লক্ষ মুসলিমের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া, কাশ্মিরের ৮ বছরের মেয়ে আসিফাকে মন্দিরে বন্দী রেখে ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা অন্যতম বটেই। এর বাইরেও খবর আছে। ভয়ের, আশঙ্কার সে খবর।
                      আমরা সে দিকে যাইনি। যাওয়ার দরকারও নেই। সাগর যখন বাস্তবেই প্রবাহমান তখন দু'ফোঁটা পানি ছিটিয়ে তার সত্যতা প্রমাণের দরকার নেই। অন্ধরা চিরকালই অন্ধ থাকে। আর ঘুমন্তরা তো মৃতদের মতোই। গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টা তাই চক্ষুষ্মান ও জাগ্রতদের প্রতি। কামনা করি সব অন্ধত্ব ঘুচিয়ে যাক, মৃতরা জেগে ওঠুক।
                      পড়া হোক। প্রচার হোক। হোক প্রসার! আল্লাহ আমাদের নারী-পুরুষ শিশু-কিশোর প্রতিজনকে ঈমান বিল্লাহ ও কুফর বিত ত্বগুতের মাধ্যমে গাজওয়াতুল হিন্দের জন্যে প্রস্তুত হওয়ার তাওফিক্ব দান করুন। যার থেকে অন্যতা পরিত্রাণের কোন পথ নেই! আল্লাহুম্মা আরযুক্বনা শাহাদাতান কামেলাতান ফি-সাবিলিক। আমীন।
                      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                      Comment


                      • #12
                        কেমন হতে পারে গাজওয়াতুল হিন্দ; কি করব আমি?

                        �� ২য় পর্বঃ

                        --------------------------------

                        পার্ট পরিচিতি.

                        বিতাড়িত শয়তানের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয়দাতা প্রতিপালক আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। দয়াময় মহামহিম আল্লাহর নামে শুরু করছি। দুরুদ ও সালাম মুহাম্মাদ আরাবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সত্যনিষ্ট অনুসারীদের ওপর।

                        গাজওয়াতুল হিন্দ।
                        হিন্দুস্থানের গাজওয়া বা যুদ্ধ-জিহাদ। নামটি হাদীসের ভাষা থেকে নেয়া। হিন্দুস্থান অর্থাৎ ভারতীয় উপমহাদেশ। ভারতীয় উপমহাদেশের এই চূড়ান্ত যুদ্ধকে রাসূল (সল্লাল্লাহু আ'লাইহি) নামকরণ করেছেন "গাজওয়াতুল হিন্দ"।

                        গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে আমরা উপমহাদেশের মুসলিমদের দুইভাগে ভাগ করতে পারি।

                        "একভাগে অধিকাংশ মানুষ যারা ঘুমন্ত। যারা দ্বীন সম্পর্কে বিমুখ, ভোগ-বিলাসিতা আর পরিবার-ভবিষ্যত নিয়ে ব্যস্ত। তাদেরকে সত্য ও বাস্তবতা থেকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। যদিও তারা নিজেদের মুক্তমনা, শিক্ষিত, স্বাধীন আর বুদ্ধিদীপ্ত মনে করে। বস্তুত তারা হচ্ছে দ্বীনহীন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং নিজেদের নবী ও ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন উদ্ভ্রান্ত জাতি। এরা ধর্মানুসারী হয়েও ধর্মের ন্যুনতম বিধি-বিধান অনুসরণ করেনা। এরা খড়কুটোর ন্যায়। প্রত্যেক শতাব্দীর উচ্ছ্বিষ্টের মতোই এরা মানব সভ্যতা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ঝড়-ঝাপ্টা, অভাব-অণ্টন বা যুদ্ধ-বিগ্রহ যেভাবেই হোক এদেরকে লুপ্ত করা হয়। কেননা এরা শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন। আর মুসলিমদের শেকড় হচ্ছে তার দ্বীন। অতএব আজকে যখন সমাজের অধিকাংশ মানুষ নামাজহীণ, রোজাহীণ, গান-বাজনা, মদ-ব্যভিচার, অসভত্যা-অশ্লীলতায় নিমজ্জিত তখন কি করে তাদের জন্যে কল্যাণ আশা করা যায়?
                        "জলে স্থলে যত বিপর্যয়-ফাসাদ আসে তা মানুষের নিজ হাতের উপার্জন (আল কুর'আন)।"
                        অনন্তর আল্লাহ জিহাদের বিধান দানের পর প্রাকৃতিক আযাব দিয়ে কাউকে ধ্বংস করেন না। তিনি একের দ্বারা অপরকে শায়েস্তা করেন। এবং এভাবেই তিনি মানব সম্প্রদায় পরীক্ষা করেন। সুতরাং আমরাও পরিক্ষিত হচ্ছি, হবো। আমাদের অধিকাংশের এই অলসতা, অবহেলা, অপসংস্কৃতির মুগ্ধতা, অন্যায়, অবিচার, অসামাজিকতা, অধার্মিকতা আর খোদাদ্রোহিতার ফলাফলে আল্লাহ আমাদের ঘাড়ে যেমন লাঞ্চনা ছাপিয়ে দিয়েছেন। তেমনি শত্রু দ্বারা আমাদের শায়েস্তা করবেন। এটাই আসমানি বিধান। আর আমাদের শত্রু আমাদের উঠোন পেরিয়ে দুয়ারে করাঘাত করছে। তবুও যারা ঘুমিয়ে থাকবে তারা ধবংস হয়ে যাক। নিশ্চয় তারা পথভ্রষ্ট এক সম্প্রদায়।

                        "আরেক ভাগে আছে তাওহীদপন্থী, ধর্মপ্রাণ মুসলিম, ইসলামের হক্বপন্থী উলামা, একনিষ্ট মুজাহিদীন। যারা সত্য ও বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত এবং তারা আল্লাহর জন্যে কাউকে বন্ধু হিসেবে নিয়েছে এবং আল্লাহর জন্যেই কাউকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করেছে। এরাই দুনিয়া ও ইসলামের কান্ডারি এবং রক্ষাকবচ। কাফেররা এদের ভয় পায় । এরা সম্মান এবং আজাদি চায়। এরা যেমন ইবাদাতগাহে আল্লাহর একত্ববাদের পুঁজা করে তেমনি হাটে-মাঠেও আল্লাহরই বিধান পালন করে। এরা জীবন ও জনের প্রতি ক্ষেত্রেই আল্লাহকে রব্ব হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং সমস্ত সৃষ্টির বিধান ছুঁড়ে ফেলে ওহীর বিধান আঁকড়ে ধরেছে। এরাই শয়তান ও ত্বগুতের প্রধান ও প্রকাশ্য শত্রু। কুর'আনের ভাষায় এরাই "হিজবুল্লাহ" আল্লাহর সৈনিক। আল্লাহর দল। এরাই আল্লাহর খলিফা। আল্লাহ শুধু এদের এবং শুধুই এদের অভিভাবক। এবং সমাজে এদের সংখ্যা নিতান্তনই অল্প থাকে। হাদীসের ভাষায় "গুরাবা"। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম "গুরাবাদের" জন্যে সুসংবাদ দিয়েছেন। ফা-তুবা-লিল-গুরাবা।
                        কাফেরদের মনোরঞ্জন এদের ব্রত নয়। এরা শীশা ঢালা প্রাচীরের ন্যায়। এদের মতোই একদা একদল লোক ছিল, যারা গ্রাম্য, অশিক্ষিত, বেয়াড়া জাতি ছিল। ইসলাম গ্রহণ করে তারা আল্লাহর দলে যোগ দিয়েছিল। এদের সাহাবা বলা হয়। তারাই ইসলামকে বিজয়ী করেছিল। প্রতিষ্ঠিত করেছিল। সম্মান ও গৌরবের একছত্র অধিকারী হয়েছিল। এদের অনুসারী আজকের গুরাবাও পুনরায় সম্মান, গৌরব ফিরিয়ে আনবে। আল্লাহর যমীনে কোন বাতিল, মুশরিক, শাতিম, জালিম থাকতে পারেনা। অবশ্যই আজকের উগ্রবাদী গুরাবা আগামির বিজয়ী সিপাহসালার। সেদিন তাদেরকে সাহাবাদের গৌরবময় উত্তরাধিকারী বলা হবে। যদিও আজ তারা বিতাড়িত ও নিপীড়িত।
                        আল্লাহ এদের আভালোবাসেন। এরাই ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামকে বিজয়ী করতে চায় এবং হিন্দু-মালাউনদের পা চাটার বদলে তাদের ঘাড়ে লাঞ্চনা চাপিয়ে ইসলামকে প্রতিষ্টিত করতে চায়।
                        .
                        চলবে ইনশা আল্লাহ
                        ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                        Comment


                        • #13
                          কেমন হতে পারে গাজওয়াতুল হিন্দ; কি করব আমি?

                          �� ৩য় পর্ব

                          -----------------------------------

                          গাজওয়াতুল হিন্দের মূল্যায়নঃ

                          পরিতাপের বিষয় এই সমস্ত তাওহীদপন্থী মুসলিম, মুজাহীদিনদের অধিকাংশই আবার গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে আছে কল্পনায়, অজ্ঞতায়। অধিকাংশই জানে না কেমন হবে গাজওয়াতুল হিন্দ। কারা কারা অংশ নিবে এই যুদ্ধে। কে কেন অংশ নিবে! কিভাবে প্রস্তুত করবে নিজেকে! কবে? এবং এর বিস্তৃতি ও বিশালতা কত?

                          অনেকেই মনে করে গোটা কয়েক মুজাহিদীনদের সাথে ভারতের যুদ্ধই গাজওয়াতুল হিন্দ!
                          কিন্তু না। বরং এর চেয়েও বেশি ও ভয়ংকর। মূলত গাজওয়াতুল হিন্দে মুজাহিদীনরা একটা ছোট্ট অংশ হিসেবে থাকবে (যদিও যুদ্ধের কলকাটি তাদের হাতেই ন্যস্ত হবে) এবং এই যুদ্ধ ধারণার চেয়ে আরো বিস্তৃত। তাই কেমন হবে গাজওয়াতুল হিন্দ জানতে আমাদের এই আলোচনা। ইনশা আল্লাহ এতে গাজওয়াতুল হিন্দ (ভারতের যুদ্ধ) কেমন হতে পারে ব্যাখ্যা করা হবে। ওয়ামা ত্বাওফিক্বি ইল্লা বিল্লাহ।

                          ইসলামের যুদ্ধকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
                          ১) গাজওয়া
                          ২) শিকওয়া বা সারিয়া(এ দুটিকে এক হিসেবে ধরা হয়েছে)

                          যে যুদ্ধ-জিহাদে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি) নিজে অংশগ্রহণ করেছেন তাকে গাজওয়া বলে।
                          এবং যে যুদ্ধ-অভিযানে তিনি (সল্লাল্লাহু আলাইহি) অংশগ্রহণ করেননি তাকে ক্ষেত্র বিশেষে শিকওয়া বা সারিয়া বলে।

                          সুতরাং গাজওয়া রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি) এর জন্যে খাস ও একটি বিশেষ পরিভাষা। যুদ্ধ-জিহাদের এক বিশেষ মাক্বাম।

                          রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভারত অভিযান ও বিজয়ের সুসংবাদ দিয়েছেন। এটি ছিল একটি ভবিষ্যদ্বাণী। এটি ছিল একটি মু'জিজা।
                          আর এই অভিযান-যুদ্ধ যখন হবে তখন তিনি দুনিয়াতে থাকবেন না তিনি জানতেন। সুতরাং এই যুদ্ধ সারিয়া হওয়ার কথা। অথচ তিনি এই যুদ্ধের নাম দিয়েছেন গাজওয়া- 'এমন যুদ্ধ যে যুদ্ধে স্বয়ং নবীজি উপস্থিত থাকেন।'
                          এটি একটি সম্ভাষণ, গুরুত্ত্বের প্রাধান্য ও মর্যাদার মূল্যায়ন। এ যুদ্ধ যেন এমন - যারা এই যুদ্ধে শরীক হবে তারা যেন নিজেদের সাথে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি) পেল। সুবহানাল্লাহ!
                          যুদ্ধটির নাম গাজওয়া হওয়ার সম্ভাব্য আরো কারণ থাকতে পারে। যেমন এটি মুশরিক/মালাউনদের সাথে মুসলিমদের চূড়ান্ত যুদ্ধ। যুদ্ধের প্রচন্ডতা, পরিবেশ, মুসলিম ও মুশরিকদের বৈষম্যমূলক অবস্থান, ঈমানদারদের স্বল্পতা, কঠিন পরীক্ষা, চূড়ান্ত বিজয়সহ ভারতীয় উপমহাদেশকে সার্বিকভাবে শিরকের মূলোৎপাটনের মাধ্যমে দারুল ইসলামের অন্তর্ভুক্ত করার কারণেও হতে পারে।

                          একটি হাদীসে এসেছে- "হযরত সাওবান (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) হযরত আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু’আনহু) কে বলতে শুনেছেন যে রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ ﷺ হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, “অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন) এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আলাইহি’ওয়াসাল্লাম) কে শামে (সিরিয়া) পাবে।”

                          সুতরাং "গাজওয়াতুল হিন্দ" হল ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমদের ভারতের মালাউনদের বিপক্ষে চূড়ান্ত ভবিতব্য যুদ্ধ যেখানে মুসলিমরা বিজয়ী হবে।


                          হাদীসে বর্ণীত 'হিন্দ/হিন্দুস্থান' হল অবিভক্ত ভারতীয় উপমহাদেশ যা গ্রেটার খোরাসানের কিছু অংশ, পাকিস্থান, ভারত, বাংলাদেশ, বার্মা ও শ্রীলঙ্কা নিয়ে গঠিত।
                          এই যুদ্ধটি হবে মুসলমানদের সাথে মুশরিক মূর্তিপূজারি হিন্দুদের যুদ্ধ। মূলত আমরা যাদের হিন্দু বলে জানি- তারা হিন্দু নয় এবং তাদের ধর্মের নামও হিন্দু নয়। তাদের ধর্মের নাম হল সনাতন ধর্ম এবং আজকের হিন্দুরা হল ধর্ম পরিচয়ে সনাতনি।
                          আর হিন্দুস্তানের অধিবাসি হিসেবে সবাই হিন্দুস্তানি বা হিন্দু যেমন বাংলাদেশের/বঙ্গের অধিবাসি হিসেবে বাংলাদেশি/বঙ্গীয়। সুতরাং সে হিসেবে আমরা সবাই হিন্দু। আমরা হিন্দের অধিবাসি।

                          হিন্দুস্তানের এই ভবিতব্য যুদ্ধটি সম্পর্কে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি) তার পবিত্র জবান থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। আমরা সেই যুদ্ধের রুপরেখা অথবা কেমন হতে পারে সেই যুদ্ধ- তা আলোচনার পুর্বে কয়েকখানা হাদীস দেখে নেই।


                          ১) আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেনঃ
                          “আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের থেকে হিন্দুস্থানের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। কাজেই আমি যদি সেই যুদ্ধের নাগাল পেয়ে যাই, তাহলে আমি তাতে আমার জীবন ও সমস্ত সম্পদ ব্যয় করে ফেলব। যদি নিহত হই, তাহলে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হব। আর যদি ফিরে আসি, তাহলে আমি জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়রা হয়ে যাব”।
                          (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)


                          ২) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হিন্দুস্তানের কথা উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন,
                          “অবশ্যই আমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফ
                          ন্যেও একটি যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে আছে । তাই হিন্দু-মুসলিমের এই পরস্পরবিরোধী স্রোতের সমাধানের জন্যে একটি যুদ্ধ হবে এবং তাই হবে ইনশা আল্লাহ "গাজওয়াতুল হিন্দ"।

                          তৃতীয়তঃ হাদীসে দুইটি দলের জন্যে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের সুসংবাদ এসেছেন। ১) শামের মুজাহিদীন ২) হিন্দুস্থান অভিযানকারী।
                          "আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন। একটি হল তারা, যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আরেক দল তারা যারা(শামে) ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে’।
                          (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)
                          এখানে একই হাদীসে শামের সাথে হিন্দুস্থানের যুদ্ধাদের আলোচনা থাকার কারণেও উভয় যুদ্ধটি সমসাময়িক হওয়ার সম্ভাব্যতা থাকে।
                          চথুর্থতঃ আমাদের এই দলীলটি এতই স্পষ্ট ও সন্দেহাতীত এবং এর পরে আর কোন কিছুই লাগেনা।
                          হাদীসে এসেছে যে- "গাজওয়াতুল হিন্দের যুদ্ধারা যুদ্ধ বিজয় করে হিন্দু রাজাদের বন্দী করে শামে(সিরিয়ায়) যাবে, এবং সেখানে পৌঁছে ঈসা (আঃ) কে পেয়ে যাবেন!
                          সুবহানাল্লাহ! তাহলে গাজওয়াতুল হিন্দ হবে ঈসা (আঃ) এর সমসাময়িক। ঈমাম মাহদী আসার কয়েক বছর পরে ঈসা আলাইহিস সালাম দুনিয়াতে পুনরায় আসবেন। সুতরাং গাজওয়াতুল হিন্দের সময় শামে ইমাম মাহদীও থাকবে। বিইজনিল্লাহ। আল্লাহু আকবার!
                          আর ঈমাম মাহদী হবে সম্মিলিত নেতা এবং মুসলিম উম্মাহ তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকবে, তাই তিনি ঐ সময়ের সব ফ্রন্টেরই নেতৃত্ব দিবেন। ব্যতীক্রম হবে না হিন্দের ক্ষেত্রেও! আল্লাহর জন্যে কোন কিছুই অসম্ভব নয়!
                          তখন শামে দামেশকের কেন্দ্রীয় মসজিদের সাদা মিনারে দুইজন ফিরিশতার কাঁধে ভর করে ঈসা (আঃ) অবতরণ করবেন। অতঃপর যুদ্ধরত থাকবেন! দাজ্জালকে হত্যা করবেন।
                          .
                          চলবে....ইনশা আল্লল্লাহ
                          লতা দান করবেন, আর তারা রাজাদের শিকল/বেড়ি দিয়ে টেনে আনবে । এবং আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন (এই বরকতময় যুদ্ধের দরুন)। এবং সে মুসলিমেরা ফিরে আসবে তারা ঈসা ইবনে মারিয়াম(আঃ) কে শাম দেশে(বর্তমান সিরিয়ায়) পাবে”।
                          হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন,
                          “আমি যদি সেই গাযওয়া পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ) ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী”।
                          বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘খুব কঠিন, খুব কঠিন’।
                          (আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯)


                          ৩) হযরত সাফওয়ান বিন উমরু (রাঃ)
                          তিনি বলেন কিছু লোক তাকে বলেছেন যে রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ
                          “আমার উম্মাহর একদল লোক হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ তাদের সফলতা দান করবেন, এমনকি তারা হিন্দুস্তানের রাজাদেরকে শিকলবদ্ধ অবস্থায় পাবে। আল্লাহ্ সেই যোদ্ধাদের ক্ষমা করে দিবেন। যখন তারা সিরিয়া ফিরে যাবে, তখন তারা ঈসা ইবনে মারিয়ামকে (আঃ) এর সাক্ষাত লাভ করবে”।
                          (আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪১০)

                          হাদীসগুলো খুবই স্পষ্ট। হিন্দুস্থানের অধিবাসিদের জন্যে শিহরণ জাগানিয়া যে - রাসূলে আরাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের নিয়ে আলোচনা করেছেন, আমাদের হিন্দের নাম হাদীসে এসেছে এবং আমাদের বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন!
                          এই যুদ্ধের মর্যাদা ও গুরুত্ত্ব অনুধাবন করে আবু হুরায়রা (রাঃ) কি বলেছেন?
                          তিনি আকাঙ্ক্ষা করে বলেছেন- " আমি যদি সেই গাযওয়া(গাজওয়াতুল হিন্দ) পেতাম, তাহলে আমার সকল নতুন ও পুরাতন সামগ্রী বিক্রি করে দিতাম এবং এতে অংশগ্রহণ করতাম । যখন আল্লাহ্ আমাদের সফলতা দান করতেন এবং আমরা ফিরতাম, তখন আমি একজন মুক্ত আবু হুরায়রা হতাম; যে কিনা সিরিয়ায় হযরত ঈসা (আঃ) কে পাবার গর্ব নিয়ে ফিরত । ও মুহাম্মাদ (সাঃ) ! সেটা আমার গভীর ইচ্ছা যে আমি ঈসা (আঃ) এর এত নিকটবর্তী হতে পারতাম, আমি তাকে বলতে পারতাম যে আমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর একজন সাহাবী”।
                          বর্ণনাকারী বলেন যে হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হাসলেন এবং বললেনঃ ‘খুব কঠিন, খুব কঠিন’।
                          (আল ফিতান, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৪০৯)

                          এই হাদীস থেকে বুঝা যায় যারা এই যুদ্ধে ইসলামের পক্ষে অংশগ্রহণ করবে তারা বিজয়ী হলে জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে এবং মৃত্যুবরণ করলে শ্রেষ্ঠ শহীদ হবে । সুবহানাল্লাহ।
                          এই যুদ্ধে মুজাহিদীনদের প্রতি আল্লাহর করুণা ও মাগফিরাতের নমুনা বর্ণনা করতে গিয়ে নবীজি ঈসা (আলাইহিস ওয়াসাল্লাম) এর বাহিনীর সাথে তুলনা করেছেন এবং বলেছেন-
                          “আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন। একটি হল তারা, যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আরেক দল তারা যারা ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে’।
                          (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)



                          সুতরাং এই যুদ্ধ একটি সুনির্ধারিত, সুনির্দিষ্ট, ও প্রতিশ্রুত চূড়ান্ত যুদ্ধ। ভারতের সকল যুদ্ধই যেহেতু আম ভাবে গাজওয়াতুল হিন্দ তাই অনেকেই বলে গাজওয়াতুল হয়ে গেছে। অনেকে মুহাম্মাদ বিন কাসিমের সিন্ধু(ভারত) বিজয়ের অভিযানকেও গাজওয়াতুল হিন্দ বলে থাকেন। আবার কেউ সুলতান মাহমুদ গজনভীর ভারত অভিযানকেও গাজওয়া বলতে ছাড়েনা।
                          এ ক্ষেত্রে তারা চরম ভ্রান্তির শিকার। হ্যা, হিন্দুস্তানের সকল যুদ্ধই সাধারণভাবে গাজওয়াতুল হিন্দ(হিন্দের যুদ্ধ)। বরং গাজওয়াতুল হিন্দ না, জিহাদে হিন্দ হবে বা হিন্দের জিহাদ হবে। কিন্তু আমাদের আলোচিত গাজওয়াতুল হিন্দ খা'স ও পারিভাষিকভাবেই এটি আলাদা ও স্বতন্ত্র। এবং এটি অদ্যাবধি সংগঠিত হয়নি ।
                          প্রথমতঃ সমস্থ ভারতীয় উপমহাদেশ নিয়ে কখনোই একযুগে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে যুদ্ধ হয়নি। এবং ভারতে কখনোই নিরঙ্কুশভাবে ইসলাম বিজয়ী হয়নি ও হিন্দত্ববাদও মিটে যায়নি।

                          দ্বিতীয়তঃ আল্লাহর রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি) আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে সমস্ত দুনিয়ার প্রতিটি কাঁচা-পাকা ঘরে ইসলাম পৌঁছাবে। এবং ইমাম মাহদী ও ঈসা (আলাইহিমুস সালাম) সমগ্র দুনিয়া বিজয় করবেন। সে হিসেবে ভারতীয় উপনহাদেশের প্রতিটি ঘরে তাওহীদের কালেমা পৌঁছাবে। হিন্দুরা পরাজিত হবে। কিন্তু ভারতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ হল হিন্দুরা। কিন্তু সনাতনিদের ক্রমবর্ধমান হিন্দুত্ববাদের প্রতিষ্ঠা, বর্ধিষ্ণু গোঁড়ামিপূর্ণ পৌত্তলিকতা, ইসলাম বিদ্বেষভাব, মুসলিমদের উৎখাত, ভারত শুধুই হিন্দুত্ববাদের ভূমি- এসব চিন্তাধারার প্রতিষ্ঠা এবং হাজার বছরের দ্বেষ, ক্রোধ, প্রতিশোধপরায়ণতা ক্রমেই হিন্দুবাদীদের ইসলামের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। এবং একটি সমূহ যুদ্ধের সূত্রপাত দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। ভারত থেকে মুসলিম বিতাড়ণের যে পাঁয়তারা তারা করছে তা নিশ্চিত দাঙ্গা ও যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে এবং এসব হিন্দুদের ফায়সালার জ

                          ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                          Comment


                          • #14
                            "কেমন হতে পারে গাজওয়াতুল হিন্দ; কি করব আমি?"

                            �� ৪র্থ পর্ব
                            -------------------------------

                            এসব হিন্দুদের ফায়সালার জন্যেও একটি যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে আছে । তাই হিন্দু-মুসলিমের এই পরস্পরবিরোধী স্রোতের সমাধানের জন্যে একটি যুদ্ধ হবে এবং তাই হবে ইনশা আল্লাহ "গাজওয়াতুল হিন্দ"।

                            তৃতীয়তঃ হাদীসে দুইটি দলের জন্যে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের সুসংবাদ এসেছেন। ১) শামের মুজাহিদীন ২) হিন্দুস্থান অভিযানকারী।
                            "আমার উম্মতের দুটি দল এমন আছে, আল্লাহ যাদেরকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ করে দিয়েছেন। একটি হল তারা, যারা হিন্দুস্তানের সাথে যুদ্ধ করবে, আরেক দল তারা যারা(শামে) ঈসা ইবনে মারিয়ামের সঙ্গী হবে’।
                            (সুনানে নাসায়ী, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ৪২)
                            এখানে একই হাদীসে শামের সাথে হিন্দুস্থানের যুদ্ধাদের আলোচনা থাকার কারণেও উভয় যুদ্ধটি সমসাময়িক হওয়ার সম্ভাব্যতা থাকে।
                            চতুর্থতঃ আমাদের এই দলীলটি এতই স্পষ্ট ও সন্দেহাতীত এবং এর পরে আর কোন কিছুই লাগেনা।
                            হাদীসে এসেছে যে- "গাজওয়াতুল হিন্দের যুদ্ধারা যুদ্ধ বিজয় করে হিন্দু রাজাদের বন্দী করে শামে(সিরিয়ায়) যাবে, এবং সেখানে পৌঁছে ঈসা (আঃ) কে পেয়ে যাবেন!
                            সুবহানাল্লাহ! তাহলে গাজওয়াতুল হিন্দ হবে ঈসা (আঃ) এর সমসাময়িক। ঈমাম মাহদী আসার কয়েক বছর পরে ঈসা আলাইহিস সালাম দুনিয়াতে পুনরায় আসবেন। সুতরাং গাজওয়াতুল হিন্দের সময় শামে ইমাম মাহদীও থাকবে। বিইজনিল্লাহ। আল্লাহু আকবার!
                            আর ঈমাম মাহদী হবে সম্মিলিত নেতা এবং মুসলিম উম্মাহ তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকবে, তাই তিনি ঐ সময়ের সব ফ্রন্টেরই নেতৃত্ব দিবেন। ব্যতীক্রম হবে না হিন্দের ক্ষেত্রেও! আল্লাহর জন্যে কোন কিছুই অসম্ভব নয়!
                            তখন শামে দামেশকের কেন্দ্রীয় মসজিদের সাদা মিনারে দুইজন ফিরিশতার কাঁধে ভর করে ঈসা (আঃ) অবতরণ করবেন। অতঃপর যুদ্ধরত থাকবেন! দাজ্জালকে হত্যা করবেন।

                            হযরত নাওয়াস ইবনে সাম‘আন (রা.) বলেন, ঈসা (আ.) দামেশকের পূর্বদিকে সাদা মিনারের নিকট অবতরণ করবেন। তিনি হালকা হলুদ রঙের জোড়া পরিহিত অবস্থায় দু’জন ফেরেশতার কাঁধে ভর করে নামবেন। যখন তিনি মাথা নীচু করবেন, তখন মাথা থেকে পানির ফোঁটা টপকে পড়বে এবং মাথা উঁচু করলেও পানির ফোঁটা পড়বে। যে পানির ফোঁটা মুক্তার ন্যায় রৌপ্যের টুকরার মতো স্বচ্ছ হবে। তাঁর নিঃশ্বাসের বাতাস যে কাফিরকে ছুঁবে, সে-ই মারা যাবে। তাঁর নিঃশ্বাসের বাতাস তাঁর দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত ছড়িয়ে যাবে। তিনি দাজ্জালকে বাবে লুদ্দ-এর নিকটে পাবেন এবং সেখানেই তাকে হত্যা করবেন।

                            (মুসলিম শরীফ, ২য় খণ্ড, ৪০২ পৃষ্ঠা/ সুনানে আবু দাউদ, ৪র্থ খণ্ড, ১১৭ পৃষ্ঠা/ জামি‘ তিরমিযী, ৯ম খণ্ড, ৯২ পৃষ্ঠা/ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ১৩৫৬/ মুসনাদে আহমাদ, ৪র্থ খণ্ড, ১৮১ পৃষ্ঠা)


                            শাহ নিয়ামতুল্লাহ(রাহিঃ) ৮০০ বছর আগে তার ক্বাসীদায়ও হিন্দকে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এনেছেন এবং মুসলিমদের একটি ভূখন্ডের নেতা মোনাফিক্ব হবে বলেছেন। এবং তার নামের প্রথম অক্ষর হবে 'শ' (শীন) এবং শেষ অক্ষর হবে 'ন' (নুন) ।
                            সেই মোনাফিক্ব নেতা ভারতের সাথে একটি চুক্তি করবে। তিনি এটিকে পাপচুক্তি বলেছেন।
                            অতএব "গাজওয়াতুল হিন্দ" হয়নি। শীঘ্রই হবে ইনশা আল্লাহ।


                            বিস্তৃতি ও সার্বজনীনতাঃ

                            হিন্দুস্তানের এই যুদ্ধটি হবে একটি সর্বদলীয়, সর্বগ্রাসী দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ। এই যুদ্ধ কিছুতেই মুষ্টিমেয় মুজাহিদীন এবং হিন্দুত্ববাদী ভারতের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।
                            বরং এতে অংশ নিবে ভারত, পাকিস্থান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলংকা। বিদেশি শক্তি হিসেবে চীন, রাশিয়া, আমেরিকা। এবং এটি ভারতীয় উপমহাদেশের কোন একটি অলি-গলিকেও নিস্তার দিবেনা। কোন নবজাতকই তার বিভীষিকা থেকে রেহাই পাবেনা। হাজার বছর ধরে ধূমায়িত যুদ্ধাগ্নি একটুখানি খোঁচাতেই বিষ্ফোরিত হয়ে লেলিহান ছড়াবে। আফগান থেকে বঙ্গ, যেখানেই এর সূচনা হোক না কেন ক্ষণ মুহূর্তেই তা পুরো উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
                            এ যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের আমরা সাধারণভাবে তিনটি শ্রেণীতে দেখতে পাব।
                            এক গণতান্ত্রিক আদর্শ, আধিপত্য, সার্বভৌমত্ব, জাতিয়তাবাদ ও ত্বগুতের সন্তুষ্টির জন্যে লড়াইকারী পাকিস্থান। বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে অভিন্ন। এদের আলাদা কোন আদর্শিক চেতনা নেই।

                            দুই হিন্দুত্ববাদের জন্যে লড়াইকারী ভারত। উপমহাদেশীয় সকল ফাসাদের মূলে যারা, যারা ইসলাম ও মুসলিমদের জন্যে ভারতের ভূমিকে নরক বানিয়ে রেখেছে। এবং এরা যতটা না ভূমিভিত্তিক তার চেয়ে বেশি আদর্শভিত্তিক যুদ্ধ করবে। এদের আদর্শ হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। ইসলামকে ভারত থেকে বিদায় করা।

                            তিন ইসলাম ও মুসলিমদের হেফাজত এবং বিজয়ের জন্যে জিহাদকারী মুজাহিদীন। যারা আল্লাহর কালেমা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে সবরকম পার্থিব স্বার্থের ঊর্ধে থেকে লড়াই করবে। উম্মাহর আশা ও আকাঙ্খা তাদের ঘিরেই। এবং এই আলোচনায় আমরা এদেরই প্রতিনিধিত্ব করছি।
                            এবং বাকি যারা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে তারাও এই তিন শ্রেণীর ছায়াতলেই অংশগ্রহণ করবে। হোক আমেরিকা, রাশিয়া
                            চীন, মায়ানমার বা দুনিয়ার দূর প্রান্তের হিজরতকারী মুজাহিদীন। প্রত্যেকেই নিজ নিজ মিত্রদের সাথে সমবেত হবে।


                            যদিও যুদ্ধটির নামকরণ রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি) করেছেন। যদিও যুদ্ধটি হবে মালাউন হিন্দুদের সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ। যদিও মুজাহীদিনরাই হবে এই যুদ্ধের বরপুত্র ও বিজয়ী। তথাপিও এটি একটি সর্বদলীয় যুদ্ধ হবে। জাত-পাত নির্বিশেষে সবাই এতে অংশ নিবে। সামরিক-বেসামরিক কেউই বাদ যাবেনা। মোদ্দা কথা দুনিয়ার সৃষ্টি তথা মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি) এর নবুওয়ত প্রাপ্তির পর থেকে আজ অবধি এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত এমন যুদ্ধ ভারতবাসী প্রত্যক্ষ্য করেনি। আর কখনো করবেনা। নানা কারণেই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভারতীয় উপমহাদেশে বহুমুখী শক্তির উথান, আধিপত্য, জ্যেত্যাভিমান, আন্তঃধর্মীয় সংঘর্ষ এক ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে ধাবিত করছে ভারতের ভবিষ্যতকে।

                            তাই গাজওয়াতুল হিন্দ শুধু একদিনের এক আকষ্মিক যুদ্ধ নয় যে কেউ চাইলেই মুখ ফিরিয়ে নিবে বা অজ্ঞতার দোহাই দিয়ে ঘরে বসে থাকবে। বরং এই যুদ্ধ সকল ধর্মের, সকল মতের, সকল পথের, সকল বয়সের প্রতিজনের কাছে উপস্থিত হবে এবং যুদ্ধের উত্তপ্ততা পরখ করাবে।
                            ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                            Comment


                            • #15

                              ✅ কেমন হতে পারে গাজওয়াতুল হিন্দ; কি করব আমি?

                              �� ৫ম পর্ব (গুরুত্ত্বপূর্ণ পর্ব)
                              --------------------------------


                              যুদ্ধের সম্ভাব্য কারণসমূহঃ

                              উপর্যুপরি বৃটিশদের হিন্দুস্থান শাসন,
                              ভারতকে মনস্তাত্ত্বিক দিক দিয়ে বিভক্তি, হিন্দু-মুসলিম বৈষম্য সৃষ্টি, অখন্ড হিন্দুস্থানকে খন্ড-বিখন্ড করণ, বৃটিশদের থেকে হিন্দুস্থানের স্বাধীনতা উদ্ধার।
                              হিন্দু-মুসলিম আলাদা রাষ্ট্রের চেতনায় ভারত-পাকিস্থান নামের আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হওয়া, দেশ ভাগের নামে চালানো গণহত্যা-পাশবিকতা-
                              ধর্মীয় দাঙ্গা, নতুন করে ভারতের হিন্দুত্ত্ববাদ রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভাব,

                              ইসলামের প্রতি চরম বিদ্বেষ ও যুদ্ধংদেহী মনোভাব, অনেকগুলি দাঙ্গা ও হাজারে হাজারে মুসলিম হত্যা, বাবরি মাসজিদের মতো শত মসজিদকে শহীদ ও বিলীন করে দেয়া,
                              ১৯৭১ এ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম, ত্রিমুখী নীতির মেরুকরণ, ৭১ সালে পাকিস্থানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে ভারতের সহায়তা, পাকিস্থানের পরাজয় ও প্রতিশোধপরায়ণতা, ভারত-পাকিস্থানের পরমাণু অস্ত্রধর রাষ্ট্র হওয়া,
                              বিশ্ব ক্ষমতা দ্বিমেরুকরণ হওয়া এবং চীন-রাশিয়া ও আমেরিকা-ন্যাটু বেল্টে ভারত-পাকিস্থান আলাদা আলাদা বেল্টের অন্তর্ভুক্ত হওয়া,
                              উপমহাদেশের সার্বিক আধিপত্য,
                              কাশ্মির স্বাধীনতা ইস্যুতে ভারত-পাকিস্থানের বিপরীত অবস্থা ও একটি দীর্গ যুদ্ধের মাঝ দিয়ে যাওয়া ভারত-পাকিস্থানের সার্বভৌমত্ব ও আত্নমর্যাদার ক্রীড়নক হিসেবে কাশ্মিরকে ব্যবহার,

                              কাশ্মির ইস্যু উত্তপ্ত হওয়া, কাশ্মির স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হওয়া, কাশ্মির নিয়ে ভারত-পাকিস্থানের ইঁদুর-বেড়াল নীতি, বিশ্ব

                              মুসলিমদের কাশ্মিরের প্রতি সংহতি, মুজাহিদীনদের কাশ্মির জিহাদের আগ্রহ, নীতিগতভাবে কাশ্মির ইস্যুতে আস্থা হারানো


                              পাকিস্থান-জাতিসংঘের কৌশলপূর্ণ চালাকি প্রচেষ্টা,
                              সশস্ত্র লড়াই-ই একমাত্র কাশ্মির সমস্যার সমাধান অনুধাবিত হওয়া,
                              বাংলাদেশের' ভারতের প্রতি একমুখী সমর্থন, গোলামি নীতি, বাংলাদেশকে ভারতের দাস রাষ্ট্রে পরিণত করা, একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে সর্বাংশে হিন্দুত্বকরণ,

                              একনিষ্ট আলিম ও তাওহিদী জনতাকে নিগৃহীত করা, আরাকানে বৌদ্ধদের দ্বারা মুসলিমদের জাতিগত ধর্ষণ-উচ্ছেদ ও গণহত্যা, ভারতের প্রকাশ্য সমর্থন, ভারত-মায়ানমার মিলে যৌথ সামরিক মহড়া, আসামের মুসলিমদের গ্রেপ্তার, নাগিরিকত্ব বাতিল, ঘর-বাড়ি ধবংস করা, ভারতের সাতটি অঙ্গের(Seven Sisters) স্বাধীনতার দাবী ও সংগ্রাম, পানি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশ পাকিস্থানের দ্বন্দ্ব,
                              ভারত-পাকিস্থান উভয় রাষ্ট্রের দুটি ভয়ংকর -নিকৃষ্ট-ভোগবাদী গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এবং 'আইএসআই' এর কুট-কৌশল ও চক্রান্ত, বিদেশি পরাশক্তির এজেন্ট হওয়া, ভারত রাষ্ট্রে চরম মুসলিম বিদ্বেষী ও হিন্দু জঙ্গীসংগঠনের ক্ষমতাসীন হওয়া, আরএসএস, শিবসেনা, বজরংদের মুসলিম নিধন মানসিকতা ও একটি চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ,
                              ভারতের সাথে ইজরাইলের বন্ধুত্ত্ব ও একাত্নতা, ভারত-পাকিস্থান সীমান্ত উত্তেজনা ও বার কয়েকের চাপা যুদ্ধ, মায়ানমারের বৌদ্ধ ও ভারতের হিন্দুদের জোটবদ্ধ হওয়া এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে নিজেদের আগ্রাসনসহ জানা-অজানা অসংখ্য কারণ যুগের পর যুগ ধরে গাজওয়াতুল হিন্দ অত্যাবশ্যকীয় করে তুলেছে। এগুলো তারই কিছু নমুনা মাত্র। জুলুম, অত্যাচার, নির্মমতা, গাদ্দারী আর অসলাম বিদ্বেষের ফিরিস্তি বিশাল। কিন্তু আমরা কজনই বা খবর রাখি!

                              এর বাইরে শাহ নি'আমতুল্লাহ রাহিমাহুল্লাহ'র গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে ৮০০ বছর আগে করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণী, ইসলামের পুনরায় বিজয়ী হওয়ার যে জাগরণ প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য, সিন্দু থেকে ইউফ্রেটিস নদীর তীর, আর বঙ্গপোসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া থেকে স্পেন তথা পৃথিবীর সর্বত্রই শুরু হয়েছে তারই ঢেউ আছড়ে পড়েছে উপমহাদেশেও। তাওহীদ ও জিহাদের এক নব জাগরন শুরু হয়েছে।
                              বাশেঁরকেল্লাহ-বালাকোট, ফকির বিদ্রোহ, লাল মাসজিদ, জামেয়া হাফসা, হেফাজতের ৫ ই মে আজ একত্রিত হয়ে নব বিপ্লবে জয়ের বার্তা নিয়ে ফিরে এসেছে, হিন্দের সমুদ্রে জিঞ্জির ছেঁড়া উচ্চ্বাসের গর্জন ওঠেছে।

                              কাশ্মির থেকে আরাকান আজ জিহাদের জন্যে উর্বর ভূমি হিসেবে আবাদ হয়েছে। মুহাম্মাদ বিন কাসিমের উত্তরসুরীরা আজ হিন্দুস্তানের প্রতিটি ঘরে তাওহীদের কালেমা পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির পর তৃতীয় শক্তি হিসেবে আজ আবির্ভূত হয়েছে উম্মতের মুজাহিদরা।
                              সবাই তটস্থ। কি চায় তারা! ইসলামের বিজয়, কালিমার বুলন্দি আর মুসলিমদের মুক্তি। আল্লাহর ভূমিতে আল্লাহর আইনের শাসনই কেবল সক্ষম এতে! সুতরাং ভারত-পাকিস্থানের শত্রুতার সাথে আরেকটি নতুন খেলোয়ার মাঠে এসেছে, যারা এতটাই তীব্র, বাঁধভাঙা আর বে-পরোয়া যে সারা বিশ্ব পেরেশান, হয়রান।
                              নিন্দুকেরা তাদের উগ্র আর জঙ্গী যাই দিক না কেন, যত প্রোপাগান্ডা

                              ই করা হোক কেন তারা আজ সবকিছুকে অগ্রাহ্য করার দীপ্ত শপথ নিয়েছে। তাদের শানে দয়াময় আল্লাহ ইরশা করেন
                              "হে ঈমানদারগণ তোমাদের মধ্যে যারা স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচীরেই আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন যাদেরকে তিনি ভালোবাসবেন এবং তারাও তাকে ভালোবাসবে। তারা মুমিনদের প্রতি নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে এবং কোন নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করবেনা। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী মহাজ্ঞানী! [সুরা মায়েদা; ৫৩]

                              কবি কত সুন্দর বলেছেন,

                              " আজ পৃথিবীর দিকে দিকে শুনি জিহাদের ডাক, কেউ জাগে নও জুশ লয়ে কেউ ভয়ে নির্বাক, কেউ বলে তাকে মুক্তির পথ কেউ বলে সন্ত্রাস, কেউ ভাবে তাকে কল্যাণকর কেউ বা সর্বনাশ, পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের সব সরকার পেরেশান,
                              প্রচার মিডিয়া কিছু না বুঝিয়া হয়রান হয়রান, জিহাদের হয় অপব্যবহার জানিনা সে দোষ কার,
                              আসলে জিহাদ কুর'আনে লিখা ফরমান আল্লাহর,
                              জিহাদ শক্তি, জিহাদ মুক্তি, জিহাদ মিথ্যে নয়, শোষিত পীড়িত মাযলুমানের জিহাদেই আশ্রয়"-

                              তারা আল্লাহ ও মুমিন ব্যতীত সবার সাথেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা নতুন যুদ্ধা, যুদ্ধের সব পক্ষই তাদের প্রতিপক্ষ, না ভারত, না রাশিয়া-আমেরিকা আর না ইসলামের নাম ব্যহারকারী মিল্লাতের অবাধ্য সন্তান পাকিস্থান! সবাই শত্রু। তারাই কেবল বন্ধু যারা আল্লাহর শরীয়তের জন্যে লড়াই করে। সুবহানাল্লাহ!

                              সুতরাং এইসব কিছু আলল্লাহর রাসূলের ভবিষ্যদ্বাণী'কৃত যুদ্ধকে বাধ্যতামূলক ও অবশ্যম্ভাবী করেছে এবং আমাদের প্রজন্মে তা সংগঠিত হবার সব ধাপ পূরণ করেছে। হিন্দ এখন এক অভূতপূর্ব ভয়ংকর যুদ্ধের জন্যে প্রস্তত!

                              কেউ কি আছে.....কাফেলা বদ্ধ হবে!
                              ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

                              Comment

                              Working...
                              X