Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল্লামা কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ 'তাফসিরে কুরতুবী ৪র্থ খন্ডের ৬৭৭ পৃষ্টায়' এক আজীব হাদী&#

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল্লামা কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ 'তাফসিরে কুরতুবী ৪র্থ খন্ডের ৬৭৭ পৃষ্টায়' এক আজীব হাদী&#

    📝 আল্লামা কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ 'তাফসিরে কুরতুবী ৪র্থ খন্ডের ৬৭৭ পৃষ্টায়' এক আজীব হাদীস বর্ণনা করেছেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তা'য়ালা শহীদদেরকে নবীদের উপর পাঁচ ধরণের মর্যাদায় ভূষিত করেছেন।

    [১] নবীদের রূহ মালাকুল মওত ফেরেশতা কবজ করেন, এমনকি আমার রূহও মালাকুল মওত ফেরশতা কবজ করবেন.. কিন্ত শহীদদের রুহ আল্লাহ তা'য়ালা তার কুদরতের দ্বারা যেভাবে ইচ্ছা কবজ করবেন, ফেরেশতার হাওলা করবেন না!

    [২] মৃত্যুর পর নবীদেরকে গোসল দেয়া হয়,।আমাকেও গোসল দেয়া হবে... কিন্ত শহীদকে গোসল দেয়া হয় না!

    [৩] নবীদেরকে কাফন পড়ানো হয়, আমাকেও পড়ানো হবে.. কিন্ত শহীদকে কাফন পড়ানো হয় না তার পরিধানের কাপড়েই তাকে কবরস্থ করা হয়!

    [৪] নবীগণকে মৃত্যুর পর মূর্দা বলে সম্বোধন করা হয়.. কিন্ত শহীদকে মৃত বলা হয় না!

    [৫] নবীগণ কেয়ামতের দিন শাফায়াত করবেন, আমিও করব.. কিন্ত শহীদ প্রতিদিন সবসময় শাফায়াত করতে পারে!!
    -----------------------------------
    উম্মতের বর্তমান অবস্থা ও মানহাজে জিহাদ

    ❤️❤️মুহসীনে উম্মাহ শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিমাহুল্লাহ❤️❤️

  • #2
    হাদিসটার সনদ তাহকীক করা দরকার। ভাই! আপনিই একটু সনদ তাহকীক করিয়েন বা করায়েন।

    Comment


    • #3
      রাসূলের হাদীস খুজুন,বানানো হাদীস ছাড়ুন

      শহীদের ফজিলত তো কোরআনের এক আয়তই যথেষ্ট, তোমরা তাদের মৃত বলো না, তাইনা ভাই তারা মরেও জীবিত,
      হে আল্লাহ! আপনি আমাদের তাদের কাতারের অন্তরভুক্ত করুন। চমৎকার ভাই, এগিয়ে যান কালো পতাকা বাহিনি।
      তবে ভাই সতর্ক হোন কোন জাল হাদিস রাসূলের নামে যেনো না চলতে পারে। এবং কোন সহিহ হাদীস যেন কোন গোপন কারী গোপন করতে না পারে, বিশেষ করে কোন জিহাদের আয়াত বা হাদীস যেনো কোন মুমিনের কানের ও কলিজার বাহিরে না থাকে।।।
      আল্লাহ আমাদের কোরআন হাদীস গোপন কারী, ও রাসূলের পথ থেকে ছিন্তাই কারী ভন্ড আলেম থেকে বাচান।
      ভাই আপনার আন্তরিক দোয়ায় আমাকে ভুলবেন না।
      আবু মুজাহিদ

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ! শুকরিয়া ভাই!!

        Comment


        • #5
          ভাই আপনি যে হাদিসটি লিখেছেন তা কোন হাদিসের কিতাবে খুঁজে পাইনি। তাফসীরের কিতাবসমুহেও খুঁজেছি সেখানেও পাইনি। শুধু তাফসীরে কুরতুবীতে পাওয়া গেছে। আরেকটি তাফসীরের কিতাবে এ হাদিসটি রয়েছে। কিতাবটির তার নাম جامع لطائف التفسير (জামিয়ু লাতায়ীফিত-তাফসীর) এর লেখক হলেন, عبد الرحمن بن محمد القماش(আব্দুর রহমার ইবনে মুহাম্মদ আল-কুম্মাশ) তিনিও হাদিসটি ইমাম কুরতুবীর হাওয়ালায় এনেছেন। আসলে এটা তার আলাদা কোন রচনা নয়। বরং এতে তিনি বিভিন্ন তাফসিরের লাতাইফ(আনুখা) বিষয় এক মলাটে জমা করেছেন। তাফসিরে কুরতুবীর আল-মাকতাবাতুত-তাওফিকিয়্যার নুসখার মুহাক্কিকও বলেছেন لم اجده (এ হাদিসটি আমি পাইনি)
          এখানে লক্ষনীয় বিষয় হলো, হাদিসটি কুরতুবী রহ. সনদ ছাড়া উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন,
          ورُوي عن رسول الله صلى الله عليه وسلم أنه قال : " أكرم الله تعالى الشهداء بخمس كرامات لم يُكرم بها أحداً من الأنبياء ولا أنا
          অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে।
          কোন সাহাবী বর্ণনা করেছেন তার থেকে কে বর্ণনা করেছেন তার থেকে কে? এভাবে তার পরযন্ত কোন সনদ বলেননি। অথচ সনদ দ্বীনের একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক রহ.(মৃত্য:১৮১ হিজরী) বলেন, الاسناد من الدين لولا الاسناد لقال من شاء ما شاء: অর্থাৎ সনদ এটা দ্বীনের একটি অংশ। যদি সনদ না থাকতো তাহলে যার যা ইচ্ছা (সত্য-মিধ্যা) সবই বলতো। (তা ধরার পদ্ধতি থাকতো না)- মুকাদ্দিমায়ে সহিহ মুসলিম
          তিনি যদি সনদ সহ আনতেন তাহলে সনদ দেখে হুকুম লাগানো যেত। সনদ না থাকার কারণে হুকুম লাগানো যাচ্ছে না।
          যাইহোক, এ হাদিসের হুকুম বলা আমার উদ্দেশ্য নয়। উদ্দেশ্য হলো, হাদিস বর্ণনার কিছু নিয়ম বলা।
          তাহলো, হাদিস রেওয়াত করতে হলে আমাদের কয়েকটি কাজ করতে হবে।
          ১ কোন কিতাবে যদি সনদ ছাড়া কোন হাদিস থাকে তাহলে অন্য কিতাব থেকে ঐ হাদিসের সনদ বের করতে হবে।
          ২, সনদে উল্লিখিত রাবীগণের হালত ভালভাবে জেনে নিতে হবে।
          ৩, হাদিসের মতন ভালভাবে বুঝতে হবে।
          ৪, হাদিসের তাসহিহ-তাযয়ীফ করে নিতে হবে। অর্থাৎ হাদিসটি সহিহ না জয়ীফ তা ভালভাবে জেনে নিতে হবে। যদি সহিহ (গ্রহনযোগ্য) হয় তাহলে রেওয়ায়েত করবে আর যয়ীফ হলে শুধু ফাযায়েলে আমালের ক্ষেত্রে রেওয়ায়েত করা যাবে যদি জয়ীফ জিদ্দান না হয় এবং দুর্বলতা বুঝায় এমন শব্দ দ্বারা হতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোন ধরনের হাদিস বর্ণনা করা যাবে না। তবে হাদিসগুলোর হুকুম বলার জন্য বর্ণনা করা যাবে।
          এ বিষয়ে মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক সাহেব দা.বা. বলেন,
          واما معرفة حكم الحديث من حيث الصحة و الضعف فالحاجة إليها أشد و أقوى. لأنه لا يمكن تمييز الصحيح من السقيم. وتمييز الضعيف من المنكر والمطروح والموضوع إلا بذالك. ومن إشتغل برواية الحديث من غير التمييز فهو داخل تحت قوله صلى الله عله وسلم ((كفى بالمرء كذبا ان يحدث بكل ما سمع)). رواه مسلم في مقدمة صحيحه. 1/8 (المدخل إلى علوم الحديث الشريف: 18)
          অর্থ: কোন হাদিস সহীহ না জয়ীফ এটা জানা অতিব জরুরী। কেননা এটা জানা না থাকলে সহীহ হাদিস আর জয়ীফ, মুনকার, মাতরুহ এবং মওযু হাদিসের মাঝে পার্থক্য করা যায় না। (অথচ পার্থক্য করাটা জরুরী)
          যে ব্যক্তি কোন হাদিসকে সহীহ ,জয়ীফ, মুনকার, মাতরুহ ইত্যাদি নির্ণয় না করে বাছ-বিচার করা ব্যতিত বর্ণনা করবে সে كفى بالمرء كذبا ان يحدث بكل ما سمع (শুনা কথা বর্ণনা করা মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট) এর আওতাভুক্ত হবে।
          তাই আমরা সকলে হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে বিষয়গুলো লক্ষ রাখবো। মনে রাখতে হবে কোন মনগড়া কথা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত বলে চালিয়ে দেওয়া মারাত্মক অপরাধ ও জাহান্নামে যাওয়ার মাধ্যম।
          আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করেন। আমিন।
          বি.দ্র. এখানে সহিহ বলে শুধু সহিহকেই বুঝানো হয়নি। বরং সহিহ লি-গাইরিহী, হাসান লি জা-তিহী, হাসান-লি গাইরিহী সবই এর মধ্যে শামিল। এক কথায় যে হাদিস গ্রহনযোগ্য তা বর্ণনা করা যাবে। যা গ্রহনযোগ্যনয় তা বর্ণনা করা যাবে না।
          ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

          Comment

          Working...
          X