Announcement

Collapse
No announcement yet.

এক বোন টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রশ্ন টি করেছে, কিন্তু কেউ কোনো উত্তর দেয়নি,ইনশাল্লাহ ভায়েরা

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এক বোন টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রশ্ন টি করেছে, কিন্তু কেউ কোনো উত্তর দেয়নি,ইনশাল্লাহ ভায়েরা

    এক বোন টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রশ্ন টি করেছে, কিন্তু কেউ কোনো উত্তর দেয়নি,ইনশাল্লাহ ভায়েরা আপনারা উত্তর টি দিবেন!!

    عَبْدِ اللَّهِ بْنَ زُرَيْرٍ الْغَافِقِيَّ، يَقُولُ: سَمِعْتُ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: «سَتَكُونُ فِتْنَةٌ يُحَصَّلُ النَّاسُ مِنْهَا كَمَا يُحَصَّلُ الذَّهَبُ فِي الْمَعْدِنِ، فَلَا تَسُبُّوا أَهْلَ الشَّامِ، وَسَبُّوا ظَلَمَتَهُمْ، فَإِنَّ فِيهِمُ الْأَبْدَالُ، وَسَيُرْسِلُ اللَّهُ إِلَيْهِمْ سَيْبًا مِنَ السَّمَاءِ فَيُغْرِقُهُمْ حَتَّى لَوْ قَاتَلَتْهُمُ الثَّعَالِبُ غَلَبَتْهُمْ، ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ عِنْدَ ذَلِكَ رَجُلًا مِنْ عِتْرَةِ الرَّسُولِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا إِنْ قَلُّوا، وَخَمْسَةَ عَشْرَ أَلْفًا إِنْ كَثُرُوا، أَمَارَتُهُمْ أَوْ عَلَامَتُهُمْ أَمِتْ أَمِتْ عَلَى ثَلَاثِ رَايَاتٍ يُقَاتِلُهُمْ أَهْلُ سَبْعِ رَايَاتٍ لَيْسَ مِنْ صَاحِبِ رَايَةٍ إِلَّا وَهُوَ يَطْمَعُ بِالْمُلْكِ، فَيَقْتَتِلُونَ وَيُهْزَمُونَ، ثُمَّ يَظْهَرُ الْهَاشِمِيُّ فَيَرُدُّ اللَّهُ إِلَى النَّاسِ إِلْفَتَهُمْ وَنِعْمَتَهُمْ، فَيَكُونُونَ عَلَى ذَلِكَ حَتَّى يَخْرُجَ الدَّجَّالُ». رواه الحاكم –رحمه الله- فى مستدركه (رقم: 8658) وقال : هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَلَمْ يُخْرِجَاهُ" ،وقال الذهبي –رحمه الله- فى تلخيصه : "صحيح". وله سند آخر بألفاظ مختلفة وفيه ابن لهيعة –رحمه الله- فلا تغترّ.
    আব্দুল্লাহ ইবনে যুরাইর আল-গাফিকী (রহঃ) বলেন, আমি সাহাবী আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, ‘স্বর্ণ খনিতে যেমনিভাবে স্বর্ণ বাছাই করা হয় অচিরে এমন ফিত্বনা হবে যে তাতে মানুষকে তেমনিভাবে বাছাই করা হবে। সুতরাং তোমরা শামবাসীকে গালি দিও না বরং তাদের মধ্য হতে যারা যালেম তাদেরকে দোষারোপ করো। কেননা তাদের মাঝে রয়েছে আব্দাল তথা; আল্লাহর প্রিয় বান্দারা। আর অচিরেই আল্লাহ তাআ’লা তাদের উপর আসমান থেকে এমন সূখ-সাচ্ছন্দ প্রেরণ করবেন যে তাতে তিনি তাদেরকে ডুবিয়ে দিবেন, এমনকি অবস্থা এমন হবে যে, তাদের সাথে যদি শিয়ালেও লড়াই করে তাহলে শিয়ালও তাদের উপর জয়লাভ করবে। আতঃপর আল্লাহ তাআ’লা সেই সময়ে রাসূল (সঃ) এর পরিবার থেকে এক ব্যক্তিকে প্রেরন করবেন, (এমনই এক দল নিয়ে) যারা সংখ্যায় হবে কম করে বারো হাজার আর বেশী হলে সংখ্যায় তারা হবে পনের হাজার। তাদের আলামত অথবা লক্ষণ হবে “মৃত্যু বরণ করাও, মৃত্যু বরণ করাও”। তিন পতাকায়। তাদের বিরূদ্ধে লড়াই করবে সাত পতাকা-ধারীরা। প্রত্যাক পতাকাধারীই সাম্রাজের/দূনিয়ার জন্য লালায়িত হবে এবং তারা লড়াইয়ে লিপ্ত হয়ে পরাজিত হবে। অতঃপর হাশেমীর আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তখন আল্লাহ তাআ’লা মানুষের নিকটে পারস্পারিক সৌহার্দ্য ভালোবাসা ও নিয়ামত ফিরিয়ে দিবেন। অতঃপর তাদের এ অবস্থা থাকতেই দাজ্জালের উদয় ঘটবে’।
    হাদীসের রেফারেন্সঃ- “মুসতাদরাক হাকিম” (হাদিস নং-৮৬৫৮) ইমাম হাকেম (রহঃ) হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, আর ইমাম যাহাবী (রহঃ)ও উক্ত হাদীসকে সহীহ বলেছেন।
    উল্লেখ্য যে, শব্দের হেরফেরে কিছু কিছু গ্রন্থে উক্ত হাদীসটির আরও সনদ রয়েছে কিন্তু তাতে ‘আব্দুল্লাহ ইবনে লাহিয়া’ (রহঃ) থাকাতে তা দূর্বল সাব্যস্ত হয়েছে।

    আমার প্রশ্নঃ
    ১. হাদিসটি সহিহ কিনা?
    ২. নবীজি (সাঃ) এর পরিবার থেকে আসা ব্যক্তিটি কে?
    ৩. তিন পতাকা মানে কি?
    ৪. সাত পতাকা মানে কি?
    ৫. লোকটি আসার পর হাশেমীর আত্মপ্রকাশ ঘটবে! এখানে হাশেমী কে?

  • #2
    1.হাদীসটি হযরত আলী রা:এর বক্তব্য হিসেবে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।যেগুলোকে সমষ্টিগতভাবে হাসান অর্থাত দ্বিতীয় পর্যায়ের সহীহ হিসেবে গন্য করা যায়।কোন কোন সনদে সরাসরি রসুল সা:এর উক্তি হিসেবে বর্ণিত হয়েছে,(যেমন মুস্তাদরাকে হাকেমের এই সনদে)এবং এটাকে ইমাম হাকেম রহ:সহীহও বলেছেন।কিন্তু ইমাম তাবারানী রহ:সহ অধিকাংশ মুহাদ্দিস মনে করেন শুদ্ধ হল-এটা জঙ্গে সিফফিনে হযরত আলী রা:এর করা উক্তি।যা তিনি সরাসরি রসুল সা:এর দিকে সরাসরি সম্বন্ধযুক্ত করেননি।তবে যেহেতু এটা একটা ভবিষ্যতবাণী,এবং নিজে থেকে বলা সম্ভব না তাই সম্বন্ধ না করলেও ধরে নিতে হবে তিনি রসুল সা:থেকেই এটা শুনেছেন।

    ২.নবীপরিবারের সেই ব্যাক্তি এবং ৩পতাকা ও ৭ পতাকা দ্বারা কি উদ্দেশ্য আমার জানা নেই।
    ৫.তবে হাশেমী দ্বারা উদ্দেশ্য সম্ভবত ইমাম মাহদী,যেটা তাবারানী শরীফের নিম্নোক্ত হাদীস থেকে বোঝা যায়-

    ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺣﻔﺺ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺼﺒﺎ
    ﺍﻟﺮﻗﻲ، ﺛﻨﺎ ﻋﺒﻴﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ، ﻋﻦ ﻣﻌﻤﺮ، ﻋﻦ
    ﻗﺘﺎﺩﺓ، ﻋﻦ
    ﻣﺠﺎﻫﺪ، ﻋﻦ ﺃﻡ ﺳﻠﻤﺔ، ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
    ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ :ﻳﻜﻮﻥ ﺍﺧﺘﻼﻑ ﻋﻨﺪ ﻣﻮﺕ
    ﺧﻠﻴﻔﺔ، ﻓﻴﺨﺮﺝ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﺑﻨﻲ ﻫﺎﺷﻢ ﻣﻦ
    ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﺇﻟﻰ ﻣﻜﺔ ﻓﻴﺠﻴﺌﻪ ﻧﺎﺱ ﻓﻴﺒﺎﻳﻌﻮﻧﻪ ﺑﻴﻦ
    ﺍﻟﺮﻛﻦ ﻭﺍﻟﻤﻘﺎﻡ، ﻭﻫﻮ ﻛﺎﺭﻩ، ﻓﻴﺠﻬﺰ ﺇﻟﻴﻬﻢ ﺟﻴﺶ
    ﻣﻦ ﺍﻟﺸﺎﻡ ﺣﺘﻰ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﺑﺎﻟﺒﻴﺪﺍﺀ ﺧﺴﻒ ﺑﻬﻢ،
    ﻓﻴﺄﺗﻴﻬﻢ ﻋﺼﺎﺋﺐ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﺮﺍﻕ ﻭﺃﺑﺪﺍﻝ ﺍﻟﺸﺎﻡ،
    ﻭﻳﻨﺸﻮ ﺭﺟﻞ ﺑﺎﻟﺸﺎﻡ ﺃﺧﻮﺍﻟﻪ ﻛﻠﺐ، ﻓﻴﺠﻬﺰ ﺇﻟﻴﻬﻢ
    ﺟﻴﺸﺎ، ﻓﻴﻬﺰﻣﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺗﻜﻮﻥ ﺍﻟﺪﺍﺋﺮﺓ ﻋﻠﻴﻬﻢ
    ﻭﺫﻟﻚ ﻳﻮﻡ ﻛﻠﺐ، ﻭﺍﻟﺨﺎﺋﺐ ﻣﻦ ﺧﺎﺏ ﻣﻦ ﻏﻨﻴﻤﺔ
    ﻛﻠﺐ، ﻭﻳﺴﺘﺨﺮﺝ ﺍﻟﻜﻨﻮﺯ، ﻭﻳﻘﺴﻢ ﺍﻷﻣﻮﺍﻝ،
    ﻭﻳﻠﻘﻰ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺑﺠﺮﺍﺑﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻷﺭﺽ، ﻳﻌﻴﺶ ﻓﻲ
    ﺫﻟﻚ ﺳﺒﻊ ﺳﻨﻴﻦ ﺃﻭ ﺳﺖ ﺳﻨﻴﻦ، ﻗﺎﻝ ﻋﺒﻴﺪ ﺍﻟﻠﻪ :
    ﻓﺤﺪﺛﺖ ﺑﻪ ﻟﻴﺜﺎ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺣﺪﺛﻨﻴﻪ ﻣﺠﺎﻫﺪ .
    ﻫﺬﺍ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻭﻓﻲ ﺁﺧﺮﻩ :
    ﻗﺎﻝ ﻋﺒﻴﺪ ﺍﻟﻠﻪ : ﻓﺤﺪﺛﺖ ﺑﻪ ﻟﻴﺜﺎ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺣﺪﺛﻨﺠﺎﻫﺪ
    যেখানে বলা হচ্ছে-কোন এক শাসকের মৃত্যুর পর অনৈক্যর প্রেক্ষিতে একজন হাশেমীর আবির্ভাব হবে,তিনি মদীনা থেকে মক্কায় যাবেন,লোকেরা তাকে বাইয়াত দিবে,...ইরাকের দলগুলো এবং শামের নেককার বানৃদাগণ তাকে ঘিরে সমবেত হবেন.."এরপর শামের বনুকালবের সঙগে যুূ্ধের বিবরণ।তো যে হাশেমীকে ঘিরে উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে মুস্তাদরাকের হাদীসে সম্ভবত এর দ্বারা মাহদীই উদ্দেশ্য।ওয়াল্লাহু আলাম।
    @আর আপনি প্রশ্নটি "ফিতনা"অথবা "আখিরুজ্জামান"অংশে করে দেখতে পারেন।সেখানে হয়তো উত্তর পাওয়া সহজ হবে।

    Comment

    Working...
    X