Announcement

Collapse
No announcement yet.

মোবাইলের মাধোমে কুরাআন তিরাওয়াত কারার বিধান।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মোবাইলের মাধোমে কুরাআন তিরাওয়াত কারার বিধান।

    ভাই আমি জান্তে চাচ্ছি মোবাইলের মাধোমে কুরাআন শরিফ তিলাওয়া করা কি জায়েজ আছে?
    যদি কুরাআন শরিফ মোবাইলের মাধোমে তিলাওয়া করা জায়েজ থাকে তাহলে দলিল সহ জানাইলে ভাল হত। ইনশাআল্লাহ।

  • #2
    بسم الله الرحمن الرحيم. الحمد لله رب العالمين والصلاة والسلام علي خاتم النبين. وعلي اله واصحابه اجمعين
    মোবাইলে ধারনকৃত কোরআন চাই সফটওয়ার বা পিডিএফ হোক, তা তেলাওয়াতে কোন অসুবিধা নেই এবং এটা জায়েয। তবে তেলাওয়াতের সময় অব্যশই তেলাওয়াতের আদব বজায় রাখতে হবে।
    মোবাইল যেহেতু আধুনিক যমানার উপহার, তাই এ ব্যাপারে ফুকাহায়ে কেরামের লিখনিতে স্পষ্টভাবে কোন উক্তি পাওয়া যায় না। তবে তারা কোরআন তেলাওয়াতের যে মুলনীতি বলেছেন, তাতে মোবাইলে তেলাওয়াতকে নাজায়েয বলার সুযোগ নেই।
    তেলাওয়াতের মুলনীতি হলো,
    ১. শুদ্ধভাবে করা
    ২. তাদাব্বুরের সাথে করা
    ৩. তেলাওয়াত নিষিদ্ধ এমন হালতে না থাকা। যেমন, হায়েয, জুনুবী ইত্যাদি।
    তদুপরি ফুকাহায়ে কেরাম দেয়াল, পাথর কাষ্ঠখন্ড, গাছের পাতা ইত্যাদি জিনিসে আয়াত লিখা থাকলে তা পড়া জায়েয বলেছেন।
    এ মুলনীতির আলোকে,
    পান্ডলিপি বাদ দিয়ে মোবাইলে ধারনকৃত কোরআন তেলাওয়াতে শরয়ী কোন বাধা নেই।
    বর্তমান যমানার অনেক ফকীহগণের মতে "মোবাইলে ধারনকৃত কোরআন যখন স্ক্রিনে দৃশ্যমান থাকে তখন তা মুসহাফের ( পান্ডলিপি) হুকুমে থাকে। তাই তা অজু ছাড়া স্পর্ষ করা যাবে না।"
    হযরত মাও মুফতি সালমান মনসুরপুরী দা.বা. তার রচিত গ্রন্থ "কিতাবুন-নাওয়াযেলে" এমনটি উল্লেখ করেছেন।
    তাদের এ মত অনুযায়ী তো মোবাইলে পড়া আর মুসহাফে পড়া সওয়াবের দিক থেকে সমান হয়ে যায়।
    তবে অনেক ফকীহ তাদের এ মতের বিরোধিতা করেছেন।

    যাইহোক, সারকথা হলো, মোবাইলে তেলাওয়াত করতে কোন বাধা নেই।

    তবে মুসহাফ ( পান্ডলিপি) দেখে তেলাওয়াতের সওয়াব বেশী এবং এর মধ্যে একাগ্রতা বেশী অর্জন হয়।

    হাদিসে আছে,
    ﻗﺮﺍﺀﺓ ﺍﻟﺮّﺟﻞ ﻓﻲ ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤُﺼﺤﻒ ﺃﻟﻒ ﺩﺭﺟﺔ، ﻭﻗﺮﺍﺀﺗﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻤُﺼﺤﻒ ﺗُﻀﺎﻋَﻒ ﻋﻠﻰ ﺫﻟﻚ ﺃﻟﻔﻲ ﺩﺭﺟﺔ ‏) .
    "মুসহাফ (পান্ডলিপি) ছাড়া তেলাওয়াতে এক হাজার নেকী। আর মুসহাফ দেখে করলে দুই হাজার নেকী।"
    (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৭/২৪৭)

    এ হাদিস সম্পর্কে
    হাফেজ নুরুদ্দিন হাইসামী রহ. (৮০৭ হিজরী) বলেন,
    رواه الطبراني. و ﻓﻴﻪ ﺃﺑﻮ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﻋﻮﻥ وثقه ابن معبد في رواية وضعفه في اخرى، ﻭﺑﻘﻴﺔ ﺭﺟﺎﻟﻪ ﺛﻘﺎﺕ. ( مجمع الروئد: 7/257)
    " এ হাদিসটি ইমাম তাবরানী বর্ননা করেছেন। এর সনদের মধ্যে আবু সাঈদ ইবনে আওন নামক একজন রাবী আছে, যে রাবীকে ইবনে মা-বাদ এক জায়গায় বিশ্বস্ত বলেছেন। অন্য জায়গায় বলেছেন, যয়ীফ। আর সনদের বাকী রাবীগণ বিশ্বস্ত।"
    শায়েখ নাসিরুদ্দীন আলবানী রহ. (১৪২০ হিজরী) হাদিসটিকে জয়ীফ বলেছেন।
    যেহেতু হাদিসটি ফাযায়েল বিষয়ে , তাই বেশী সমস্যা মনে হচ্ছে না।

    বলতেছিলাম, মুসহাফ দেখে তেলাওয়াত উত্তম।
    এ বিষয়ে শায়েখ আহমদ আত-তাহতাবী (১২৩১) হিজরী বলেন,
    لانها عبادة انضافت الى اخرى. وهو النظر في المصحف. ولهذا كانت القراءة في المصحف افضل من القراءة غائبا. ( الحاشية على المراقي : 336)
    "মুসহাফের দিকে নযর দেয়াও একটি ইবাদত। এজন্য মুসহাফ দেখে তেলাওয়াত মুসহাফ না দেখে তেলাওয়াত থেকে উত্তম।"

    তাই আমাদের সকলের উচিত মুসহাফ দেখে কোরআন তেলাওয়াত করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুন। আমিন। فقط. والله تعالى اعلم الصواب.

    ভাই সংক্ষিপ্তাকারে উত্তর দেওয়া হয়েছে। আরো কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করার আবেদন রইলো। আল্লাহ আপনার সহায় হোন। আমিন।
    ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

    Comment


    • #3
      নির্ভরযোগ্য মতানুসারে মোবাইলের স্ক্রীনে তেলাওয়াতের সময় অজু প্রয়োজন নেই। কারণ এটা মুসহাফের হুকুমে নয়।

      Comment


      • #4
        Jazakumullah for this useful post

        Comment


        • #5
          ভাই আমার জানার দরকার দেখা জায় আনেক লোক মোবাইল নিয়ে টয়লেটে যায় এবং পেশাপ খানাই জায়। এমতাঅবস্থায় মোবাইলের ভিতরে কুরাআন শরিফ থাকে। এই অবস্থায় কি ইস্তেণ্জা খানায় কি যাওয়া জায়েজ হবে?
          জানাইলে ভাল হত। ইনশাআল্লাহ
          Last edited by আ:রহিম; 05-16-2018, 10:00 PM.

          Comment


          • #6
            Originally posted by আ:রহিম View Post
            ভাই আমার জানার দরকার দেখা জায় আনেক লোক মোবাইল নিয়ে টয়লেটে যায় এবং পেশাপ খানাই জায়। এমতাঅবস্থায় মোবাইলের ভিতরে কুরাআন শরিফ থাকে। এই অবস্থায় কি ইস্তেণ্জা খানায় কি যাওয়া জায়েজ হবে?
            জানাইলে ভাল হত। ইনশাআল্লাহ
            ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺻﺤﺒﻪ، ﺃﻣﺎ ﺑﻌـﺪ :
            শরীয়তের মুলনীতি থেকে এটা প্রতিয়মান হয় যে, কোরআন-হাদিসকে নাপাকী, দুরগন্ধযুক্ত স্থান থেকে দুরে রাখতে হবে।
            আল্লাহ তায়ালা বলেন,
            ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﻌَﻈِّﻢْ ﺷَﻌَﺎﺋرِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﺈِﻧَّﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﺗَﻘْﻮَﻯ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮﺏِ } ﺍﻟﺤﺞ : {32)
            "কেউ আল্লাহর নিদর্শনসসমুহকে সম্মান করলে তা তার অন্তরের পরহেযগারীর মধ্যেই (শামিল) হবে।"- সুরা হজ্জঃ ৩২
            অন্যত্র বলেন,
            َ ﻭَﻣَﻦْ ﻳُﻌَﻈِّﻢْ ﺣُﺮُﻣَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟَﻪُ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﻪِ } ﺍﻟﺤﺞ : {30)
            "যে কেউই আল্লাহ তায়ালার (নির্ধারিত) পবিত্র অনুষ্ঠানমালার সম্মান করে, এটা তার জন্য তার মালিকের কাছে (একটি) উত্তম কাজ (বলে বিবেচিত হবে)"- সুরা হজ্জঃ ৩০
            হাদিসে আছে,
            ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻛﺎﻥ ﺇﺫﺍ ﺃﺭﺍﺩ ﺩﺧﻮﻝ ﺍﻟﺨﻼﺀ ﻧﺰﻉ ﺧﺎﺗﻤﻪ، ﻭﻛﺎﻥ ﻧﻘﺶ ﺧﺎﺗﻤﻪ : ﻣﺤﻤﺪ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ .
            "রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাথরুমে প্রবেশের সময় তার আংটি মোবারক খুলে বাহিরে রেখে যেতেন। তার আংটির মধ্যে লেখা ছিল, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।"

            এ হাদিসটি ইমাম তিরমীজি সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ বর্ননা করেছেন।
            এ হাদিস সম্পর্কে ইমাম তিরমীজি (২৭৯ হিজরী) বলেন,
            حسن غريب
            "হাদিসটি হাসান (আমলযোগ্য) এক সনদে বর্নিত"
            এসব মুলনীতির দিকে লক্ষ করে উলামাগণ ইস্তেনজার কিছু আদব বলেছেন,
            এগুলোর মধ্যে একটি আদব হলো, আল্লাহর নাম, রাসুলের নাম, কোরআনের আয়াত, হাদিসের টুকরা সম্বলিত কাগজ/ কিতাব নিয়ে বাথরুমে যাওয়া যাবে না।
            এ বিষয়ে ইমাম মাওরদী রহ. (৪৫০হিজরী) বলেন,
            ﺃﻣﺎ ﺩﺧﻮﻝ ﺍﻟﺨﻼﺀ ﺑﻤﺼﺤﻒ ﻣﻦ ﻏﻴﺮ ﺣﺎﺟﺔ ﻓﻼ ﺷﻚ ﻓﻲ ﺗﺤﺮﻳﻤﻪ ﻗﻄﻌﺎً، ﻭﻻ ﻳﺘﻮﻗﻒ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﻋﺎﻗﻞ .( الانصاف)
            "প্রয়োজন ছাড়া মুসহাফ (কোরআন) নিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করা হারাম। এ বিষয়টি কোন বুদ্ধিমানের কাছে অস্পষ্ট নয়।"

            এ থেকে বুঝা গেল, প্রয়োজন ছাড়া মুসহাফ নিয়ে বাথরুমে যাওয়া যাবে না।
            প্রয়োজনে নেওয়া যাবে। যেমন কেউ এমন স্থানে গেল, সে যদি মুসহাফকে বাইরে রেখে যায় তাহলে তা চুরি হয়ে যাবে বা নষ্ট হয়ে যাবে ইত্যাদি। তখন তা হেফাজতের জন্য ভিতরে নেওয়া যাবে।
            তবে যদি মুসহাফ কোন কাপড় বা অন্য কিছু দিয়ে আবৃত থাকে বা পকেটে রেখে প্রবেশ করে তাহলে তা নাজায়েজ হবে না।
            এ বিষয়ে শায়খ আহমাদ ইবনে মুহাম্মদ আস-সাবী ( ১২৪১ হিজরী) বলেন,
            ﻭﺇﻻ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﻓﻴﺤﺮﻡ ﻗﺮﺍﺀﺗﻪ ﻭﺍﻟﺪﺧﻮﻝ ﺑﻤﺼﺤﻒ ﺃﻭ ﺑﻌﻀﻪ ﻭﻟﻮ ﺁﻳﺔ، ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺣﺮﺯﺍً ﻣﺴﺘﻮﺭﺍً ﺑﺴﺎﺗﺮ . ﻭﻣﻦ ﺍﻟﺴﺎﺗﺮ ﺟﻴﺒﻪ ﻓﻮﺿﻌﻪ ﻓﻲ ﺟﻴﺒﻪ - ﻣﺜﻼً - ﻳﻤﻨﻊ ﺍﻟﺤﺮﻣﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺼﺤﻒ . ﻭﺍﻟﻜﺮﺍﻫﺔ ﻓﻲ ﻏﻴﺮﻩ . ﻭﻫﺬﺍ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﺨﻒ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻀﻴﺎﻉ، ﻭﺇﻻ ﺟﺎﺯ ﺍﻟﺪﺧﻮﻝ ﺑﻪ ﻟﻠﻀﺮﻭﺭﺓ . ﺍﻧﺘﻬﻰ.( حاشية الصاوي على الشرح الصغير)
            বাথরুমে কোরআন তেলাওয়াত করা বা কোরআন নিয়ে কিংবা তার কিছু অংশ বা কোন আয়াত নিয়ে প্রবেশ করা হারাম। তবে যদি তা কোন আবরনে আবৃত থাকে তাহলে হারাম হবে না। পকেটে রাখাও আবরনে আবৃত রাখার অন্তর্ভুক্ত... তবে যদি তা (বাহিরে রেখে গেলে) নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে, তাহলে তা ভিতরে নেওয়া যাবে।

            মুল প্রশ্নের উত্তরঃ-
            উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা প্রতিয়মান হয় যে, যদি স্ক্রীনে কোরআনের আয়াত দৃশ্যমান থাকে তাহলে তা নিয়ে বাথরুমে যাওয়া নাজায়েজ। আর যদি দৃশ্যমান না থাকে তাহলে তা নিয়ে যাওয়া জায়েয। তবে উত্তম হলো, মোবাইল বাহিরে রেখে বাথরুমে যাওয়া।
            আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বুঝার ও আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন। فقط. والله تعالى اعلم بالصواب
            ফিরে এসো দ্বীনের পথে।

            Comment


            • #7
              Originally posted by আ:রহিম View Post
              ভাই আমার জানার দরকার দেখা জায় আনেক লোক মোবাইল নিয়ে টয়লেটে যায় এবং পেশাপ খানাই জায়। এমতাঅবস্থায় মোবাইলের ভিতরে কুরাআন শরিফ থাকে। এই অবস্থায় কি ইস্তেণ্জা খানায় কি যাওয়া জায়েজ হবে?
              জানাইলে ভাল হত। ইনশাআল্লাহ
              মোবাইলের স্ক্রিনে থাকা কুরআন মুসহাফের হুকুমে নয়। তাই এটা ছোয়া জন্য উজুর যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি বাতরুমে যাওয়ার ব্যপারটাও এত কঠিন না। তবে আদিবের খাতিরে না নিয়ে যাওয়াই আবশ্যক।

              Comment


              • #8
                হাত লাগানো ছাড়া তেলাওয়াত করলে ওযুর প্রয়োজন নেই। পাতা উল্টানোর জন্য হাত লাগালে অবশ্যই ওযু লাগবে। সতর্কতার দাবী হল, সর্বাবস্থায় ওযু সহ করা তেলাওয়াত করা।
                হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সবাইকে সাআদাতের জীবন এবং শাহাদাতের মৃত্যু দান করুন।

                Comment


                • #9
                  আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে কুরআন পড়ার তাওফিক দান করুন,আমিন।

                  Comment


                  • #10
                    Jazakumullah for this useful post

                    Comment

                    Working...
                    X