Announcement

Collapse
No announcement yet.

আল্লাহর অনুগ্রহে সকল মুজাহিদীন যখন একত্রিত হন তখন যে মুজাহিদকে মুরতাদ বাহিনী ধরে ফেল&#

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আল্লাহর অনুগ্রহে সকল মুজাহিদীন যখন একত্রিত হন তখন যে মুজাহিদকে মুরতাদ বাহিনী ধরে ফেল&#

    আল্লাহর অনুগ্রহে সকল মুজাহিদীন যখন একত্রিত হন তখন যে মুজাহিদকে মুরতাদ বাহিনী ধরে ফেলেছিল তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, ভাই! আপনার কি হয়েছিল একটু বিস্তারিত বলেন। তখন তিনি বললেন, আমি যখন সকলের সাথে আসছিলাম তখন আমি আমার ব্যাগের ওজনের কারণে একটু পেছনে পড়ে যাই। (উল্লেখ্য : এই মুজাহিদ অন্যদের থেকে বয়স্ক। শাহাদাতের আশায় এই বৃদ্ধ বয়সেও তিনি জিহাদে শরিক আছেন। -আল্লাহ তাঁকে কবুল করুন!) হঠাৎ দেখি মুরতাদদের একটা গাড়ি আমার সামনে এসে ব্রেক করল। অন্য ভায়েরা আমার চোখের আড়াল হয়ে গেল। এমতাবস্থায় মুরতাদবাহিনী আমাকে ঘিরে ফেলল। আমিও তাকবির দিয়ে সাধ্যানুযায়ী চাপাতি দিয়ে আঘাত শুরু করি। এক পর্যায়ে আমি রাস্তায় পরে যাই, আর তাগুতবাহিনী আমার দিকে পিস্তল তাঁক করে গুলি করতে করতে আমাকে কাবু করে ফেলে।
    হঠাৎ দেখি আমাদের টিমের এক ভাই চাপাতি উঁচু করে তাদের দিকে ধেঁয়ে আসছেন। তারপর সেই ভাই আমাকে তাদের থেকে উদ্ধার করে বলল, আপনি দৌড়ে চলে যান। আমি দৌড়ে চলে আসি এবং কিছুদূর এসে সকল ভাইকেই পেয়ে যাই। এমনকি যে ভাই আমাকে উদ্ধার করল তাকেও দেখলাম সে এখানেই আছে। পরে আমি যখন আমার ঘটনা তাঁদের বললাম, তারা সবাই আশ্চর্য হলো। কারণ, আমার এই অবস্থার কথা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। তাঁরা আমার অবস্থা কিছুই জানেন না। তাঁরা কেউ আমাকে সাহায্য করতেও যাননি। তারা শুধু আমার আসতে দেরি হচ্ছে দেখে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। সুবহানাল্লাহ!
    আমাদের সকলেরই ব্যাপারটা বুঝতে আর বাকি রইল না। আমরা সবাই বুঝলাম, আল্লাহ তা‘আলা এই মুজাহিদ ভাইকে মালাইকা দ্বারা সাহায্য করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ!
    সাদাকাল্লাহুল আজিম ওয়া সাদাকা রাসূলুহুল কারিম। সুবহানআল্লাহ! রাখে আল্লাহ মারে কে? আল্লাহ (সুবহানাহু.) কি সত্য বলেন নি?
    إِنْ تَنْصُرُوا اللَّهَ يَنْصُرْكُمْ
    “যে আল্লাহকে সাহায্য করবে আল্লাহও তাকে সাহায্য করবেন।"
    কুরআন সাক্ষী, বদর যুদ্ধে আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতাদের মাধ্যমে মুমিনদের সাহায্য করেছিলেন, তিনি কিন্তু এখনো সাহায্য করতে সক্ষম।
    মৃত্যু যখন শাহাদাত।
    শহীদ মুকুল রানা (রহ.) :
    সর্ব কালেই আবু জাহেল,আবু লাহাবের প্রেতাত্মারা আল্লাহ রব্বুল আলামীনের আলোকে নিভিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাদের সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে ইসলামের কাণ্ডারি প্রেরণ করেছেন।
    পুরো দেশ যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কুৎসা রটনাকারী কুলাঙ্গারদের দ্বারা ভরে যাচ্ছিল তখনি তাদের ‘‘যম" হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিলেন শহীদ মুকুল রানা (রহ.)
    শহীদ মুকুল রানা (রহ.) কে গত ২৩/২/১৬ ইং তারিখে বাংলাদেশের তাগুতবাহিনী গ্রেফতার করে এবং দীর্ঘ ৪ মাস পর তিনি শাহাদাত বরণ করেন। এ পুরো সময়কাল তিনি তাগুতের গোপন টর্চারশেলে বন্দি ছিলেন। এ সময় মহান এ মুজাহিদের উপর নেমে আসে বর্বরতার বিভীষিকাময় নির্মম-নিষ্ঠুর নির্যাতন। তাগুতের লেলিয়ে দেওয়া হিংস্র হায়েনারা তাকে অমানুষিকভাবে প্রহার করতে থাকে।
    পৃথিবীর ইতিহাস থেকে হজরত বেলাল-খাব্বাবের ঘটনা যেমন তুলি দিয়ে মুছে দেওয়া যায় না, তেমনিভাবে শহীদ মুকুল রানার উপর তাগুতিশক্তির লোমহর্ষক অত্যাচারের কথাও মুসলিম জনগণ ভুলে যাবে না।
    শহীদ মুকুল রানার উপর ভয়ঙ্কর সব কুকুরেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এ সকল দানবেরা তাঁকে উল্টোভাবে লটকিয়ে রাখত। ফেরাউনের প্রেতাত্মারা শাস্তি দিতে গিয়ে তাঁর একটি পা ভেঙ্গে ফেলেছিল। তাঁর দেহে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হতো। এত নির্যাতনের পরও তিনি ছিলেন ঈমানের বলে বলীয়ান। তাঁর থেকে 'তথ্য' পেতে হায়েনারা তাঁর দেহকে ইলেকট্রিক ঢিলমেশিন দিয়ে ঝাঁজরা পর্যন্ত করেছে।
    কিন্তু শীশাঢালা প্রাচীরের এই মহান মুজাহিদের মুখ থেকে একটি তথ্যও হায়েনারা বের করতে পারেনি।
    সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লহিল আজিম!
    দীর্ঘ ৪ মাস জালিমের অত্যাচার আর নিপিড়নে পিষ্ট হয়ে গত ১৪/১৫ রমজান, ২০/২১ জুন ২০১৬ এ শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করে মহান রাব্বুল আলামীনের সান্নিধ্যে চলে যান।
    বন্দি হওয়ার আগ পর্যন্ত সবগুলো মেসেজের শেষে ভাই একটি কথা লিখতেন-ই "ভাই! দোয়া করবেন,আল্লাহ যেন আমাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।"
    এই ভাই বন্দি হওয়ার কয়েক মাস আগে সকল ভাইদের উদ্দেশ্যে ১ টি চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠির শিরোনাম ছিল, “আসুন শাহাদাতের পেয়ালা থেকে পান করি”।
    আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তা‘আলা ভাইয়ের তামান্না পূর্ণ করেছেন।
    শাহাদাতের পর রমজান মাসে তাঁর ঘনিষ্ঠ অপর এক হাফেজে কোরআন মুজাহিদ ভাই তাঁকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলেন- ভাই! আল্লাহ তা‘আলা আপনার সাথে কেমন আচরণ করেছেন?
    তখন তিনি ঐ হাফেজের হাত ধরে একটি বাগানের দিকে নিয়ে যান।

  • #2
    হাফেজে কোরআন বর্ণনা করেন, ফুল ও ফলে ভরপুর, বিভিন্ন পাখির গুঞ্জনে মুখরিত, সবুজ শ্যামল, আত্মতৃপ্তিকারী এমন সুন্দর বাগান আমি আর কখনো দেখিনি। সেখানে যাওয়ার পর আমি আরও অনেক যুবক-কিশোরকে দেখতে পেলাম। এবার ভাই আমার হাতটি ছেড়ে দিলেন। ভাইকে আমি আর দেখতে পাইনি। এমতাবস্থায় আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। শহীদ মুকুল রানা ভাইকে আরও অনেক মুজাহিদ ভাই স্বপ্নে ভালো ভালো অবস্থায় দেখেছেন।
    অন্য এক মুজাহিদ ভাই দেখেছেন যে, তিনি সবুজ পাখির ডানায় উড়ে বেড়াচ্ছেন। অপর আর এক মুজাহিদ ভাই দেখেছেন তিনি বলতেছেন, আমি আমার কাজ সম্পন্ন করে এসেছি, এবার আপনারা আপনাদের কাজ জারি রাখেন।
    ওরা চেয়েছিল ভাইকে মেরে ফেলতে, কিন্তু আল্লাহ ভাইকে চিরকালের জন্য জীবিত করে দিলেন।
    তাইতো আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন- (আয়াত) “যারা আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয় তাদেরকে তোমরা মৃত বলো না।" প্রিয় বন্ধুরা! ঐ বাগান আমাদের আহ্বান করছে। যাবে না সে বাগানে??

    সূত্র:- আর-রিবাত মেগাজিন, প্রস্তুতি মুলক সংখ্যা। মেগাজিনটি এই সাইটে পাবেন- *http://arribatteam. wordpress. com

    Comment


    • #3
      ঘটনাটি যদিও পূর্বে থেকেই জানি, কিন্তু আবার পড়ে আবারও চোখে পানি চলে আসল। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতআলা মুকুল রানা ভাইয়ের মত আমাকেও শহীদ হিসাবে কবুল করুন!!

      Comment


      • #4
        Originally posted by tarek bin ziad View Post
        এই ভাই বন্দি হওয়ার কয়েক মাস আগে সকল ভাইদের উদ্দেশ্যে ১ টি চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠির শিরোনাম ছিল, “আসুন শাহাদাতের পেয়ালা থেকে পান করি”।
        ভাইয়ের এই লেখাটা কোন লিঙ্কে পাবো ভাই???

        Comment


        • #5
          সুবহানাল্লাহ,
          আল্লাহ তাআলা আমাদেরকেও কঠিন সময়ে ইমানের উপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন,আমিন।

          Comment


          • #6
            জাযাকুমুল্লাহ। ভাই যত পড়ি ততযেন ইমান বাড়ে সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ও কবুল করুন আমিন....!!
            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

            Comment


            • #7
              আম্মার রাঃ সপ্নে দেখেন একটি আগুনের উপত্যেকা, তার এক পার্শ্বে ইয়াসীর রাঃ দন্ডায়মান তার অপর পার্শ্বে সুরম্য মনোমুগ্ধকর এক বাগানে বিচরন করছেন সুমায়্যা রাঃ তিনি ইয়াসীর রাঃ কে আগুনের উপর দিয়ে অপর প্রান্তের বাগানের দিকে আহবান করতে ছেন।
              ব্যস এই আগুনের উপত্যকাটা পারি দিতে হবে কে কে যাবেন? তৈরিতো?

              Comment


              • #8
                যি ভাই ইনশাআল্লাহ

                Comment


                • #9
                  ইনশা আল্লাহ

                  Comment

                  Working...
                  X