Announcement

Collapse
No announcement yet.

সিরিয়ার আর্তনাদ।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • সিরিয়ার আর্তনাদ।

    সিরিয়ার আর্তনাদ।

    ✍:উম্মে সানজিদা

    সিরিয়ার শিশুদের অবস্থা আজকে বিশ্বের মানুষ স্বচোখে দেখছে। তাদের রক্ত মাখা মুখ ছিন্ন-বিছিন্ন দেহ পাথর হৃদয়কেও বিগলিত হতে বাধ্য করছে। এই শিশুদের জায়গাতে আমরা নিজেদের বাচ্চাদের কথা কল্পনাও করতে চাই না। নিজেদের বাচ্চাদের চাহিদা প্রতিটা মিনিটে পূরণ করছি একজন দায়িত্বশীল বাবা-মা হিসেবে। কিন্তু এই শিশু গুলো তো আমাদের কেউ হয়না। এরা না তো আমাদের রক্তের কেউ আর না কোন আত্মীয়! এরা তো সেই সুদূর সিরিয়ার বাসিন্দা। আমার সময় কোথায় ওদের খবর নেওয়ার? ছিঃ ছিঃ শত শত ধিক্কার নিজেকে জানাই যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সেই হাদিস গুলো মনে পড়ে যায়। তিনি বলেছেন,
    عَن النُّعْمَانِ بْنِ بَشِير قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَثَلُ الْمُؤْمِنِينَ فِي تَوَادِّهِمْ وَتَرَاحُمِهِمْ وَتَعَاطُفِهِمْ مَثَلُ الْجَسَدِ إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّهَرِ وَالْحُمَّى)

    তুমি মুমিনদের দেখবে, নিজেদের মাঝে প্রীতি ও করুণায় তারা যেন এক দেহের মত (যে) দেহের এক অঙ্গে ব্যথা হলে সকল অঙ্গ (যেন) জ্বর ও রাত্রি জাগরণে লিপ্ত হয়ে পড়ে। (নুমান ইবনে বাশীর রা.-এর সূত্রে সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬০১১; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৮৬)

    অন্য বর্ণনায় আছে-

    حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ خَيْثَمَةَ ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : الْمُسْلِمُونَ كَرَجُلٍ وَاحِدٍ ، إِنِ اشْتَكَى عَيْنُهُ ، اشْتَكَى كُلُّهُ ، وَإِنِ اشْتَكَى ، رَأْسُهُ اشْتَكَى كُلُّهُ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ ، حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنِ الشَّعْبِيِّ ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
    • صحيح مسلم
    • كتاب الْبِرِّ وَالصِّلَةِ وَالْآدَابِ
    • بَابُ تَرَاحُمِ الْمُؤْمِنِينَ وَتَعَاطُفِهِمْ وَتَعَاضُدِهِمْ
    • حديث رقم 4815
    অর্থাৎ মুসলিমগণ সকলে মিলে যেন একটি মানুষ- যার চোখে ব্যাথা হলে গোটা দেহ অস্থির হয়, মাথায় ব্যাথা হলেও গোটা দেহ অস্থির হয়। (নুমান ইবনে বাশীর রা.-এর সূত্রে সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৮৬)

    আফসোস শত-সহস্র আফসোস নিজের জন্য, আজো আমি মু'মিন হতে পারিনি। পারতাম কি নিজের ছেলে-মেয়ের ছিন্নভিন্ন শরীরের ছবি দেখে এভাবে আরামে খেয়ে-দেয়ে ঘুমিয়ে যেতে!!! না কখনোই পারতাম না। কেননা যত ভালো বিছানা বা দামি খাবারী হউক সেগুলা কাটা হয়ে বিঁধতো ক্ষণে ক্ষণে, কিছুতেই শান্তি পেতাম না। তাহলে আজ পাচ্ছি কেন? কারন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাহকে যে দেহের সাথে তুলনা করেছেন আমি বা আমরা সবাই তো সেই দেহের প্যারালাইজড হয়ে যাওয়া অংশ... আস্তাগফিরুল্লাহ্!

    চারদিকে আজ মুসলিমরা মার খাচ্ছে, রক্তের সাগর শুকিয়ে এবার মরুভূমি হবার পালা! হে ভাই তবুও কি তোমার ঘুম ভাঙবে না!? তুমি কি দাঁড়াবে না ওদের পাশে গিয়ে? কোথায় আজ কাফেরদের তৈরি জাতিসংঘ আর কোথায় বিশ্ব মানবতা? নাহ্! কাফেরদের জাতিসংঘের মানব রচিত মানবতার সুবিধা তো তারাই পেয়ে থাকে যারা ক্বাবা'র পাশাপাশি আমেরিকাকে ভক্তি করতে জানে, যারা আল্লাহ্*কে ইলাহ বলে কিন্তু ট্রাম্পকেও প্রভু কাতারেই রাখে...ইন্নালিল্লাহ্!

    আর যারা বলেন لآ_اله_الا_الله এক আল্লাহ্* ছাড়া আর সব কিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম তারা তো মানুষ না তারা হলো জঙ্গি! আর জঙ্গিদের মারলে কারোই কিচ্ছু আসে যায়না। কেননা ইসলাম তো তথাকথিত শান্তির ধর্ম, মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী, চরমপন্থির কোনো স্থান ইসলামে নাই। কালিমা ৫ ওয়াক্ত সলাত, সিয়াম, হাজ্জ্ব, যাকাত এগুলা মানলেই যথেষ্ট! জিহাদ সেতো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য প্রযোজ্য ছিলো সেই যামানায়! তবে তোমাকে স্মরণ করিয়ে দেই তুমি কি আল্লাহ্*র কিছু বিধান মানো আর কিছু মানতে নারাজ? আল্লাহ্* বলেছেন-

    كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
    জিহাদকে তোমাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য রূপে অবধারিত করা হয়েছে এবং এটি তোমাদের নিকট অপ্রীতিকর; বস্ত্ততঃ তোমরা এমন বিষয়কে অপছন্দ করছ যা তোমাদের পক্ষে বাস্তবিকই মঙ্গলজনক, পক্ষান্তরে তোমরা এমন বিষয়কে পছন্দ করছ যা তোমাদের জন্য বাস্তবিকই অনিষ্টকর এবং আল্লাহই (তোমাদের ভাল-মন্দ) অবগত আছেন এবং তোমরা অবগত নও।[সুরা বাকারাঃ২১৬]

    আল্লাহ্* তো যেই কিতাবে অন্যান্য বিধান দিলেন, সেই একই কিতাবে জিহাদ করাও আমাদের জন্য ফরজ করে দিয়েছেন, এখনো কি আমাদের উপর জিহাদ ফরজে আইন হয়নি? তাহলে আর কবে হবে? কবে এই নিরিহ ভাই-বোনেরা একটু শান্তিতে বাঁচবে।

  • #2
    বারা ও জয়নব। দুই বোন। বয়স যথাক্রমে ৭ ও ১১ বছর। সিরিয়ার ডুমা শহরের অধিবাসী তারা। ঘর ছেড়েছে গত এপ্রিলে। এখন সিরিয়ার ইদলিব শহরে আশ্রয় নিয়েছে তাদের পরিবার।

    অবশ্য সরকারি বাহিনীর ব্যারেল বোমার আঘাতে তারা তাদের বাবাকে হারিয়েছে ২০১৬ এর অক্টোবরে। হাসপাতালে তাদের চোখের সামনে তাদের বাবার মৃত্যুর হয়। এমন বহু নির্মমতার সাক্ষী এ শিশুদ্বয়।

    পিতৃহীন নির্বাসিত তাদের জীবন সংগ্রাম, তাদের মৃত বাবা, মায়ের প্রচেষ্টা ও ভবিষ্যতের কথা উঠেছে এ সাক্ষাৎকারে।

    -ইদলিবে তোমাদের কেমন লাগছে?
    জয়নব : আমি এ শহরকে ভালোবাসি। এখানে কোনো সংঘাত ও বোমা নেই। আমরা আমাদের রুমে ঘুমাতে পারি এবং চাইলে খাবার পাই। পূর্বে আমরা ফল খেতে পারতাম না। এখানে তা পাচ্ছি।

    -ডুমার কোন জিনিস তোমাদের মনে পড়ে?
    বারা : আমি আমার বাবাকে মিস করি। তার চিন্তা কখনো মাথা থেকে দূর করতে পারি না। ঘুমের সময় বাবাকে বেশি মনে পড়ে। তিনি আমাকে তার বুকে জড়িয়ে ঘুমাতেন।

    জয়নব : আমার বাবাকে মিস করি। তিনি আমাদের চুমু খেয়ে আদর দিয়ে ঘুম পাড়াতেন। আমরা ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আমাদের সাথে খেলতেন। বাবা আমাদের অনেক যত্ন নিতেন এবং তিনি ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। তাকে আমার মনে পড়ে এবং পৃথিবীর কোনো কিছুই তার মতো হবে না।
    আমি আমার স্কুল ও শিক্ষকগণকেও খুব মিস করি। এমন আন্ডারগ্রাউন্ডের স্কুলটিও। যেখানে আমি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতাম।

    -ডুমায় তোমরা রমজান কিভাবে কাটাতে?
    বারা : মনে পড়ে আমরা যখন ঘরে ফিরতাম মা আমাদের জন্য খাবার প্রস্তুত করতেন। আর বাবা যখন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ইফতার ও প্রত্যেক নামাজের সময় তার আত্মার জন্য দোয়া করতাম।

    -এখানে তোমরা রমজানে কি কর?
    বারা : এখানে কোনো স্কুল নেই। সারা দিন মায়ের সঙ্গে কাটাই। ঘরের কাজে তাকে সাহায্য করি। কাজ শেষে মা আমাকে কুরআন শেখান। আমরা এক সঙ্গে দোয়া করি। দিনের কিছু সময় আমি ঘুমাই এবং রাস্তায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলি।

    -তোমরা কি পর্যাপ্ত পরিমাণ ইফতার পাও?
    বারা : এখানে সব কিছু পাওয়া যায়। আমার মা এখানে একটি এনজিও-তে কাজ করেন। তারা আমাদের খাবার সরবারহ। খুব বেশি পরিমাণ না। আমরা এক সামান্য পানি এবং নির্ধারিত পরিমাণ খাবার পাই। মা আমাকে সব সময় বলেন, এ খাবার ও পানীয়তেই সন্তুষ্ট থাকি।

    জয়নব : এখানে যে খাবার আমাদের সরবারহ করা হয় তা মন্দের ভালো। মা আমাদের বলেন, তোমরা সেসব মানুষের কথা ভাববে যারা ইফতারের জন্য এক টুকরো রুটিও পায় না। এখানের সবাই সবার দুর্বিষহ জীবন, পরিবার, স্বাস্থ্য ও জীবনের সমস্যাসমূহের জন্য দোয়া করে। আমরা আমাদের বাবার জান্নাত লাভের জন্য দোয়া করি।

    -ধর্ম বিশ্বাস তোমাদের কোনো সাহায্য করে?
    জয়নব : বর্তমানে আমরা যে অবস্থার মধ্যে রয়েছি তা আমাদের বিশ্বাসী হতে ও স্রষ্ট্রায় স্থাপন করতে সাহায্য করে। আমরা যে অবস্থাতেই থাকি না কেনো? যেমন আমার বাবা মারা গেছেন। যখন এমন কথা আমাদের মনে পড়ে, আমরা হতাশ হয়ে যাই, ভবিষ্যতের কথা মনে হয় আমরা অভিযোগ না করে ভাবি এসব হচ্ছে ভালোর জন্য। আল্লাহ আমাদের কল্যাণ চান। যা আমরা লাভ করবো।

    -ভবিষ্যতে তুমি কি
    বারা : আমি আশা করি একদিন বাবা আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। আমি আমার বন্ধুদের সাথে সুন্দর জীবন কাটাতে পারবো। আর লেখাপড়া করে আমি একজন অংকের শিক্ষক হবো। কারণ আমি গণিত ভালোবাসি।
    ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

    Comment


    • #3
      উপরের সাক্ষাৎ কারটি সিরিয়ার বাবা হারা দুইজন শিশুর
      ( গাজওয়া হিন্দের ট্রেনিং) https://dawahilallah.com/showthread.php?9883

      Comment


      • #4
        হে আল্লাহ তাদেরকে সহায়তা করার শক্তি আমাদের দাও,

        Comment


        • #5
          জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

          Comment


          • #6
            আল্লাহ তায়ালা সকল মাজলুম ওমাহ কে হেফাজত করুন আমিন

            Comment

            Working...
            X