[<<হৃদয় বিদাৱক রক্তে লিখিত একটি খোলা চিঠি>>]
গত ১০ই মে ২০০8ইং সনে ইরাকের কুখ্যাত আবুপারীব কারাগার থেকে … হৃদয়ের সমস্ত আবেগ অনুভূতি মিশিয়ে অত্যন্ত মর্মষ্পর্শী ভাষায় একটি চিঠি পাঠিয়েছে নূর নামের এক মুসলিম তরুণী ৷ বন্দী হওয়ার পর থেকে ঈঙ্গ মার্কিন আগ্ৰাসী বাহিনী তার উপর, তার ইজ্জতের উপর যে হৃদয় বিদারক লোমহর্ষক ও বর্বর নির্যাতন চালিয়েছেন তারই কিছু বিবরণ তিনি ঘুমিয়ে পড়া মুসলিম উম্মাহের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেছেনঃ তপ্ত খুনের কালিতে লেখা তার এ চিঠিখানা প্রথমে আল বসরা ওয়েব সইিটে আরবী ভাষায় প্রকাশিত হয়। এরপর এক এক করে প্রচারিত হতে থাকে আরব বিশ্বের বহুল প্রচারিত যিডিয়াগুলোতে ৷ পরবর্তীতে ইরাকী বোনের এ আবেগময় চিঠিখানা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয় ৷ এরই ধারাবাহিকতায় দৈনিক ইনবিল্পাব সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে প্রকাশ পায় এ চিঠি খানা। চিঠিখানা নিম্নরূপ !প্রিয় ভাই ও বোনেরাঃ আমি নূর ৷ বন্দী এক মুসলিম তরুণী ৷ নিরাপরাধ্ তোমাদের বোন রক্ত দিয়ে লিখেছে তার হৃদয়ের জমানাে ব্যাথা I প্রকাশ বরতে চাইছে তার বন্দী জীবনের নির্মম কাহিনী I কিত্তু কিভাবে শুরু করবে সে? কােন ভাষায় লিখবে তার কাহিনীমালা? কোথা থেকে তুলে ধরবে তার অসহায় জীবনের করুন চিত্র? কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখবে সে? তার বন্দী জীবনের এমন কোন সময় অতিবাহিত হচ্ছে না যা মর্মস্পর্শী নয় I প্রিয় ভাইগণ! কুখ্যাত আবুগারিব কারাগারে আমি এবং আমার মতো অন্যান্য মা-বােনের উপর যে অমানবিক নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে তা প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই l সেখানে আমাদের দুর্বল দেহের উপর যে কল্পনাতীত অত্যাচার ও নির্মম নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তা ব্যক্ত বলার মতো ক্ষমতাও আমার নেই I তোমরা শুধু এতটুকু জেনে রাখ যে আমাদের পবিত্র আঁচল ও মর্যাদার চাদর আজ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ৷ মানবরূপী হয়েনাদের হিংস্র থাবায় হায়েনাদের হিঃস্র"‘ \_/ থাবায় আমরা আজ ক্ষত…বিক্ষত I আমাদের রূহ আজ নির্জীব ৷ বন্দী হওয়ার পর থেকে এমন একটি রাতও অতিবাহিত হয়নি যে রাতে মানবতার ধ্বজাধারী আমেরিকার সাদা শয়তান গুলো আমাদের মতো অবলা-অসহায় দুর্বল নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েনি। আমরা আজ প্রতিবাদের ভষা ভুলে গেছি I ভুলে গেছি সুন্দর সুস্থ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্নের কথাও ৷ লুটেরারা আমাদের ইজ্জত লুষ্ঠন কারেছে ৷ সম্মান, সুনাম, সতীত্ব সব কিছু ধুলােয় মিশিয়ে দিয়েছে। আমাদের গৌরব আজ ভুলুষ্ঠিত, বেঁচে থাকার স্বপ্ন আজ সুদূর পরাহত ৷ মৃত্যুর জন্য আমরা বিলাপ করছি। হায়! মৃত্যু যে এখনো আসছে না।হে ভোরের স্লিগ্ধ সমীরণে বসবাস করী ভাইগণ! তোমরা যখন বিলাস বহুল জীবনে মজাদার থানায় মশগুল I তৃপ্তি দায়ক সুস্বাদু খাবার নিয়ে যখন তোমরা আনন্দে বিভাের, তখন তােমাদেরইঁ মা-বােন এক যুঠাে খাবারের জন্য অস্থির ৷তোমরা যখন বিভিন্ন প্রকার রঙ বে-রঙ্গের ঠান্ডা পানীয় দিয়ে পিপাসা মেটাতে ব্যস্ত তখন তোমাদের মা-বােন এক ফোটা পানি থেকেও বঞ্চিত ৷যখন তোমরা নরম তুলতুলে বাক ঝাকে আরাম দায়ক বিছানায় শায়িত তখন তােমদ্যর মা-বোন কংকরময় জযীনে মৃত্যুর অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ।তোমরা যখন নানাবিধ উৎসব আয়োজনে মত্ত, আনন্দে উংফুল্ল তখন তোমাদের মা-রোন বিরামহীন ভাবে বিসর্জা দিয়ে যাচ্ছে তপ্ত অশ্রুমালা I প্রিয় মুজাহিদ ভাইগণ! বন্দী শালায় আমরা এমন এক দুর্বিসহ চীবন যাপন করছি যা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারিনি I মানুষ যে মানুষের প্রতি এতটা নির্মম ও নিষ্ঠুর হতে পারে তা ইতি পূর্বে কখনোই আমাদের জানা ছিল না I তারা যখন আমাদের সযত্নে লালিত ইজ্জত হরণ করতে আসে, তখন তাদের পায়ে ধরে কতো কাকুতি মিনতি করি। জীবন দানের বিনিময়েও ইজ্জত রক্ষার আবেদন জানাই কিন্তু আমাদের আবেদন নিবেদন এই সব নৱপিচাশদের কর্ণকুহুরে মুহূর্তের জন্যেও প্রবেশ করেনা ৷ মুসলিম যুবক ভাইগণ! বন্দী শালায় আমরা পরস্পর জিগ্যেস করি আমাদের স্বজাতি বীর মুজাহিদরা কোথায়? কোথায় সেই সব বাহাদুর মুজাহিদরা?! যাদের একটি মাত্র বজ্র হুংকারে আবুগরীব কারাগারের নৌহ্ কপাট ভেঙ্হ চুরমার হয়ে যাবে।প্রিয় ভাইগণ! হয়ত জান না যে প্রতিদিন আমরা তোমাদের জন্য আমরা প্রতিদিন জিন্দানখানার অন্ধকারময় পরিবেশে জানালার ফাঁক দিয়ে চেয়ে চেয়ে অপেক্ষা করি আর বলি এইতো আমাদের ভাইয়েরা আসছে! এইতো তারা বলছে হে আমাদের মা ও বোনেরা! আজ থেকে আপনারা স্বাধীন চিরমুক্ত ৷ আপনাদেরকে বন্দী শলায় আটকে রাখার মতো ক্ষমতা কারো নেই I মুহতারাম তরুণ ভাইগণ! কোনো দিন এমন যায় না, যেদিন আমরা মরুভূমির তপ্ত পথে ভীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এই কথা বলি না যে, এইতো আসছে যুগের মুহাম্মদ বিন কাসিম I এইতাে আসছে খালেদ বিন ওয়ালিদ ও তারেক বিন জিয়াদেৱ সিংহ শার্দুলেরা ৷ কিন্তু না, আমাদের অপেক্ষা কেবল অপেক্ষাই থেকে যায় I অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না। দুঃখের দীর্ঘ রজনী আর পােহাতে চায় না। তখন মনের অজানতে তপ্ত নিঃশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসে এখনো হয়তো আমাদের মুসলিম মুজাহিদ ভাইদের আরামের নিদ্রা ভঙ্গ হয়নি I উপলব্ধি করতে পারেনি মুসলমান মা-বােনদের পাহাড় সম বিশল ও সাগর সম গভীর দুঃখ বেদনার কথা হায় আফসােস যদি তারা বুঝতাে! প্রিয় ভায়েরা! আমরা ইতিহাসে পড়েছিলাম রােমীয় সৈনিকরা এক আরবী বন্যার আঁচলে হাত দিয়েছিল, তখন সে শত শত মাইল দূর থেকে বাদশাহ মুতাসিম বিল্লাহকে সম্বোধন করে বলেছিল হে মু’তাসিম ! আরবের এক দুর্বল নারী নির্যাতিত হয়ে তোমার নিকট ফরিয়াদ জানাচ্ছে I তুমি এর বিচার কর I এ খবর পৌছল তৎকালীন বাগদাদের শাসক মু'তাসিম বিল্পাহর দরবারে, খবর শুনেই ক্রোধে ফেটে পড়লেন তিনি। সুতরাং আর দেরী নেই। সঙ্গে সঙ্গে সিৎহাসন থেকে নেমে একটি মাত্র মেয়েকে উদ্ধারের জন্য বিশাল বাহিনী নিয়ে অভিজান চালালেন এবং অপরাধের প্রতিশোধ ও প্রতিকার করে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছিলেন I … ভাইগণ! আমরা তো! ইতিহাসে এ কাহিনী বার বার পড়েছি I কিন্তু এ কাহিনী আমাদের মনে হলে অশ্রু বিসর্জন দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না I আজ হাজারো মা-বোনের ইজ্জত অব্রুহ লুণ্ঠিত হচ্ছে বে-'ঈমান কাফেরদের ও পাপিষ্টদের হাতে I তাদের আর্তনাদ আহাজারীতে অকােশ-বাতাস ভারি হয়ে আসছে।কিন্তু কেউ কি নেই এই আহাজারী শোনার? এই নির্মমতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার? হায় আফসোস! শত আফসোস! অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের আকুতি মিনতি শোনার ফুরসতটুকুও তোমাদের নেই।হে মুসলিম জাতি! সমস্ত মা-বােনদের পক্ষ থেকে শেষ বারের মতো তেমেদের করজাের নিবেদন করে বলছি তোমরা একটু সময় করে আমাদের বুক ফাটা চিৎকার গুলো শোন! আমাদের হৃদয়ের পুঞ্জিভুত বেদনা গুলো বুঝতে চেষ্টা করো ৷ তোমরা আমাদের মিনতি শুনে সাড়াে দাও। অন্তরেৱ ব্যকুলতা উপলব্ধি করো।আর শোন! আমাদের এ করুণ সংবাদ জানতে পেয়েও যদি তোমরা নিরব থাক, ৰাস্ততার কারনে আমাদের ফরিয়াদ শ্রবণ করার সময় যদি না পাও, তবে আল্লাহর ওয়াস্তে দেরী না করে আমাদের জন্য এক শিশি বিষ পাঠিয়ো দাও ৷ যা পান করে আমরা চিরতরে হারিয়ে যাব তোমাদের স্মৃতি থেকে ৷ ফলে কেউ তোমাদের বিরক্ত করবে না বার বার ৷ প্রিয় ভায়েরা আমার! আবারো বলছি আমাদের ইজ্জত আজ ভুণুণ্ঠিত। আমরা অাজ খােদদ্রোহী শয়তাননগুলোৱ সন্তান গর্ভে ধারন করে ঘুৱছি ৷ ঈমানী চেতনায় উদ্দীপ্ত নারী হয়ে প্রিয় নবী (না এর একান্ত অনুসারী হয়ে আমরা আমাদের পেটে তাদের সন্তান ধারণ করতে পারবো না। তাই আমাদের বিনীত নিবেদন হলো, তোমরা আমদেরর জন্য কিছু না করতে পারলেও দয়া করে একটু বিষ পাঠিয়ে দাও ৷ কারণ এই দুর্বিসহ্ জীবন নিয়ে বেঁচে থেকে কোন লাভ নেই।ইতিতোমাদের এক মুসলিম বোন নূর ৷(সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব ১০ ডিসেম্বার ২০০৪ইং)
গত ১০ই মে ২০০8ইং সনে ইরাকের কুখ্যাত আবুপারীব কারাগার থেকে … হৃদয়ের সমস্ত আবেগ অনুভূতি মিশিয়ে অত্যন্ত মর্মষ্পর্শী ভাষায় একটি চিঠি পাঠিয়েছে নূর নামের এক মুসলিম তরুণী ৷ বন্দী হওয়ার পর থেকে ঈঙ্গ মার্কিন আগ্ৰাসী বাহিনী তার উপর, তার ইজ্জতের উপর যে হৃদয় বিদারক লোমহর্ষক ও বর্বর নির্যাতন চালিয়েছেন তারই কিছু বিবরণ তিনি ঘুমিয়ে পড়া মুসলিম উম্মাহের উদ্দেশ্যে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেছেনঃ তপ্ত খুনের কালিতে লেখা তার এ চিঠিখানা প্রথমে আল বসরা ওয়েব সইিটে আরবী ভাষায় প্রকাশিত হয়। এরপর এক এক করে প্রচারিত হতে থাকে আরব বিশ্বের বহুল প্রচারিত যিডিয়াগুলোতে ৷ পরবর্তীতে ইরাকী বোনের এ আবেগময় চিঠিখানা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয় ৷ এরই ধারাবাহিকতায় দৈনিক ইনবিল্পাব সহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাতে প্রকাশ পায় এ চিঠি খানা। চিঠিখানা নিম্নরূপ !প্রিয় ভাই ও বোনেরাঃ আমি নূর ৷ বন্দী এক মুসলিম তরুণী ৷ নিরাপরাধ্ তোমাদের বোন রক্ত দিয়ে লিখেছে তার হৃদয়ের জমানাে ব্যাথা I প্রকাশ বরতে চাইছে তার বন্দী জীবনের নির্মম কাহিনী I কিত্তু কিভাবে শুরু করবে সে? কােন ভাষায় লিখবে তার কাহিনীমালা? কোথা থেকে তুলে ধরবে তার অসহায় জীবনের করুন চিত্র? কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখবে সে? তার বন্দী জীবনের এমন কোন সময় অতিবাহিত হচ্ছে না যা মর্মস্পর্শী নয় I প্রিয় ভাইগণ! কুখ্যাত আবুগারিব কারাগারে আমি এবং আমার মতো অন্যান্য মা-বােনের উপর যে অমানবিক নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হচ্ছে তা প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই l সেখানে আমাদের দুর্বল দেহের উপর যে কল্পনাতীত অত্যাচার ও নির্মম নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তা ব্যক্ত বলার মতো ক্ষমতাও আমার নেই I তোমরা শুধু এতটুকু জেনে রাখ যে আমাদের পবিত্র আঁচল ও মর্যাদার চাদর আজ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ৷ মানবরূপী হয়েনাদের হিংস্র থাবায় হায়েনাদের হিঃস্র"‘ \_/ থাবায় আমরা আজ ক্ষত…বিক্ষত I আমাদের রূহ আজ নির্জীব ৷ বন্দী হওয়ার পর থেকে এমন একটি রাতও অতিবাহিত হয়নি যে রাতে মানবতার ধ্বজাধারী আমেরিকার সাদা শয়তান গুলো আমাদের মতো অবলা-অসহায় দুর্বল নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েনি। আমরা আজ প্রতিবাদের ভষা ভুলে গেছি I ভুলে গেছি সুন্দর সুস্থ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্নের কথাও ৷ লুটেরারা আমাদের ইজ্জত লুষ্ঠন কারেছে ৷ সম্মান, সুনাম, সতীত্ব সব কিছু ধুলােয় মিশিয়ে দিয়েছে। আমাদের গৌরব আজ ভুলুষ্ঠিত, বেঁচে থাকার স্বপ্ন আজ সুদূর পরাহত ৷ মৃত্যুর জন্য আমরা বিলাপ করছি। হায়! মৃত্যু যে এখনো আসছে না।হে ভোরের স্লিগ্ধ সমীরণে বসবাস করী ভাইগণ! তোমরা যখন বিলাস বহুল জীবনে মজাদার থানায় মশগুল I তৃপ্তি দায়ক সুস্বাদু খাবার নিয়ে যখন তোমরা আনন্দে বিভাের, তখন তােমাদেরইঁ মা-বােন এক যুঠাে খাবারের জন্য অস্থির ৷তোমরা যখন বিভিন্ন প্রকার রঙ বে-রঙ্গের ঠান্ডা পানীয় দিয়ে পিপাসা মেটাতে ব্যস্ত তখন তোমাদের মা-বােন এক ফোটা পানি থেকেও বঞ্চিত ৷যখন তোমরা নরম তুলতুলে বাক ঝাকে আরাম দায়ক বিছানায় শায়িত তখন তােমদ্যর মা-বোন কংকরময় জযীনে মৃত্যুর অপেক্ষায় অপেক্ষমাণ।তোমরা যখন নানাবিধ উৎসব আয়োজনে মত্ত, আনন্দে উংফুল্ল তখন তোমাদের মা-রোন বিরামহীন ভাবে বিসর্জা দিয়ে যাচ্ছে তপ্ত অশ্রুমালা I প্রিয় মুজাহিদ ভাইগণ! বন্দী শালায় আমরা এমন এক দুর্বিসহ চীবন যাপন করছি যা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারিনি I মানুষ যে মানুষের প্রতি এতটা নির্মম ও নিষ্ঠুর হতে পারে তা ইতি পূর্বে কখনোই আমাদের জানা ছিল না I তারা যখন আমাদের সযত্নে লালিত ইজ্জত হরণ করতে আসে, তখন তাদের পায়ে ধরে কতো কাকুতি মিনতি করি। জীবন দানের বিনিময়েও ইজ্জত রক্ষার আবেদন জানাই কিন্তু আমাদের আবেদন নিবেদন এই সব নৱপিচাশদের কর্ণকুহুরে মুহূর্তের জন্যেও প্রবেশ করেনা ৷ মুসলিম যুবক ভাইগণ! বন্দী শালায় আমরা পরস্পর জিগ্যেস করি আমাদের স্বজাতি বীর মুজাহিদরা কোথায়? কোথায় সেই সব বাহাদুর মুজাহিদরা?! যাদের একটি মাত্র বজ্র হুংকারে আবুগরীব কারাগারের নৌহ্ কপাট ভেঙ্হ চুরমার হয়ে যাবে।প্রিয় ভাইগণ! হয়ত জান না যে প্রতিদিন আমরা তোমাদের জন্য আমরা প্রতিদিন জিন্দানখানার অন্ধকারময় পরিবেশে জানালার ফাঁক দিয়ে চেয়ে চেয়ে অপেক্ষা করি আর বলি এইতো আমাদের ভাইয়েরা আসছে! এইতো তারা বলছে হে আমাদের মা ও বোনেরা! আজ থেকে আপনারা স্বাধীন চিরমুক্ত ৷ আপনাদেরকে বন্দী শলায় আটকে রাখার মতো ক্ষমতা কারো নেই I মুহতারাম তরুণ ভাইগণ! কোনো দিন এমন যায় না, যেদিন আমরা মরুভূমির তপ্ত পথে ভীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে এই কথা বলি না যে, এইতো আসছে যুগের মুহাম্মদ বিন কাসিম I এইতাে আসছে খালেদ বিন ওয়ালিদ ও তারেক বিন জিয়াদেৱ সিংহ শার্দুলেরা ৷ কিন্তু না, আমাদের অপেক্ষা কেবল অপেক্ষাই থেকে যায় I অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না। দুঃখের দীর্ঘ রজনী আর পােহাতে চায় না। তখন মনের অজানতে তপ্ত নিঃশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসে এখনো হয়তো আমাদের মুসলিম মুজাহিদ ভাইদের আরামের নিদ্রা ভঙ্গ হয়নি I উপলব্ধি করতে পারেনি মুসলমান মা-বােনদের পাহাড় সম বিশল ও সাগর সম গভীর দুঃখ বেদনার কথা হায় আফসােস যদি তারা বুঝতাে! প্রিয় ভায়েরা! আমরা ইতিহাসে পড়েছিলাম রােমীয় সৈনিকরা এক আরবী বন্যার আঁচলে হাত দিয়েছিল, তখন সে শত শত মাইল দূর থেকে বাদশাহ মুতাসিম বিল্লাহকে সম্বোধন করে বলেছিল হে মু’তাসিম ! আরবের এক দুর্বল নারী নির্যাতিত হয়ে তোমার নিকট ফরিয়াদ জানাচ্ছে I তুমি এর বিচার কর I এ খবর পৌছল তৎকালীন বাগদাদের শাসক মু'তাসিম বিল্পাহর দরবারে, খবর শুনেই ক্রোধে ফেটে পড়লেন তিনি। সুতরাং আর দেরী নেই। সঙ্গে সঙ্গে সিৎহাসন থেকে নেমে একটি মাত্র মেয়েকে উদ্ধারের জন্য বিশাল বাহিনী নিয়ে অভিজান চালালেন এবং অপরাধের প্রতিশোধ ও প্রতিকার করে মেয়েটিকে উদ্ধার করেছিলেন I … ভাইগণ! আমরা তো! ইতিহাসে এ কাহিনী বার বার পড়েছি I কিন্তু এ কাহিনী আমাদের মনে হলে অশ্রু বিসর্জন দেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না I আজ হাজারো মা-বোনের ইজ্জত অব্রুহ লুণ্ঠিত হচ্ছে বে-'ঈমান কাফেরদের ও পাপিষ্টদের হাতে I তাদের আর্তনাদ আহাজারীতে অকােশ-বাতাস ভারি হয়ে আসছে।কিন্তু কেউ কি নেই এই আহাজারী শোনার? এই নির্মমতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়ার? হায় আফসোস! শত আফসোস! অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আমাদের আকুতি মিনতি শোনার ফুরসতটুকুও তোমাদের নেই।হে মুসলিম জাতি! সমস্ত মা-বােনদের পক্ষ থেকে শেষ বারের মতো তেমেদের করজাের নিবেদন করে বলছি তোমরা একটু সময় করে আমাদের বুক ফাটা চিৎকার গুলো শোন! আমাদের হৃদয়ের পুঞ্জিভুত বেদনা গুলো বুঝতে চেষ্টা করো ৷ তোমরা আমাদের মিনতি শুনে সাড়াে দাও। অন্তরেৱ ব্যকুলতা উপলব্ধি করো।আর শোন! আমাদের এ করুণ সংবাদ জানতে পেয়েও যদি তোমরা নিরব থাক, ৰাস্ততার কারনে আমাদের ফরিয়াদ শ্রবণ করার সময় যদি না পাও, তবে আল্লাহর ওয়াস্তে দেরী না করে আমাদের জন্য এক শিশি বিষ পাঠিয়ো দাও ৷ যা পান করে আমরা চিরতরে হারিয়ে যাব তোমাদের স্মৃতি থেকে ৷ ফলে কেউ তোমাদের বিরক্ত করবে না বার বার ৷ প্রিয় ভায়েরা আমার! আবারো বলছি আমাদের ইজ্জত আজ ভুণুণ্ঠিত। আমরা অাজ খােদদ্রোহী শয়তাননগুলোৱ সন্তান গর্ভে ধারন করে ঘুৱছি ৷ ঈমানী চেতনায় উদ্দীপ্ত নারী হয়ে প্রিয় নবী (না এর একান্ত অনুসারী হয়ে আমরা আমাদের পেটে তাদের সন্তান ধারণ করতে পারবো না। তাই আমাদের বিনীত নিবেদন হলো, তোমরা আমদেরর জন্য কিছু না করতে পারলেও দয়া করে একটু বিষ পাঠিয়ে দাও ৷ কারণ এই দুর্বিসহ্ জীবন নিয়ে বেঁচে থেকে কোন লাভ নেই।ইতিতোমাদের এক মুসলিম বোন নূর ৷(সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব ১০ ডিসেম্বার ২০০৪ইং)
Comment