বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
কারাগার থেকে প্রস্তুতির আহবান; এক বন্দী ভাইয়ের চিঠি
নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লিয়ালা রাসুলিহিল কারিম, আম্মা বা'দ-
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু!
আমার প্রিয় মুদলিম ভাইয়েরা! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন-
অর্থঃ কাফেরেরা চায় যে, তোমারা যদি কোনভাবে অস্ত্র থেকে অসতর্ক হয়ে যেতে , তাহলে তারা তোমাদের উপর একযোগে ঝাপিয়ে পড়তো। (সুরা নিসাঃ ১০২)
অতএব আমার ভাইয়েরা! আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এবং সর্বদা থাকতে হবে প্রস্তুত শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। কেননা ইসলামের দুশমনরা একটি মুহুর্তের জন্য বসে নেই। ইসলামের এই চরম দুশমনরা চলমান এই বৈশ্বিক দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায়ও আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের উপর সামান্যতম নমনীয় হয়নি। দেখায়নি বিন্দু পরিমাণও মানবিক আচরণ। শুধু তাই নয় আমার ভাইয়ের! তারা আমাদের বন্দী ভাই-বোনদের উপর এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও অত্যাচার ও নিপীড়ন কমায়নি; বরং বৃদ্ধি করে দিয়েছে। ইসলাম বিদ্বেষী এই তাগুত বাহিনী একটি মুহুর্তের জন্যও থামেনি আমাদের মুসলিম ভূমিগুলোতে হামলা চালাতে। তারা সামান্যতম কুন্ঠাবোধ করছেনা নিরপরাধ, নিষ্পাপ শিশুদেরকে বোমা মেরে হত্যা করতে।
সুতরা, হে আমার তাওহীদবাদী ভাইয়েরা! তাহলে আপনারা কিসের ভিত্তিতে এবং কোন অজুহাতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হতে বসে থাকবেন? কিংবা প্রস্তুতি গ্রহণে সামান্যতম অবহেলা করবেন?
প্রিয় ভাইয়েরা আমার! আপনাদের কি প্রয়োজনবোধ হয়না নিপীড়িত বন্দী ভাই-বোনদের তাগুতের বন্দিশালা হতে উদ্ধার করে আনতে? আপনাদের কি আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত হয়ে উঠেনা আল-কুদসের সম্মান ফিরিয়ে আনত? আপনাদের কি প্রতিশোধ স্পৃহা জাগ্রত হয়না মুসলিম মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি দেখে?
লজ্জায় দুচোখ বন্ধ হয়ে গেছে! কষ্টে কলিজা ফেটে আর্তনাদ বের হচ্ছে!! শরীরের প্রতিটি কোষে ও লোমকোপে কম্পন শুরু হয়ে গেছে!!! মন চাচ্ছে তাগুতের এই বন্দিশালার লৌহকপাট ভেঙে হামলে পড়ি মালাউন ভারতের উপর। তারা আমাদের মুসলিম মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করে চলেছ। তারা বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির তৈরি করেছ। তারা গোটা ভারতের মুসলমানদের উপর অন্যায় অজুহাতে নির্মমভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছে। তারা আমাদের কাশ্মীরী মুসলিম ভাই-বোনদের উপর পৃথিবীর বর্বরতম নিপীড়ন অধ্যায় রচনা করেছ।
কিন্তু হায় আফসো!! আমি বাস্তবতার কাছে পরাজিত হয়ে আছি। আমি যে চাইলেও বেরিয়ে আসতে পারছিনা। আমি যে এক বন্দী। কিন্তু আমার ভাইয়ের! আপনারা তো এমন নন। তাহলে কেন এত দেরী?
ইতি-
তাগুতের কারাগারে বন্দী আপনাদের এক মুসলিম ভাই-
৩০ শে রমাদান ১৪৪১ হিজরি [/center]
কারাগার থেকে প্রস্তুতির আহবান; এক বন্দী ভাইয়ের চিঠি
নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লিয়ালা রাসুলিহিল কারিম, আম্মা বা'দ-
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু!
আমার প্রিয় মুদলিম ভাইয়েরা! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন-
অর্থঃ কাফেরেরা চায় যে, তোমারা যদি কোনভাবে অস্ত্র থেকে অসতর্ক হয়ে যেতে , তাহলে তারা তোমাদের উপর একযোগে ঝাপিয়ে পড়তো। (সুরা নিসাঃ ১০২)
অতএব আমার ভাইয়েরা! আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এবং সর্বদা থাকতে হবে প্রস্তুত শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। কেননা ইসলামের দুশমনরা একটি মুহুর্তের জন্য বসে নেই। ইসলামের এই চরম দুশমনরা চলমান এই বৈশ্বিক দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায়ও আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের উপর সামান্যতম নমনীয় হয়নি। দেখায়নি বিন্দু পরিমাণও মানবিক আচরণ। শুধু তাই নয় আমার ভাইয়ের! তারা আমাদের বন্দী ভাই-বোনদের উপর এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও অত্যাচার ও নিপীড়ন কমায়নি; বরং বৃদ্ধি করে দিয়েছে। ইসলাম বিদ্বেষী এই তাগুত বাহিনী একটি মুহুর্তের জন্যও থামেনি আমাদের মুসলিম ভূমিগুলোতে হামলা চালাতে। তারা সামান্যতম কুন্ঠাবোধ করছেনা নিরপরাধ, নিষ্পাপ শিশুদেরকে বোমা মেরে হত্যা করতে।
সুতরা, হে আমার তাওহীদবাদী ভাইয়েরা! তাহলে আপনারা কিসের ভিত্তিতে এবং কোন অজুহাতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হতে বসে থাকবেন? কিংবা প্রস্তুতি গ্রহণে সামান্যতম অবহেলা করবেন?
প্রিয় ভাইয়েরা আমার! আপনাদের কি প্রয়োজনবোধ হয়না নিপীড়িত বন্দী ভাই-বোনদের তাগুতের বন্দিশালা হতে উদ্ধার করে আনতে? আপনাদের কি আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত হয়ে উঠেনা আল-কুদসের সম্মান ফিরিয়ে আনত? আপনাদের কি প্রতিশোধ স্পৃহা জাগ্রত হয়না মুসলিম মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি দেখে?
লজ্জায় দুচোখ বন্ধ হয়ে গেছে! কষ্টে কলিজা ফেটে আর্তনাদ বের হচ্ছে!! শরীরের প্রতিটি কোষে ও লোমকোপে কম্পন শুরু হয়ে গেছে!!! মন চাচ্ছে তাগুতের এই বন্দিশালার লৌহকপাট ভেঙে হামলে পড়ি মালাউন ভারতের উপর। তারা আমাদের মুসলিম মা-বোনদের সম্ভ্রম নষ্ট করে চলেছ। তারা বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির তৈরি করেছ। তারা গোটা ভারতের মুসলমানদের উপর অন্যায় অজুহাতে নির্মমভাবে অত্যাচার করে যাচ্ছে। তারা আমাদের কাশ্মীরী মুসলিম ভাই-বোনদের উপর পৃথিবীর বর্বরতম নিপীড়ন অধ্যায় রচনা করেছ।
কিন্তু হায় আফসো!! আমি বাস্তবতার কাছে পরাজিত হয়ে আছি। আমি যে চাইলেও বেরিয়ে আসতে পারছিনা। আমি যে এক বন্দী। কিন্তু আমার ভাইয়ের! আপনারা তো এমন নন। তাহলে কেন এত দেরী?
ইতি-
তাগুতের কারাগারে বন্দী আপনাদের এক মুসলিম ভাই-
৩০ শে রমাদান ১৪৪১ হিজরি [/center]
Comment