যাকে দুনিয়ার দোযখও বলা হয়ে থাকে। এই বন্দীশালার রিভিউগুলো খুবই মারাত্মক।সাজার কোনো সীমারেখা বলে কিছুই নেই। অনেক সময় নিরপরাধ হওয়া সত্বেও বন্দী হতে হয়।ভোগ করতে হয় সাজা। মাঝে মাঝে এর নির্যাতনের সংবাদসমূহ উঠে আসে কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে।বলছি কিউবার গুয়ান্তানামো উপসাগরে অবস্থিত মার্কিন বন্দী শিবিরের কথা।
সংক্ষিপ্ত আকারে এর ইতিহাস এবং চলমান প্রকৃয়া তুলে আনার চেষ্টা করব।ইনঁশাআল্লাহ
একবিংশ শতাব্দীর মানবতার ধ্বজাধারী রোল মডেল আমেরিকার এহেন পাশবিক আর অন্ধকার দিক সমূহ যখন চাপা পড়ে যায় তখন মুসলিমদের ব্যাক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই হয়। কারণ গুয়ান্তানামোর মূল টার্গেট হলো রেডিক্যাল মুসলিমরা।তথাকথিত সন্ত্রাসী যাকে বলে আরকি। এ ধরণের বন্দী শিবিরের অস্তিত্ব পূর্বেও ছিলো।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়কার কথা। এসময় হিটলার কর্তৃক ইহুদী বন্দীদের পোল্যান্ডের অসউইচ শিবিরে নির্যাতন করা হতো। জোসেফ স্ট্যানলির নির্দেশে জনমানবহীন সাইবেরিয়ান অঞ্চলে সোভিয়েত গোয়িন্দাদের (গুলাগ) দ্বারা এমন প্রায় ৫০০র মতো বন্দিশিবির পরিচালিত হতো।ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর চলতো নির্যাতনের স্টিমরোলার। পরে অবশ্য প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়। এবং সব বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর, ২০০১ সালের সেই ঐতিহাসিক ঘটনার পর থেকেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে শুরু করে মার্কিনীদের। সেই জ্বর এখন অব্দি বিদ্যমান। দিনকে দিন আমেরিকার স্বাস্থ্য অবনতির দিকে যাচ্ছে। শরীরের ইমিউন সিস্টেম সম্পুর্ণরুপে ডেমেজ।আর অল্প হায়াত বাকি।
তো মূল কথায় ফিরে আসা যাক, উক্ত হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিস্তার এতোটাই ছিলো যে, তখন তারা উপায় অন্তর না পেয়ে কি করলো? অবৈধ এক বন্দী শিবির খুলে বসলো।যেখানে হরহামেশাই অমানবিকতা আর পাশবিকতার ছড়াছড়ি।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার(তথাকথিত মানবাধিকার আরকি) সংস্থা 'অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল' গুয়ান্তানামো বন্দীশিবিরকে একালের 'গুলাগ' বন্দীশিবির হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ২০০৫ সালের ২৫শে মে প্রকাশিত 'গুয়ান্তানামো গুলাগ অব আওয়ার টাইম' শিরোনামে অ্যামনেস্টির বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়- 'যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের নামে মানবাধিকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে' ।
লন্ডনের দ্যা গার্ডিয়ানেও অনুরূপ ভাষায় গুয়ান্তানামো বন্দীশিবির সমালোচনা করা হয়। ২০০৭ সালের ১২ই জানুয়ারী প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, গুয়ান্তানামোতে বন্দী নির্যাতনের ঘটনা অত্যন্ত ভয়াবহ।
জাতিসংঘ রিপোর্টে একই ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৬ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী। বার্তাসংস্থা এপি জানায়, জাতিসংঘের ৫৪ পৃষ্ঠার এক রিপোর্টে এটিকে একটি মার্কিন বন্দীশিবির হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয়-যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এসব বন্দীশিবির বন্ধ করে দিতে হবে।
(NOTE: কেউ আবার ভেবে বসবেন না যে জাতিসংঘ বা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিংবা দ্যা গার্ডিয়ানের মতো মিডিয়াতে এসব বন্দীশিবিরের নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিউজ কাভার হলো। বাহ, তাইলে এরা আমেরিকার কৃত অন্যায়ের বিরুদ্ধে সজাগ।
আরে ভাই, ভিতরে যত মনোমালিন্য আর ক্ষোভ থাকুক না কেনো, ইহুদী খ্রিস্টান সকলেই মুসলিম নিধনের বেলায় এক।তাইলে উপরে বর্ণিত প্রেক্ষাপটে উল্টো ব্যাপার ঘটলো কেনো?
কারণ এটাই হলো এন্টিমুসলিমপলিটিক্স।
বুঝলেন না?
বুঝিয়ে বলছি।
গুয়ান্তানামোতে শুধু মাত্র তথাকথিত জঙ্গি আর সন্ত্রাসীদেরই ধরে আনা হচ্ছে। যেই সন্ত্রাসীরা আল্লাহর জামিনে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান কায়েম করার ক্ষেত্রে নবী প্রদত্ত মূলনীতিকেই একমাত্র মাধ্যম হিসেবে গণ্য করছে শুধু বেঁচে বেঁচে তাদেরই গুয়ান্তানামোতে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। যেগুলো মিডিয়ার বদৌলতে পৃথিবীর সব প্রান্তুের মুসলিমরা দেখছে।
যেহেতু মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, গুয়ান্তানামোতে যে সকল তথাকথিত সন্ত্রাসীরা বন্দী তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চলছে,সেহেতু প্রথিবীর বাকি মিষ্টি খাওয়া মুসলিমরা সেগুলো দেখে ভয়ে কুপোকাত হয়ে যাচ্ছে।
তাদের সাব-কনশাস মাইন্ড ধরেই নিচ্ছে, আমেরিকার বিরুদ্ধে যাওয়া মানেই সন্ত্রাসী আর সন্ত্রাসী মানেই গুয়ান্তানামো আর গুয়ান্তানামো মানেই পাশবিক নির্যাতন।
তাই এসব যুদ্ধ জেহাদ করেই কি লাভ? আমিতো ঠিক মতো নামাজ পড়তে পাড়ছি এতেই অনেক।
এটাই হলো এন্টিমুসলিম পলিটিক্স।
যাকে বলে চোখের সামনে মুলা ঝুলিয়ে কার্য আদায় করে নেওয়া।)
লিখাটা বেশী বড় হয়ে যাচ্ছে।তাই সামনের পর্বে গুছিয়ে আনতে চেষ্টা করবো।
গুয়ান্তানামো বন্দীশিবিরঃ শুরুর পর্ব।
✒️ Huzaifa Ibn Al-Yaman
সংক্ষিপ্ত আকারে এর ইতিহাস এবং চলমান প্রকৃয়া তুলে আনার চেষ্টা করব।ইনঁশাআল্লাহ
একবিংশ শতাব্দীর মানবতার ধ্বজাধারী রোল মডেল আমেরিকার এহেন পাশবিক আর অন্ধকার দিক সমূহ যখন চাপা পড়ে যায় তখন মুসলিমদের ব্যাক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই হয়। কারণ গুয়ান্তানামোর মূল টার্গেট হলো রেডিক্যাল মুসলিমরা।তথাকথিত সন্ত্রাসী যাকে বলে আরকি। এ ধরণের বন্দী শিবিরের অস্তিত্ব পূর্বেও ছিলো।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়কার কথা। এসময় হিটলার কর্তৃক ইহুদী বন্দীদের পোল্যান্ডের অসউইচ শিবিরে নির্যাতন করা হতো। জোসেফ স্ট্যানলির নির্দেশে জনমানবহীন সাইবেরিয়ান অঞ্চলে সোভিয়েত গোয়িন্দাদের (গুলাগ) দ্বারা এমন প্রায় ৫০০র মতো বন্দিশিবির পরিচালিত হতো।ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপর চলতো নির্যাতনের স্টিমরোলার। পরে অবশ্য প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়। এবং সব বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর, ২০০১ সালের সেই ঐতিহাসিক ঘটনার পর থেকেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসতে শুরু করে মার্কিনীদের। সেই জ্বর এখন অব্দি বিদ্যমান। দিনকে দিন আমেরিকার স্বাস্থ্য অবনতির দিকে যাচ্ছে। শরীরের ইমিউন সিস্টেম সম্পুর্ণরুপে ডেমেজ।আর অল্প হায়াত বাকি।
তো মূল কথায় ফিরে আসা যাক, উক্ত হামলার ক্ষয়ক্ষতির বিস্তার এতোটাই ছিলো যে, তখন তারা উপায় অন্তর না পেয়ে কি করলো? অবৈধ এক বন্দী শিবির খুলে বসলো।যেখানে হরহামেশাই অমানবিকতা আর পাশবিকতার ছড়াছড়ি।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার(তথাকথিত মানবাধিকার আরকি) সংস্থা 'অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল' গুয়ান্তানামো বন্দীশিবিরকে একালের 'গুলাগ' বন্দীশিবির হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ২০০৫ সালের ২৫শে মে প্রকাশিত 'গুয়ান্তানামো গুলাগ অব আওয়ার টাইম' শিরোনামে অ্যামনেস্টির বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়- 'যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের নামে মানবাধিকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে' ।
লন্ডনের দ্যা গার্ডিয়ানেও অনুরূপ ভাষায় গুয়ান্তানামো বন্দীশিবির সমালোচনা করা হয়। ২০০৭ সালের ১২ই জানুয়ারী প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, গুয়ান্তানামোতে বন্দী নির্যাতনের ঘটনা অত্যন্ত ভয়াবহ।
জাতিসংঘ রিপোর্টে একই ধরণের অভিযোগ করা হয়েছে, ২০০৬ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারী। বার্তাসংস্থা এপি জানায়, জাতিসংঘের ৫৪ পৃষ্ঠার এক রিপোর্টে এটিকে একটি মার্কিন বন্দীশিবির হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয়-যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই এসব বন্দীশিবির বন্ধ করে দিতে হবে।
(NOTE: কেউ আবার ভেবে বসবেন না যে জাতিসংঘ বা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কিংবা দ্যা গার্ডিয়ানের মতো মিডিয়াতে এসব বন্দীশিবিরের নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিউজ কাভার হলো। বাহ, তাইলে এরা আমেরিকার কৃত অন্যায়ের বিরুদ্ধে সজাগ।
আরে ভাই, ভিতরে যত মনোমালিন্য আর ক্ষোভ থাকুক না কেনো, ইহুদী খ্রিস্টান সকলেই মুসলিম নিধনের বেলায় এক।তাইলে উপরে বর্ণিত প্রেক্ষাপটে উল্টো ব্যাপার ঘটলো কেনো?
কারণ এটাই হলো এন্টিমুসলিমপলিটিক্স।
বুঝলেন না?
বুঝিয়ে বলছি।
গুয়ান্তানামোতে শুধু মাত্র তথাকথিত জঙ্গি আর সন্ত্রাসীদেরই ধরে আনা হচ্ছে। যেই সন্ত্রাসীরা আল্লাহর জামিনে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান কায়েম করার ক্ষেত্রে নবী প্রদত্ত মূলনীতিকেই একমাত্র মাধ্যম হিসেবে গণ্য করছে শুধু বেঁচে বেঁচে তাদেরই গুয়ান্তানামোতে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। যেগুলো মিডিয়ার বদৌলতে পৃথিবীর সব প্রান্তুের মুসলিমরা দেখছে।
যেহেতু মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, গুয়ান্তানামোতে যে সকল তথাকথিত সন্ত্রাসীরা বন্দী তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চলছে,সেহেতু প্রথিবীর বাকি মিষ্টি খাওয়া মুসলিমরা সেগুলো দেখে ভয়ে কুপোকাত হয়ে যাচ্ছে।
তাদের সাব-কনশাস মাইন্ড ধরেই নিচ্ছে, আমেরিকার বিরুদ্ধে যাওয়া মানেই সন্ত্রাসী আর সন্ত্রাসী মানেই গুয়ান্তানামো আর গুয়ান্তানামো মানেই পাশবিক নির্যাতন।
তাই এসব যুদ্ধ জেহাদ করেই কি লাভ? আমিতো ঠিক মতো নামাজ পড়তে পাড়ছি এতেই অনেক।
এটাই হলো এন্টিমুসলিম পলিটিক্স।
যাকে বলে চোখের সামনে মুলা ঝুলিয়ে কার্য আদায় করে নেওয়া।)
লিখাটা বেশী বড় হয়ে যাচ্ছে।তাই সামনের পর্বে গুছিয়ে আনতে চেষ্টা করবো।
গুয়ান্তানামো বন্দীশিবিরঃ শুরুর পর্ব।
✒️ Huzaifa Ibn Al-Yaman
Comment