গুয়ান্তানামো বন্দীশিবির- শেষ পর্ব।
ওবামা থেকে বাইডেন সকলেই গুয়ান্তানামো বন্দীশিবির বন্ধের কথা বলে ডাক ফেললেও এখন পর্যন্ত সেই অমানবিক কার্যক্রম বন্ধের কোনো চিহ্ণও নেই।
পাশবিকতা আর নিষ্ঠুরতার ও কিছু সীমা থাকে। গুয়ান্তানামোতে নরপশুরা সেই সীমারেখাকেও স্বীকার করে না।
সেখানকার আটককৃতরা আত্মহত্যা করতে চায় । আত্মহত্যা করতে চাইলেও সফল হতে দেয়া হয় না । বরং নির্যাতন জিইয়ে রাখা হয় । তারপরও এ পর্যন্ত অনেকেই আত্মহত্যা করেছে । সেখানে মুসলিমদের উপর চরম নির্যাতন করা হয় । তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয় ।
২০০৭ সালের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয় , কুরআন পাঠ করার কারণে একজন বন্দীর মাথা টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয় । ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য আরেকজনকে নির্যাতন করা হয় এবং ক্যাথলিক পুরোহিত সেজে একজন সৈন্য তাকে খৃষ্টধর্মের দীক্ষা দেয় ।এফবিআইর এজেন্টরা গুয়ান্তানামো বন্দী - নির্যাতনের এ ধরনের বহু ঘটনা রেকর্ড করেছে ।
সেখানে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ আল - কুরআনের অবমাননার ঘটনাও ঘটেছে । ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল টাইম ম্যাগাজিনের এক রিপোর্টে বলা হয় , গুয়ান্তানামোতে এক্স - রে ক্যাম্পে এক মার্কিন সৈন্য এক বন্দী থেকে পবিত্র কুরআনের কপি কেড়ে নিয়ে টয়লেটে নিক্ষেপ করেছে । ( নাউজুবিল্লাহ )
অন্য এক রিপোর্টে ২০০৫ সালের ৪ জুন মার্কিন বাহিনীর কুরআন অবমাননার ঘটনা স্বীকার করা হয় । রিপোর্টে বলা হয় , এক মার্কিন সৈন্য পবিত্র কুরআনে লাথি মারে এবং অন্য এক তদন্তকারী কুরআনের উপর পা রাখে । আরেক মার্কিন তদন্তকারী পবিত্র কুরআনের উপর প্রস্রাব করে দেয় ( নাউযুবিল্লাহ ) । এছাড়া কুরআনের কভারে ‘ আল্লাহ ’ শব্দের স্থলে দুই অক্ষরে একটি অশ্লীল শব্দ লিখে রাখা হয় ।
রেডক্রসের মুখপাত্র সাইমন সোমো নিশ্চিত করেন যে , ক্যাম্পে মার্কিন সৈন্যরা কুরআনের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করেছে । টিপটিন থ্রি বন্দীরা জানায় যে , তাদেরকে উপর্যুপরী পেটানো হত এবং দীর্ঘ সময় শৃংখলিত করে রাখা হতো । তাদেরকে রাতে ঘুমাতে দেয়া হতো না । প্রচণ্ড গরম ও অসহ্যকর ঠাণ্ডায় ফেলে রাখা হতো । কখনো কখনো যৌন নির্যাতন চালানো হতো , হত্যার হুমকি দেয়া হতো । প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে ভয় দেখানো হতো । দাড়ি কামিয়ে ফেলতে বাধ্য করা হতো ।
৫ জন ব্রিটিশ বন্দী জানান , সেখানে বন্দীদের যৌন নির্যাতন করা হতো । এসব মুসলিম বন্দীর মাথায় মস্তকাবরণ পরিয়ে কুরআন অবমাননাকর দৃশ্য দেখতে বাধ্য করা হতো ।
রেডক্রসের এক রিপোর্টে বলা হয় যে , গুয়ান্তানামোয় বন্দীদের উপর এত নির্যাতন চালানো হয়েছে যে , তারা অনেকেই পাগল হয়ে গেছে । চরম নির্যাতন সত্ত্বেও বন্দীরা মৃত্যুভয়ে ভীত নয় । কারণ , সেই নির্যাতনের চেয়ে মৃত্যু তাদের কাছে ভালো মনে হয় ।
পৃথিবীর সকল কোনায় যতো বন্দী ভাই আছে, আল্লাহ সকলের মুক্তি তরান্বিত করুন।
✒️Huzaif Ibn Al-Yaman
ওবামা থেকে বাইডেন সকলেই গুয়ান্তানামো বন্দীশিবির বন্ধের কথা বলে ডাক ফেললেও এখন পর্যন্ত সেই অমানবিক কার্যক্রম বন্ধের কোনো চিহ্ণও নেই।
পাশবিকতা আর নিষ্ঠুরতার ও কিছু সীমা থাকে। গুয়ান্তানামোতে নরপশুরা সেই সীমারেখাকেও স্বীকার করে না।
সেখানকার আটককৃতরা আত্মহত্যা করতে চায় । আত্মহত্যা করতে চাইলেও সফল হতে দেয়া হয় না । বরং নির্যাতন জিইয়ে রাখা হয় । তারপরও এ পর্যন্ত অনেকেই আত্মহত্যা করেছে । সেখানে মুসলিমদের উপর চরম নির্যাতন করা হয় । তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হয় ।
২০০৭ সালের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয় , কুরআন পাঠ করার কারণে একজন বন্দীর মাথা টেপ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয় । ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য আরেকজনকে নির্যাতন করা হয় এবং ক্যাথলিক পুরোহিত সেজে একজন সৈন্য তাকে খৃষ্টধর্মের দীক্ষা দেয় ।এফবিআইর এজেন্টরা গুয়ান্তানামো বন্দী - নির্যাতনের এ ধরনের বহু ঘটনা রেকর্ড করেছে ।
সেখানে মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ আল - কুরআনের অবমাননার ঘটনাও ঘটেছে । ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল টাইম ম্যাগাজিনের এক রিপোর্টে বলা হয় , গুয়ান্তানামোতে এক্স - রে ক্যাম্পে এক মার্কিন সৈন্য এক বন্দী থেকে পবিত্র কুরআনের কপি কেড়ে নিয়ে টয়লেটে নিক্ষেপ করেছে । ( নাউজুবিল্লাহ )
অন্য এক রিপোর্টে ২০০৫ সালের ৪ জুন মার্কিন বাহিনীর কুরআন অবমাননার ঘটনা স্বীকার করা হয় । রিপোর্টে বলা হয় , এক মার্কিন সৈন্য পবিত্র কুরআনে লাথি মারে এবং অন্য এক তদন্তকারী কুরআনের উপর পা রাখে । আরেক মার্কিন তদন্তকারী পবিত্র কুরআনের উপর প্রস্রাব করে দেয় ( নাউযুবিল্লাহ ) । এছাড়া কুরআনের কভারে ‘ আল্লাহ ’ শব্দের স্থলে দুই অক্ষরে একটি অশ্লীল শব্দ লিখে রাখা হয় ।
রেডক্রসের মুখপাত্র সাইমন সোমো নিশ্চিত করেন যে , ক্যাম্পে মার্কিন সৈন্যরা কুরআনের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করেছে । টিপটিন থ্রি বন্দীরা জানায় যে , তাদেরকে উপর্যুপরী পেটানো হত এবং দীর্ঘ সময় শৃংখলিত করে রাখা হতো । তাদেরকে রাতে ঘুমাতে দেয়া হতো না । প্রচণ্ড গরম ও অসহ্যকর ঠাণ্ডায় ফেলে রাখা হতো । কখনো কখনো যৌন নির্যাতন চালানো হতো , হত্যার হুমকি দেয়া হতো । প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর দিয়ে ভয় দেখানো হতো । দাড়ি কামিয়ে ফেলতে বাধ্য করা হতো ।
৫ জন ব্রিটিশ বন্দী জানান , সেখানে বন্দীদের যৌন নির্যাতন করা হতো । এসব মুসলিম বন্দীর মাথায় মস্তকাবরণ পরিয়ে কুরআন অবমাননাকর দৃশ্য দেখতে বাধ্য করা হতো ।
রেডক্রসের এক রিপোর্টে বলা হয় যে , গুয়ান্তানামোয় বন্দীদের উপর এত নির্যাতন চালানো হয়েছে যে , তারা অনেকেই পাগল হয়ে গেছে । চরম নির্যাতন সত্ত্বেও বন্দীরা মৃত্যুভয়ে ভীত নয় । কারণ , সেই নির্যাতনের চেয়ে মৃত্যু তাদের কাছে ভালো মনে হয় ।
পৃথিবীর সকল কোনায় যতো বন্দী ভাই আছে, আল্লাহ সকলের মুক্তি তরান্বিত করুন।
✒️Huzaif Ibn Al-Yaman
Comment