মাওলানা দিলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেব ১৯৯৬ সালে যখন পার্লামেন্টে আসেন তখন মাদক-বিরোধী একটি বিল উত্থাপন করেন। তথাকথিত বৈধপথে মাদক আমদানী, রপ্তানি, সরবরাহ সব নিষিদ্ধ করা হবে।
মজার ব্যাপার হলো বিল উত্থাপন করার পর দুই বছর চলে গেল কোন খবর নাই।। পরে তিনি রিকল করলে একটি মিটিং ডাকা হল।
মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অন্তত ৫০ জন সংসদ সদস্য এবং এমপি-মন্ত্রী।
শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, যদি আমাদের দেশে যদি আমরা মদ একেবারে নিষিদ্ধ করি তাহলে ২৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে যাব।
তারপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, বিদেশ থেকে আমাদের অতিথিরা আসেন বিভিন্ন সাহায্য নিয়ে। উনাদেরকে আমরা বিভিন্ন ধরনের পানীয়(মদ) যেটা ওনারা পছন্দ করেন সেবন করি। কিন্তু মাদক নিষিদ্ধ হলে এই রেওয়াজ বন্ধ হবে। ফলে উনারা যদি অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যান তাহলে বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে বললেন, মদ যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে আমাদের দেশের হাজার হাজার লোক এবং উপজাতির লোকের(যারা মাদক সেবনে অভ্যস্ত) অবস্থা খুবই খারাপ হবে তারা উশৃঙ্খলতা শুরু করবে। সারাদেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি হবে।
এভাবে ধর্মমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, বহু মন্ত্রী তাদের সকল বক্তব্য দিতে দিলেন মাদকের পক্ষে।
সর্বশেষ দাঁড়ালেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সাহেব। তিনি বললেন, আমাদের দেশে বহু ধর্মের মানুষ। আছে আমাদের জন্য যেটা হালাল তাদের জন্য সেটা হারাম, আমাদের জন্য যেটা হারাম তাদের জন্য সেটা হালাল। কাজেই এদেশে মাদক নিষিদ্ধ করার অর্থই হচ্ছে সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম চাপিয়ে দেওয়া আর সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম করাকে ইসলামে চরমভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং এরকম কোন আইন করার অর্থ হচ্ছে ইসলামকে অন্যান্যদের কাছে বেইজ্জতি করা। নাউজুবিল্লাহ
(বাস্তব ঘটনা, সাঈদী সাহেবের বক্তব্য থেকে স্ক্রিপ্ট করা)
এই হচ্ছে খোদাদ্রোহী পার্লামেন্ট। আপনারা যারা মনে করছেন পার্লামেন্টে গিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন শিক্ষা গ্রহণ করুন। মনে করছেন কি ২০৯০ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে ক্ষমতায় যাবেন? ধরা যাক কাল্পনিকভাবে গেলেন এরপর? যখন সংবিধান বিরোধী কাজ তথা ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা শুরু করবেন তখন সংবিধানের নীতি অনুসারেই আর্মি আপনাদের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিবে। আপনাদের ওপর ক্রাকডাউন চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের তকমা লাগিয়ে, কাউকে ফাঁসি দিয়ে, হত্যা, গুম করে আপনাদের সকল পাওয়ার ধূলায় মিশিয়ে। দেবে যা করেছে জামাতে ইসলামীকে।
তবে বসে থাকুন আপনাদেরকে তো যেতেই দেওয়া হবে না।
মজার ব্যাপার হলো বিল উত্থাপন করার পর দুই বছর চলে গেল কোন খবর নাই।। পরে তিনি রিকল করলে একটি মিটিং ডাকা হল।
মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অন্তত ৫০ জন সংসদ সদস্য এবং এমপি-মন্ত্রী।
শুরুতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, যদি আমাদের দেশে যদি আমরা মদ একেবারে নিষিদ্ধ করি তাহলে ২৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে যাব।
তারপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, বিদেশ থেকে আমাদের অতিথিরা আসেন বিভিন্ন সাহায্য নিয়ে। উনাদেরকে আমরা বিভিন্ন ধরনের পানীয়(মদ) যেটা ওনারা পছন্দ করেন সেবন করি। কিন্তু মাদক নিষিদ্ধ হলে এই রেওয়াজ বন্ধ হবে। ফলে উনারা যদি অসন্তুষ্ট হয়ে ফিরে যান তাহলে বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে বললেন, মদ যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে আমাদের দেশের হাজার হাজার লোক এবং উপজাতির লোকের(যারা মাদক সেবনে অভ্যস্ত) অবস্থা খুবই খারাপ হবে তারা উশৃঙ্খলতা শুরু করবে। সারাদেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি হবে।
এভাবে ধর্মমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, বহু মন্ত্রী তাদের সকল বক্তব্য দিতে দিলেন মাদকের পক্ষে।
সর্বশেষ দাঁড়ালেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সাহেব। তিনি বললেন, আমাদের দেশে বহু ধর্মের মানুষ। আছে আমাদের জন্য যেটা হালাল তাদের জন্য সেটা হারাম, আমাদের জন্য যেটা হারাম তাদের জন্য সেটা হালাল। কাজেই এদেশে মাদক নিষিদ্ধ করার অর্থই হচ্ছে সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম চাপিয়ে দেওয়া আর সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম করাকে ইসলামে চরমভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুতরাং এরকম কোন আইন করার অর্থ হচ্ছে ইসলামকে অন্যান্যদের কাছে বেইজ্জতি করা। নাউজুবিল্লাহ
(বাস্তব ঘটনা, সাঈদী সাহেবের বক্তব্য থেকে স্ক্রিপ্ট করা)
এই হচ্ছে খোদাদ্রোহী পার্লামেন্ট। আপনারা যারা মনে করছেন পার্লামেন্টে গিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন শিক্ষা গ্রহণ করুন। মনে করছেন কি ২০৯০ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে ক্ষমতায় যাবেন? ধরা যাক কাল্পনিকভাবে গেলেন এরপর? যখন সংবিধান বিরোধী কাজ তথা ইসলামী আইন প্রতিষ্ঠা শুরু করবেন তখন সংবিধানের নীতি অনুসারেই আর্মি আপনাদের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিবে। আপনাদের ওপর ক্রাকডাউন চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের তকমা লাগিয়ে, কাউকে ফাঁসি দিয়ে, হত্যা, গুম করে আপনাদের সকল পাওয়ার ধূলায় মিশিয়ে। দেবে যা করেছে জামাতে ইসলামীকে।
তবে বসে থাকুন আপনাদেরকে তো যেতেই দেওয়া হবে না।
Comment