★★মুমিনের বন্দীদশা★★
শাইখ আবু হুজাইফা আস-সুদানী
****************************** হাফিজাহুল্লাহ
আল্লাহ্* তাআলা ইরশাদ করেন -
كتب عليكم القتال وهو كره لكم**
" তোমাদের ওপর কিতালকে ফরয করা হয়েছে ;
********* যদিও তা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয়। "
'জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ'র পথ অনেক কঠিন,* তার সফর অনেক কষ্টকর এবং তার চাপ অনেক তীব্র ;* কিন্ত তার আঞ্জাম* অনেক মধুর।* 'জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ' হলো -
ত্যাগ ও কুরবানির পথ।* ' জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ' মানে* হলো - মাতাপিতা, স্ত্রী, সন্তান- সন্ততি এবং নিজ আবাস পরিত্যাগ করা।* জিহাদ মানে হলো - নিরাপত্তাঝুঁকি এবং বন্দিত্ব।* আল্লাহ্*-র রাস্তায় শহীদ হওয়াই হলো মুজাহিদের পরম চাওয়া।
মুজাহিদগণ* সব সময় টেনশনে থাকেন যে, কখন এসে আপতিত হয় বন্দিত্বের এ বিপদ।* জিহাদ করতে গিয়ে একজন মুজাহিদের জন্য* এটিই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়।* এর কাছে জিহাদের অন্যান্য কষ্টকর মুহূর্তগুলু হার* মানে।* কিন্ত আমরা পছন্দ করি আর না করি,* মুজাহিদকে অবশ্যই জানতে হবে,* এ বন্দিত্ব* তাঁর সম্ভাব্য বিপদ ও কষ্টকর মুহূর্তগুলির অন্যতম ।* তাঁর ধারণায় এটা রাখতে হবে যে,* সে যেকোনো সময় এ অভিজ্ঞতার* সম্মুখীন হতে পারে,* এই কষ্ট তাঁকে সহ্য করতে হতে পারে।
সতর্কতাই উত্তম প্রতিকার ।* এজন্য মুজাহিদকে বন্দিত্ব এড়ানোর কৌশল প্রক্রিয়া অবলম্বন করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়।* সবচেয়ে বড় কৌশল ও অবলম্বন হলো - একমাত্র আল্লাহ্* -র ওপরই পরিপূর্ণ আস্থা রাখা ,* তাঁর প্রতি ইতিবাচক ধারণা পোষণ করা এবং একমাত্র আল্লাহ্*ই যথেষ্ট ' এ কথার ওপর পূর্ণ একীন রাখা।
সত্যিকার অর্থে আল্লাহ্* -র বান্দা হতে পারলে এ ধরনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জিত হবে।*
আল্লাহ্* তাআলা ইরশাদ করেন..
أليس الله بكاف عبده***
" আল্লাহ্*ই কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? "
যে যতটুকু আল্লাহ্*র আল্লাহ্*র নিকটবর্তী বান্দা হতে পারবে,* আল্লাহ্* সে পরিমাণেই তার জন্য যথেষ্ট* হবেন।
আল্লাহ্*র* দাসত্ব ও গোলামি যতই বৃদ্ধি পাবে,** আল্লাহ্* ততই* তোমার জন্য যথেষ্ট হবেন।* যেমনটি আল্লামা ইবনুল ক্বাইয়্যিম রহ. বলেছেন। আল্লাহর নিকট খুব দুআ ও কান্নাকাটি করতে হবে।** তারপর মুজাহিদ তাঁর ব্যক্তিগত ও দলগত নিরাপত্তা লাভ করতে সক্ষম হবে।* তবেই সে কখনো বন্দি হলে উদ্ভুত* পরিস্থিতির শান্তভাবে মোকাবেলা করতে পারবে ....!
জেলখানায় কয়েকজন বন্দী ভাইদের জিজ্ঞেস করেছিলাম , আপনারা কি বন্দী* হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন?* তাদের অনেকেই না-বাচক উত্তর দিয়েছিলেন।
এদের কাছে বন্দিত্ব আকস্মিক একটা ধাক্কা ছিল।* শুরু শুরু তারা অনেক কঠিন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
তাদের এই কষ্টকর অভিজ্ঞতাকে নির্ঘাত ' ওজন কমানোর ফেজ' বলা যেতে পারে।* তবে আল্লাহ্** তাদের প্রতি খুব দ্রুত সদয় হয়েছেন।* তারা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেননি।* প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে তারা মানসিকভাবে স্থির হতে সক্ষম হয়েছিলেন।
১৪২২ হিজরীতে আমরা কাসিম থেকে রিয়াদ ফিরছিলাম।*
আমরা চারজন* ছিলাম।* সবাই ছিলাম এক সেলের সদস্য।* আমাদের মধ্য থেকে একজন* আমাদের ভবিষ্যতের সামরিক অপারেশন এবং বন্দিত্ববরণসহ অন্যান্য কষ্টকর মুহূর্তগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন।
তাঁর এ কথা পরবর্তী সময়ে অনেক কাজে এসেছিলো।** আমরা চারজনই একসাথে বন্দী হয়েছিলাম।*
প্রথমজন ৫ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে ১১ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন।*
দ্বিতীয়জন ১৫ বছরের পরিপূর্ণ সাজা ভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন।
তৃতীয়জন ১২ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এবং চতুর্থজন ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ১৬ বছর ধরে কারাভোগ করছেন।* আল্লাহ্* তাঁদেরকে মুক্তি দান করুন (আমিন) এবং সকল বন্দীদের কষ্ট দূরীভূত করে দিন ( আমিন)।
জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন -
' মুমিন বান্দা আল্লাহ্*র পথে জিহাদ করে।
যদি তাতে সে ব্যর্থ হয়, তখন সেখানেও তার লাভ থাকে।
আর যদি সে কষ্ট ভোগ করে,* তখন সেটা আল্লাহর ইচ্ছাতেই* হয়।
আর যদি সে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়, তখন সেটা হয় তার নতুন* পথের সন্ধান।
আর যদি সে বন্দী হয় তখন এটা হয় তার জন্য ইবাদত।
আর যদি সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে, তখন সে নেতৃত্ব অর্জন করে।
আর যদি মৃত্যুবরণ করে,* তখন হয় সে শহীদ।
সর্বোপরি,* তার জন্য রয়েছে অনেক অনেক কল্যাণ ও উপকার.....।
আল্লাহ্* আমাদের হিদায়েত দান করুন আমিন....!
আল্লাহ্* * আমাদের কবুল করুন...........আমিন.....!
শাইখ আবু হুজাইফা আস-সুদানী
****************************** হাফিজাহুল্লাহ
আল্লাহ্* তাআলা ইরশাদ করেন -
كتب عليكم القتال وهو كره لكم**
" তোমাদের ওপর কিতালকে ফরয করা হয়েছে ;
********* যদিও তা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয়। "
'জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ'র পথ অনেক কঠিন,* তার সফর অনেক কষ্টকর এবং তার চাপ অনেক তীব্র ;* কিন্ত তার আঞ্জাম* অনেক মধুর।* 'জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ' হলো -
ত্যাগ ও কুরবানির পথ।* ' জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ' মানে* হলো - মাতাপিতা, স্ত্রী, সন্তান- সন্ততি এবং নিজ আবাস পরিত্যাগ করা।* জিহাদ মানে হলো - নিরাপত্তাঝুঁকি এবং বন্দিত্ব।* আল্লাহ্*-র রাস্তায় শহীদ হওয়াই হলো মুজাহিদের পরম চাওয়া।
মুজাহিদগণ* সব সময় টেনশনে থাকেন যে, কখন এসে আপতিত হয় বন্দিত্বের এ বিপদ।* জিহাদ করতে গিয়ে একজন মুজাহিদের জন্য* এটিই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়।* এর কাছে জিহাদের অন্যান্য কষ্টকর মুহূর্তগুলু হার* মানে।* কিন্ত আমরা পছন্দ করি আর না করি,* মুজাহিদকে অবশ্যই জানতে হবে,* এ বন্দিত্ব* তাঁর সম্ভাব্য বিপদ ও কষ্টকর মুহূর্তগুলির অন্যতম ।* তাঁর ধারণায় এটা রাখতে হবে যে,* সে যেকোনো সময় এ অভিজ্ঞতার* সম্মুখীন হতে পারে,* এই কষ্ট তাঁকে সহ্য করতে হতে পারে।
সতর্কতাই উত্তম প্রতিকার ।* এজন্য মুজাহিদকে বন্দিত্ব এড়ানোর কৌশল প্রক্রিয়া অবলম্বন করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়।* সবচেয়ে বড় কৌশল ও অবলম্বন হলো - একমাত্র আল্লাহ্* -র ওপরই পরিপূর্ণ আস্থা রাখা ,* তাঁর প্রতি ইতিবাচক ধারণা পোষণ করা এবং একমাত্র আল্লাহ্*ই যথেষ্ট ' এ কথার ওপর পূর্ণ একীন রাখা।
সত্যিকার অর্থে আল্লাহ্* -র বান্দা হতে পারলে এ ধরনের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জিত হবে।*
আল্লাহ্* তাআলা ইরশাদ করেন..
أليس الله بكاف عبده***
" আল্লাহ্*ই কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন? "
যে যতটুকু আল্লাহ্*র আল্লাহ্*র নিকটবর্তী বান্দা হতে পারবে,* আল্লাহ্* সে পরিমাণেই তার জন্য যথেষ্ট* হবেন।
আল্লাহ্*র* দাসত্ব ও গোলামি যতই বৃদ্ধি পাবে,** আল্লাহ্* ততই* তোমার জন্য যথেষ্ট হবেন।* যেমনটি আল্লামা ইবনুল ক্বাইয়্যিম রহ. বলেছেন। আল্লাহর নিকট খুব দুআ ও কান্নাকাটি করতে হবে।** তারপর মুজাহিদ তাঁর ব্যক্তিগত ও দলগত নিরাপত্তা লাভ করতে সক্ষম হবে।* তবেই সে কখনো বন্দি হলে উদ্ভুত* পরিস্থিতির শান্তভাবে মোকাবেলা করতে পারবে ....!
জেলখানায় কয়েকজন বন্দী ভাইদের জিজ্ঞেস করেছিলাম , আপনারা কি বন্দী* হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন?* তাদের অনেকেই না-বাচক উত্তর দিয়েছিলেন।
এদের কাছে বন্দিত্ব আকস্মিক একটা ধাক্কা ছিল।* শুরু শুরু তারা অনেক কঠিন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন।
তাদের এই কষ্টকর অভিজ্ঞতাকে নির্ঘাত ' ওজন কমানোর ফেজ' বলা যেতে পারে।* তবে আল্লাহ্** তাদের প্রতি খুব দ্রুত সদয় হয়েছেন।* তারা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেননি।* প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে তারা মানসিকভাবে স্থির হতে সক্ষম হয়েছিলেন।
১৪২২ হিজরীতে আমরা কাসিম থেকে রিয়াদ ফিরছিলাম।*
আমরা চারজন* ছিলাম।* সবাই ছিলাম এক সেলের সদস্য।* আমাদের মধ্য থেকে একজন* আমাদের ভবিষ্যতের সামরিক অপারেশন এবং বন্দিত্ববরণসহ অন্যান্য কষ্টকর মুহূর্তগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করছিলেন।
তাঁর এ কথা পরবর্তী সময়ে অনেক কাজে এসেছিলো।** আমরা চারজনই একসাথে বন্দী হয়েছিলাম।*
প্রথমজন ৫ বছরের কারাদণ্ড পেয়ে ১১ বছর পর মুক্তি পেয়েছেন।*
দ্বিতীয়জন ১৫ বছরের পরিপূর্ণ সাজা ভোগ করে মুক্তি পেয়েছেন।
তৃতীয়জন ১২ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এবং চতুর্থজন ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ১৬ বছর ধরে কারাভোগ করছেন।* আল্লাহ্* তাঁদেরকে মুক্তি দান করুন (আমিন) এবং সকল বন্দীদের কষ্ট দূরীভূত করে দিন ( আমিন)।
জনৈক জ্ঞানী ব্যক্তি বলেছেন -
' মুমিন বান্দা আল্লাহ্*র পথে জিহাদ করে।
যদি তাতে সে ব্যর্থ হয়, তখন সেখানেও তার লাভ থাকে।
আর যদি সে কষ্ট ভোগ করে,* তখন সেটা আল্লাহর ইচ্ছাতেই* হয়।
আর যদি সে দেশ থেকে বিতাড়িত হয়, তখন সেটা হয় তার নতুন* পথের সন্ধান।
আর যদি সে বন্দী হয় তখন এটা হয় তার জন্য ইবাদত।
আর যদি সে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে, তখন সে নেতৃত্ব অর্জন করে।
আর যদি মৃত্যুবরণ করে,* তখন হয় সে শহীদ।
সর্বোপরি,* তার জন্য রয়েছে অনেক অনেক কল্যাণ ও উপকার.....।
আল্লাহ্* আমাদের হিদায়েত দান করুন আমিন....!
আল্লাহ্* * আমাদের কবুল করুন...........আমিন.....!
Comment