Tweet
বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন ওয়াসালাতু ওয়াসালাম আলা নাবিইল কারিম
আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন ওয়াসালাতু ওয়াসালাম আলা নাবিইল কারিম
প্রাথমিক গেরিলা যুদ্ধ পাঠ -৩
আলহামদুলিল্লাহ গত ২পাঠে গেরিলা যুদ্ধ কি, কোথায় গেরিলা যুদ্ধ করতে হয় এটা জানার চেস্টা করেছি। আমরা এই পাঠে গেরিলা যুদ্ধে খুব গুরুত্বপূর্ণ ৩টি বিষয় জানার চেস্টা করব ইনশাআল্লাহ। আর তা হল হিট এ্যান্ড রান, এ্যাম্বুশ এবং রেইড কি।
হিট এ্যান্ড রান:
নামকরণ থেকেই সম্মানিত ভাইয়েরা বুঝতে পারছেন যে আক্রমণ এবং দৌড়। গেরিলা যুদ্ধে আপনি নিয়মতান্ত্রিক সেনাদলের মত হামলা দেখবেন না। গেরিলাদের মুল কাজ হল শত্রুকে যত বেশী বিরক্ত করা যায়। আপনি এখানে সেখানে আগ্রাসী শক্তিকে বিরক্ত করবেন। হামলা করবেন পালিয়ে যাবেন। হামলা করার পর ওই এলাকা আপনার দখল করা সম্ভব হলেও আপনি দখল করবেন না। এটা আরও পরের মারহালা/পরযায়। এ কারনে গেরিলাদের তার যুদ্ধরত টেরেইন (ভুখন্ড-এর আসে পাশের পাহার, রোড, গাছ ইত্যাদি) খুব ভাল করে জানা লাগে। গেরিলাদের পালানোর অসাধারণ ক্ষমতা থাকা লাগে রব্বে কারিমের ইচ্ছায়। আর বিশেষ করে যদি শহুরে গেরিলা হয় তাহলে শহরের অলিগলি সম্পর্কে ব্যাপক ভাবে জানা থাকা চাই। যাতে আপনি হামলা করার পর পালাতে পারেন। গেরিলাদের ভুখন্ড, ওই অঞ্চলের মানুষের পোশাক, আঞ্চলিক ভাষা, খাবার ইত্যাদি রপ্ত করতে হয়। ধরেন আপনি কলকাতা গেলেন কোন জিহাদি কাজের আঞ্জাম দেয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়েই আপনি এমন কাজ করলেন যাতে বুঝা গেল আপনি অন্য জায়গা থেকে এসেছেন, এর ফলে হবে কি? হবে যা তাহল আপনি গোয়েন্দাদের জালে খুব দ্রুত প্রবেশ করবেন। কলকাতা পুলিশত এমন আছে কিছু যে আপনার নড়াচড়া দেখলে বুঝে যাবে কথা থেকে এসেছেন। তাই কথা হল বাস্তবতার জ্ঞান লাগবে প্রচুর এবং অভিজ্ঞতা। বিষয়গুলো প্রিয় ভাই এমন নয় যে একটু বই পড়ে শিখে ফেলবেন এগুলোতে আপনার বাস্তবতার জ্ঞান লাগবে। আপনার কখনও নাপিত, কখনও মাছ বিক্রেতা, সব্জি ওয়ালা, কখনো স্কুল শিক্ষক হত্র হবে। আপনাকে শহুরে গেরিলা হতে হলে জনসাধারনের সাথে মিশা শিখা লাগবে। সব সময় কভার শিখা লাগে।
এ্যাম্বুশ:
গেরিলা যুদ্ধে ২টি কাজ খুব বেশী করা লাগে তাহল রেইড ও এ্যাম্বুশ। এ্যাম্বুশ হল ওত পেতে ঘাপটি মেরে শত্রুকে আঘাত করা। মানে আপনি লুকিয়ে আছেন শত্রু এই রাস্তায় আসবে দেখে। পরে তাকে হামলা করলেন। আপনারা মুজাহিদের অনেক ভিডিওতে দেখেছেন যে মুজাহিদগণ আমেরিকান গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। পরে গাড়ি আসলে পাহাড় থেকে হামলা করে ওই জায়গা থেকে সরে পরেছেন। এটা হল এ্যাম্বুশ। এ্যাম্বুশে আপনি তাকে অতকিত হামলা করবেন খুব ক্ষিপ্ত গতিতে।
রেইড:
ভূখণ্ড দখল এবং ধরে রাখা ছাড়া অন্য কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে অবস্থান বা কাঠামোতে আশ্চর্য আক্রমণ। রেইড হল আপনি তার অবস্থানে অথবা নিরদিস্ট অবস্থানে গিয়ে হঠাৎ হামলা করলেন। আপনি হয়ত ধংস, কাওকে আনতে, বস্তু আনতে গেলেন।
সোজা কথায় আপনি শত্রু আসছে তাকে মারার জন্য ওত পেতে বসে আছেন এটা হল এ্যাম্বুশ আর আপনি শত্রুর অবস্থানে গিয়ে তাকে আক্রমণ করলেন এটা হল রেইড। ধরেন আপনি পুলিশকে কোন একটা রোডে হামলা করার জন্য ওত পেতে বসে থাকলেন এটা হল এ্যাম্বুশ এর মধ্যে পরবে আর যদি আপনি থানায় গিয়ে হামলা করেন তাহলে রেইড হবে।
তারপরেও রেইড এবং এ্যাম্বুশ ভাল করে না বুঝলে ইউটিউবে গিয়ে ভিডিও দেখতে পারেন এ দূটির। এই দুটির বুঝ সঠিক হওয়া উচিত।
প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা মুসলিমরা সামরিক সংস্কৃতিতে ফেরত আসা চাই আমাদের সাহাবীদের মত। উনারা যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। দেখুন ভাই আরএসএস, বজরং, শিবসেনা মুসলিমদের নিধনে সামরিকরণ করছে নিজেদেরকে। আর এখানে আমরা কি করছি মুহতারাম ভাইয়েরা? আমাদের সোনালী সাকাফাতুল আস্কারিয়াহ বা সামরিক সংস্কৃতির দিকে আগাতে হবে আগত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি হিসেবে। আর এই বিদ্যায় একদিনে কেউ পারদর্শী হয় না দিরঘদিন মেহনত ও অনুশীলন করা চাই। আল্লাহ ভাইদের এই বিদ্যায় পারদর্শী করুক ও অনুশীলনে তাওফিক দান করুক, আল্লাহ ভাইদের তাওফিক দান করুক মুসলিম উম্মার খিদমতে।