সালাম বাদ আরজ,
সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহ তা'লার জন্যে যিনি মজলুমের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের পক্ষহয়ে লড়াইকরতে আদেশ করেছেন। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসুলে আরাবী সা. এর উপর যিনি তার জীবনে ২৭ ঊর্ধ্ব যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবং যুদ্ধের মাদ্ধমে বাতিলের হাত গুড়িয়ে দিয়েছেন।
সম্মানীত ভাই কি বলবো আমি বলার তো কোন ভাষা খুজে পাচ্ছিনা। মনে বড় ব্যথা নিয়ে আজ কিছু লিখার ইচ্ছা করেছি।
আমরা মুসলিম উম্মাহ বা মুসলিম জাতি। ভাবতেই অবাক লাগে যে একদিন এই পৃথিবী শাসনকরে ছিলাম আমরা। সর্বত্রই ছিল আমাদের বিজয় নিশান। পৃথিবীর বুকে আমরাই ন্যায় ইনসাফের প্রকৃত দৃষ্টান্ত পেশ করেছি। পৃথিবী তার শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের ইতিহাস মনে রাখবে। আমাদের রয়েছে গৌরবময় সোনালি ইতিহাস। যা আজকে আমাদের কাছে কিছু কল্পকাহিনীকার ন্যয় লাগে। পৃথিবীর প্রতি টি ধূলী-কনা সাক্ষী হয়ে আছে আমাদের। ওমর রা. এর শাসনকালের সেই সোনালী ইতিহাস কে-ই বা না জানে।? আমাদের যেমন ছিলো কমোল হৃদয়; ঠিক তেমন ছিল দ্বিন ও আল্লাহর শত্রুর ব্যপারে কঠিন হৃদয়। যার দৃষ্টান্ত কোরআনে আল্লাহ বলেদয়েছেন.......(مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ۚ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ ۖ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا ۖ سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِمْ مِنْ أَثَرِ السُّجُودِ ۚ ذَٰلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ ۚ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنْجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ ۗ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا)
[Surat Al-Fath 29]........
অর্থঃ
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।
পৃথিবীর কোন অঞ্চলে একজন মুসলিম অধিকার বঞ্চিত হবে, সেটা ছিল কল্পনাতীত। কোন মুসলিম মুসলিম মা-বোন সম্ভ্রম হাড়াবে এমন কথা চিন্তা ও করা যেত না।
কিন্তু বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতেই হবে। কারন বাস্তবতার কাছে আমরা সকলেই অসহায়। মুসলিমরা আজ তাদের ঐতিহ্য কে ভুলে গিয়েছে। মুখ ফিরিয়েছে তারা তাদের সৌভাগ্যের রাজপথ থেকে। যার ফলস্বরূপ গোটা পৃথিবীতে আজ মুসলিম নিধন চলছে। এমন একটিও ভুখন্ড খুজে পাওয়া যাবে না যে খানে মুসলিম রা তাদের দ্বীন-ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে। পৃথিবীর যে খানেই তাকাই সেখানেই দেখি লাশের স্তুপ।পরে আছে। আর সেই মৃত ব্যক্তি দের মাঝে রয়েছে আমাদের ই কোন ভাই বা বোন। মা আথবা বাবা। যেন কোন হিংস্র ক্ষুধার্ত জানোয়ার তাদের কে খুবলেছে। কোন ভুখন্ড টি কে বাদদিবো? মায়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, শ্রীলংকা, আফ্রিকা, কাশ্মীর, বাংলাদেশ ইত্যাদি আরো বহু রাষ্ট্র রয়েছে। তালিকা দিতে গেলে এমন একটি ও দেশ বাদ পরবে না যে টা এই পৃথিবীর বুকে রয়েছে। আচ্ছা কি দোষ তাদের,? কি অপরাধ তাদের? একটাই তো অপরাধ তাদের যে তারা মুসলিম! তারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এবং আল্লাহর জমিনে তার-ই দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায়। এইতো অপরাধ তাদের?
তবে শোন আমার হৃদয়ের স্পন্দন, জীবন উৎসর্গকারী আমার পৃয় যুবক ভাইয়েরা।!!!
তোমরাইতো তারা যারা খালেদ বিন ওয়ালীদ রা. এর ভুমিকায় রোম পারশ্যকে নাকানিচুবানি খায়িয়েছো। তোমরাইতো তারা যারা ১৭ বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন কাসেম এর ভুমিকায় গোটা হিন্দুস্তান বিজয়ের সূচনা করেছো। তোমরাই তো তারা যারা বীর সালাহ উদ্দীন আইয়ুবীর রহ. এর ভুমিকায় ফিলিস্তিন বিজয়ের শপথ করে ছিলে। তোমরাইতো তারা যারা তারেক বিন যিয়াদ রহ. এর ভুমিকায় সমুদ্রকূলে নিজেদের জাহাজ আগুনে জালিয়ে হয়ত বিজয় নয়ত শাহাদত এর শপথ করেছিলে। কোথায় আজ আমাদের সেই গৌরবময় দিন গুলো? সেই দিন গুলো পুনারাবৃতি করার মত কি একজন ও মুহাম্মদ বিন কাসেম, সালাহ উদ্দিন আইয়ুবীর, তারেক বিন যিয়াদ নেই? তোমাদের মাঝে কি আছে কেউ? কেউ কি আছো???
আজ কাফের কতৃক আমরা নির্যাতিত। শত্রু পরিবেষ্টিত রয়েছে আমাদের মা-বোনেরা। আজ তাগুতের অন্ধকার কুঠরি গুলো পূর্ণ হয়ে আছে দ্বীনের মুজাহিদদের দ্বারা। প্রতিনিয়ত স্বাক্ষী হচ্ছে তারা কোন না কোন একটি হৃদয় বিদারক ঘটনার। কারাগার গুলো যেন মানুষ নিধনাগার। কল্পনাতীত শাস্তিপ্রাপ্ত হচ্ছে আল্লাহর সৈনিকে রা। যার ফলে তাদের অনেকেই মানষিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। অনেকে হয়েছেন বিকলাঙ্গ। আজ আমরা প্রায় ভুলে-ই গিয়েছি রাসুল সা. বলেছেন المسلمون كرجُلٍ واحدٍ . إن اشتكَى عينَه ، اشتكَى كلُّه . وإن اشتكَى رأسَه ، اشتكَى كلُّه
الراوي : النعمان بن بشير | المحدث : مسلم | المصدر : صحيح مسلم
الصفحة أو الرقم: 2586 | خلاصة حكم المحدث : صحيح
التخريج : أخرجه البخاري (6011) بمعناه، ومسلم (2586)
অর্থঃ
মুসলিম জাতি একটি দেহের ন্যায়। যদি তার মাথা ব্যথা করে তাহলে তার গোটা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। আর যদি তার চোখে ব্যথা হয় তাহলে ও তার গোটা শরীরে ব্যথা অনুভূত হবে।
কিন্তু আজ সেই শরীরে আজ এমন কোন একটি যায়গা বাকি নেই যেখানে জালিমের হিংস্র থাবা পরে নি। গোটা জাতি আজ ক্ষতবিক্ষত।
সিরিয়ার অবস্থা তো এমন যে, দৈনিক শুধু গোতা এলাকাতেই ৬-৭ বার বীমান হামলা হচ্ছে। সিরিয়া আজ এক মৃত্যু নগরীতে পরিনত হয়েছে। যদি সকালে ২০ জন পুরুষের জানাজা হয় তাহলে দুপুরে ২০ জন মহিলার জানাজা হচ্ছে। আবার বিকেলে ২০ জন শিশুর জানাজা হচ্ছে। সিরিয়ার অধিবাসীরা আজ কাফন দাফন নিয়েই ব্যস্ত। তাদের ঘর বাড়ি গুলো ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে। কত শত লাশ সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পরে আছে তা কেউ জানেনা।
এখন কথা হচ্ছে কে তাদের কে সাহায্য করবে? জেলখানায় আবদ্ধ আল্লাহর সৈনিক দের কে মুক্ত করবে? তাদের পরিবার গুলোর খরচ কে দিবে? মুজাহিদদের অস্ত্র কিনার টাকা কারা দিবে?
আমাদের-ই দিতে হবে। হ্যা ভাই আমাদের-ই দিতে হবে। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَىٰ تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ(١٠) تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُون(١١) يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ(١٢)
অর্থঃ
মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?(১০)তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।(১১)তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।(১২)
দেখুন ভাই আল্লাহ তায়ালায়া নিজের সাথে বানিজ্যের কথা বলছেন। আর তার মদ্ধে সর্বপ্রথম অর্থ সম্পদের কথা বলেছেন। সুতরাং ভাই আমাদের আল্লাহর সাথে বানিজ্য করতে হলে প্রথমে মালসম্পদ দিয়ে আগে বারতে হবে। আর আমাদের অর্থ গুলো ব্যয় হবে বন্দি ভাইদের মুক্তির পিছনে, তাদের পরিবার পরিজনের পিছনে। ইমারার কাজে। মুজাহিদ ভাইদের আসবাবপত্রের ক্ষাতে।
ইমাম তাইমিয়া রহ. বলেছিলেন যদি তোমার প্রতিবেশী ক্ষুধার যাতনায় মৃত্যুবরণ করার উপক্রম হয় ; আর অপর দিকে ময়দানে অর্থের অভাবে জিহাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায় তখন ঐ অবস্থায় ময়দানের মুজাহিদদের সাহায্যদান করা আবশ্যক কর্তব্য।
দেখুন ভাই একজন দায়ীর অধিনে যদি ৫ টি তায়েফা থাকে,আর প্রতি তায়েফায় ৬ জন করে সদস্য থাকেন তাহলে জন প্রতি যদি ৫০০ টাকা করে ইনাফাক করেন তাহলে একটি তায়েফা হতে ৩০০০ টাকা আসবে। আর ৫ টা তায়েফা হতে মোট ১৫০০০ টাকা আসবে। এবার চিন্তা করুন গোটাদেশ জুরে কতশত তায়েফা রয়েছে। আল্লাহু আকবার, যদি আমরা সকলে এগিয়ে আসি তাহলে আল্লাহ তায়ালা কাজে বারাকাহ দিবেন। কজ করা সহজ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মন কে পূন্যময় কাজে প্রতিযোগিতামূলক করে দিন। আমিন।
সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহ তা'লার জন্যে যিনি মজলুমের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের পক্ষহয়ে লড়াইকরতে আদেশ করেছেন। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রাসুলে আরাবী সা. এর উপর যিনি তার জীবনে ২৭ ঊর্ধ্ব যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এবং যুদ্ধের মাদ্ধমে বাতিলের হাত গুড়িয়ে দিয়েছেন।
সম্মানীত ভাই কি বলবো আমি বলার তো কোন ভাষা খুজে পাচ্ছিনা। মনে বড় ব্যথা নিয়ে আজ কিছু লিখার ইচ্ছা করেছি।
আমরা মুসলিম উম্মাহ বা মুসলিম জাতি। ভাবতেই অবাক লাগে যে একদিন এই পৃথিবী শাসনকরে ছিলাম আমরা। সর্বত্রই ছিল আমাদের বিজয় নিশান। পৃথিবীর বুকে আমরাই ন্যায় ইনসাফের প্রকৃত দৃষ্টান্ত পেশ করেছি। পৃথিবী তার শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের ইতিহাস মনে রাখবে। আমাদের রয়েছে গৌরবময় সোনালি ইতিহাস। যা আজকে আমাদের কাছে কিছু কল্পকাহিনীকার ন্যয় লাগে। পৃথিবীর প্রতি টি ধূলী-কনা সাক্ষী হয়ে আছে আমাদের। ওমর রা. এর শাসনকালের সেই সোনালী ইতিহাস কে-ই বা না জানে।? আমাদের যেমন ছিলো কমোল হৃদয়; ঠিক তেমন ছিল দ্বিন ও আল্লাহর শত্রুর ব্যপারে কঠিন হৃদয়। যার দৃষ্টান্ত কোরআনে আল্লাহ বলেদয়েছেন.......(مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ۚ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ ۖ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا ۖ سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِمْ مِنْ أَثَرِ السُّجُودِ ۚ ذَٰلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ ۚ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنْجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ ۗ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا)
[Surat Al-Fath 29]........
অর্থঃ
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।
পৃথিবীর কোন অঞ্চলে একজন মুসলিম অধিকার বঞ্চিত হবে, সেটা ছিল কল্পনাতীত। কোন মুসলিম মুসলিম মা-বোন সম্ভ্রম হাড়াবে এমন কথা চিন্তা ও করা যেত না।
কিন্তু বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতেই হবে। কারন বাস্তবতার কাছে আমরা সকলেই অসহায়। মুসলিমরা আজ তাদের ঐতিহ্য কে ভুলে গিয়েছে। মুখ ফিরিয়েছে তারা তাদের সৌভাগ্যের রাজপথ থেকে। যার ফলস্বরূপ গোটা পৃথিবীতে আজ মুসলিম নিধন চলছে। এমন একটিও ভুখন্ড খুজে পাওয়া যাবে না যে খানে মুসলিম রা তাদের দ্বীন-ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে। পৃথিবীর যে খানেই তাকাই সেখানেই দেখি লাশের স্তুপ।পরে আছে। আর সেই মৃত ব্যক্তি দের মাঝে রয়েছে আমাদের ই কোন ভাই বা বোন। মা আথবা বাবা। যেন কোন হিংস্র ক্ষুধার্ত জানোয়ার তাদের কে খুবলেছে। কোন ভুখন্ড টি কে বাদদিবো? মায়ানমার, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, শ্রীলংকা, আফ্রিকা, কাশ্মীর, বাংলাদেশ ইত্যাদি আরো বহু রাষ্ট্র রয়েছে। তালিকা দিতে গেলে এমন একটি ও দেশ বাদ পরবে না যে টা এই পৃথিবীর বুকে রয়েছে। আচ্ছা কি দোষ তাদের,? কি অপরাধ তাদের? একটাই তো অপরাধ তাদের যে তারা মুসলিম! তারা আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এবং আল্লাহর জমিনে তার-ই দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায়। এইতো অপরাধ তাদের?
তবে শোন আমার হৃদয়ের স্পন্দন, জীবন উৎসর্গকারী আমার পৃয় যুবক ভাইয়েরা।!!!
তোমরাইতো তারা যারা খালেদ বিন ওয়ালীদ রা. এর ভুমিকায় রোম পারশ্যকে নাকানিচুবানি খায়িয়েছো। তোমরাইতো তারা যারা ১৭ বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন কাসেম এর ভুমিকায় গোটা হিন্দুস্তান বিজয়ের সূচনা করেছো। তোমরাই তো তারা যারা বীর সালাহ উদ্দীন আইয়ুবীর রহ. এর ভুমিকায় ফিলিস্তিন বিজয়ের শপথ করে ছিলে। তোমরাইতো তারা যারা তারেক বিন যিয়াদ রহ. এর ভুমিকায় সমুদ্রকূলে নিজেদের জাহাজ আগুনে জালিয়ে হয়ত বিজয় নয়ত শাহাদত এর শপথ করেছিলে। কোথায় আজ আমাদের সেই গৌরবময় দিন গুলো? সেই দিন গুলো পুনারাবৃতি করার মত কি একজন ও মুহাম্মদ বিন কাসেম, সালাহ উদ্দিন আইয়ুবীর, তারেক বিন যিয়াদ নেই? তোমাদের মাঝে কি আছে কেউ? কেউ কি আছো???
আজ কাফের কতৃক আমরা নির্যাতিত। শত্রু পরিবেষ্টিত রয়েছে আমাদের মা-বোনেরা। আজ তাগুতের অন্ধকার কুঠরি গুলো পূর্ণ হয়ে আছে দ্বীনের মুজাহিদদের দ্বারা। প্রতিনিয়ত স্বাক্ষী হচ্ছে তারা কোন না কোন একটি হৃদয় বিদারক ঘটনার। কারাগার গুলো যেন মানুষ নিধনাগার। কল্পনাতীত শাস্তিপ্রাপ্ত হচ্ছে আল্লাহর সৈনিকে রা। যার ফলে তাদের অনেকেই মানষিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। অনেকে হয়েছেন বিকলাঙ্গ। আজ আমরা প্রায় ভুলে-ই গিয়েছি রাসুল সা. বলেছেন المسلمون كرجُلٍ واحدٍ . إن اشتكَى عينَه ، اشتكَى كلُّه . وإن اشتكَى رأسَه ، اشتكَى كلُّه
الراوي : النعمان بن بشير | المحدث : مسلم | المصدر : صحيح مسلم
الصفحة أو الرقم: 2586 | خلاصة حكم المحدث : صحيح
التخريج : أخرجه البخاري (6011) بمعناه، ومسلم (2586)
অর্থঃ
মুসলিম জাতি একটি দেহের ন্যায়। যদি তার মাথা ব্যথা করে তাহলে তার গোটা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। আর যদি তার চোখে ব্যথা হয় তাহলে ও তার গোটা শরীরে ব্যথা অনুভূত হবে।
কিন্তু আজ সেই শরীরে আজ এমন কোন একটি যায়গা বাকি নেই যেখানে জালিমের হিংস্র থাবা পরে নি। গোটা জাতি আজ ক্ষতবিক্ষত।
সিরিয়ার অবস্থা তো এমন যে, দৈনিক শুধু গোতা এলাকাতেই ৬-৭ বার বীমান হামলা হচ্ছে। সিরিয়া আজ এক মৃত্যু নগরীতে পরিনত হয়েছে। যদি সকালে ২০ জন পুরুষের জানাজা হয় তাহলে দুপুরে ২০ জন মহিলার জানাজা হচ্ছে। আবার বিকেলে ২০ জন শিশুর জানাজা হচ্ছে। সিরিয়ার অধিবাসীরা আজ কাফন দাফন নিয়েই ব্যস্ত। তাদের ঘর বাড়ি গুলো ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে। কত শত লাশ সেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পরে আছে তা কেউ জানেনা।
এখন কথা হচ্ছে কে তাদের কে সাহায্য করবে? জেলখানায় আবদ্ধ আল্লাহর সৈনিক দের কে মুক্ত করবে? তাদের পরিবার গুলোর খরচ কে দিবে? মুজাহিদদের অস্ত্র কিনার টাকা কারা দিবে?
আমাদের-ই দিতে হবে। হ্যা ভাই আমাদের-ই দিতে হবে। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَىٰ تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ(١٠) تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُون(١١) يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ(١٢)
অর্থঃ
মুমিনগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক বানিজ্যের সন্ধান দিব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে?(১০)তা এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আল্লাহর পথে নিজেদের ধন-সম্পদ ও জীবনপণ করে জেহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম; যদি তোমরা বোঝ।(১১)তিনি তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন এবং এমন জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত এবং বসবাসের জান্নাতে উত্তম বাসগৃহে। এটা মহাসাফল্য।(১২)
দেখুন ভাই আল্লাহ তায়ালায়া নিজের সাথে বানিজ্যের কথা বলছেন। আর তার মদ্ধে সর্বপ্রথম অর্থ সম্পদের কথা বলেছেন। সুতরাং ভাই আমাদের আল্লাহর সাথে বানিজ্য করতে হলে প্রথমে মালসম্পদ দিয়ে আগে বারতে হবে। আর আমাদের অর্থ গুলো ব্যয় হবে বন্দি ভাইদের মুক্তির পিছনে, তাদের পরিবার পরিজনের পিছনে। ইমারার কাজে। মুজাহিদ ভাইদের আসবাবপত্রের ক্ষাতে।
ইমাম তাইমিয়া রহ. বলেছিলেন যদি তোমার প্রতিবেশী ক্ষুধার যাতনায় মৃত্যুবরণ করার উপক্রম হয় ; আর অপর দিকে ময়দানে অর্থের অভাবে জিহাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায় তখন ঐ অবস্থায় ময়দানের মুজাহিদদের সাহায্যদান করা আবশ্যক কর্তব্য।
দেখুন ভাই একজন দায়ীর অধিনে যদি ৫ টি তায়েফা থাকে,আর প্রতি তায়েফায় ৬ জন করে সদস্য থাকেন তাহলে জন প্রতি যদি ৫০০ টাকা করে ইনাফাক করেন তাহলে একটি তায়েফা হতে ৩০০০ টাকা আসবে। আর ৫ টা তায়েফা হতে মোট ১৫০০০ টাকা আসবে। এবার চিন্তা করুন গোটাদেশ জুরে কতশত তায়েফা রয়েছে। আল্লাহু আকবার, যদি আমরা সকলে এগিয়ে আসি তাহলে আল্লাহ তায়ালা কাজে বারাকাহ দিবেন। কজ করা সহজ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদের মন কে পূন্যময় কাজে প্রতিযোগিতামূলক করে দিন। আমিন।
Comment