রাসূল (সঃ) বলেছেন
“দুনিয়াটা মুমিনের জন্য জেলখানা ও কাফিরদের জন্য বেহেশত।”
এর সহজ-সরল অর্থ হল,
যে কাফির দুনিয়াটাকে বেহেশতের মতোই চিরস্থায়ী মনে করে এবং সব সময় মজা লুটবার তালেই থাকে,
এ দুনিয়া ছেড়ে যে চলে যেতে হবে এবং দুনিয়ার জীবনের হিসাব
যে পরপারে দিতে হবে
সে হিসাব সে করে না।
তাই সে জীবনে নৈতিক সীমা মেনে চলার প্রয়োজন মনে
করে না ।
কিন্তু মুমিন আখিরাতের জীবনকেই চিরস্থায়ী মনে করে এবং দুনিয়ার
জীবনকে ক্ষণস্থায়ী জেনেই আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে থাকে।
যাবজ্জীবনের কারাদণ্ড যে ভোগ করে সেও জেলখানাকে তার নিজের বাড়ি মনে করে না।
জেলের দালানে শুয়েও সে তার কুঁড়েঘরের বাড়িটিরই স্বপ্ন দেখে।
মুমিনও তেমনি দুনিয়াকে তার আসল বাড়ি মনে করে না। সে বেহেশতের বাড়ির কামনা-বাসনা নিয়েই দুনিয়ার জীবনটা কাটায় ।
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন কায়েম করার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে
নবীগণ হাজারো রকমের যুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন।
সবার ইতিহাস তো
জানার উপায় নেই
তবে কয়েকজন নবীকে জেলেও যেতে হয়েছে।
হযরত ইউসুফ (আ) সম্পর্কেই বিশেষভাবে কুরআনে পাকে উল্লেখ করা হয়েছে ।
বিশ্বনবী ও শেষ নবীর জেল জীবন ছিল সবচেয়ে কষ্টদায়ক।
নবুওয়াতের ৮ম, ৯ম ও
১০ম—
এ তিনটি বছর শিআবে আবী তালিব নামক উপত্যকায় বনী হাশিমের
গোটা বংশকে মক্কার কাফিররা এমনভাবে আটক করে রেখেছিল যে, বাইরে
থেকে কোন খাবার এমনকি পানি পর্যন্ত পৌছাতে দেয়নি ।
দ্বীনের পতাকাবাহী
বহু ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ ও মুজাহিদ মুসলিম নামধারী স্বেচ্ছাচারী শাসকদের জেলে নির্যাতিত হয়েছেন।
ইমাম আবূ হানীফা
(র), ইমাম মালেক (র),
ইমাম হাম্বল (র), মুজাদ্দিদে আলফে সানী তাঁদেরই
কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
এ যুগেও বিশ্বের বহু দেশে আলেম ওলামা ও মুজাহিদগণকে
বিনাবিচারে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
প্রহসনমূলক বিচার অনুষ্ঠান করে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের বেশ কয়েকজন নেতাকে মিসরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ।
সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে হাজার
হাজার মুজাহিদ ও আলেম ওলামা জেলে নির্যাতিত হচ্ছেন। যাবজ্জীবন ও ফাঁসির মত শাস্তি দেয়া হচ্ছে
মুমিনদেরকে বিভিন্ন কারণেই জেলে আটক করে রাখা হতে পারে।
যে কারণেই হোক
মুমিন জেলে থাকতে বাধ্য হলে ,তার জেল জীবনটা যাতে তার জন্য সত্যিকার কল্যাণ বয়ে আনে সে বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
কারণ যে কারো জেল হতে পারে
অপরাধ করে কেউ জেলে যেতে পারে
আবার অপরাধ না করেই
অনেকে জেলে যায়
জেল জীবন কি কামনা বিষয়,,
বন্দি জীবন দুনিয়ার কঠিন পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান।
বন্দি হবার ফলে পরিবার-পরিজনও বিরাট পরীক্ষার সম্মুখীন হয়।
বন্দির ব্যবসা,
পেশা বা চাকরির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। পরিবার থেকে বাধ্য হয়ে
বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে
যে মানসিক যাতনা ভোগ করতে হয় তা বড়ই করুণ।
সুতরাং বন্দি জীবন কোন অবস্থায়ই কামনার ধন নয়।
অবশ্য হযরত ইউসুফ (আ)
এক বিরাট ফিতনা থেকে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে আল্লাহ তাআলার নিকট জেল্যকামনা করেছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে,,
ছোট-বড় কোন বিপদই কামনা করা উচিত নয়। বিপদ মাত্রই পরীক্ষা ।
আল্লাহ তাআলার নিকট বিপদ চাওয়া অস্বাভাবিক ।
এক সাহাবী আল্লাহ
পাকের নিকট সবরের জন্য বেশি বেশি দোয়া করছিলেন।
রাসূল (স) তাঁকে বললেন,
আল্লাহর কাছে বেশি করে আফিয়াত (স্বাচ্ছন্দ্য-শান্তি, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদি)
চাও ৷
বেশি সবর চাওয়া মানে তো বিপদের পরীক্ষা চাওয়া ।
তবে পরীক্ষা আসলে
অবশ্যই সবর চাওয়া দরকার।
আমার লেখার উদ্দেশ্য হল,
যদি জেলে বন্দি হবার মতো কঠিন বিপদ এসেইপড়ে,
তাহলে এ বিপদে বেসবর না হয়ে এ পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য চেষ্টা করার প্রেরণা দান করা।
এ অগ্নিপরীক্ষায় জীবনের যাবতীয় খাদ পুড়িয়ে
নিজকে খাঁটি সোনায় পরিণত করার সাধনা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে ইশারা করাই আমার লক্ষ্য
জেল হয়ে গেল বলে ঘাবড়াবার কিছু নেই বিপদ আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আসতে পারে না।
ঘাবড়ালে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায় না।
তাঁর উপর ভরসা করে মনকে শান্ত রাখলে এ পরিস্থিতিতে যা করা উচিত সে বিষয়ে
আল্লাহ হেদায়াত দেন
✍️ নীরবতার প্রাচীর
“দুনিয়াটা মুমিনের জন্য জেলখানা ও কাফিরদের জন্য বেহেশত।”
এর সহজ-সরল অর্থ হল,
যে কাফির দুনিয়াটাকে বেহেশতের মতোই চিরস্থায়ী মনে করে এবং সব সময় মজা লুটবার তালেই থাকে,
এ দুনিয়া ছেড়ে যে চলে যেতে হবে এবং দুনিয়ার জীবনের হিসাব
যে পরপারে দিতে হবে
সে হিসাব সে করে না।
তাই সে জীবনে নৈতিক সীমা মেনে চলার প্রয়োজন মনে
করে না ।
কিন্তু মুমিন আখিরাতের জীবনকেই চিরস্থায়ী মনে করে এবং দুনিয়ার
জীবনকে ক্ষণস্থায়ী জেনেই আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে থাকে।
যাবজ্জীবনের কারাদণ্ড যে ভোগ করে সেও জেলখানাকে তার নিজের বাড়ি মনে করে না।
জেলের দালানে শুয়েও সে তার কুঁড়েঘরের বাড়িটিরই স্বপ্ন দেখে।
মুমিনও তেমনি দুনিয়াকে তার আসল বাড়ি মনে করে না। সে বেহেশতের বাড়ির কামনা-বাসনা নিয়েই দুনিয়ার জীবনটা কাটায় ।
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন কায়েম করার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে
নবীগণ হাজারো রকমের যুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন।
সবার ইতিহাস তো
জানার উপায় নেই
তবে কয়েকজন নবীকে জেলেও যেতে হয়েছে।
হযরত ইউসুফ (আ) সম্পর্কেই বিশেষভাবে কুরআনে পাকে উল্লেখ করা হয়েছে ।
বিশ্বনবী ও শেষ নবীর জেল জীবন ছিল সবচেয়ে কষ্টদায়ক।
নবুওয়াতের ৮ম, ৯ম ও
১০ম—
এ তিনটি বছর শিআবে আবী তালিব নামক উপত্যকায় বনী হাশিমের
গোটা বংশকে মক্কার কাফিররা এমনভাবে আটক করে রেখেছিল যে, বাইরে
থেকে কোন খাবার এমনকি পানি পর্যন্ত পৌছাতে দেয়নি ।
দ্বীনের পতাকাবাহী
বহু ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ ও মুজাহিদ মুসলিম নামধারী স্বেচ্ছাচারী শাসকদের জেলে নির্যাতিত হয়েছেন।
ইমাম আবূ হানীফা
(র), ইমাম মালেক (র),
ইমাম হাম্বল (র), মুজাদ্দিদে আলফে সানী তাঁদেরই
কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব।
এ যুগেও বিশ্বের বহু দেশে আলেম ওলামা ও মুজাহিদগণকে
বিনাবিচারে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
প্রহসনমূলক বিচার অনুষ্ঠান করে ইখওয়ানুল মুসলিমীনের বেশ কয়েকজন নেতাকে মিসরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ।
সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে হাজার
হাজার মুজাহিদ ও আলেম ওলামা জেলে নির্যাতিত হচ্ছেন। যাবজ্জীবন ও ফাঁসির মত শাস্তি দেয়া হচ্ছে
মুমিনদেরকে বিভিন্ন কারণেই জেলে আটক করে রাখা হতে পারে।
যে কারণেই হোক
মুমিন জেলে থাকতে বাধ্য হলে ,তার জেল জীবনটা যাতে তার জন্য সত্যিকার কল্যাণ বয়ে আনে সে বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
কারণ যে কারো জেল হতে পারে
অপরাধ করে কেউ জেলে যেতে পারে
আবার অপরাধ না করেই
অনেকে জেলে যায়
জেল জীবন কি কামনা বিষয়,,
বন্দি জীবন দুনিয়ার কঠিন পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান।
বন্দি হবার ফলে পরিবার-পরিজনও বিরাট পরীক্ষার সম্মুখীন হয়।
বন্দির ব্যবসা,
পেশা বা চাকরির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। পরিবার থেকে বাধ্য হয়ে
বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে
যে মানসিক যাতনা ভোগ করতে হয় তা বড়ই করুণ।
সুতরাং বন্দি জীবন কোন অবস্থায়ই কামনার ধন নয়।
অবশ্য হযরত ইউসুফ (আ)
এক বিরাট ফিতনা থেকে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে আল্লাহ তাআলার নিকট জেল্যকামনা করেছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে,,
ছোট-বড় কোন বিপদই কামনা করা উচিত নয়। বিপদ মাত্রই পরীক্ষা ।
আল্লাহ তাআলার নিকট বিপদ চাওয়া অস্বাভাবিক ।
এক সাহাবী আল্লাহ
পাকের নিকট সবরের জন্য বেশি বেশি দোয়া করছিলেন।
রাসূল (স) তাঁকে বললেন,
আল্লাহর কাছে বেশি করে আফিয়াত (স্বাচ্ছন্দ্য-শান্তি, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদি)
চাও ৷
বেশি সবর চাওয়া মানে তো বিপদের পরীক্ষা চাওয়া ।
তবে পরীক্ষা আসলে
অবশ্যই সবর চাওয়া দরকার।
আমার লেখার উদ্দেশ্য হল,
যদি জেলে বন্দি হবার মতো কঠিন বিপদ এসেইপড়ে,
তাহলে এ বিপদে বেসবর না হয়ে এ পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য চেষ্টা করার প্রেরণা দান করা।
এ অগ্নিপরীক্ষায় জীবনের যাবতীয় খাদ পুড়িয়ে
নিজকে খাঁটি সোনায় পরিণত করার সাধনা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে ইশারা করাই আমার লক্ষ্য
জেল হয়ে গেল বলে ঘাবড়াবার কিছু নেই বিপদ আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আসতে পারে না।
ঘাবড়ালে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায় না।
তাঁর উপর ভরসা করে মনকে শান্ত রাখলে এ পরিস্থিতিতে যা করা উচিত সে বিষয়ে
আল্লাহ হেদায়াত দেন
✍️ নীরবতার প্রাচীর
Comment