Announcement

Collapse
No announcement yet.

রাসূল (স:) বলেছেন- “দুনিয়াটা মুমিনের জন্য জেলখানা ও কাফিরদের জন্য বেহেশত।”

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • রাসূল (স:) বলেছেন- “দুনিয়াটা মুমিনের জন্য জেলখানা ও কাফিরদের জন্য বেহেশত।”

    রাসূল (সঃ) বলেছেন
    “দুনিয়াটা মুমিনের জন্য জেলখানা ও কাফিরদের জন্য বেহেশত।”

    এর সহজ-সরল অর্থ হল,
    যে কাফির দুনিয়াটাকে বেহেশতের মতোই চিরস্থায়ী মনে করে এবং সব সময় মজা লুটবার তালেই থাকে,

    এ দুনিয়া ছেড়ে যে চলে যেতে হবে এবং দুনিয়ার জীবনের হিসাব
    যে পরপারে দিতে হবে
    সে হিসাব সে করে না।

    তাই সে জীবনে নৈতিক সীমা মেনে চলার প্রয়োজন মনে
    করে না ।

    কিন্তু মুমিন আখিরাতের জীবনকেই চিরস্থায়ী মনে করে এবং দুনিয়ার
    জীবনকে ক্ষণস্থায়ী জেনেই আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে থাকে।


    যাবজ্জীবনের কারাদণ্ড যে ভোগ করে সেও জেলখানাকে তার নিজের বাড়ি মনে করে না।

    জেলের দালানে শুয়েও সে তার কুঁড়েঘরের বাড়িটিরই স্বপ্ন দেখে।

    মুমিনও তেমনি দুনিয়াকে তার আসল বাড়ি মনে করে না। সে বেহেশতের বাড়ির কামনা-বাসনা নিয়েই দুনিয়ার জীবনটা কাটায় ।

    আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন কায়েম করার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে
    নবীগণ হাজারো রকমের যুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছেন।

    সবার ইতিহাস তো
    জানার উপায় নেই

    তবে কয়েকজন নবীকে জেলেও যেতে হয়েছে।
    হযরত ইউসুফ (আ) সম্পর্কেই বিশেষভাবে কুরআনে পাকে উল্লেখ করা হয়েছে ।

    বিশ্বনবী ও শেষ নবীর জেল জীবন ছিল সবচেয়ে কষ্টদায়ক।


    নবুওয়াতের ৮ম, ৯ম ও
    ১০ম—
    এ তিনটি বছর শিআবে আবী তালিব নামক উপত্যকায় বনী হাশিমের
    গোটা বংশকে মক্কার কাফিররা এমনভাবে আটক করে রেখেছিল যে, বাইরে
    থেকে কোন খাবার এমনকি পানি পর্যন্ত পৌছাতে দেয়নি ।

    দ্বীনের পতাকাবাহী
    বহু ইমাম, মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদ ও মুজাহিদ মুসলিম নামধারী স্বেচ্ছাচারী শাসকদের জেলে নির্যাতিত হয়েছেন।

    ইমাম আবূ হানীফা
    (র), ইমাম মালেক (র),
    ইমাম হাম্বল (র), মুজাদ্দিদে আলফে সানী তাঁদেরই
    কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব।


    এ যুগেও বিশ্বের বহু দেশে আলেম ওলামা ও মুজাহিদগণকে
    বিনাবিচারে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।

    প্রহসনমূলক বিচার অনুষ্ঠান করে ইখওয়ানুল ‌ মুসলিমীনের বেশ কয়েকজন নেতাকে মিসরে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ।

    সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে হাজার
    হাজার মুজাহিদ ও আলেম ওলামা জেলে নির্যাতিত হচ্ছেন। যাবজ্জীবন ও ফাঁসির মত শাস্তি দেয়া হচ্ছে

    মুমিনদেরকে বিভিন্ন কারণেই জেলে আটক করে রাখা হতে পারে।

    যে কারণেই হোক
    মুমিন জেলে থাকতে বাধ্য হলে ,তার জেল জীবনটা যাতে তার জন্য সত্যিকার কল্যাণ বয়ে আনে সে বিষয়ে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

    কারণ যে কারো জেল হতে পারে
    অপরাধ করে কেউ জেলে যেতে পারে

    আবার অপরাধ না করেই
    অনেকে জেলে যায়

    জেল জীবন কি কামনা বিষয়,,

    বন্দি জীবন দুনিয়ার কঠিন পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান।


    বন্দি হবার ফলে পরিবার-পরিজনও বিরাট পরীক্ষার সম্মুখীন হয়।

    বন্দির ব্যবসা,
    পেশা বা চাকরির মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে। পরিবার থেকে বাধ্য হয়ে

    বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে
    যে মানসিক যাতনা ভোগ করতে হয় তা বড়ই করুণ।

    সুতরাং বন্দি জীবন কোন অবস্থায়ই কামনার ধন নয়।

    অবশ্য হযরত ইউসুফ (আ)
    এক বিরাট ফিতনা থেকে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে আল্লাহ তাআলার নিকট জেল‌্যকামনা করেছিলেন।

    প্রকৃতপক্ষে,,
    ছোট-বড় কোন বিপদই কামনা করা উচিত নয়। বিপদ মাত্রই পরীক্ষা ।

    আল্লাহ তাআলার নিকট বিপদ চাওয়া অস্বাভাবিক ।

    এক সাহাবী আল্লাহ
    পাকের নিকট সবরের জন্য বেশি বেশি দোয়া করছিলেন।

    রাসূল (স) তাঁকে বললেন,
    আল্লাহর কাছে বেশি করে আফিয়াত (স্বাচ্ছন্দ্য-শান্তি, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদি)
    চাও ৷

    বেশি সবর চাওয়া মানে তো বিপদের পরীক্ষা চাওয়া ।

    ‌‌ তবে পরীক্ষা আসলে
    অবশ্যই সবর চাওয়া দরকার।



    আমার লেখার উদ্দেশ্য হল,
    যদি জেলে বন্দি হবার মতো কঠিন বিপদ এসেইপড়ে,

    তাহলে এ বিপদে বেসবর না হয়ে এ পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য চেষ্টা করার প্রেরণা দান করা।

    এ অগ্নিপরীক্ষায় জীবনের যাবতীয় খাদ পুড়িয়ে
    নিজকে খাঁটি সোনায় পরিণত করার সাধনা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে ইশারা করাই আমার লক্ষ্য


    জেল হয়ে গেল বলে ঘাবড়াবার কিছু নেই বিপদ আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আসতে পারে না।

    ঘাবড়ালে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায় না।

    তাঁর উপর ভরসা করে মনকে শান্ত রাখলে এ পরিস্থিতিতে যা করা উচিত সে বিষয়ে
    আল্লাহ হেদায়াত দেন

    ✍️ নীরবতার প্রাচীর


    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    যে বিপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে সেখানে আল্লাহ সাহায্য করে থাকেন। তবে যে বিপদ বান্দা চেয়ে আনে তার ফলাফল কিন্তু অনেক ভয়াবহ হয়ে থাকে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      কোন বিষয়ে পোস্ট করলে কিভাবে করতে হবে জানালে উপকৃত হব ইনশাআল্লাহ

      Comment


      • #4
        আমি ইনশাল্লাহ নিচে বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করছি
        (ওমা তাওফিক ইল্লা বিল্লাহ)
        1. সবার প্রথমে অাপনাকে সাইটের ফোরাম পেজে যেতে হবে
        2. এখানে আপনি বিষয় ভিত্তিক ক্যাটাগরি পাবেন। যে ক্যাটাগরিতে পোস্ট করতে চান তাতে ক্লিক করুন।
        3. এই পেজে অাপনি "Post New Thread" লিংক বা বাটন পাবেন।
        4. পনার পছন্দের পোস্টের সুন্দর ও বোধগম্য একটি টাইটেল বা শিরোনাম দিন
        5. বিস্তারিত পোস্ট লিখে "Preview Post" দিয়ে দেখে নিতে পারেন।
        6. এবার "Submit new Thread" বাটনে ক্লিক করে পোস্টটি জমা দিন


        আপনি যে কোন ক্যাটাগরি পেজের ভিতরে গেলেই "Post new Thread" লিংক পাবেন।

        আল্লাহ আমাদের জন্য সহজ করুন। বুঝতে কোন রকম সমস্যা হলে জানাবেন।

        আল্লাহ কারিম
        জাঝাকাল্লাহ

        [Collected]

        ফোরামে অনুপ্রবেশে করে সবার নিচে একটা থ্রেড পাবেন ইন শা আল্লাহ
        মিডিয়া ফোরাম এই নামে সেই থ্রডে
        ফোরামে পোষ্ট করার নিয়ম এ বিষয়ে একটি পোষ্ট পাবেন ইনশাআল্লাহ

        চাইলে বিস্তারিত সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন
        বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

        Comment


        • #5
          দুনিয়া মুমিনদের জন্য জেল খানা এবং কাফেরদের জন্য জান্নাত এটির দুইটি অর্থহতে পারে ১) আল্লাহ তায়ালা কাফেরদের দেরকে দুনিয়াতে অনেক সুখ দিবেন দলিল হল কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন وَلا تَمُدَّنَّ عَينَيكَ إِلىٰ ما مَتَّعنا بِهِ أَزوٰجًا مِنهُم زَهرَةَ الحَيوٰةِ الدُّنيا لِنَفتِنَهُم فيهِ ۚ وَرِزقُ رَبِّكَ خَيرٌ وَأَبقىٰ [131] আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী। এবং زُيِّنَ لِلَّذينَ كَفَرُوا الحَيوٰةُ الدُّنيا وَيَسخَرونَ مِنَ الَّذينَ ءامَنوا ۘ وَالَّذينَ اتَّقَوا فَوقَهُم يَومَ القِيٰمَةِ ۗ وَاللَّهُ يَرزُقُ مَن يَشاءُ بِغَيرِ حِسابٍ [212] পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন।وَلَولا أَن يَكونَ النّاسُ أُمَّةً وٰحِدَةً لَجَعَلنا لِمَن يَكفُرُ بِالرَّحمٰنِ لِبُيوتِهِم سُقُفًا مِن فِضَّةٍ وَمَعارِجَ عَلَيها يَظهَرونَ [33] যদি সব মানুষের এক মতাবলম্বী হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকত, তবে যারা দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করে আমি তাদেরকে দিতাম তাদের গৃহের জন্যে রৌপ্য নির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি, যার উপর তারা চড়ত। এবং মুমিনদের ব্যপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন।।। وَلَنَبلُوَنَّكُم بِشَيءٍ مِنَ الخَوفِ وَالجوعِ وَنَقصٍ مِنَ الأَموٰلِ وَالأَنفُسِ وَالثَّمَرٰتِ ۗ وَبَشِّرِ الصّٰبِرينَ [155] এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের এবং হাদিস শরীফে রয়েছে حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَمَثَلِ الزَّرْعِ لاَ تَزَالُ الرِّيحُ تُمِيلُهُ وَلاَ يَزَالُ الْمُؤْمِنُ يُصِيبُهُ الْبَلاَءُ وَمَثَلُ الْمُنَافِقِ كَمَثَلِ شَجَرَةِ الأَرْزِ لاَ تَهْتَزُّ حَتَّى تَسْتَحْصِدَ ‏"‏ ৬৯৮৫-(৫৮/২৮০৯) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুমিনের দৃষ্টান্ত শস্যক্ষেতের মতো। বাতাস সবসময় তাকে আন্দোলিত করে। অনুরূপভাবে মুমিনের উপরও সবসময় বিপদাপদ আসতে থাকে। আর মুনাফিকের দৃষ্টান্ত দেবদারু গাছের মতো। সেটা আন্দোলিত হয় না একেবারে কেটে ফেলার আগ পর্যন্ত। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৮৩৩, ইসলামিক সেন্টার ৬৮৮৯ এবং হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে)يا رسولَ اللهِ ! أيُّ الناسِ أشدُّ بلاءً ؟ قال : الأنبياءُ ، ثم الصالحون ، ثم الأمثلُ فالأمثلُ ، يُبتلى الرجلُ على حسبِ دِينِه ، فإن كان في دِينِه صلابةٌ ، زِيدَ في بلائِه ، وإن كان في دِينِه رِقَّةٌ ، خُفِّفَ عنه ولا يزالُ البلاءُ بالمؤمنِ حتى يمشي على الأرضِ وليس عليه خطيئةٌ সাহাবায়ে কিয়ামগন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করল সবচেয়ে কাদের বিপদ বেশি তখন তিনি বললেন নবীদের বিপদ বেশি অতঃপর নেককারদের পরপর এভিবে চলতে থাকবে ব্যক্তিকে তার দ্বীন অনুসারে পরীক্ষা করা হয় সুতরাং তার দ্বীনের মাঝে যদি দৃঢ়তা থাকে বিপদ বাড়িয়ে দেওয়া হবে যদি তার দ্বীনের মধ্যে দূর্বলতা থাকে তাহলে তা হালকা করে দেওয়া হয় মুমিনদের সাথে সর্বদা বালা মসীবত লেগেই থাকে ফলে সে এমন ভাবে চলাফেরা করে যে তার উপর একটি গুনাহ বাক্বি থাকে না । আরেকটি ব্যাখ্যা হতে পারে যে মুমিনরা আল্লাহর বিভিন্ন বিধিবিধানের আওতায় আবদ্ধ থাকে আর কাফেররা এই ধরনের বিধিবিধানের আওতায় আবদ্ধ থাকে না ।তাই মুমিনদের জন্য জেল খানা এবং কাফেরদের জন্য জন্য জান্নাত ।আরেকটা ব্যাখ্যা হতে পারে যে আখেরাতে জান্নাতের তুলনায় মুমিনদের জন্য দুনিয়াতে সব কিছুই শাস্তি আর আখেরাতে জাহান্নামের শাস্তির তুলনায় কাফেরদের জন্য দুনিয়ার সবকিছু শান্তি এবং আরাম দায়ক তাই দুনিয়া মুমিনদের জন্য জেল খানা এবং কাফেরদের জন্য জান্নাত।
          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment


          • #6
            মাশাআল্লাহ।

            Comment


            • #7
              মাশাআল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
              فَقَاتِلُوْۤا اَوْلِيَآءَ الشَّيْطٰنِ

              Comment


              • #8
                মাশাআল্লাহ । অনেক সুন্দর পোষ্ট ।
                আল্লাহ তায়ালা আমাদের এই পোষ্ট থেকে উপক্রিত করেন । আমিন ।

                Comment


                • #9
                  وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال‏:‏ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏ "‏ ما يزال البلاء بالمؤمن والمؤمنة في نفسه وولده ة وماله حتى يلقى الله تعالى وما عليه خطيئة‏"‏ ‏(‏‏‏رواه الترمذي وقال حديث حسن
                  ৫০। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’মু’মিন পুরুষ ও নারীর জান, সন্তান-সন্ততি ও তার ধনে (বিপদ-আপদ দ্বারা) পরীক্ষা হতে থাকে, পরিশেষে সে আল্লাহ তা’আলার সঙ্গে নিষ্পাপ হয়ে সাক্ষাৎ করবে।’’[1]لا تدْعوا على أنفسِكم ، ولا تدْعوا على أولادِكم ، ولا تدْعوا على خَدَمِكم ، ولا تدْعوا على أموالِكم ، لا تُوافقوا من اللهِ ساعةَ نيْلٍ فيها عطاءٌ فيُستجابَ لكم তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে দোয়া করবে না এবং তোমরা তোমাদের সন্তানদের বিরুদ্ধে দোয়া করবে না এবং তোমরা তোমাদের খাদেমের বিরুদ্ধে দোয়া করবে না । এবং তোমরা তোমাদের সম্পদের বিরুদ্ধে দোয়া করবে না। তোমরা (তোমাদের অজান্তেই) পেয়ে যাওয়ার মূহুর্তে এমনটা করে বস না । যখন এটা কবুল হয়ে যাবে।وَأَنفِقوا فى سَبيلِ اللَّهِ وَلا تُلقوا بِأَيديكُم إِلَى التَّهلُكَةِ ۛ وَأَحسِنوا ۛ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ المُحسِنينَ
                  [195] আর ব্যয় কর আল্লাহর পথে, তবে নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।
                  أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « لَا يَتَمَنَّ أحَدُكُمُ المَوْتَ، إمَّا مُحْسِناً فَلَعَلَّهُ يَزْدَادُ، وَإمَّا مُسِيئاً فَلَعَلَّهُ يَسْتَعْتِبُ ». متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ البخاري .
                  وَفي رِوَايَةٍ لِّمُسلِمٍ عَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: لاَ يَتَمَنَّ أَحَدُكُمُ المَوْتَ، وَلاَ يَدْعُ بِهِ مِنْ قَبْلِ أنْ يَأتِيَهُ ؛ إنَّهُ إِذَا مَاتَ انْقَطَعَ عَمَلُهُ، وَإنَّهُ لاَ يَزِيدُ المُؤْمِنَ عُمُرُهُ إِلاَّ خَيْراً । আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে পুণ্যবান হলে স‎ম্ভবতঃ সে পুণ্য বৃদ্ধি করবে। আর পাপী হলে (পাপ থেকে) তওবা করতে পারবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) শব্দগুলি বুখারীর) [1]

                  মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে এবং তা আসার পূর্বে কেউ যেন তার জন্য দো’আ না করে। কারণ, সে মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ মু’মিনের আয়ু কেবল মঙ্গলই বৃদ্ধি করবে।’’
                  পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

                  Comment

                  Working...
                  X